Showing posts with label রকমারি. Show all posts
Showing posts with label রকমারি. Show all posts

ইফতারের পর ক্লান্তিভাব দূর করবেন যেভাবে

চিলাহাটি ওয়েব ডটকম : Thursday, March 28, 2024 | 3/28/2024 09:08:00 PM

চিলাহাটি ওয়েব, রকমারি ডেস্ক : চলছে সিয়াম সাধনার মাস পবিত্র রমজান। সারাদিন রোজা রেখে মাগরিবের আজান শুনে ইফতারের টেবিলে রাখা মজার খাবারগুলো পেটপুরে খেয়ে নিলেন, এরপর ভাবছেন মুহূর্তেই শক্তিশালী হয়ে যাবেন?
আপনার প্রত্যাশা এমনটা থাকলেও আসলে তা আর হয়ে উঠে না। কারণ, ইফতার খাওয়ার পরপরই আপনার ক্লান্তি লাগতে শুরু করে। সারাদিন উপবাসের পর একগাদা খাবার একসঙ্গে খাওয়ার কারণে তা হজমে সময় লাগে। আর তাতেই ক্লান্ত হয়ে যায় আমাদের শরীর। তাহলে ইফতারে কী খাবেন। আর কী করলে ক্লান্তি লাগবে না চলুন জেনে নিই।
পানিশূন্যতা দূর করুন : সারাদিন পানাহার থেকে বিরত থাকার কারণে খুব স্বাভাবিকভাবেই আমাদের শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দেয়। এরপর ইফতারে তেলে ভাজা আর বিভিন্ন মসলাদার খাবার খাওয়া হয়। ফলে পানির ঘাটতি পূরণ হয় না।
ইফতারের পর প্রচুর পানির দরকার হয় শরীরের। তাই বিভিন্ন ফল, ফলের রস, শরবত, ডাবের পানি ইত্যাদি খান। এতে শরীরে পানির ঘাটতি দূর হবে।
একসঙ্গে অনেক খাবার খাবেন না : ইফতারে এক সঙ্গে অনেক বেশি খাবার খাবেন না। একবারে অনেক বেশি খাবার খাওয়া সারাদিন রোজা থাকার পর ক্লান্তি লাগার একটি বড় কারণ। আপনি ক্ষুধার্ত ঠিক আছে, তবে পেটকেও সময় দিতে হবে হজম করতে।
তাই একসঙ্গে অনেক বেশি খাবার না খেয়ে অল্প অল্প করে খান। কিছুক্ষণ পরপর খান। এতে শরীর খুব একটা ক্লান্ত হবে না। খাবার হজমের জন্যও পর্যাপ্ত সময় পাবে।
নামাজ পড়ে নিন : ইফতারের শুরুতে একটি খেজুর ও এক গ্লাস পানি খেয়ে মাগরিবের নামাজ পড়ে নিন। এতে নামাজ সময়মতো আদায় হয়ে যাবে এবং ততক্ষণে আপনার পেটও খাবার হজমের জন্য তৈরি হবে। নামাজ শেষ করে ইফতারের বাকি খাবার খাবেন। যারা এভাবে খেয়ে অভ্যস্ত, তারা তুলনামূলক অনেক কম ক্লান্ত হন।
চা কিংবা কফি : রোজায় চা কিংবা কফি পানের অভ্যাস বাদ দেন অনেকে। তবে ইফতারের পর ক্লান্তি কাটানোর জন্য এক কাপ চা কিংবা কফি পান করতে পারেন।
কারণ, এ ধরনের পানীয়তে থাকা ক্যাফেইন আপনাকে ভেতর থেকে সতেজ রাখতে কাজ করে। তবে এই চা কিংবা কফি যেন খুব কড়া না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখবেন।
কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করুন : ইফতারের পরপরই শুয়ে-বসে থাকবেন না। বরং স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করুন। আমাদের শরীর আমাদের মনের কথা শুনে চলে। তাই নিজেকে ক্লান্ত ভাববেন না। বরং ইফতারের পর কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করুন। এতে ক্লান্তি দূর হবে সহজেই। একই সঙ্গে হজমও ভালো হবে।

পিঠে ব্রণ হওয়ার কারণ ও প্রতিকার

চিলাহাটি ওয়েব ডটকম : Tuesday, February 27, 2024 | 2/27/2024 10:16:00 PM

চিলাহাটি ওয়েব, রকমারি ডেস্ক : ব্রণের সমস্যায় অনেক নারী-পুরুষই ভোগেন। শুধু মুখ নয়, পিঠেও দেখা দিতে পারে ব্রণের সমস্যা। এমনকি অনেকের পিঠ ভর্তি হয়ে যায় ব্রণে। ত্বকের ব্রণ নিয়ে উদ্বিগ্ন হলেও অনেকেই পিঠের ব্রণ নিয়ে ততটা সচেতন নন।
অথচ এই ব্রণের সমস্যা বাড়তে বাড়তে দাগ বসে যেতে পারে। এ ছাড়া পিঠের ব্রণ অত্যন্ত অস্বস্তিকর। পিঠে ব্রণ উঠার কারণ: পিঠ নিয়মিত পরিষ্কার করা না হলে কিংবা শরীরচর্চা করার পর ভেজা বা ঘামের পোশাক না বদলানোর অভ্যাসের কারণে অনেকের পিঠে ব্রণ হতে পারে। আবার অতিরিক্ত ফিটিং পোশাক দীর্ঘক্ষণ পরে থাকা, নোংরা পোশাক পরা, প্রসাধনীতে অ্যালার্জি, খালি গায়ে নোংরা বিছানায় ঘুমানোসহ নানা কারণে পিঠে ব্রণ হতে পারে।
পিঠের ব্রণ দূর করার উপায়: ওটস ও টকদইয়ের প্যাক: একটি বাটিতে তিন চামচ ওটসের গুঁড়ার সঙ্গে দুই চামচ টকদই নিয়ে একটি প্যাক তৈরি করে পুরো পিঠে লাগাতে হবে। ২০ মিনিট রেখে গরম পানিতে তোয়ালে ভিজিয়ে ভালো করে পিঠ মুছে নিতে হবে। সপ্তাহে তিনবার ব্যবহার করতে হবে এই প্যাক। 
চালের গুঁড়া ও টমেটোর প্যাক : টমেটো ব্লেন্ড করে রস ছেঁকে তার সঙ্গে ২ চামচ চালের গুঁড়া মিশিয়ে নিতে হবে। মিশ্রণটি পিঠে লাগিয়ে নিয়ে আধা ঘণ্টা রেখে ধুয়ে নিতে হবে। এতে পিঠের লালচে ভাব দূর হবে, ব্রণের সমস্যা কমবে, এমনকি রোদে পোড়া দাগও দূর হবে। 
হলুদ ও বেসনের প্যাক : কাঁচা হলুদ বেটে নিয়ে তার সঙ্গে বেসন মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে নিতে হবে। মিশ্রণটি পিঠে লাগিয়ে ১৫ মিনিট রেখে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এতে ব্রণের সমস্যা কমবে। হলুদে থাকা অ্যান্টিসেপটিক উপাদান ব্রণের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।
তথ্যসূত্র : এফএনএস

ঘুম থেকে উঠেই মোবাইল দেখলে যেসব ক্ষতি হয়

চিলাহাটি ওয়েব ডটকম : Wednesday, February 21, 2024 | 2/21/2024 08:32:00 PM

চিলাহাটি ওয়েব, রকমারি ডেস্ক : যদি কারোর কাছে জানতে চাওয়া হয় আপনি সকালে ঘুম থেকে উঠেই কী করেন?
অধিকাশ মানুষই উত্তর দেবে বালিশের পাশে রাখা মোবাইলটি হাতে নিই। হতে পারে অ্যালার্ম বন্ধ করার জন্য। তবে যে কারণেই ফোন হাতে নেওয়া হোক না কেন, এই অভ্যাস দিয়ে দিন শুরু করলে দিনটি মোটেও ভালো যাবে না। কারণ এর রয়েছে অনেক ক্ষতিকর দিক। যা আপনার শারীরিক ও মানসিক নানা ক্ষতি করে।
চলুন, জেনে নেওয়া যাক সকালে ঘুম থেকে উঠেই ফোন হাতে নিলে কী ক্ষতি হয়- আমাদের শরীরের সুস্থতার জন্য মেটাবলিজম প্রক্রিয়া ঠিকভাবে হওয়া জরুরি। কোনো কারণে এটি বাধাগ্রস্ত হলে বা ঠিকভাবে চলতে না পারলে তার স্পষ্ট প্রভাব পড়ে শরীরে।
এটি মানসিকভাবেও ক্ষতি করতে পারে। আপনি যদি সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরই মোবাইল ফোনটি হাতে নেন তাহলে তা আপনার শরীরে মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর ফলে কমতে থাকে মেটাবলিজম ক্ষমতা। শুধু তাই নয়, সেইসঙ্গে দেখা দিতে পারে ভীষণরকম মাথা যন্ত্রণা।

মাংস, না শাকসবজি-মানুষের উপযুক্ত খাবার কোনটি?

চিলাহাটি ওয়েব ডটকম : Friday, December 8, 2023 | 12/08/2023 05:20:00 PM

চিলাহাটি ওয়েব, রকমারি ডেস্ক : তৃণভোজী, মাংসাশী এবং সর্বভূক- খাবারের প্রকৃতিভেদে প্রাণীকূলের সকল জীবকে মোটাদাগে এই তিন শ্রেণিতে বিভক্ত করা যায়। কোন প্রাণী কী খেয়ে বাঁচবে এবং খাবার তার শারীরবৃত্তীয় কর্মকাণ্ডে কী প্রভাব ফেলবে তাও এক প্রকার সুনির্দিষ্ট।
বাঘ-সিংহ সারাবছর মাংসই খায়; গরু-ছাগল বা হরিণের অরুচি নেই প্রতিদিন ঘাসপাতা খাওয়ায়। কারণ এগুলোই এদের প্রকৃতি-নির্ধারিত খাবার।
মানুষেরও কি খাবারের কোনো প্রকৃতি-নির্ধারিত ধরণ আছে?
উত্তর খুঁজতে দ্বারস্থ হতে হবে নৃবিজ্ঞানীদের। তাদের মতে আমাদের পূর্বপুরুষরা ছিলেন মূলত ভেজিটারিয়ান বা নিরামিষাশী। এর সপক্ষে তারা দুটো প্রমাণ উপস্থাপন করছেন- এক) পরিপাকতন্ত্রের গঠন, দুই) দাঁতের গঠন। হরিণের কথাই ধরা যাক। হরিণ তৃণভোজী; এর মুখ থেকে মলদ্বার পর্যন্ত পরিপাকতন্ত্রের দৈর্ঘ্য গড়ে ২৮ ফুট। অন্যদিকে, মাংসাশী প্রাণী বাঘের পরিপাকতন্ত্রের গড় দৈর্ঘ্য ৩ থেকে ৭ ফুট। তৃণভোজী হয়েও হরিণের পরিপাকতন্ত্রের দৈর্ঘ্য বেশি হওয়ার কারণ সবজি পাতা তৃণলতায় প্রচুর আঁশ বা ফাইবার থাকে, যা হজম করার জন্যে প্রয়োজন দীর্ঘ পরিপাকতন্ত্র। বিপরীতে, মাংসে যেহেতু ফাইবার থাকে না তাই বাঘের পরিপাকতন্ত্র এত লম্বা হওয়ার প্রয়োজন নেই।
মানুষের পরিপাকতন্ত্রের দৈর্ঘ্য কত জানেন? গড়ে ৩০ ফুট! অর্থাৎ, হরিণের চেয়েও বেশি। কাজেই মাংসাশী বাঘ-সিংহ নয়, মানুষের খাবার হওয়া উচিৎ তৃণভোজী গরু-ছাগল-হরিণের মতো। শুধু পরিপাকতন্ত্রই না, দাঁতের গঠনেও মানুষের সাথে মিল রয়েছে তৃণভোজী প্রাণীদের মাংসাশী প্রাণীর সাথে মানুষের মাত্র ৪টি দাঁতের মিল আছে। এগুলোকে বলা হয় ক্যানাইন টুথ। কারণ আমাদের মুখের দু’পাশে উপর-নিচ এই দাঁতগুলো মাংসাশী প্রাণী কুকুরের দাঁতের মতোই চোখা। বাকি ২৮টি দাঁত তৃণভোজী প্রাণী গরু-ছাগলের মতো। অনুপাত দাঁড়ায় ২৮:৪ বা ৭:১!
অর্থাৎ, প্রকৃতিগতভাবেই আমরা মূলত তৃণভোজী। প্রকৃতি বলছে সাতদিন শাক-সবজি তরি-তরকারি আর একদিন মাছ-মাংস হওয়া উচিৎ আমাদের খাদ্যাভ্যাস। কিন্তু আমাদের বর্তমান খাদ্যাভ্যাস ঠিক এর উল্টো! বেশিরভাগ মানুষ সাতদিন খায় মাছ মাংস, নামকাওয়াস্তে একদিন হয়ত সবজি। যেদিনও বা আমরা শখের ‘ভেজিটারিয়ান’ হই সেদিনও পাতে থাকে নিদেনপক্ষে ডিম ভাজা! প্রকৃতিবিরুদ্ধ এই খাদ্যাচারের ফলাফল- বিশ্বজুড়ে উচ্চ রক্তচাপ হৃদরোগ ডায়াবেটিস স্ট্রোক স্থূলতা ফ্যাটি লিভার ডিজিজ ক্যান্সার এখন ঘরে ঘরে। এই রোগগুলোকে একত্রে বলা হয় অসংক্রামক রোগ।
 
দেশে এখন ৭৩ ভাগ মৃত্যুর কারণ এই ‘অসংক্রামক রোগ’ 
অর্থাৎ, প্রত্যেক বছর বাংলাদেশে প্রতি ১০০ মৃত্যুর ৭৩-ই হৃদরোগ ডায়াবেটিস স্ট্রোক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ ক্যান্সারে। ৩৬ শতাংশ মৃত্যুর কারণ হৃদরোগ। ১৯৮৬ সালে, অর্থাৎ মাত্র তিন যুগ আগেও বাংলাদেশে অসংক্রামক রোগে মারা যেত মাত্র ৮% মানুষ। কিন্তু এখন কেন এত? কারণ খাদ্যাভ্যাসে বদল। দেশের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নতির সাথে সাথে আমাদের খাদ্যাভ্যাসও আমূল বদলে গেছে; মাছ-মাংস হয়ে গেছে অনেক সহজলভ্য; আমরা শাকসবজি ছেড়ে ঝুঁকে পড়েছি প্রাণিজ আমিষে। ফলাফল- অসংক্রামক রোগ আর তাতে ক্রমবর্ধমান মৃত্যহার! 
 
প্রাণিজ আমিষ- সর্বনাশের ‘নাটের গুরু’! 
চীনের কয়েকটি এলাকায় কিছু দীর্ঘজীবী মানুষ আছে যাদের হৃদরোগ উচ্চ রক্তচাপ ডায়াবেটিস নেই। অন্যদিকে, আমেরিকার কিছু অঞ্চল আছে যেখানে এসব রোগ ঘরে ঘরে। এই দুই অঞ্চলের মানুষের ওপর গবেষণা চালান কর্নেল ইউনিভার্সিটি, অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি এবং চায়নিজ একাডেমি অব প্রিভেনটিভ মেডিসিনের এক দল গবেষক।
দীর্ঘ তিন দশক গবেষণার পর তারা একটি বই লেখেন- ‘দ্য চায়না স্টাডি’। এতে বলা হয় বিশ্বব্যাপী এত হৃদরোগ উচ্চ রক্তচাপ ডায়াবেটিস স্থূলতার মূল কারণ হচ্ছে প্রয়োজনের অতিরিক্ত প্রাণিজ আমিষ গ্রহণ।
লিভার ক্যান্সারের কারক প্রাণিজ আমিষ কর্নেল ইউনিভার্সিটির ইমেরিটাস প্রফেসর ডা. টি. কোলিন ক্যাম্পবেল ইঁদুরের দুটি গ্রুপের ওপর একটি গবেষণা চালান। দুটি দলকেই প্রতিদিন প্রাণিজ আমিষ খেতে দেয়া হতো- এক দলকে ৫ শতাংশের কম, আরেক দলকে ২০ শতাংশের বেশি। দুই গ্রুপের শরীরে সমান ডোজে ঢুকিয়ে দেয়া হয় আফলা টক্সিন।
উল্লেখ্য, আফলা টক্সিন হলো এক ধরণের শক্তিশালী কার্সিনোজেনিক এজেন্ট যা শরীরে ঢোকার পর ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। একটা নির্দিষ্ট সময় পর দেখা গেল যেসব ইঁদুরকে ২০ শতাংশের বেশি প্রাণিজ আমিষ দেয়া হয়েছিল তাদের সবার লিভার ক্যান্সার হয়ে গেছে। আর যাদেরকে ৫ শতাংশের কম দেয়া হয়েছিল তাদের কারোরই লিভার ক্যান্সার হয় নি।
টেস্টটি একাধিকবার করা হয়েছে, প্রত্যেকবার রেজাল্ট একই! ডা. ক্যাম্পবেল এই সিদ্ধান্তে আসেন, বিশ্বব্যাপী এত ক্যান্সার বাড়ার কারণ যতটা না কার্সিনোজেনিক এজেন্ট, তার থেকে বেশি হচ্ছে ‘নিরীহ’ এনিমেল প্রোটিন তথা প্রাণিজ আমিষ। প্রাণিজ আমিষ খাব, না খাব না? বিখ্যাত চিকিৎসক ডা. মাইকেল গ্রিগারের বিখ্যাত বই- হাউ নট টু ডাই।
এই বইয়ের মূল বিষয়বস্তু হলো- আপনি যদি সুস্থ থাকতে চান তাহলে আপনাকে মূলত হোল ফুড প্লান্ট বেইজড ডায়েট খেতে হবে। মানে উদ্ভিজ্জ খাবার বেশি খেতে হবে। আম, আপেল বা কমলার জুস নয়, পুরো ফলটাই আস্ত খেতে হবে। লাইফ স্টাইল এক্সপার্টরাও এই তথ্যের সাথে একমত হয়েছেন।
প্রাণিজ আমিষ পুরোপুরি বর্জন করবেন তা কিন্তু নয়! তবে গরু বা খাসীর বদলে মুরগী বা মাছ খান। আর সেটাও পরিমিত। সাতদিন শাকসবজির পর একদিন খেতে পারবেন মাংস- স্রেফ খাদ্যবিজ্ঞানীরাই নন, বলছে আপনার দাঁতের প্রকৃতি আর পরিপাকতন্ত্রের গঠনও!

বিয়ের পাত্রী বিক্রি হয় যে দেশে

চিলাহাটি ওয়েব ডটকম : Friday, December 1, 2023 | 12/01/2023 02:03:00 PM

চিলাহাটি ওয়েব, রকমারি ডেস্ক : বাজার বলতে বেশিরভাগই যা ধারনা করবেন তা হলো জামা-কাপড়, জুতো, গয়না, শাক-সবজি এরকম অনেক কিছুর বাজার। কিন্তু কখনও কি বাজার মানে বিয়ের কনের বাজার ভাববেন? হ্যাঁ, শুনে অবাক লাগলেও এরকম একটি বাজার রয়েছে যেখানে বিয়ের জন্য পাত্রী কিনতে পাওয়া যায়।
বংলাদেশে বউ বাজার নামে কয়েকটি এলাকা আছে, কিন্তু সেখানে বউ বিক্রি হয় না। তেমনই বুলগেরিয়াতেও রয়েছে একটি বউ বাজার, সেখানে সত্যি সত্যিই অর্থের বিনিময়ে বউ কেনা যায়। পাত্রের পরিবারের সদস্যরা এই বাজার থেকে পছন্দমতো একটি মেয়ে বেছে কিনে নেন এবং তাকে পুত্রবধূ হিসেবে বাড়িতে নিয়ে যান।
বুলগেরিয়ায় ‘বউ-বাজার’টি রয়েছে স্তার জাগোর নামের এক স্থানে। পুরুষরা এই বাজারে তাদের পরিবার নিয়ে যান এবং নিজের পছন্দমতো মেয়ে বেছে টাকা দিয়ে কিনে নেন। 
পছন্দের মেয়েকে কেনা হয়- 
যে মেয়েটিকে পছন্দ করা হয় তার সঙ্গে দর কষাকষি করা হয়। তারপর যখন মেয়েটির পরিবারের সদস্যরা প্রদত্ত মূল্যে খুশি হন, তখন সেই মূল্যে ছেলেটির পরিবারকে সেই মেয়ে দেওয়া হয়। তারপর ছেলেটি মেয়েটিকে বাড়িতে নিয়ে আসে এবং মেয়েটি তার স্ত্রীর মর্যাদা পায়।
এই বাজারটি স্থাপিত হয়েছে গরীবদের জন্য-
 এই কনের বাজারটি মূলত গরিব পরিবারের মেয়েদের জন্য। যেসব মেয়ের পরিবার অর্থের অভাবে মেয়ের বিয়ে দিতে পারছে না, তারা তাদের মেয়েকে নিয়ে যায় এই বাজারে যায়। এর পর ছেলেরা মেয়ে বেছে ঘরে নিয়ে যায়।  
এই প্রথা চলে আসছে বছরের পর বছর ধরে-
বুলগেরিয়ায় বহু যুগ ধরেই এই প্রথা চলে আসছে। এই বাজার স্থাপনের অনুমতি মিলেছে সরকারের পক্ষ থেকেও। বাজারে মেয়েদের দাম ভিন্ন ভিন্নভাবে নির্ধারণ করা হয়।
মেয়েটিকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার আগে রয়েছে অনেক নিয়ম- 
মেয়েকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার আগে বেশ কয়েকটি নিয়ম মেনে চলতে হয়। প্রথমত মেয়েটিকে কুমারী হতে হবে। তবেই তার দর বেশি হবে। শুধুমাত্র কালাইদঝি সম্প্রদায়ের লোকেরাই তাদের মেয়েদের এই বাজারে নিয়ে যেতে পারবেন। পাশাপাশি পরিবারটির দরিদ্র হওয়া আবশ্যক।
আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী বা ধনী পরিবারের মেয়েদের বিক্রি করার নিয়ম নেই। এ ছাড়াও বাজারে কেনা মেয়েটিকে পুত্রবধূর মর্যাদা দেওয়া আবশ্যক।
 
সূত্র : এই সময়

একমাত্র রংপুরেই রয়েছে ‘ভিন্ন এক জগত’

চিলাহাটি ওয়েব ডটকম : Thursday, November 30, 2023 | 11/30/2023 04:22:00 PM

চিলাহাটি ওয়েব ডেস্ক : প্রায় ১০০ একর জায়গা নিয়ে বেসরকারিভাবে গড়ে তোলা হয়েছে এই ভিন্ন জগত। রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার গঞ্জীপুর এলাকায় এর অবস্থান। রংপুর শহর থেকে বাসে করে পাগলাপীর এলাকায় নামলে সিএনজি/ ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় ১৫-২০ মিনিটের দূরত্বে ভিন্নজগত। তবে রাস্তা কিছুটা এবড়োখেবড়ো।
স্থানীয় লোকজন জানান, রাস্তা আগে ভালো ছিল। অনেক দিন সংস্কার না করায় খারাপ হয়ে গেছে।
ভিন্নজগতে প্রবেশ ফি ১০০ টাকা। ভেতরে ঢুকে প্রধান ফটক পার হলেই দেখা যায়, তিন দিকের বিশাল লেক ঘেরা নয়নাভিরাম দৃশ্য। এসব লেকের পাড়ে আঁচল বিছিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে বর্ষীয়ান সব বটবৃক্ষ। এসব বটের মায়ায় ধ্যানমগ্ন হতে পারেন যেকোনো মুনি-ঋষি। তবে সেদিন বটের ছায়ায় জিরিয়ে নিচ্ছিলেন অনেক দর্শনার্থী।
ভিন্ন জগতের আজব সব জগত গড়ে তোলা হয়েছে এদিকটায়। এদিকে প্রথমেই চোখে পড়বে দেশের প্লানেটোরিয়াম। সেখানে ঢুকলে দেখা যাবে সৌরজগতের সব গ্রহ, নক্ষত্র, ছায়াপথ, নীহারিকা। থ্রিডি মুভিতে দেখা যাবে মহাবিশ্ব সৃষ্টির সেই আদি বিস্ফোরণ - বিগ ব্যাং।
দর্শনার্থীরা বললেন, এখানে সবার জন্যই বিনোদন রয়েছে। বিশেষ করে শিশুদের জন্য রয়েছে শিক্ষামূলক বিনোদন। শিশুরা আসলে অনেক শিখতে পারবে। গাছগৃহ পেরিয়ে খালের পাড় ধরে হাঁটলে দেখা মিলবে আজব গুহার টিকিট কাউন্টার। সেখানে টিকিট কেটে ছোট্ট সেতু পার হতে হবে। এরপর দেখা মিলবে সেই গুহার।
গুহার মুখে বিরাট ‘হা’ করে আছে এক মনুষ্যমুখ। কিন্তু ভয় পেলে চলবে না। কৃত্রিম সেই মনুষ্যমুখই গুহার প্রবেশদ্বার। তবে ভিন্ন জগতে আপনাকে সবচেয়ে আকর্ষণ করবে এর সুপরিসর ফাঁকা জায়গা আর মায়াময় বটবৃক্ষের ছায়াই। এই পারেও বিরাট সব বটগাছ ছায়াদান করছে অকৃপণভাবে।
গাইবান্ধা থেকে আসা দর্শনার্থী ফারুক হোসেন আবারও বললেন, কেউ যদি প্রকৃতির মায়ায় সময় কাটাতে চান, তার ব্যবস্থা ভিন্ন জগতে আছে।
আবার কেউ যদি কৃত্রিম ভাস্কর্য, স্থান, স্থাপনার সঙ্গে পরিচিত হতে চান- তাও এখানে রয়েছে। সবচেয়ে ভালো লেগেছে এখানে যথেষ্ট গাছপালা আর ফাঁকা জায়গা রাখা হয়েছে। অনেক রাইড থাকলেও ঘিঞ্জি করা হয়নি কিছুই। যা চোখের জন্য আরামদায়ক। সেদিক থেকে এটি আসলেই ভিন্ন এক জগৎ।
রংপুর জেলা তথ্য বাতায়ন অনুসারে, ভিন্নজগতে একই সঙ্গে রয়েছে অন্তত ৫০০ পৃথক দলের পিকনিক করার ব্যবস্থা। শুধু ভেতরেই রয়েছে অন্তত ৮/৯শ গাড়ি পার্কিংয়ের সুবিধা। কটেজ রয়েছে ৭টি। রয়েছে থ্রি স্টার মডেলের ড্রিম প্যালেস। রয়েছে পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থাও।
ভিন্নজগতের মালিক মোস্তফা কামাল বলেন, ভিন্নজগত উত্তরাঞ্চলের মধ্যে সবচেয়ে বড় বিনোদনকেন্দ্র। এখানে যারা বেড়াতে আসেন তাদের নিরাপত্তার দায়দায়িত্ব এখানে যারা কর্মরত আছেন তাদের। রয়েছে থাকার ব্যবস্থাও।

ছারপোকা থেকে বাঁচার উপায় কী?

চিলাহাটি ওয়েব, রকমারি ডেস্ক : ছোট্ট একটা পোকা, বেশির ভাগ সময় দৃষ্টির আড়ালেই থাকে, সেই ছারপোকাই যে কতটা মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে তা সম্প্রতি টের পেয়েছে ফ্রান্সের মানুষ। রাজধানী প্যারিসে রীতিমতো ছারপোকা নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অন্যান্য শহরেও বেড়ে যায় ছারপোকার উপদ্রব।
বিশেষ করে কয়েক মাস পর যখন প্যারিসে বসতে যাচ্ছে অলিম্পিকের আসর, তার আগে এমন ছারপোকা সমস্যায় প্রশ্ন ওঠে গেমস আয়োজনে স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার দিক নিয়ে। মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে ইনসেক্টোফোবিয়া বা ছারপোকা আক্রমণের ভয়। ছারপোকার এই উপদ্রবের খবর উঠে আসে স্থানীয় গণমাধ্যম থেকে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও। 
যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপের অনেকে দেশেই এ নিয়ে দেখা দেয় শঙ্কা। বাংলাদেশেও বেশ পরিচিত এই ছারপোকা। বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে ছারপোকা নিয়ে নানা গল্পও বেশ প্রচলিত। এই ছারপোকা বিষয়ে তাই বহুল আলোচিত কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর খোঁজা যাক।
 
ছারপোকা দেখতে কেমন? 
ছারপোকা আকারে খুবই ছোট ও ডিম্বাকৃতির, পরিপূর্ণ অবস্থায় এটি লম্বায় সর্বোচ্চ পাঁচ মিলিমিটার (একটা চালের চেয়েও ছোট) হয়ে থাকে। এদের পাখা থাকে না এবং ছয়টি করে পা থাকে। ছারপোকা দেখতে সাধারণত কালচে লাল, হলুদ বা বাদামি রঙের হয়। এশিয়া, আফ্রিকা, ইউরোপ, উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা সবখানেই ছারপোকার দেখা মেলে।
একটা দীর্ঘসময় পর্যন্ত ছারপোকাকে শুধু উন্নয়নশীল দেশগুলোর সমস্যা হিসেবে দেখা হলেও সাম্প্রতিককালে এটি ব্যাপকভাবে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়তে দেখা যাচ্ছে।
বিশ্বজুড়ে ছারপোকার ৯০টির বেশি প্রজাতি রয়েছে। তবে ব্রিটিশ পেস্ট কন্ট্রোল অ্যাসসোসিয়েশন বলছে, এর মধ্যে যেটা সবচেয়ে পরিচিত বা বেশি দেখা যায় (সিমেক্স লেকটুলারিয়াস) সেটি মানুষের বসবাসের উপযোগী পরিবেশের সাথে মানিয়ে নিয়েছে।
 
ছারপোকা কোথায় থাকে? 
ছারপোকার ইংরেজি ‘বেডবাগ’ শুনে মনে হতে পারে শুধু বিছানাতেই বুঝি এদের অস্তিত্ব। কিন্তু বিছানা-তোশক ছাড়াও জামা-কাপড়, ফার্নিচার, খাটের ফ্রেম, দেয়ালে ঝুলানো ওয়ালপেপার সবখানেই তাদের দেখা মিলতে পারে। সম্প্রতি ফ্রান্সের সামাজিক মাধ্যমে প্যারিসের ট্রেনের ভিডিও ছড়িয়ে পড়তে দেখা যায়, যেখানে ছারপোকার অস্তিত্ব মিলছে।
যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ সংস্থা সিডিসি বলছে, ছারপোকা পাঁচ তারকা হোটেল ও রিসোর্টেও থাকতে পারে, আর তাদের অস্তিত্ব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার ওপর নির্ভর করে না। তারা নিজেদের আবাস হিসেবে বেছে নেয় মানুষ যেখানে ঘুমায়, তার আশেপাশের জায়গা।
দিনের আলোতে তারা ম্যাট্রেস, তোশক, টেবিল, ড্রয়ার, ওয়ালপেপার ও খাটের আশেপাশে থাকা যে কোনো বস্তু, যেখানেই একটু ফাঁকা পায় নিজেদের লুকিয়ে রাখে। এজন্য তাদের শুধু একটা ক্রেডিট কার্ড ঢুকানোর মতো জায়গা পেলেই হয়। রাতের বেলা একেকটা ছারপোকা ১০০ ফুট পর্যন্ত চলাচল করতে সক্ষম, তবে তারা সাধারণত মানুষ যেখানে ঘুমায় তার আট ফুটের মধ্যে থাকতেই পছন্দ করে।
 
ছারপোকা আছে কিনা বুঝব কীভাবে? 
এটা বোঝার সবচেয়ে সহজ উপায় কামড়ের দাগ খোঁজা। ছারপোকার কামড় সাধারণত এক সমান্তরালে বা একই জায়গায় একাধিক হয়ে থাকে। ফর্সা ত্বকের ক্ষেত্রে এই কামড়ের জায়গাটা লাল দেখাবে, কিন্তু কালো বা বাদামি ত্বকের ক্ষেত্রে দাগটা বেগুনি হতে পারে এবং অনেক সময় খালি চোখে ধরাও পড়ে না। বেশির ভাগ মানুষই ছারপোকার কামড় বুঝতে পারে না, হয়তো কয়েক দিন পর অনেকগুলো কামড়ের দাগ দেখে বুঝতে পারে।
আরেকটা দিকেও নজর রাখতে হবে, তা হল বিছানায় কোথাও রক্তের ফোঁটা লেগে আছে কিনা; অনেক সময় ছারপোকা চাপা পড়ে মারা গেলে তার রক্ত লেগে থাকে। এছাড়া বিছানা বা ফার্নিচারে অনেক সময় বাদামি দাগও থাকতে পারে, সেটা হল তাদের অবশিষ্ট খাদ্যকণার দাগ।
ব্রিটিশ পেস্ট কন্ট্রোল অ্যাসোসিয়েশনের নাটালি বুনগে বলেন, ভ্রমণ করার সময় ছারপোকার দিকে খেয়াল রাখাটা সবচেয়ে জরুরী কারণ এক্ষেত্রে ‘প্রতিরোধ হলো প্রতিকারের চেয়ে ভালো পন্থা।’
‘আপনি যদি মনে করেন যে এমন জায়গায় আছেন যেখানে অনেক ছারপোকা, খবরে দেখাচ্ছে, তাহলে সবচেয়ে ভালো উপায় হল আপনার সাথে থাকা সমস্ত কিছুতে নজর বুলানো।
ছারপোকা হয়তো আপনার স্যূটকেসেই থাকতে পারে। আমরা বেশিরভাগ সময় সাথে থাকা ব্যাগ বা লাগেজ মাটিতে কিংবা বিছানায় রাখি, ওখানে ছারপোকা যাওয়া সবচেয়ে সহজ।’
 
ছারপোকা থেকে মুক্তির উপায় 
এটা অনেক সময় কঠিন। তবে কিছু নিয়ম মেনে চললে ছারপোকার অত্যাচার থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে। যেমন, যেসব কাপড়ে ও জায়গায় ছারপোকা আছে মনে হবে, সেসব জামা-কাপড়, বিছানার চাদর গরম পানিতে ধোয়া এবং অন্তত তিরিশ মিনিট গরম বাতাসে শুকানো। এসব জামা-কাপড় বা বিছানার চাদর প্লাস্টিকে মুড়িয়ে তিন থেকে চারদিন ফ্রিজে রেখে দেয়া।
নিয়মিত ঘরবাড়ি পরিষ্কার রাখা, যদিও পরিচ্ছন্ন জায়গাতেও ছারপোকার অস্তিত্ব থাকে, কিন্তু নিয়মিত পরিষ্কার করলে ছারপোকার অস্তিত্ব সহজে মিলবে। ব্যবহৃত ফার্নিচার কিনলে সেটা ঘরে তোলার আগে ভালোভাবে পরীক্ষা করে দেখা। 
ব্রিটিশ পেস্ট কন্ট্রোল অ্যাসোসিয়েশনের নাটালি বুনগে বলছেন, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ঘরে ছারপোকা থাকলে সেটা নিয়ে লজ্জ্বিত না হয়ে প্রতিকার করা। 
‘তারা আমাদের রক্ত খেয়েই বেঁচে থাকে, তারা আমাদের পছন্দ করে,’ বলছেন নাটালি বুনগে। এক্ষেত্রে প্রয়োজনে পোকা-মাকড় নিরোধক কোম্পানিগুলোর সহায়তাও নেয়া যেতে পারে।
 
সূত্র : বিবিসি

ডিম-সবজির চিতই পিঠা

চিলাহাটি ওয়েব ডটকম : Sunday, November 26, 2023 | 11/26/2023 12:10:00 PM

চিলাহাটি ওয়েব, রকমারি ডেস্ক : সন্ধ্যার নাস্তায় কী বানানো যায় তা নিয়ে কখনো কখনো খুব চিন্তায় পড়তে হয়। তবে শীতের দিনে এ চিন্তাটার সমাধানও করা যায় সহজে। কারণ শীতের সন্ধ্যায় নাস্তা হিসেবে ভাজা পোড়া অথবা পিঠা কিন্তু বেশ জমে যায়।
আর পিঠা যদি হয় ডিম সবজির চিতই পিঠা তাহলেতো আর চিন্তা নেই। এই পিঠায় ডিম-সবজি থাকায় এ খাবারের ভিটামিন নিয়ে ভাবতে হবে না মায়েদের। বাড়ির সকলেই অনেক পছন্দ করবে এই ডিম-সবজির চিতই পিঠা ।
যা যা লাগবে-
আতপ চালের গুঁড়া ২৫০ গ্রাম, কর্নফ্লাওয়ার ১ টেবিল চামচ, ময়দা ১ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো, ডিম ৪টি, বরবটি কুঁচি করা ১ কাপ, গাজর কুঁচি করা ১ কাপ, কাঁচা মরিচ কুঁচি করা ২চা চামচ (যেমন ঝাল খান), পেঁয়াজ কুঁচি ১/২ কাপ, আদা বাটা ১ চা চামচ, রসুন বাটা ১/২ চা চামচ, ধনেপাতা কুঁচি ৩ টেবিল চামচ, পুদিনা পাতা কুঁচি ১ চা চামচ, পানি পরিমাণ মতো। 
যেভাবে তৈরি করতে হবে- 
একটি বাটিতে আতপ চালের গুঁড়া, কর্নফ্লাওয়ার আর ময়দা ভালো করে মিশিয়ে তাতে সামান্য পানি দিয়ে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। ভেজানো চালের গুঁড়া, কর্নফ্লাওয়ার আর ময়দার মিশ্রণে ৪টি ডিম ভেঙে মিশিয়ে নিন।
ডিমগুলো ভালো করে ফেটে নিন যেন গুটি গুটি না থাকে এবং ভেজানো চালের গুঁড়ার সাথে খুব ভালোভাবে মিশে যায়। তারপর এর মধ্যে একে একে বরবটি, গাজর কুঁচি, পেঁয়াজ কুঁচি, কাঁচামরিচ কুঁচি, আদাবাটা, রসুনবাটা, ধনেপাতা কুঁচি, পুদিনাপাতা কুঁচি, স্বাদমতো লবণ দিয়ে মাখিয়ে নিন।
চুলায় মাটির পাতিল অথবা লোহার তাওয়া (চিতই পিঠার খোদাই করা থাকে এই তাওয়াতে) গরম হতে দিন। গরম হয়ে এলে একটি কাপড়ে তেল লাগিয়ে তা দিয়ে পাতিলে বা তাওয়ায় তেল মাখিয়ে নিন।
এবার ১টি চামচের সাহায্যে মিশ্রণটি দিয়ে দিন এবং একটি ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিন। এসময় চুলার আঁচ মৃদু থেকে একটু বেশি থাকবে।
এভাবেই একটি একটি করে বানিয়ে নিন পিঠাগুলো। এই পিঠাগুলো এমনি খেতেও খুব ভালো লাগে। তবে টক জাতীয় কোন চাটনি, ভর্তা অথবা সস এর স্বাদকে আরো বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়। এই পিঠা বাসায় তৈরি করুন এবং উপভোগ করুন মজাদার ডিম সবজির চিতই পিঠা।

সংসারে খরচ কমানোর ৭ উপায়

চিলাহাটি ওয়েব ডটকম : Tuesday, November 21, 2023 | 11/21/2023 12:53:00 PM

চিলাহাটি ওয়েব, রকমারি ডেস্ক : সংসারের খরচের রাশ কোনোমতেই টেনে ধরা যাচ্ছে না? এক খাতে খরচের লাগাম টেনে ধরলে বেড়ে যাচ্ছে অন্য খাতে? আসলে আয়ের তুলনায় ব্যয়ের মিল নেই।
তাই মাস শেষে ভোগান্তিতে পড়ছেন অনেকে। এমতাবস্থায় একটু পরিকল্পনা করে চলার বিকল্প নেই। কীভাবে দৈনন্দিন খরচ কমাবেন সে বিষয় জানা থাকলে সংসারে কিছুটা হলেও ব্যয় কমানো সম্ভব।
জেনে নিন খরচ কমানোর ৭ উপায় :
 
হাঁটার অভ্যাস 
অফিসে যাওয়ার জন্য হেঁটেই বাসস্ট্যান্ডে যান। রিকশা ভাড়া বাঁচান। সকালের হাঁটা হয়ে যাবে। তবে কিছুটা সময় হাতে নিয়ে বের হতে হবে। আবার অফিস থেকে ফেরার পথে বাস থেকে নেমে রিকশায় না চড়ে হেঁটেই বাড়ি ফিরুন। প্রতিদিনের সামান্য টাকা মাস শেষে বড়ই হবে।
কমদামে কেনাকাটা 
অযথা অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনবেন না। কেনাকাটা করার সময় প্রয়োজনের কথা ভেবেই কিনুন। যেখানে একটু কমদামে কেনাকাটা করা যাবে সময় নিয়ে সেখান থেকে কেনাকাটা করুন।
বাজেটে কাটছাঁট 
মাসের শুরুতেই বাজেট বানান। সেই বাজেট থেকে ফের কাটছাঁট করুন। তার পরেও কেনার সময়ে দরদাম করে কিনলে দেখবেন কিছুটা পয়সা বাঁচবে।
সময় বাড়িয়ে বাজেট 
মাসের খরচের বাজেট করুন এই মাসের ৫ তারিখ থেকে পরবর্তী মাসের ৫ তারিখ পর্যন্ত। এভাবে সময় বাড়িয়ে বাজেট করলে ঝামেলা ও খরচ দুটোই কম হবে।
মূল্য ছাড়ের খোঁজ 
যে জিনিস পরেও কাজে লাগবে, তা একসঙ্গে বেশি করে কিনুন। মূল্য ছাড়ের সময় একসঙ্গে বেশি করে কেনাকাটা করে রেখে দিতে পারেন। কোথায় কী কিনলে ছাড় মিলছে খোঁজ রাখুন। কুপন পেলে রেখে দিন। পরবর্তী সময়ে তা দিয়েই কেনাকাটা করুন।
রেস্তোরাঁকে না 
দামি দামি রেস্তোরাঁয় খাওয়ার অভ্যাস বাদ দিন। বিশেষ অফার চলছে কিংবা ছাড় পাওয়া যাবে এমন রেস্তোরাঁর খোঁজখবর রাখুন। পরিবার নিয়ে খেতে হলে সে সব জায়গায় যান।
ক্রেডিট কার্ডকে না 
অতি প্রয়োজন না হলে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করা বাদ দিন। সুদের হার অনেক বেশি। মাসের শুরুতে বাজেট করে সেই টাকার মধ্যে কেনাকাটার চেষ্টা করুন।

৭টি বিষয় কারও সঙ্গে শেয়ার করবেন না

চিলাহাটি ওয়েব ডটকম : Sunday, November 19, 2023 | 11/19/2023 01:30:00 PM

চিলাহাটি ওয়েব, রকমারি ডেস্ক : সাতটি বিষয় কখনো কারও সঙ্গে শেয়ার করা ঠিক হবে না। কেননা সে ক্ষেত্রে আপনাকে ভুগতে হতে পারে।
এ ছাড়া ষড়যন্ত্র, ‘নেগেটিভ এনার্জি’র সম্মুখীন হয়ে পিছিয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে এতে। আত্মোন্নয়নমূলক ওয়েবসাইট মেক মি বেটার অনুসারে এ তথ্য জানা গেছে।
স্বপ্ন ও আকাঙ্ক্ষা 
কথায় বলে, মানুষ তাঁর স্বপ্নের সমান বড়। স্বপ্ন না দেখলে মানুষ বড় হবে কীভাবে? কিন্তু আপনি যদি সেই স্বপ্নের কথা আশপাশের মানুষদের বলে বেড়ান, তাহলে আপনার নিজেরই ক্ষতি। নিজের কথা যাঁদের বলবেন, তাঁদের হয়তো নিজেদের ওপরই অতটা বিশ্বাস নেই। সে হীনম্মন্যতা দিয়ে তাঁরা আপনাকে বিচার করতে পারে। আপনার আত্মবিশ্বাস কমিয়ে দিতে পারে। তা ছাড়া সব স্বপ্ন তো আর পূরণ হবে না, এটিই স্বাভাবিক। কিন্তু সেটা যদি আপনি অন্যদের বলে বেড়ান, তাহলে তারা আপনাকে সেভাবেই দেখবে যে লোকটার কেবল মুখে বড় বড় কথা। আর কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হোন।
টাকা-পয়সার বিবরণ 
আপনার কী আছে না আছে, তা অন্যদের না জানানোই ভালো। কেবল পরিবারের বিশ্বস্ত মানুষেরা জানবে। প্রথমত, অর্থসম্পদের নিরাপত্তার খাতিরে জানাবেন না।
দ্বিতীয়ত, মানুষের ঈর্ষা থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখার জন্যও জানাবেন না।
ব্যক্তিগত সমস্যা
মানুষের ব্যক্তিগত সমস্যা থাকবেই। হতে পারে সেটা কোনো শারীরিক বা মানসিক সমস্যা অথবা কোনো ব্যক্তির সঙ্গে কিছু নিয়ে ঝামেলা। অকারণে নিজের সেই সমস্যার কথা শেয়ার করবেন না। যেখানে সমাধান পাবেন, সেখানে শেয়ার করবেন। মানুষের দুর্বল জায়গায় আঘাত করতে সময় লাগে না।
ব্যক্তিগত বিশ্বাস
আপনার যদি এমন কোনো কিছু থেকে থাকে, সেটা একান্তই আপনার ব্যক্তিগত। অকারণে অন্যের সঙ্গে শেয়ার করলে বিড়ম্বনায় পড়তে পারেন। যার সঙ্গে শেয়ার করবেন, তিনি হয়তো এমন বিশ্বাসকে হেসেই উড়িয়ে দিতে পারেন। তার সঙ্গে আপনার সম্পর্কের ঘাটতি হতে পারে। তাই নিজের বিশ্বাস নিজের কাছেই রাখুন। আর বিশ্বাস তো বিশ্বাসই।
সম্পর্কের কথা
পৃথিবীতে নিখুঁত সম্পর্ক বলে কিছু নেই। প্রেমিক-প্রেমিকা বা স্বামী-স্ত্রীর মনোমালিন্য খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। আপনি অযথা মানুষের সঙ্গে শেয়ার করলে তা কানকথার সৃষ্টি করবে, নেতিবাচকতা ছড়াবে আর আপনাদের ঝামেলা আরও বাড়বে। বরং আপনজন বা বিশ্বস্ত বন্ধুবান্ধবের সাহায্য নিন। প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞের সাহায্য নিন।
গোপন অতীত বা গোপন কথা 
সব কথা কখনো কাউকেই বলবেন না। যাঁর যে কথা জানা জরুরি, তাঁকে সে ব্যাপারে জানান। সব শেয়ার করার মাধ্যমে সম্পর্কে জটিলতা সৃষ্টি হয়।
স্বাস্থ্যের অবস্থা 
সবাইকে আপনার শারীরিক কোনো অসুস্থতা বা অবস্থার কথা জানানোর দরকার নেই। কেননা উপদেশ দেওয়ার মানুষের তো অভাব নেই। আর বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তিনি সে বিষয়ে বিশেষজ্ঞ নন। তাই এতে করে আপনি দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে যেতে পারেন। আপনার উদ্বেগ আরও বাড়তে পারে।

আজ বিশ্ব ‘সিঙ্গেল ডে’

চিলাহাটি ওয়েব ডটকম : Saturday, November 11, 2023 | 11/11/2023 12:00:00 AM

চিলাহাটি ওয়েব, রকমারি ডেস্ক : আজ বিশ্ব ‘সিঙ্গেল ডে’। প্রতিবছর ১১/১১ অর্থাৎ এগারো নভেম্বর তারিখটি শুধুই সিঙ্গেলদের জন্য। প্রেমিকযুগলদের জন্য ভালোবাসা দিবসসহ নানা দিবস রয়েছে। যারা এখনো সিঙ্গেল তারা সেসব দিবস পালন করেন মন খারাপের দিন হিসেবেই।
চীনের নানজিং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দিবসটি (সিঙ্গেল ডে) উদযাপন শুরু হয় ১৯৯০ সালে। সে সময়ে নানজিং বিশ্ববিদ্যালয়ের মিংকাওউঝু ছাত্রাবাসের চারজন ছাত্র আলোচনা করেন, কীভাবে তারা একা থাকার একঘেয়েমি দূর করতে পারেন।
তখনই সিদ্ধান্ত নেন ১১ নভেম্বর তাদের মতো আরও যারা সিঙ্গেল আছেন তাদের জন্য একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করবেন। যেমন ভাবা তেমন কাজ। তারা আয়োজন করে ফেলেন অনুষ্ঠানের। বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক সিঙ্গেল তরুণ-তরুণী সে অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিল।
সেই থেকে চীনে এগারো-এগারো তারিখটি সিঙ্গেল ডে হিসেবে পালন হয়ে আসছে।

যে মসজিদ থেকে শোনা যেতো জিনের জিকির

চিলাহাটি ওয়েব ডটকম : Wednesday, October 25, 2023 | 10/25/2023 06:30:00 PM

চিলাহাটি ওয়েব, রকমারি ডেস্ক : প্রায় দুই শতাব্দী আগের কথা। তখন লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলা ছিল জনশূন্য বিশাল চরাঞ্চল। দু'চোখ জুড়ে অবারিত মেঘনা আর ডাকাতিয়া। একসময় এখানে আগমন ঘটে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মহান কিছু ধর্মযাজকের। সেই সময় রায়পুরের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম নেন মাওলানা আবদুল্লাহ।
ইংরেজি ১৮২৮ সালের কথা। ধার্মিক পরিবারে জন্ম নেওয়া আব্দুল্লাহ নিজ এলাকায় প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করে উচ্চতর শিক্ষা লাভের উদ্দেশ্যে পাড়ি জমান ভারতে। সেখানে দারুল উলুম দেওবন্দ মাদ্রাসায় ভর্তি হন।
দেওবন্দে দীর্ঘ ১৭ বছর অভিজ্ঞ ও প্রসিদ্ধ আলেমদের সান্নিধ্যে থেকে লাভ করেন দ্বীনি শিক্ষা। এরপর বাংলাদেশে ফেরার পথে কিছু সময় দিল্লিতে অবস্থান করেন। ওই সময় দিল্লির শাহী জামে মসজিদের নির্মাণশৈলী তাকে মুগ্ধ করে। বাংলাদেশে ফিরে ওই রকম একটি মসজিদ নির্মাণের স্বপ্ন দেখতে থাকেন। আর তা বাস্তবায়নের প্রবল ইচ্ছাশক্তি থেকেই নিজ এলাকায় মসজিদ নির্মাণ শুরু করেন তিনি। পরে শাহী জামে মসজিদের আদলে ১১০ ফুট লম্বা ও ৭০ ফুট প্রস্থের তিন গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদটি প্রতিষ্ঠা করেন তিনি।
এলাকাবাসীর মতে এর নির্মাণকাল ১৮৮৮ সাল। আর মসজিদটির অন্যতম আকর্ষণ হচ্ছে এর ২০ ফুট নিচে থাকা ৩ কামরার একটি গোপন ইবাদতখানা। এখানেই নাকি ধ্যানে মগ্ন থাকতেন মাওলানা আবদুল্লাহ। ১৩ ধাপ সিঁড়ি ডিঙ্গিয়ে প্রবেশ করতে হয় এ মসজিদে। মসজিদের সামনের জরাজীর্ণ মিনারটি ২৫ ফুট উঁচু।
জনশ্রুতি আছে, মাওলানা আবদুল্লাহর কিছু শিষ্য জিন ছিল। রাতের আঁধারে মসজিদের নির্মাণকাজ ওরাই সম্পন্ন করেছে। সেই থেকেই মসজিদটি জিনের মসজিদ নামে পরিচিত। এলাকাবাসী এখনও বলেন, মসজিদের পাশের পুকুরগুলোতে জিনেরা গোসল করতো। তারা এই মসজিদে নিয়মিত নামাজ আদায়সহ জিকিরও করতো।
এমনকি গভীর রাতে জিকিরের আওয়াজ অনেক দূর থেকেও শোনা যেতো। লক্ষ্মীপুরের ঐতিহাসিক এই জিনের মসজিদটি এলাকায় ‘মৌলভী আবদুল্লাহ সাহেবের মসজিদ’ নামেও পরিচিতি রয়েছে। তবে মসজিদের সামনে সিঁড়ির কাছে লাগানো শিলালিপি থেকে জানা যায়, মসজিদটির আদি নাম ‘মসজিদ-ই-জামে আবদুল্লাহ’।
মসজিদটি লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর পৌর শহর থেকে ৮/৯ শ’ গজ পূর্বে পীর ফয়েজ উল্লাহ সড়কের দক্ষিণ দিকে অবস্থিত। নান্দনিক রূপ ও অবকাঠামোর দিক থেকে এটি জেলার অন্যতম একটি পর্যটন আকর্ষণও। তবে এখন আর জিনের দেখা পায় না কেউ। কিংবা গভীর রাতে শোনা যায় না জিকিরের আওয়াজও।

যেভাবে তাপদাহ সহ্য করে প্রাণীকূল

চিলাহাটি ওয়েব ডটকম : Tuesday, October 24, 2023 | 10/24/2023 06:00:00 PM

চিলাহাটি ওয়েব, রকমারি ডেস্ক : অতিরিক্ত গরমে হাঁপিয়ে ওঠে মানুষসহ প্রাণীকূল। তবে তাপ সহ্য করার জন্য বিভিন্ন প্রাণীর রয়েছে নানা শারীরিক কায়দা। এর মাধ্যমে তাপমাত্রার ক্ষতি থেকে তারা শরীরকে রক্ষা করে।
মানুষ : গরমে মানুষের শরীর থেকে ঘাম ঝরে৷ মস্তিষ্ক তখন বলে, ‘একটু শীতল হতে হবে’৷ একক্রাইন ঘাম গ্রন্থিগুলো তখন কাজ শুরু করে এবং শিগগিরই মুখ, বগলসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে ফোঁটা ফোঁটা ঘাম জমতে থাকে। ত্বকের সেই ঘাম বাষ্পীভূত করতে শরীর তখন অতিরিক্ত তাপকে কাজে লাগায়৷ এভাবে শরীর ঠান্ডা হতে থাকে। তবে বেশি গরমে মানুষ স্নান করে, আইসক্রিম খেয়ে বা ফ্যান, ছাতা, এসি ইত্যাদি ব্যবহার করেও শরীর ঠান্ডা করার চেষ্টা করে৷
শূকর : শূকরও গরমে গোসল করে৷ তবে তাদের শরীরে ঘাম হয় না বলে সাধারণত কাদায় গড়াগড়ি করে৷ কাদা বেশিক্ষণ গায়ে থাকে, শুকাতে সময় লাগে, ওই সময় পর্যন্ত ঠান্ডা থাকে শূকরের শরীর৷ 
ফেনেক শিয়াল : যে কোনো শিয়াল বা কাছাকাছি গড়নের যে কোনো কুকুরের চেয়ে অনেক বড় কান থাকে ফেনেক শিয়ালের৷ সেই কান ব্যবহার করে তারা শরীর ঠান্ডা রাখে৷ ফেনেক শিয়ালের দেখা মেলে মরুভূমি অঞ্চলে৷ সেখানে প্রায়ই তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১২২ ডিগ্রি ফারেনহাইট)-এর চেয়েও ওপরে ওঠে৷ তখন ওই বড় কান দুটো রীতিমতো পাখার কাজ করে৷
হাতি : সব প্রাণীর গায়ে যে রোম বা পশম থাকে তা তাদের শরীরকে গরম রাখে৷ কিন্তু হাতির ক্ষেত্রে ব্যাপারটা ঠিক উল্টো৷ তাদের শরীরে খুব ছোট ছোট যে চুল বা রোম থাকে, সেগুলো শরীরকে শীতল রাখতে সহায়তা করে৷ প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা গবেষণা করে বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েছেন৷
উট : উট পিঠের কুঁজোয় চর্বি জমিয়ে রাখে এবং যখন খাদ্য ও পানির অভাব দেখা দেয়, তখন সেই চর্বি গলিয়েই শরীরের চাহিদা মেটায়৷ ওই চর্বি গরমের সময় শরীরের বাড়তি উত্তাপ বের করে দিতেও সহায়তা করে৷ পানি না পেলেও উট কয়েক মাস বেঁচে থাকতে পারে৷ পানি পেলে অবশ্য ১০০ লিটারেরও বেশি পানি পান করে তেষ্টা মিটিয়ে নেয়৷ 
কুকুর : কুকুরের ত্বকেও ঘাম ঝরানোর গ্রন্থি নেই৷ তীব্র গরমে তারা থাবা এবং নাকের মাধ্যমে শরীরের তাপ বের করে। তাছাড়া তীব্র গরমে কুকুরদের যে হাঁপাতে দেখা যায়, জিহ্বা বেরিয়ে থাকে, তখন কিন্তু শরীরের অতিরিক্ত তাপ নির্গত হয়৷ জিহ্বা গরম হয়ে গেলে কুকুর মিনিটে ৪০০ বার পর্যন্ত শ্বাস নেয়৷ এর ফলে জিহ্বার আর্দ্রতা বাষ্পীভূত হয় এবং তার ফলে শরীর শীতল হয়৷
চাই মানুষের সহায়তা : অনেক পোষা প্রাণী গরমের সময় শরীরের তাপমাত্রা ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না৷ এ কারণে খুব গরমে অনেব প্রাণী হিটস্ট্রোকে মারা যায়। গ্রীষ্মের দাবদাহের সময় গাড়িতে দরজা-জানলা বন্ধ করে রেখে যাওয়ার কারণে অনেক কুকুর মারাও যায়৷ তাই কখনো গাড়িতে আপনার পোষা কুকুর রেখে যাবেন না৷ গিনিপিগ বা খরগোশও গরমে দ্রুত কাহিল হয়ে পড়ে৷ তখন তাদের পর্যাপ্ত ছায়া এবং পানি দিতে হয়।

বাবা হলেই এক বছরের ছুটি

চিলাহাটি ওয়েব ডটকম : Monday, October 23, 2023 | 10/23/2023 05:50:00 PM

চিলাহাটি ওয়েব, রকমারি ডেস্ক : সন্তানের জন্ম শুধু মায়ের জন্যই আনন্দের নয়, বাবার জন্যও তা সমান আনন্দের। তেমনি দুজনের একই রকম মানসিক চাপ যায় এই পুরো সময়টা। সন্তানের জন্ম এবং জন্ম পরবর্তী সময় লালন পালনের জন্য নারীদের জন্য আছে মাতৃত্বকালীন ছুটি। তবে সেই সংখ্যা খুবই কম। মায়েদের জন্য ৬ মাস থাকলেও বাবাদের জন্য আমাদের দেশে সর্বোচ্চ ১৫দিন। তাও সব জায়গায় না।
মায়েদের অফিসে মাতৃত্বকালীন ছুটি থাকলেও অনেক সময়েই বাবারা এ জন্য বিশেষ কোনো ছুটি পান না। সন্তান জন্মের পর অধিকাংশ পিতাই অতিরিক্ত ছুটি থেকে বঞ্চিত হন। বোস্টন কলেজ সেন্টারের এক গবেষণা থেকে জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রে চার সপ্তাহ বা তার বেশি পিতৃত্বকালীন ছুটি নেন মাত্র ১৩ শতাংশ বাবা। অন্যদিকে, গড়পড়তায় অন্য বাবারা কাজে ফিরে আসেন সন্তান জন্মানোর দুই সপ্তাহের মাথায়। তবে এর ভিন্নতাও আছে।
জাপানে পিতৃকালীন ছুটি থাকে ১ বছর পর্যন্ত। এসময় নতুন বাবা ছুটি নিয়ে উপভোগ করতে পারেন তার ছোট্ট সোনামণির বেড়ে ওঠা। চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন দেশে বাবারা কতদিন ছুটি পান-
লিথুয়ানিয়া : ইউরোপীয় দেশ লিথুয়ানিয়ায় মাসিক বেতনের ৭৭.৫৮ শতাংশ সহ ৩০ দিনের ছুটি দেওয়া হয় নতুন বাবাকে। তবে শিশুর বয়স ৩৬ মাস পর্যন্ত বিভিন্ন সময় ধাপে ধাপে তিনি আরও ছুটি পাবেন। সেক্ষেত্রে বেতন পাবেন প্রথম বছর পুরোটা এবং বাকি সময় ৭০ শতাংশ।
জাপান : জাপানের অনেক কোম্পানি অভিভাবকীয় ছুটি ধাপে ধাপে দেয়। তবে সেদেশে নিয়ম হচ্ছে এক বছর পর্যন্ত একজন বাবা পিতৃকালীন ছুটি পাবেন। এক্ষেত্রে প্রথম ১৮০ দিন পুরো বেতনই পাবেন। বাকি সময়গুলোতে পাবেন ৫০ শতাংশ। এজন্য জাপানে বেশিরভাগ দম্পতি সন্তান জন্মের পর ভাগ করে ছুটি নেন। এক বছর মায়ের ছুটি হলে পরের বছর ছুটি নেন বাবা। এতে সন্তান লালন পালন হয় আরও সুন্দর। 
সুইডেন : সুইডেনে পিতামাতাকে আংশিক বেতনসহ ৪৮০ দিন ছুটি দেওয়া হয়। এসময় মূল বেতনের ৮০ শতাংশ পাবেন একজন বাবা। এস্তোনিয়া এস্তোনিয়া আরেকটি পরিবার-বান্ধব ইউরোপীয় দেশ। তারা বাবাদের সম্পূর্ণ বেতনসহ দুই সপ্তাহ ছুটি দেন। তবে বাবা-মা ভাগ করে আরও অতিরিক্ত ৪৩৫ দিন ছুটি নিতে পারবেন। আইসল্যান্ড আইসল্যান্ডে নতুন ২০২১ আইন অনুযায়ী সম্মিলিত মাতৃত্ব এবং পিতৃত্বকালীন ছুটির মেয়াদ মোট ১২মাস পর্যন্ত। যা বাবা-মা চাইলে ভাগ করে নিতে পারবেন। প্রথম ছয়মাস মা এই ছুটি নিলে বাবা নিতে পারবেন পরের ছয়মাস।
এসময় তারা বেতন পান মূল বেতনের ৮০ শতাংশ। স্লোভেনিয়া ইউরোপীয় দেশ স্লোভেনিয়ার পিতারা বিভিন্ন বেতনে ১২ সপ্তাহের পিতৃত্বকালীন ছুটি পান। প্রথম দুই সপ্তাহ কর্মচারীর মজুরির পুরোটা প্রদান করা হয় এবং বাকি ১০ সপ্তাহ পাবেন কিছুটা কম।
কানাডা : কানাডায় পিতৃত্বকালীন ছুটি থাকে পাঁচ সপ্তাহ। এসময় কর্মচারীকে গড় বার্ষিক বেতনের ৫৫ শতাংশ অর্থ একসঙ্গে দেওয়া হয়। ফ্রান্স ফ্রান্স সম্প্রতি তাদের পিতৃত্বকালীন ছুটির ভাতা দুই সপ্তাহ থেকে দ্বিগুণ করে চার সপ্তাহ করেছে। পর্তুগাল এখানে বাবারা পান ২০ দিনের পিতৃত্বকালীন ছুটি। সেই সঙ্গে অতিরিক্ত আরও পাঁচদিন ঐচ্ছিক ছুটি নিতে পারবেন। এসময় পুরো বেতনই পাবেন কর্মচারী।

দূষণ-যানজট কমাবে হোন্ডার ই-স্কুটার

চিলাহাটি ওয়েব ডটকম : Saturday, October 21, 2023 | 10/21/2023 02:30:00 PM

চিলাহাটি ওয়েব, রকমারি ডেস্ক : অল্প দূরত্বে যাওয়া-আসার জন্য বড় অল্প দূরত্বে যাওয়া-আসার জন্য বড় গাড়ির চমৎকার বিকল্প হতে পারে হালকা ইলেক্ট্রিক বাইক ও স্কুটার। এটি চলাচলে ও পার্ক করতে জায়গা কম লাগায় শহুরে যানজট কমাতে যেমন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে, তেমনি অবিশ্বাস্যভাবে কমাতে পারে পরিবেশ দূষণও। এটি চলাচলে ও পার্ক করতে জায়গা কম লাগায় শহুরে যানজট কমাতে যেমন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে, তেমনি অবিশ্বাস্যভাবে কমাতে পারে পরিবেশ দূষণও।
অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির সাম্প্রতিক এক গবেষণায় বলা হয়েছে, দিনে মাত্র একটি ট্রিপের জন্য গাড়ির পরিবর্তে ই-স্কুটারের মতো ক্ষুদ্রযান ব্যবহার করলে একজন শহুরে বাসিন্দার মাধ্যমে বছরে গড় কার্বন নিঃসরণ আধা টন পর্যন্ত কমানো সম্ভব। এসব উপকারের খবর সারাবিশ্বে ই-স্কুটার ও এর নির্মাতাদের প্রতি অনেক বেশি আগ্রহ তৈরি করেছে। তবে একই সময়ে এ ধরনের ক্ষুদ্রযানের বেশ কিছু সমস্যা এবং সমালোচনাও উঠে এসেছে।
যেমন- ২০১৮ সালের এক সমীক্ষায় বলা হয়, লুইসভিল-কেন্টাকির মতো জায়গাগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক স্টার্টআপ বার্ডের স্কুটারের গড় আয়ুষ্কাল এক মাসেরও কম। যদিও এ তথ্য সঠিক নয় বলে দাবি করেছে বার্ড কর্তৃপক্ষ। এছাড়া স্কুটার-সম্পর্কিত দুর্ঘটনা তো রয়েছেই। অস্থিতিশীল নকশা, রাস্তার অপ্রত্যাশিত অবস্থা এবং চালকের অনভিজ্ঞতার কারণে হালকা এসব যানবাহন চালানো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে। এক জরিপে দেখা গেছে, ই-স্কুটার থেকে আঘাত পাওয়ার হার অন্য সব যানবাহনের তুলনায় ১৭৫ থেকে ২০০ গুণ বেশি। ঠিক এই জায়গাতেই এগিয়ে যেতে পারে হোন্ডার ই-স্কুটার স্ট্রিমো। কারণ, এর প্রধান নজর সুরক্ষাতেই। তিন চাকার ক্ষুদ্রযানটি একবার চার্জ দিলে প্রায় ৩০ কিলোমিটার যেতে পারে। রয়েছে সেলফ-ব্যালেন্সিংয়ের সুবিধাও। এটি তৈরি করেছেন হোন্ডার এক অভিজ্ঞ প্রকৌশলী। স্ট্রিমোর সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী ইয়োতারো মোরি জানান, বিদেশে একই ধরনের পণ্য পরীক্ষা করে নেতিবাচক অভিজ্ঞতা থেকে তিনি স্কুটারটি তৈরিতে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন।
স্ট্রিমো প্রতিষ্ঠার আগে হোন্ডার মোটরসাইকেল গবেষণা ও উন্নয়নে এক দশকেরও বেশি সময় কাটিয়েছেন মোরি। স্ট্রিমোর টেস্ট ইভেন্টে তিনি বলেন, আমি ভেবেছিলাম, আমার টুলস ও ব্যাকগ্রাউন্ডের সাহায্যে আরও ভালো কিছু তৈরি করতে পারবো। মোরি জানান, তিনি এই থ্রি-হুইলারটির নকশা করতে বছরের পর বছর সময় ব্যয় করেছেন। এখন প্রায় ৩০০টি স্কুটারের জন্য অর্ডার পেয়েছে স্ট্রিমো, যা প্রাথমিকভাবে জাপানের বাজারে ছাড়া হবে।
২০২৩ সালে ইউরোপে এবং তারপরে এটি বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। এই মুহূর্তে ইলেক্ট্রিক স্কুটারের ভবিষ্যৎ বেশ উজ্জ্বল দেখা যাচ্ছে। পরামর্শক ফার্ম ম্যাকিনসলের ধারণা, ২০৩০ সালের মধ্যে ইলেক্ট্রিক ক্ষুদ্রযানের বাজার ৫০ হাজার কোটি মার্কিন ডলার স্পর্শ করবে। তাছাড়া, দ্রুত কার্বন নিঃসরণ কমাতে এটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে মনে করছে ব্লুমবার্গএনইএফ।

স্বাস্থ্যের জন্য পুষ্টিকর করলা

চিলাহাটি ওয়েব ডটকম : Wednesday, October 18, 2023 | 10/18/2023 12:30:00 PM

চিলাহাটি ওয়েব, রকমারি ডেস্ক : তিতকুটে স্বাদের জন্য পুষ্টিকর করলা খেতে ভালোবাসেন না অনেকেই। বিশেষ করে শিশুদের করলা খাওয়াতে রীতিমত বেগ পোহাতে হয়। মজাদার করলা ভাজি করে পরিবেশন করতে পারেন গরম ভাতের সঙ্গে। যারা করলা খেতে ভালোবাসে না, তারাও খাবে। জেনে নিন রেসিপি।
চুলায় প্যান বসিয়ে দিন। তেল গরম করে ১ কাপ পেঁয়াজ কুচি দিন। এই রান্নায় পেঁয়াজের পরিমাণটা একটু বেশি হবে। পেঁয়াজ নরম হয়ে আসলে মাঝ থেকে ফেরে নেওয়া কাঁচামরিচ ও পাতলা করে কাটা ২০০ গ্রাম করলা দিন। স্বাদ মতো লবণ দিয়ে নাড়তে থাকুন। আর কোনও মসলা দেওয়ার প্রয়োজন নেই। ভাজা ভাজা হয়ে গেলে নামিয়ে পরিবেশন করুন।

নারীর বক্ষবন্ধনীর হুক পেছনে থাকে যে কারণে

চিলাহাটি ওয়েব ডটকম : Sunday, October 8, 2023 | 10/08/2023 11:52:00 PM

চিলাহাটি ওয়েব, রকমারি ডেস্ক : বক্ষবন্ধনী বা ব্রা নারীদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। বিশেষ এই অন্তর্বাস আরামদায়ক (সঠিক সাইজ ও কোয়ালিটির) না হলে পিঠব্যথা, স্তনের চর্বি সমস্যা, কোমলতা, ঘামের সমস্যা, ত্বকের সমস্যা সহ নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। ফলে ব্রায়ের কাপড় থেকে শুরু করে ডিজাইন- সবকিছুতে গুরুত্ব দেওয়া হয়, যেন এটি আরামদায়ক হয়। ব্রা নারীদের বহুল ব্যবহৃত অন্তর্বাস হলেও অনেকেই জানেন না যে, কেন ব্রায়ের তিনটি হুক থাকে, কেন ব্রায়ের সামনে ‘বো’ ডিজাইন থাকে বা কেন বেশিরভাগ ব্রায়ের হুক পেছনে থাকে।
যদিও বর্তমানে বাজারে সামনে হুক লাগানো ব্রা পাওয়া যায়, কিন্তু মূল ডিজাইনের কথা যদি বলা হয়, তাহলে বেশিরভাগ ব্রা পেছনে হুক ডিজাইনের। অনেকের মনে হয়তো প্রশ্ন যে, এমন ডিজাইনের কারণ কী? এর পেছনে একটি বা দুটি নয়, পাঁচটি কারণ রয়েছে।
* সঠিক সাপোর্ট দেওয়ার জন্য: প্রথম এবং প্রধান কারণ হল, এই ধরনের ব্রা স্তনকে খুব ভালো সাপোর্ট দেয়। এমন ডিজাইনের কারণে স্তন কিছুটা উঁচুঁ হয়ে সোজা থাকে। পিঠের দিকে সাপোর্ট থাকায় এ বিষয়টি খুব সুবিধাজনক হয়। এ কারণেই হুক পেছনের দিকে রাখা হয়। সব ধরনের ব্রায়ের হুক যদি সামনে থাকে, তাহলে যাদের স্তন ভারী তাদের সমস্যা হবে এবং অস্বস্তিবোধ করবেন। এর পাশাপাশি যাদের স্তনের মাঝে ফাঁক বেশি থাকে তারাও সামনের হুক নিয়ে বিরক্ত হতে পারেন।
* বড় ব্যান্ডের জন্য: ব্রায়ের হুকগুলো পেছনের দিকে রাখা হয় যাতে বড় ব্যান্ডটি ব্রাতে রাখা যায়। যদি সামনের দিকে হয়, তাহলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায়, থ্রি লেয়ারের ব্যান্ডটি পাতলা ও একটি হুক থাকে। সামনের দিকে সাপোর্টের জন্য আরও হুক বসানো থাকলে এটি পরা অস্বস্তিকর হয়ে উঠবে।
* ভালো ব্যাক সাপোর্টের জন্য: ব্রেস্ট সাপোর্টের পাশাপাশি ব্যাক সাপোর্টও খুব গুরুত্বপূর্ণ। এমন ধরনের ব্রা পরা উচিত যেটি বুক এবং পিঠ উভয় পাশে ভালো সাপোর্ট দেবে। হুক পেছনের দিকে থাকলে এ সুবিধা পাওয়া যায়। দেহভঙ্গিমার উন্নতির জন্যও এ ধরনের ব্রা সেরা। কাঁধকে ঝুলে যাওয়া থেকেও অনেকাংশে ব্রা রক্ষা করতে পারে।
* ফিটিং সুবিধার জন্য: ব্রায়ের হুক পেছনের দিকে থাকলে, ভারী স্তনের নারীদের জন্য এ ধরনের ব্রা ফিটিং করা সুবিধাজনক হয়। সামনে একটি হুক ডিজাইনের ব্রা ফিটিংয়ের জন্য ভালোভাবে অ্যাডজাস্ট করা যায় না। অপরদিকে, পেছনের দিকে হুক সুবিধার ব্রা-তে থ্রি লেয়ারসহ একাধিক হুক থাকে, যা ফিটিংয়ের জন্য ভালো। প্রয়োজন অনুযায়ী টাইট বা আলগা করা যায়।
* টেকসই সুবিধা: সবশেষে, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এ ধরনের ডিজাইনের ব্রা অনেক বার ধোয়ার পরও টেকসই হয়। অপরটিকে সামনে হুক থাকা ব্রা দ্রুত ঢিলা হয়ে যায়, যার ফলে ধোয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হয়। কেননা ঢিলে হয়ে গেলে সেটি পরার উপযোগী থাকে না। এ কারণেই ব্রায়ের হুক পেছনে রাখা হয় এবং এর সুবিধাও বেশি।
কিন্তু তার মানে এটা নয় যে, সামনে হুক ডিজাইনের ব্রা মোটেও ভালো নয়। এই ডিজাইনেরও বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে। যেমন: পিঠে দাগ পড়ে না। এ ছাড়া নেক নেকলাইন বা ভি নেক পোশাকের সঙ্গে এ ধরনের ব্রা বেশি ভালো মানায়। তবে সারাদিনের ব্যবহারের কথা যদি আসে, তাহলে পেছনে হুক ডিজাইনের ব্রা পরাটাই ভালো হতে পারে।
 তথ্যসূত্র : কালাম টাইমস

বাঁশ খাবার উপকারিতা

চিলাহাটি ওয়েব ডটকম : Wednesday, October 4, 2023 | 10/04/2023 06:00:00 PM

চিলাহাটি ওয়েব, রকমারি ডেস্ক : একে অপরকে ক্ষতি করার ক্ষেত্রে অথবা মজা করার ছলে যে শব্দটি সবচেয়ে ব্যবহৃত হয়, সেটি ‘বাঁশ’।
অথচ আমাদের দেশের পাহাড়ি অঞ্চলসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বাঁশ খুবই সুস্বাদু একটি খাবার। শুধু সুস্বাদুই না শারীরিক সুস্থতায় বাঁশ খুবই উপকারী। বিভিন্ন রোগ থেকে খুব সহজেই মুক্তি দিতে বাঁশের কার্যকারিতা অপরিসীম। তাইতো চীনারা বাঁশের কোড়লকে বলেন ‘স্বাস্থ্যকর খাবারের রাজা’।
চলুন তবে জেনে নেয়া যাক বাঁশের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতাগুলো- 
বাঁশের যত পুষ্টিগুণ : তাজা বাঁশের কোঁড়লে ৮৮-৯৩% পানি, ১.৫-৪% প্রোটিন, ০.২৫-০.৯৫% চর্বি, ০.৭৮-৫.৮৬% চিনি, ০.৬০-১.৩৪% সেলুলোজ এবং ১.১% খনিজ পদার্থ আছে। এতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিনও বিদ্যমান।
বাঁশের উপকারিতা : বিভিন্ন গবেষণা থেকে জানা গেছে, শরীরের নানা রোগ প্রতিরোধ করে বাঁশ। চলুন জেনে নেয়া যাক সেগুলো-
# বাঁশের কোঁড়ল দেহে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
# এটি উচ্চ রক্তচাপ কমায় ও ক্যান্সারের ঝুঁকিও কমায়।
# কোষ্ঠ্যকাঠিন্য দূর করতে বাঁশের জুড়ি নেই।
# তাছাড়া হাঁপানী, ডায়াবেটিস, তীব্র জ্বর, মৃগি রোগে মূর্ছা যাওয়া ইত্যাদি নিরাময়েও যথেষ্ট অবদান রাখে বাঁশ। 
যেকোনো সবজির সঙ্গে তুলনা করলে বাঁশের কোঁড়ল কোনোভাবেই হেলাফেলার নয়। তাই নিয়মিত বাঁশ খেতে পারেন নিশ্চিন্তে।
উল্লেখ্য, সদ্য অঙ্কুরিত কচি বাঁশকে বলা হয় বাঁশ কোড়ল। বাংলাদেশ ছাড়াও ভারতের মেঘালয়, আসাম, হিমালয় অঞ্চলে, নেপাল, ভুটান, কোরিয়া, চিন, জাপানেও বেশ জনপ্রিয় এই বাঁশ কোড়ল।

সুস্থ থাকতে নিয়মিত ‘বাঁশ’ খান

চিলাহাটি ওয়েব ডটকম : Tuesday, October 3, 2023 | 10/03/2023 10:46:00 AM

চিলাহাটি ওয়েব, রকমারি ডেস্ক : ‘সুস্থ যদি থাকতে চান; নিয়মিত বাঁশ খান ! ‘বাঁশ কাবাব ও বাঁশপাতার চা’। সরু তল্লা বাঁশের মধ্যে বিভিন্ন মসলা দিয়ে মেরিনেট করা মাংস কয়লায় পুড়িয়ে তৈরি করা হচ্ছে বাঁশ কাবার।
আর বাঁশের কচিপাতা প্রক্রিয়াজাত করে তৈরি হচ্ছে বাঁশপাতার চা। বাঁশের রয়েছে নানা ঔষধি গুণ। কাঁচা বাঁশের মধ্যে থাকা রসে কয়লার আগুনে পুড়িয়ে রান্না করা মাংস খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি ঔষধি গুণসমৃদ্ধও।
বাঁশ পুড়িয়ে রান্না করা মাংসে যোগ হওয়া কাঁচা বাঁশের ফ্লেভারও খাবারে যোগ করছে ইউনিক স্বাদ। পার্বত্য অঞ্চলগুলোতে বাঁশ জাতীয় খাবার পরিচিত । বাঁশ ও বাঁশপাতার অনেক ঔষধি গুণ রয়েছে।
গবেষণার থেকে প্রমাণিত- বাঁশ ও বাঁশপাতার মধ্যে থাকা এন্টি অক্সিডেন্ট মানুষের হৃদরোগ প্রতিরোধে কার্যকর। আবার এর এন্টি এইজিং উপাদান চুল, ত্বক সুস্থ রাখে ফলে বার্ধ্যক্যের ছাপ প্রতিরোধে সহায়তা করে।
সাধারণ চা এর মধ্যে ক্যাফেইন থাকে, যার ক্ষতিকর প্রভাব রয়েছে। বাঁশের কচি পাতা দিয়ে তৈরী এই চায়ে কোনো ক্যাফেইন কিংবা ক্ষতিকর প্রভাব নেই। বরং এটি ডায়বেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ ও সিজনাল ফ্লু প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে। এছাড়া আছে পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, আয়রন, জিঙ্ক, সিলিকা।
এগুলো হাড়ের ঘনত্ব ও কোষের রোগপ্রতিরোধক ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। সবচেয়ে বড় ব্যাপার বাঁশ পাতায় প্রচুর এন্টি অক্সিডেন্ট আছে, যা ক্যান্সার প্রতিরোধক হিসেবে ব্যাপক কাজ করে।

‘অন্যের বউকে চুরি’ করে পালানোর উৎসব হয় যে অঞ্চলে

চিলাহাটি ওয়েব ডটকম : Wednesday, March 29, 2023 | 3/29/2023 02:12:00 PM

চিলাহাটি ওয়েব, রকমারি ডেস্ক : বিশ্বের প্রতিটি দেশেরই আছে নিজস্ব কিছু নিয়ম নীতি। এই যেমন আফ্রিকার বিভিন্ন অঞ্চলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠিরা উদ্ভট কিছু রীতি অনুশীলন করে। যেগুলো অন্যান্যের কাছে উদ্ভট, হাস্যকর কিংবা অমানবিক বলে মনে হয়। পশ্চিম আফ্রিকার নাইজারের যাযাবর ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠি ওডাআবে যুগ যুগ ধরে পালন করে আসছে ‘বউ চুরি উৎসব’।
খানিকটা অবাক করা হলেও সত্যিই এমনও এক ধরনের উৎসব পালিত হয় পশ্চিম আফ্রিকায়। উৎসবে ‘অন্যেও বউকে চুরি’ করেন সেখানকার পুরুষরা। এ কারণেই এটি ‘বাউ চুরির উৎসব’ নামেই পরিচিত। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠিরা একে ‘গেরেওল উৎসব’ বলে থাকেন। তবে অন্যেও বউকে চুরি করা হলেও এতে নেই কোন শাস্তি। প্রতিবছর সেপ্টেম্বর মাসে শুরু হয় ‘বউ চুরির উৎসব’, চলে এক সপ্তাহ ধরে। অন্যের বউকে চুরি করে পুরুষের ক্ষমতা প্রদর্শন করাই ‘গেরেওল উৎসব’ এর মূল আকর্ষণ।
ওডাআবে পুরুষদের ধারণা, তাদের সৌন্দর্য লুকিয়ে থাকে চোখের ধবধবে সাদাভাব, লম্বা নাক ও ঝকঝকে সাদা দাঁতে। এভাবেই পুরুষরা প্রতিযোগিতার জন্য নিজেদের তৈরি করেন। সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হলো, যেসব পুরুষ অন্যের বউকে নিয়ে পালায়, তাদের স্ত্রীরা এই উৎসবে অংশ নেন। আগের সম্পর্ক ভেঙে নতুন করে জীবন গড়ার স্বপ্ন দেখেন। যা বিভিন্ন ধর্ম ও সামাজিক আইনে অবৈধ। উৎসবে নাচ-গান ও হৈ-হুল্লোড়র পাশাপাশি চলে খাওয়া-দাওয়া।
এছাড়াও ওডাআবে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠির মেয়েরা বিয়ের আগে যার সঙ্গে ইচ্ছে সম্পর্কে যেতে পারে। এসব বিষয় তাদের কাছে খুবই স্বাভাবিক ও বৈধ। আবার বিয়ের পরও তারা যত খুশি স্বামী রাখতে পারেন। এই ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠির নারী ও পুরুষ তাদের শারীরিক সৌন্দর্য নিয়ে গর্ববোধ করে। এই প্রতিযোগিতায় বিচারক হন এই ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠির সেরা তিনজন বিবাহিত নারী। তারাই সেরা পুরুষদেরকে বেছে নেন।
আর বাছাইয়ের পর সেরা পুরুষরা তাদের পছন্দসই নারীকে বেছে নিতে পারেন। ওডাআবে সমাজে এই অমানবিক কর্মকাণ্ডই বৈধ বলে বিবেচিত। এই প্রতিযোগিতার পরেই শুরু হয় বউ চুরি উৎসব। নৃত্য প্রতিযোগিতা চলাকালীন পুরুষরা নাচের মাধ্যমে নারীদেরকে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করেন। অনেক নারীই তাদেরকে সঙ্গী হিসেবে পেতে চান।
তবে নৃত্যরত পুরুষ যাকে চান তাকে তিনি পরে খুঁজে নেন। প্রতিযোগিতা শেষে ওই নারীকে ভিড়ের মধ্যে খুঁজে সুযোগ নিয়ে তার কাঁধে টোকা দেন। সেই ডাকে সাড়া দেয় নারীও। এরপর পরস্ত্রীকে নিয়ে পালিয়ে যান ওই পুরুষ। বউ চুরি করে ধরা না পড়লে ওই নারীর সমাজ স্বীকৃত দ্বিতীয় স্বামী হয়ে যান পুরুষটি। এদিকে ওই নারীর সংসারে রেখে যাওয়া সন্তানদের লালন-পালনের দায়িত্ব নেয় তার পরিবার। এই উৎসবটি তাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য প্রতিবছরের সেপ্টেম্বর মাস নিয়ে তাদের জল্পনা কল্পনা থাকে তুঙ্গে। সূত্র: গার্ডিয়ান/আপ্যিকান এক্সপেনেন্ট