Showing posts with label দিনাজপুর. Show all posts
Showing posts with label দিনাজপুর. Show all posts

খলিলপুর সরদার পাড়া গ্রামে জমির ধান ক্ষেত নষ্ট

চিলাহাটি ওয়েব ডটকম : Wednesday, March 6, 2024 | 3/06/2024 11:29:00 PM

আফজাল হোসেন ফুলবাড়ি প্রতিনিধি:দিনাজপুরের খলিলপুর সরদার পাড়া গ্রামে প্রতিপক্ষরা জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষরা মোঃ দেলোয়ার সরদারের দেড় একর জমিতে লাগানো ধান ক্ষেত উপড়ে ফেলেন ও বিষ প্রয়োগ করে নষ্ট করেন। 
পাবর্তীপুর উপজেলার হামিদপুর ইউপির খলিলপুর সরদার পাড়া গ্রামের আব্দুল হান্নান সরদারের অভিযোগে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে একই এলাকার মোঃ হাইকুল ইসলাম (৪০), মোঃ মিজানুর রহমান (৪৮), উভয়ের পিতা মৃত হজকেদ আলী, জালাল উদ্দীন (২৮), রনি (২৮) উভয়ের পিতা মোঃ শাহাজান আলী, মোঃ নুর উদ্দীন (২৫), পিতা মোঃ সোরাব আলী, মোঃ লিমন (২৪) পিতা মোঃ মিজানুর রহমান, মোছাঃ নিলুফা বেগম (৪৮), স্বামী মোঃ শাহাজাহান আলী, মোছাঃ হীরা বেগম (২৫), স্বামী মোঃ জালাল উদ্দীন, মোঃ আলো বেগম (৩৮), পিতা: ইমরান আলী, সর্ব সাং-খলিলপুর সরদারপাড়া, পার্বতীপুর, দিনাজপুর। মোঃ সোরাব উদ্দীন (৪৫), পিতা:আছর উদ্দীন, খলিলপুর সরদারপাড়া, পার্বতীপুর, দিনাজপুর। তারা দলবদ্ধ হয়ে গতকাল সোমবার গভীর রাতে মোঃ দেলোয়ার সরদারের জমিতে গিয়ে ধান ক্ষেত কেটে ফেলেন ও বিষ প্রয়োগ করে নষ্ট করে দেন। উল্লেখ্য যে, ঐ ব্যক্তিরা মোঃ দেলোয়ারের পরিবারদেরকে ২৫/০১/২০২৪ ইং তারিখে মারপিট করায় এদের বিরুদ্ধে মোঃ দেলোয়ার সরদারের পুত্র আব্দুল হান্নান সরদার বাদি হয়ে পার্বতীপুর মডেল থানায় মারপিটের ঘটনায় ১১ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। যাহার মামলা নং-২৫, ২৬/০১/২০২৪ ইং। ধারা ৩২৩, ৩২৫, ৩২৬, ৩০৭, ৩৫৪, ৪২০, ৫০৬ (২) ১১৪ ৩৪ পেনাল কোডে মামলা করেন। ঐ ব্যক্তিদের সাথে জমি জমার বিরোধ নিয়ে পারিবারিক মামলা চলছে। এরই জের ধরে গত সোমবার দিবাগত রাত্রিতে মোঃ দেলোয়ারের জমিতে বিষ প্রয়োগ করেন ও ধানক্ষেতের চারা উপড়ে ফেলেন। এই ঘটনায় স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ মোকছেদুল হক জানান, যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তারা ঠিক করেনি। এদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। কেননা, এতবড় ক্ষতি কোন ভাবে মেনে নেওয়া যায়না। প্রকৃত ঘটনা তদন্ত করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। জমির মালিক মোঃ দেলোয়ার সরদার জানান, যারা আমার এই ক্ষতি করেছে আমি তাদের বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নিব।

খলিলপুর সরদার পাড়া গ্রামে প্রতিপক্ষরা দেড় একর জমির ধান ক্ষেত নষ্ট

চিলাহাটি ওয়েব ডটকম : Monday, March 4, 2024 | 3/04/2024 11:42:00 PM

আফজাল হোসেন ফুলবাড়ি প্রতিনিধি :দিনাজপুরের খলিলপুর সরদার পাড়া গ্রামে প্রতিপক্ষরা জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষরা মোঃ দেলোয়ার সরদারের দেড় একর জমিতে লাগানো ধান ক্ষেত উপড়ে ফেলেন ও বিষ প্রয়োগ করে নষ্ট করেন। 
পাবর্তীপুর উপজেলার হামিদপুর ইউপির খলিলপুর সরদার পাড়া গ্রামের আব্দুল হান্নান সরদারের অভিযোগে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে একই এলাকার মোঃ হাইকুল ইসলাম (৪০), মোঃ মিজানুর রহমান (৪৮), উভয়ের পিতা মৃত হজকেদ আলী, জালাল উদ্দীন (২৮), রনি (২৮) উভয়ের পিতা মোঃ শাহাজান আলী, মোঃ নুর উদ্দীন (২৫), পিতা মোঃ সোরাব আলী, মোঃ লিমন (২৪) পিতা মোঃ মিজানুর রহমান, মোছাঃ নিলুফা বেগম (৪৮), স্বামী মোঃ শাহাজাহান আলী, মোছাঃ হীরা বেগম (২৫), স্বামী মোঃ জালাল উদ্দীন, মোঃ আলো বেগম (৩৮), পিতা: ইমরান আলী, সর্ব সাং-খলিলপুর সরদারপাড়া, পার্বতীপুর, দিনাজপুর। মোঃ সোরাব উদ্দীন (৪৫), পিতা:আছর উদ্দীন, খলিলপুর সরদারপাড়া, পার্বতীপুর, দিনাজপুর। তারা দলবদ্ধ হয়ে গতকাল সোমবার গভীর রাতে মোঃ দেলোয়ার সরদারের জমিতে গিয়ে ধান ক্ষেত কেটে ফেলেন ও বিষ প্রয়োগ করে নষ্ট করে দেন। উল্লেখ্য যে, ঐ ব্যক্তিরা মোঃ দেলোয়ারের পরিবারদেরকে ২৫/০১/২০২৪ ইং তারিখে মারপিট করায় এদের বিরুদ্ধে মোঃ দেলোয়ার সরদারের পুত্র আব্দুল হান্নান সরদার বাদি হয়ে পার্বতীপুর মডেল থানায় মারপিটের ঘটনায় ১১ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। যাহার মামলা নং-২৫, ২৬/০১/২০২৪ ইং। ধারা ৩২৩, ৩২৫, ৩২৬, ৩০৭, ৩৫৪, ৪২০, ৫০৬ (২) ১১৪ ৩৪ পেনাল কোডে মামলা করেন। ঐ ব্যক্তিদের সাথে জমি জমার বিরোধ নিয়ে পারিবারিক মামলা চলছে। এরই জের ধরে গত সোমবার দিবাগত রাত্রিতে মোঃ দেলোয়ারের জমিতে বিষ প্রয়োগ করেন ও ধানক্ষেতের চারা উপড়ে ফেলেন। এই ঘটনায় স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ মোকছেদুল হক জানান, যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তারা ঠিক করেনি। এদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। কেননা, এতবড় ক্ষতি কোন ভাবে মেনে নেওয়া যায়না। প্রকৃত ঘটনা তদন্ত করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। জমির মালিক মোঃ দেলোয়ার সরদার জানান, যারা আমার এই ক্ষতি করেছে আমি তাদের বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নিব।

বিরামপুরে হারিয়ে যাচ্ছে প্রকৃতির শোভা বর্ধনকারি শিমুল গাছ

ইব্রাহীম মিঞা, বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি :দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলা থেকে হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামবাংলার শোভাবর্ধনকারী শিমুল গাছ।এক সময় এই মনোমুগ্ধকর শিমুল ফুল নিয়ে রচিত হয়েছে গান, কবিতা ও নানা রকম গল্প। বর্তমান সময়ের অনেক শিশুই চিনেনা শিমুল ফুল।স্থানীয়রা জানান, ১০-১৫ বছর আগেও বিরামপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বাড়ির আনাচে কানাচে গ্রামীণ রাস্তায় চোখে পড়ত অসংখ্য শিমুল গাছ। আর এসব গাছে, ফুটন্ত শিমুল ফুলের সমারোহ জানান দিত প্রাকৃতিতে বসন্ত এসেছে। প্রস্ফুটিত ফুলে পুরো এলাকা এক অপরূপ রূপে সজ্জিত হয়ে উঠতো। বিরামপুর উপজেলার পলিপ্রয়াগপুর ইউনিয়নের মোন্নাপাড়া ব্রীজের পাশে নদীর পাড়ে রয়েছে শোভা বর্ধনকারি শিমুল গাছ। এই সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য বিকেলে অনেকেই ভীড় জমায় ছোট যমুনা নদীর পাড়ে।কিন্তু বর্তমানে বিলুপ্তির পথে উপকারী এই গাছটি।নিকট অতীতে গ্রামের মানুষ প্রাকৃতিকভাবে গজিয়ে উঠা শিমুলের তুলা দিয়ে লেপ, তোষক, বালিশ ইত্যাদি তৈরি করত। যা ছিল খুবই আরামদায়ক এবং স্বাস্থ্যসম্মত।শিমুল গাছ কমে যাওয়ার ফলে স্বাস্থ্যসম্মত তুলা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন মানুষ। অপরদিকে, শিমুল তুলা বাজারে বিক্রি করে বাড়তি আয় করতে পারতেন কৃষকেরা। এছাড়াও শিমুল গাছ গ্রামাঞ্চলে ঔষধি গাছ হিসাবে সুপরিচিত। শিমুলের মূল বিভিন্ন রোগের ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। শিমুল গাছের চারা রোপণে কৃষকের উদাসীনতার পাশাপাশি সরকারি ও বেসরকারি কোনো উদ্যোগ না থাকাকে বিলুপ্তির কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন স্থানীয় সচেতন মহল।দিন দিন শিমুল গাছ কমে যাওয়ায় এখন আর দেশি তুলা খুঁজে পাওয়া যায় না। ১০ বছর পূর্বে প্রতি কেজি শিমুল তুলা বিক্রি হতো ৪০-৫০ টাকায়। এখন তা বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ৩০০ টাকায়। প্রযুক্তির সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত বর্ধনশীল গাছের প্রতি মানুষ ঝুঁকে পড়ায় শিমুল গাছসহ বিভিন্ন গাছ পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশ থেকে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে।

জুয়া খেলার অপরাধে খানসামায় ৪ জনকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা

চিলাহাটি ওয়েব ডটকম : Saturday, March 2, 2024 | 3/02/2024 11:51:00 PM

এস.এম.রকি, খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি : তাস দিয়ে জুয়া খেলার অপরাধে দিনাজপুরের খানসামায় আটক ৪ জনের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে ভ্রাম্যমান আদালতে মোট ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ইউএনও তাজ উদ্দিন। আটক ৪ জুয়ারু হলেন উপজেলার দুবলিয়া বাড়াই পাড়ার প্রদীপ কর (৫৫) ও একই এলাকার হীরেন রায় (৪৫), আংগারপাড়া গ্রামের রাশেদ শাহা (৫০) এবং পার্শ্ববর্তী সৈয়দপুর উপজেলার বড়দহ এলাকার নজরুল ইসলাম (২৫)। 
 শনিবার (২ মার্চ) দুপুরে উপজেলার ৬নং গোয়ালডিহি ইউনিয়নের দুবলিয়া বাড়াই পাড়া এলাকায় বাঁশ ঝাড় থেকে এসআই তসির উদ্দিনসহ থানা পুলিশ সদস্যরা তাদের আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সোপর্দ করেন। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো: তাজ উদ্দিন ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে প্রত্যেক জুয়ারুকে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো: তাজ উদ্দিন বলেন, মাদক ও জুয়ামুক্ত খানসামা উপজেলা গড়তে আমরা সর্বদা সজাগ আছি। এটি বাস্তবায়ন করতে উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশের সাথে সকল পেশার মানুষের সহযোগিতা চাই।

ফুলবাড়ীতে প্রাণ বঙ্গ মিলার্স লিমিটেড ফ্যাক্টরি ডে অনুষ্ঠিত

আফজাল হোসেন, ফুলবাড়ী প্রতিনিধি:দিনাজপুরের ফুলবাড়ী প্রাণ বঙ্গ মিলার্স লিমিটেড এর ফ্যাক্টরি ডে-২০২৪ উপলক্ষে বার্ষিক বনভোজন, খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরুস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। 
শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টায় ফুলবাড়ী উপজেলার আলাদিপুর ইউনিয়নের রাঙ্গামাটিতে অবস্থিত প্রান বঙ্গ মিলার্স লিমিডেট এর মাঠে ফ্যাক্টরি ডে উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বঙ্গ মিলার্স এর নির্বাহী পরিচালক নাসের আহমেদ। ফুলবাড়ী বঙ্গ মিলার্স এর মহা ব্যবস্থাপক মোঃ জাকারিয়া হোসেন এর সভাপতিত্বে এসময় অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গ মিলার্স এর অপারেশন ম্যানেজার আকিব বিন কবির, মোঃ আসলাম, হেড অফিসের সিনিয়র ম্যানেজার এসসিএম খন্দকার কামরুল ইসলাম, এজিএম বিপিএল ব্রেড আশরাফসহ হেড অফিসের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও বিভাগীয় প্রধানগণেরা উপস্থিত ছিলেন। সকালে ফুলবাড়ীস্থ প্রান বঙ্গ মিলার্স এর প্রায় ১ হাজার শ্রমিক ক্রীড়া প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহন করেন। পরে অতিথি হিসাবে দুপুরে বনভোজনের মধ্যাহ্নভোজে যোগদেন ফুলবাড়ী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ আতাউর রহমান মিল্টন, সাংবাদিকগনসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ। বিকাল ৩টায় স্থানীয় শিল্পীরদের অংশগ্রহনের মধ্যদিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

ফুলবাড়ীতে ৬ষ্ঠ ভোটার দিবস পালিত

আফজাল হোসেন, ফুলবাড়ী প্রতিনিধি: দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলায় ৬ষ্ঠ জাতীয় ভোটার দিবস উদযাপন উপলক্ষে র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত। এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল, “সঠিত তথ্যে ভোটার হব স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলব” শনিবার সকাল সাড়ে ১১টায় ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাচন অফিসের আয়োজনে ৬ষ্ঠ জাতীয় ভোটার দিবস পালনে উপজেলা চত্তর থেকে এক বর্ণঢ্য র‌্যালি বের হয়। র‌্যালিটি উপজেলা চত্তর প্রদক্ষিণ করে নির্বাচন কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করে উপজেলা নির্বাচন অফিসার মোঃ কাজল রানা। এসময় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর মোঃ আল কামাহ তমাল। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, দিনাজপুর জেলা পরিষদের সদস্য শফিকুল ইসলাম বাবু, সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা এছার উদ্দীন, উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা বিধু ভূষন রায়, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা এস,এম, মনিরুজ্জামান, উপসহকারী প্রকৌশলী ইব্রাহীক খলির সহ উপজেলার সকল কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। র‌্যালি ও আলোচনা শেষে নতুন ভোটর সংগ্রহের উদ্বোধন করেন অতিথিবৃন্দ। এসময় প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। আয়োজনে ছিলেন, ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাচন অফিস।

নদীর জেগে ওঠা চরে স্বপ্ন বুনছেন কৃষক-কৃষাণী

চিলাহাটি ওয়েব ডটকম : Friday, March 1, 2024 | 3/01/2024 09:45:00 PM

এস.এম.রকি,খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি : আত্রাই নদীর বুকে জেগে উঠা চরে শুধুই বালু আর বালুর মাঝে এ পলির আশাতীত পলি স্তরের কারণে দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় স্বপ্ন বুনছেন কৃষক-কৃষাণীরা। এসব চরে বিভিন্ন ফসলের আবাদ অনায়াসে হচ্ছে। চরের এই চাষাবাদ শস্য প্রধান এই অঞ্চলের কৃষি অর্থনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ্য করেছে।
শুক্রবার (০১ মার্চ) দুপুরে উপজেলার গোবিন্দপুর, বেলপুকুর ও কায়েমপুর এলাকার চর ঘুরে দেখা যায়, নদীর বুকে জেগে ওঠা চর পলিমাটি মিশ্রিত উর্বর আবাদি জমিতে পরিণত হয়েছে। সেখানে চাষাবাদে কর্মব্যস্ত সময় পার করছেন চাষীরা। এসব চরে চাষ হচ্ছে ধান, পেঁয়াজ, গম, ভুট্টা, সরিষা, মিষ্টি কুমড়াসহ নানা ধরনের শাকসবজি। জানা যায়, নদীতে চর জেগে ওঠার পর ঐ এলাকার কৃষকদের নিজেদের মধ্যে সমন্বয় করে চরে চাষাবাদ করে।
সম্প্রতি পার্শ্ববর্তী বীরগঞ্জ উপজেলার কৃষকদের সাথে সীমনা নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হলে পরে সেটি সমাধান করেন খানসামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাজ উদ্দিন ও ওসি মোজাহারুল ইসলাম।
খানসামা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে আত্রাই নদীর চরে আলোকঝাড়ী, বাসুলী, গোবিন্দপুর, বেলপুকুর, কায়েমপুর, জোয়ার, শুড়িগাও, আগ্রা ও চাকিনিয়া এলাকায় মোট ৫৫ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে। এরমধ্যে বোরো ধান ৪৫ হেক্টর, পেঁয়াজ ৩ হেক্টর, মিষ্টি কুমড়া ১ হেক্টর ভূট্টা ৪ হেক্টর ও সরিষা ২ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে। কৃষি বিভাগের উৎসাহে গত মৌসুমের চেয়ে চাষাবাদ বৃদ্ধি হয়েছে। উপজেলার গোবিন্দপুর চরের চাষি ভ্যানচালক ছমির উদ্দিন বলেন, নিজের কোন আবাদি জমি নেই। নদীতে চর পড়ায় ফসলের আবাদ শুরু করেছি। ধানের পাশাপাশি পিঁয়াজ ও বিভিন্ন প্রকার শাক-সবজি চাষ করেছেন। এসব চাষ করে বাড়তি আয় হবে যেটি সংসারে কাজে লাগবে বলে তিনি জানান চরের আশপাশের সব কৃষক এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন।
এনামুল ইসলাম নামে আরেক চাষী বলেন, চরে প্রায় বিঘা খানেক জমিতে ধান চাষ করেছি। অন্য আবাদি জমির চেয়ে চরের ধান চাষে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশী। সেই সাথে ভালো ফলনও পাওয়া যায়।
খামারপাড়া ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শ.ম. জাহেদুল ইসলাম বলেন, চরে ধান ও পেঁয়াজ আবাদ অনেক ভালো হয়। সেই সাথে চরে চাষাবাদ উপযোগী ফসলের ফলন বৃদ্ধিতে কৃষকদের সহায়তা ও পরামর্শ প্রদানে আমরা কাজ করছি।
ভারপ্রাপ্ত উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাবিবা আক্তার বলেন- অন্য আবাদি জমির সাথে চরে চাষাবাদে যেমন কৃষকরা লাভবান হচ্ছে তেমন খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর ধারাবাহিকতা ও সফলতা বজায় রাখতে উপজেলা কৃষি বিভাগ সর্বদা কৃষকের পাশে রয়েছে।

আলোর মুখ দেখেনি বায়োমেট্রিক মেশিন

চিলাহাটি ওয়েব ডটকম : Wednesday, February 28, 2024 | 2/28/2024 11:28:00 PM

এস.এম.রকি, খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি : প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মচারীদের স্কুলের উপস্থিতি নিশ্চিত ও তদারকি করার লক্ষ্যে দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার ১৪৩ টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বায়োমেট্রিক মেশিন ক্রয় ও স্থাপন করলেও সেটি মুখ থুবড়ে পড়ে আছে। অনেক প্রতিষ্ঠানে বাক্সবন্দী এই বায়োমেট্রিক মেশিন, অধিকাংশ স্কুলে পড়ে আছে অকেজো মেশিন আর কিছু প্রতিষ্ঠানে দেখা মেলেনি এই মেশিনের। এতে প্রায় ৩৫-৪০ লক্ষ টাকা ব্যয়ের এই কার্যক্রম আলোর মুখই দেখেনি। 
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক উপস্থিতি শতভাগ নিশ্চিত করতে ২০১৯ সালে বায়োমেট্রিক হাজিরা চালুর সিদ্ধান্ত নেয়। মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী স্লিপ প্রকল্প থেকে যন্ত্রটি কেনা বাবদ ব্যয় নির্বাহ করা হবে এবং বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের দায়িত্বে যন্ত্রটি কিনে নেবে। বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রণালয়-অধিদপ্তর কর্তৃক বিভিন্ন পত্রের মাধ্যমে একাধিক বার নির্দেশনা দেয়া হয় মাঠপর্যায়ে। খানসামা উপজেলার কয়েকটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বিগত ২০১৯-২০ অর্থবছরে উপজেলার ১৪৩ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্লিপের বরাদ্দ থেকে ডিজিটাল হাজিরার বায়োমেট্রিক মেশিন কেনার জন্য ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছিলো। যেখানে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা যাচাই করে মেশিন ক্রয়ের কথা থাকলেও শিক্ষা অফিসের নির্দেশনায় একটি নির্দিষ্ট স্থান থেকে মেশিন ক্রয় করেছেন সবাই। সেই সময়ে শিক্ষা অফিসের ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করেনি। এই বায়োমেট্রিক মেশিন গুলো লাগানোর ৬-৭ মাস পেরিয়ে গেলেই নষ্ট হয়ে যায়। এই যন্ত্রটি চালু রাখতে প্রয়োজন হয় বিদ্যুৎ সংযোগ, ইন্টারনেট কানেকশন ও কম্পিউটার। বিদ্যালয়গুলোতে বিদ্যুৎ সংযোগ থাকলেও নেট সংযোগ ও কম্পিউটারের অপ্রতুলতায় ভেস্তে যায় এই কার্যক্রম। এখন ব্যবহার না হতে হতে রীতিমতো জঞ্জালে পরিণত হয়েছে মেশিনগুলো। অন্যদিকে এবিষয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বলেন, প্রধান শিক্ষকরা অনেক সময় শিক্ষা অফিসে, বিভিন্ন রাজনৈতিক কিংবা সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগ দেন। ফলে বায়োমেট্রিক হাজিরা থাকলে তাদের এসব অনুষ্ঠানে যেতে সমস্যা হয়। এদিকে বিভিন্ন স্কুলে ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ২০-৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে যে ‘iclock9000-G’ মডেলের ডিজিটাল হাজিরা মেশিনটি বিদ্যালয়ে লাগানো হয়েছে তার সঠিক বাজারমূল্য আনুষঙ্গিক খরচসহ সাড়ে ৮-১০ হাজার টাকা। প্রতি মেশিন ক্রয়ে ১০-১৫ হাজার টাকা অনিয়ম হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারী) উপজেলার আংগারপাড়া ময়দান ডাঙা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তর দুবুলিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, পূর্ব ভবকী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তর গোবিন্দপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও হোসেনপুর ভুল্লী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ঘুরে দেখা যায় বাক্সবন্দি রয়েছে বায়োমেট্রিক মেশিন। সেগুলোর ব্যবহার করা হচ্ছে না অন্যদিকে কয়েকটি স্কুলে অকেজো অবস্থায় পড়ে আছে মেশিন। অন্যদিকে অকেজো মেশিন ক্রয়গুলো সংস্কারে তেমন তৎপরতা চোখে পড়েনি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঐ বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, করোনার আগে এই মেশিন ক্রয় করা হলেও ব্যবহারে তেমন তদারকি না থাকায় ব্যবহার করা হয় না। অন্যদিকে অকেজো মেশিন ক্রয়গুলো সংস্কারে তেমন তৎপরতা চোখে পড়েনি। এই বায়োমেট্রিক মেশিন স্থাপনের উদ্দেশ্য ফলে বিদ্যালয়ে সঠিক সময়ে উপস্থিত ও ছুটির সময় শিক্ষকরা হাজিরা মেশিনে আঙুলের ছাপ দেবেন। শতভাগ উপস্থিতি নিশ্চিত করতেই সরকার এ পদক্ষেপ নিয়েছিল। কিন্তু অধিকাংশ বিদ্যালয়ের এই মেশিন ৩-৪ মাস যেতেই বিকল হয় আর অন্যগুলো নেই কোনো ব্যবহার। শিক্ষা অফিস ও শিক্ষকদের উদাসীনতায় এই উদ্যোগ আলোর মুখ দেখেনি বলে দাবি করেছে অভিভাবক ও সুধীজনরা। এবিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এরশাদুল হক বলেন, নির্দেশনা অনুযায়ী ইতিপূর্বে বায়োমেট্রিক মেশিনগুলো স্থাপন করা হলেও সেই মেশিনগুলো অধিকাংশ অকেজো হয়ে গেছে। এগুলা মেরামতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও সফলতা আসছে না। তিনি আরো বলেন, মেশিনের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে খোঁজ-খবর নিয়ে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: তাজ উদ্দিন বলেন, আপনার মাধ্যমেই বিষয়টি জানলাম। উপজেলা পরিষদের আগামী মাসিক সভায় এবিষয়ে গুরুত্ব সহকারে আলোচনা করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি ক্ষতিগ্রস্থ এলাকারবাসীর মানবন্ধন

চিলাহাটি ওয়েব ডটকম : Tuesday, February 27, 2024 | 2/27/2024 11:54:00 PM

আফজাল হোসেন, ফুলবাড়ী, প্রতিনিধি: পার্বতীপুরের বড়পুকরিয়া কয়লাখনির পার্শ্বে তলিয়ে যাওয়া ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় সোলার প্লান্ট এর কাজ শুরু করার প্রতিবাদে মানববন্ধ করেছে এলাকাবাসী। 
মঙ্গলবার সকলা ১১টায় পাতরাপাড়া মোড়ে মানবন্ধন করেন কয়েকটি গ্রামের ১হাজার নারী পুরুষ। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন মোন্তাসির আফসানী সাগর। তিনি বলেন, এই এলাকায় বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির কারণে ক্ষতিগ্রস্থ লোকজনের চাষা-বাদী জমিতে হঠাৎ করে কে বা কাহারা ঘেরা বেড়া দিচ্ছে, পরে আমরা জানতে পারি এখানে সোলার প্লান্ট এর কাজ করা হবে। কিন্তু এ কাজ সম্পর্কে এলাকাবাসী কেউ অবগত নয়। আমরা এখন পর্যন্ত পূর্নাঙ্গ ক্ষতিপূরণ পাইনি। পূর্নাঙ্গ ক্ষতিপূরণ না পাওয়া পর্যন্ত আমরা এ কাজ শুরু করতে দিব না। আমরা এখন ও মসজিদ মাদ্রাসা কবর স্থান সহ ঘরবাড়ী ফাটলের ক্ষতিপূরণ এখনও পাইনি। একটি কুচক্রীমহল আমাদের ক্ষতিপূরণ না দিয়েই এখানে সোলার প্লান্ট এর কাজ শুরু করার পায়তারা করছে। আমাদের কয়ল খনি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে গত ১ মে ২০০৯ইং সালে ১০দফা চুক্তি হয়েছে। সেই চুক্তি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত এখানে কোন সোলার প্লান্ট করতে দেওয়া হবে না। খনি কর্তৃপক্ষ এই এলাকার মানুষের সঙ্গে প্রতারনা করেছে। তারা আমাদের কোন কথা এবং আন্দোলন ও কর্ণপাত করছে না। মানববন্ধনে অন্যান্যদরে মধ্যে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, পাতরা পাড়া গ্রামের মোঃ রেজওয়ান বাপ্পী, মোঃ আসাদ সরকার, মোঃ কিবরিয়া, মোঃ হাফিজুর রহমান। এছাড়াও মানববন্ধনে কয়েকটি ক্ষতিগ্রস্থ গ্রামের প্রায় ১হাজার নারী পুরুষ অংশগ্রহন করেন। এ বিষয়ে বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মোঃ সাইফুল ইসলাম এর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি মোবাইল ফোন গ্রহন করেননি।

খানসামায় সৌর বিদ্যুৎ চালিত সেচ পাম্প পরিদর্শনে প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা

এস.এম.রকি,খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি : দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় সৌর বিদ্যুৎ চালিত সেচ পাম্প পরিদর্শন ও মতবিনিময় করলেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বীর বিক্রম। ড. তৌফিক-ই ইলাহী চৌধুরী এই সময় বলেন, প্রধানমন্ত্রী সবসময় কৃষকবান্ধব এবং চিন্তা করেন কীভাবে কৃষকদের সাহায্য করা যায়।
জ্বালানি খাতে স্বনির্ভরতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করে উপদেষ্টা বলেন, ‘সোলার ইরিগেশনকে সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে পারলে, কৃষকের জন্য সাশ্রয় হবে ও বিরাট বিপ্লব ঘটানো সম্ভব। পাশাপাশি বিদ্যুৎ ও জ্বালানির বিষয়ে স্বনির্ভরতা অর্জন করতে পারব। নিজেদের স্বাবলম্বী করতে আমরা সারা দেশে এটি ছড়িয়ে দিতে চাই। এটা প্রধানমন্ত্রীও চান।’
মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারী) সকালে দিনাজপুরের খানসামা উপজেলা প্রশাসন ও দিনাজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ আয়োজিত সৌর বিদ্যুৎ চালিত সেচ পাম্প পরিদর্শনে এসে উপজেলার আংগারপাড়া ইউনিয়নের চৌরঙ্গী বাজার এলাকায় তিনি এসব কথা বলেন।
রংপুর বিভাগীয় কমিশনার মো. হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে ও খানসামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তাজ উদ্দিনের সঞ্চালনায় এসময় আরো বক্তব্য দেন বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের সদস্য দেবাশীষ চক্রবর্তী, বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ও নেসকোর চেয়ারম্যান ড. সৈয়দ মাসুম আহমেদ চৌধুরী এনডিসি, নেসকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাকিউল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) দেবাশীষ চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) জিন্নাহ আল মামুন, দিনাজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর সিনিয়র জিএম সাইফুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম, খানসামা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোজাহারুল ইসলাম, খানসামা পল্লী বিদ্যুতের এজিএম ইফতেখার আহমেদসহ বিদ্যুৎ বিভাগ, ইউপি চেয়ারম্যানগণ, সুবিধাভোগী ও বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গ।
এর আগে তিনি ঐ এলাকায় স্থাপিত সৌর বিদ্যুৎ চালিত সেচ পাম্প পরিদর্শন ও সুবিধাভোগীদের খোঁজ-খবর নেন। এসময় সুবিধাভোগীরা সৌর বিদ্যুৎ চালিত সেচ পাম্পের মাধ্যমে তাদের সুবিধার কথা তুলে ধরে বক্তব্য দেন। উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে ৩২০ ওয়াটের ৪৫ টি সোলার প্যানেল দিয়ে প্রায় ২৮ লক্ষ টাকা দিয়ে দিনাজপুর পল্লী বিদ্যুৎ বিদ্যূতায়ন বোর্ডের আওতায় নির্মাণ করে এ সেচ পাম্পের সত্ত্বাধিকারী আব্দুল মান্নান। এরমধ্যে সরকার প্রায় ১৮ লক্ষ টাকা ভর্তুকি প্রদান করে। এই সেচ পাম্প দিয়ে প্রায় ২৫ একর আবাদী জমিতে সেচ দেওয়া হয় এবং অবশিষ্ট উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়।
২০২১ সালের ডিসেম্বর থেকে এপর্যন্ত প্রায় ১৭ হাজার ইউনিট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে। এটা থেকে নির্ধারিত মূল্যে পাবে ঐ পাম্পের সত্ত্বাধিকারী। পাইলট প্রকল্প হিসেবে সারাদেশে ২ হাজার সৌর বিদ্যুৎ চালিত সেচ পাম্প স্থাপনের কাজ চলছে বলে জানা যায়।

খানসামায় আসছেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা

এস.এম.রকি,খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি : প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বীর বিক্রম দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় সরকারি সফরে আসছেন। মঙ্গলবার সকালে তিনি সফরে আসবেন বলে নিশ্চিত করেছেন ইউএনও তাজ উদ্দিন। প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টার একান্ত সচিব মুকতাদির আজিজ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় ও উপজেলা পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারী) সকাল ১১টার দিকে খানসামা উপজেলার আংগারপাড়া ইউনিয়নের সূবর্ণখুলী মুশাহার পাড়া এলাকায় সৌর বিদ্যুৎ চালিত সেচ পাম্প পরিদর্শন ও মতবিনিময় সভায় উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বীর বিক্রম। এই সময় রংপুর বিভাগীয় কমিশনার মো. হাবিবুর রহমান, বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. সৈয়দ মাসুম আহমেদ চৌধুরী, এনডিসি, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাগণ, জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদসহ জেলা প্রশাসন, পুলিশ কর্মকর্তারাসহ সংশ্লিষ্টরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। তাঁর আগমন উপলক্ষে আজ সোমবার বিকেলে উপজেলার আংগারপাড়া ইউনিয়নের সূবর্ণখুলী এলাকায় তৈরী মঞ্চ, সাজসজ্জা ও সার্বিক প্রস্তুতি পরিদর্শন করেন ইউএনও তাজ উদ্দিন। এসময় উপস্থিত ছিলেন খানসামা পল্লী বিদ্যুতের এজিএম ইফতেখার আহমেদ। ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টাকে খানসামা উপজেলায় স্বাগতম জানাতে উপজেলা প্রশাসন, দিনাজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১, উপজেলা পরিষদ, উপজেলা আওয়ামী লীগ, ইউনিয়ন পরিষদসহ সংশ্লিষ্টরা প্রস্তুতি নিয়েছে। এই বিষয়ে খানসামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তাজ উদ্দিন বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বীর বিক্রম মহোদয়ের আগমন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠান সফল করার লক্ষ্যে উপজেলা প্রশাসন ও দিনাজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।

রক্তদানের মাধ্যমে সহায়তা করলেন শিক্ষার্থী দেবাশীষ

আফজাল হোসেন, ফুলবাড়ী, প্রতিনিধি: দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার এলুয়ারি ইউনিয়নের বাসিন্দা টিউমারে আক্রান্ত গৃহবধূ মিনারা বেগমকে (৪২) শুধুমাত্রা রক্তের অভাবে টিউমারটি অপরাশেন করা সম্ভব হচ্ছিল না, তখন শিক্ষার্থী দেবাশীষ সরকার সঞ্জুর রক্তে অপারেশন হয়েছে মিনারা বেগমের। 
জানা যায়, গৃহবধূ মিনারা বেগম তার শরীরের টিউমার অপারেশনের জন্য গত শনিবার দিনাজপুর এম. আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি হন। এ সময় তার পরীক্ষা নিরীক্ষার পর চিকিৎসক জানান অপারেশনের পূর্বে অন্তত দুই ব্যাগ রক্ত তার শরীরে দিতে হবে। রক্ত না দেওয়া পর্যন্ত অপাশেন করা যাবে না। এ সময় মিনারা বেগমের পরিবার এক ব্যাগ রক্ত সংগ্রহ করতে পারলেও আরেক ব্যাগ রক্ত সংগ্রহ করতে না পারায় গত এক সপ্তাহ থেকে অপারেশন বন্ধ থাকে। বিষয়টি জানতে পারেন ফুলবাড়ীর সামাজিক ও মানবিক সংগঠন আমরা করব জয় সমাজ কল্যাণ সংস্থার সদস্য শিক্ষার্থী দেবাশীষ সরকার সঞ্জু। এরই প্রেক্ষিতে গতকাল শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪ টায় দেবাশীষ সরকার সঞ্জু দিনাজপুর এম. আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ছুটে গিয়ে মিনারা বেগমকে এ পজিটিভ গ্রুপের রক্ত দান করেন। এ সময় আমরা করব জয় সমাজ কল্যাণ সংস্থার কোষাধ্যক্ষ আমিনুল ইসলাম, সদস্য তন্ময় সরকার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এই রক্তদানের মাধ্যমে মিনারা বেগমের টিউমার অপারেশনের প্রতিবন্ধকতা কেটে গেছে। যেকোনো সময় তার অপারেশন করবেন সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকগণ। রক্তদাতা দেবাশীষ সরকার সঞ্জু বলেন, অনেক দিন থেকেই রক্ত দেওয়া ইচ্ছা ছিল। কিন্তু তেমন সুযোগ হচ্ছিল না। হঠাৎ জানতে পারেন এ পজিটিভ গ্রুপের রক্তের জন্য তার এক বন্ধুর মায়ের অপারেশন বন্ধ রয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে দিনাজপুর গিয়ে রক্ত দিয়ে এসেছেন। এটি ছিল তার জীবনে প্রথম রক্ত দান। আগামীতেও এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। আমরা করব জয় সমাজ কল্যাণ সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সাংবাদিক প্লাবন শুভ বলেন, আমরা করব জয় সংগঠনটি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সামাজিক ও মানবিক কাজসহ মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। সদস্য হিসেবে দেবাশীষ সরকার সঞ্জুও তাই করেছেন। আগামীতেও সংগঠনের সদস্যরা এসব কাজে অংশগ্রহণ অব্যাহত রাখবেন।

অভাবের সংসারে পড়ালেখা থেমে গেলেও থেমে যায়নি স্বপ্ন; বিমান তৈরি করে উড্ডয়ন করলেন এক যুবক

চিলাহাটি ওয়েব ডটকম : Monday, February 26, 2024 | 2/26/2024 12:04:00 AM

এস.এম.রকি,খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি : অভাবের সংসারে পড়ালেখা থেমে গেলেও লক্ষ্য পূরণে পিছপা হয়নি। এমনই এক ঘটনা ঘটেছে দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার প্রত্যন্ত ভান্ডারদাহ গ্রামে। এই গ্রামের নুরল মেম্বার পাড়ার ২৩ বছর বয়সী যুবক আলমগীর তৈরী করলেন এক বিমান। তাঁর তৈরী এই বিমান প্রায় এক কিলোমিটার দূরত্বে প্রায় আধাঘন্টা উড়তে পারে। যুবকের এই উদ্ভাবন দেখতে প্রতিদিন ভিড় করেন আশপাশের গ্রামের অনেক মানুষ। তাঁর এই কাজে সে এখন প্রশংসিত হচ্ছে।
স্বপ্ন ছিল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার কিন্তু অভাবের সংসারে ২০১৯ সালে উচ্চ মাধ্যমিকেই থেমে যায় উপজেলার খামারপাড়া ইউনিয়নের ভান্ডারদাহ গ্রামের আব্দুল মজিদ ও জাহানারা বেগম দম্পতির ছোট ছেলে আলমগীর। বাড়ির কাজের পাশের পাশাপাশি চুক্তিভিত্তিক স্যালোমেশিন দিয়ে পানি দেওয়া ও বিভিন্ন কাজের সাথে সম্পৃক্ত এ যুবক। তিন ভাইয়ের মধ্যে ছোট এই যুবক প্রাইমারী স্কুলে পড়ার সময় থেকেই বিভিন্ন ইলেকট্রনিকস পণ্য তৈরীর কাজে সময় ও অর্থ ব্যয় করেছেন। 
অনলাইন ও ইউটিউব থেকে ধারণা নিয়ে সময়ের সাথে তাঁর এই উদ্ভাবনী কার্যক্রম বৃদ্ধি পেয়েছে। তাঁর সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রায় ৩-৪ বছর ধরে সাথে বিভিন্ন মডেলের বিমান তৈরী করে উড্ডয়নের চেষ্টা করেছে। কিন্তু সেটি সফল হয়েছে ২০২৪ সালে। এর পূর্বে অনেক বিমান তৈরী করেছে ভেঙেছে আবার নতুন করে তৈরী করেছে। ছেচনা মডেলের বিমানটি গত ডিসেম্বর থেকে চূড়ান্তভাবে তৈরীর কাজ করে ফেব্রুয়ারী মাসের শুরুতে শেষ হয়।
এরপরে বাড়ির পাশে খেলার মাঠে পরীক্ষামূলক ভাবে বিমানটি উড্ডয়ন করলে এলাকা জুড়ে হৈচৈ পড়ে যায়। দেখতে বাড়ছে ভিড়। প্রায় ১২ হাজার টাকা দিয়ে তৈরী এই ছোট বিমানের মূল বডি ককশিট দিয়ে তৈরি করেছেন আলমগীর। এছাড়া ট্রান্সমিটার, রিসিভার, লিপো ব্যাটারি, শক্তির জন্য ব্রাসলেস মোটর ও ছোট ফ্যান ও চাকা রয়েছে। একটি রিমোট বিমানটি আকাশে উড়িয়ে নিয়ন্ত্রণ হয়। তাঁর বাবা-মায়ের সাথে কথা বলে জানা যায়, ছোটবেলা থেকেই সে বিভিন্ন প্রকার যন্ত্র তৈরীর কাজের সাথে সম্পৃক্ত। তাঁর উপার্জিত অর্থ দিয়ে সে এসব তৈরী করে। এখন বিমান তৈরী করায় এলাকার সবাই দেখতে আসতেছে। সংশ্লিষ্টদের যদি সুদৃষ্টি ও সহযোগিতা পাওয়া যায় তাহলে আমার ছেলের স্বপ্ন অনেকটাই পূরণ হবে। 
শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারী) সরেজমিনে ঐ এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, স্থানীয় খেলার মাঠে ছোট বিমান উড্ডয়ন করছেন আলমগীর। এসব উৎসুক জনতা ও স্থানীয়দের উপচে পড়া ভিড়। ঐ এলাকার সামসুল ইসলাম নামে এক যুবক বলেন, আলমগীরের এই কাজে আমরা এলাকাবাসী গর্বিত। অস্বচ্ছলতার কারণে সে তাঁর প্রতিভা বিকশিত করতে পারছে না তাই সবার সুদৃষ্টি প্রয়োজন। এই বিমান নির্মাতা আলমগীর ইসলাম বলেন, ছোটবেলার স্বপ্ন ছিল বিমান তৈরীর সেটি আজ পূরণ হয়েছে। তবে আমার একটি ল্যাপটপ ও আর্থিক ভাবে সক্ষমতা থাকলে এই ছোট বিমানটি আরো উন্নত করা যেত। সেই সাথে সহায়তা পেলে আমার শৈশবের এই স্বপ্ন পূরণের ধাপ আরো এগিয়ে যেত।
উদ্ভাবনী এই কাজের প্রশংসা করে খানসামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাজ উদ্দিন বলেন- এমন উদ্ভাবনী কার্যক্রম স্মার্ট বাংলাদেশ বির্মাণের অগ্রযাত্রায় একটা উদাহরণ। এই প্রযুক্তি বিকাশে প্রশাসন তাঁর পাশে থাকবে।

বিরামপুর উপজেলায় ১০৩ বছরের বৃদ্ধা স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র নিলেন

চিলাহাটি ওয়েব ডটকম : Sunday, February 25, 2024 | 2/25/2024 11:48:00 PM

ইব্রাহীম মিঞা, বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি : দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার পৌরশহরে ৪ নং ওয়ার্ডের ঐতিহ্যবাহী আনসার মাঠে ১০৩ বছরের রাবেয়া বেগম নাতি বৌয়ের কাঁধের উপর ভর করে গ্রহণ করলেন স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র। রবিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিরামপুর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন এবং পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের ঐতিহ্যবাহী আনসার মাঠ প্রাঙ্গনে আনসার ভিডিপি কিন্ডার গার্ডেন স্কুলে ভোটারদের মাঝে স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ করা হয়েছে।
এ সময় বিরামপুর পৌরসভার মেয়র আক্কাস আলী, বিরামপুর সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অদ্বৈত্য কুমার, বিরামপুর মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মেসবাউল হক, বিরামপুর ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোজাফফর রহমান,৪ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ওবায়দুল মিনহাজসহ ১০৩ বছরের বৃদ্ধা রাবেয়া বেগম স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র গ্রহণ করেন। রাবেয়া বেগম ১০৩ বছরে এসে স্মার্ট জাতীয় পরিচয় পত্র পেয়ে খুব আনন্দ প্রকাশ করেন।
স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র গ্রহণের আগে জাতীয় পরিচয় পত্র দিয়ে একটি টোকেন সংগ্রহে উপজেলা নির্বাচন অফিসের পাশাপাশি স্থানীয় সমাজ কল্যাণমূলক সংগঠন সোনালী স্বপ্ন ক্রীড়া সংঘের সদস্যগন স্মার্ট জাতীয় পরিচয় পত্র গ্রহণে বিনামূল্যে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করে।
বিরামপুর উপজেলা নির্বাচন অফিসার খন্দকার মোহাম্মদ আলী জানান, বিরামপুর পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের ৩ হাজার ৮০০ স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্রের মধ্যে আজকে ৩ হাজার ৫০ জনকে স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদান করা হয়েছে।যাহারা স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র কোন কারনে গ্রহণ করতে পারে নাই পরবর্তীতে ৪/৩/২০২৪ ইং পৌরসভা কার্যলয় হতে গ্রহণ করতে পারবেন।

মাতৃভাষা দিবসে অনুপস্থিত শিক্ষকরা : ক্ষোভ ঝাড়লেন আ.লীগের সভাপতি

চিলাহাটি ওয়েব ডটকম : Wednesday, February 21, 2024 | 2/21/2024 02:40:00 PM

এস.এম.রকি,খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২৪ উপলক্ষে দিনাজপুরের খানসামা উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের অনুপস্থিতি নিয়ে ক্ষোভ ঝাড়লেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম।
বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারী) সকালে উপজেলা পরিষদ হলরুমে উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত আলোচনা সভা ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি এই বক্তব্য দেন। এই সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, ২১ ফেব্রুয়ারী বাঙালিদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ দিন। এই দিনটি ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পালিত হয় কিন্তু আজকের প্রভাতফেরী ও শ্রদ্ধাঞ্জলী অর্পণসহ সকল আয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা তাদের শিক্ষার্থীদের উপর দায়িত্ব দিয়ে উধাও। বক্তব্যের এক পর্যায়ে তিনি বলেন, দয়াকরে যেসকল শিক্ষক উপস্থিত আছেন একটু পরিচয় দিবেন। এই সময়ে অনেক প্রতিষ্ঠানের অনুপস্থিতি অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলের নজরে আসে।
তিনি আরো বলেন, উপজেলা পরিষদে কর্মরত কর্মকর্তারা যদি রাত জেগে এখানে থেকে ২১ ফেব্রুয়ারী পালন করতে পারে তাহলে শিক্ষকরা বাড়িতে থেকে ২১ শে ফেব্রুয়ারি পালনে সমস্যা কোথায়? এদের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসন ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার প্রতি আহ্বান জানান এই নেতা। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির এমন বক্তব্যে পুরো হলরুমে নিস্তব্ধ হয়ে যায়। বক্তব্য শেষে পুরো রুমে হাততালি। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২৪ পালন উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত প্রস্তুতি সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রভাতফেরীতে গ্রীণ লিফ কিন্ডারগার্টেন, খানসামা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, খানসামা মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, খানসামা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, খানসামা দ্বিমুখী ফাযিল মাদ্রাসা, খানসামা মহিলা কলেজ, খানসামা ডিগ্রি কলেজ ও হোসেনপুর ডিগ্রি কলেজের নাম উল্লেখ করে শিক্ষক-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের উপস্থিত থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
কিন্তু এই নির্দেশনা উপেক্ষা করে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী উপস্থিতি দেখা গেছে অন্যদিকে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের কোন উপস্থিতিই সরেজমিনে দেখা যায়নি। এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: তাজ উদ্দিন বলেন, নির্দেশনা উপেক্ষা করে কোন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী উপস্থিতিতে গাফিলতি থাকলে বিধি মোতাবেক তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ফুলবাড়ী বিজিবি সদর দপ্তরে অবৈধ্য মাদক ধ্বংস

আফজাল হোসেন, ফুলবাড়ী, প্রতিনিধি:ফুলবাড়ী ২৯ বিজিবি এবং দিনাজপুর ৪২বিজিবি কর্তৃক মাদক বিরোধী অভিযানে ফুলবাড়ী সদরদপ্তরে ৭ কোটি ৫৯ লক্ষ ৩৬ হাজার ৪৪৬টাকার মাদক ধ্বংস করণ অনুষ্ঠিত হয়। 
গতকাল মঙ্গলবার বিকের সাড়ে ৩টায় ফুলবাড়ী বিজিবি সদরদপ্তরে ১৬ ডিসেম্বর ২০২২হতে ৩১ শে জানুয়ারী ২০২৪ পর্যন্ত, দিনাজপুর ৪২ বিজিবি কর্তৃক ১১ মে ২০২২ হতে ৩১ জানুয়ারী ২০২৪ ইং পর্যন্ত মালিক বিহীন অবস্থায় ফুলবাড়ী ২৯ বিজিবির প্রশিক্ষণ মাঠে মাদক ধ্বংস কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন উত্তর ও পশ্চিম রিজিয়ন কমান্ডার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল খোন্দকার শফিকুজ্জামান, পিএসসি। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর কন্যা মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর প্রদত্ত জিরো টলারেন্স নীতি নিশ্চিত কল্পে বিজিবি বদ্ধপরিকর। সীমান্তে বিজিবি জীবনের ঝুকি নিয়ে মাদক নিমূল অভিযান অব্যহত রেখেছেন। সকলের সহযোগীতা ছাড়া মাদক নিমূল কোন ভাবে সম্ভব নয়। তবু আমরা এই সমাজকে সুন্দর রাখতে মাদক নির্মূল করে যাচ্ছি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, কর্নেল রাশেদ, আজগর পিএসসি, জি, সেক্টর কমান্ডার, দিনাজপুর, লে: কর্ণেল মোঃ আহসান উল ইসলাম পিএসসি, অধিনায়ক দিনাজপুর ৪২ বিজিবি ব্যাটালিয়ন, লে কর্ণেল এবিএম জাহিদুল করিম, অধিনায়ক ফুলবাড়ী ২৯ বিজিবি ব্যাটালিয়ন, ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান। এছাড়ও উপস্থিত ছিলেন, বিজিবি’র উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, র‌্যাব কর্মকর্তা, গোয়েন্দা কর্মকর্তা, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিসহ প্রশাসনের কর্মকর্তা, স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকবৃন্দ এবং প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদকিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। আয়োজনে ছিলেন, ফুলবাড়ী ২৯ বিজিবি ব্যাটালিয়ন।

বিরামপুরে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মাঝে বিনামূল্যে মুরগি বিতরণ

চিলাহাটি ওয়েব ডটকম : Monday, February 19, 2024 | 2/19/2024 05:42:00 PM

ইব্রাহীম মিঞা, বিরামপুর(দিনাজপুর) প্রতিনিধি : দিনাজপুর জেলার বিরামপুর উপজেলায় সমতল ভূমিতে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃ- গোষ্ঠীর অর্থ-সামাজিক ও জীবন মানোয়ন্নের লক্ষে ৩৫০ জন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মাঝে বিনামূল্যে ২০ টি করে মুরগী বিতরণ করা হয়েছে। 
সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২ ঘটিকায় বিরামপুর উপজেলা চত্বরে বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুজহাত তাসনীম আওন এর সভাপতিত্বে বিরামপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের আয়োজনে সমতল ভূমিতে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃ- গোষ্ঠীর অর্থ-সামাজিক ও জীবন মানোয়ন্নের লক্ষে সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় বিনামূল্যে হাঁস-মুরগি এবং হাঁস মুরগির গৃহ বিতরণ অনুষ্ঠানে ৩৫০জন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মাঝে ২০ টি করে মুরগী বিতরণের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি দিনাজপুর-৬ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য শিবলী সাদিক এমপি।
এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিরামপুর পৌরসভার মেয়র আক্কাস আলী,উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মেজবাউল ইসলাম মন্ডল মেজবা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান উম্মে কুলসুম বানু।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বিপুল চক্রবর্তী,উপজেলা মৎস কর্মকর্তা কাওসার হোসেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফিরোজ আহমেদ, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আব্দুল আউয়াল, বিরামপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ আদিত্য অপু, বিরামপুর মহিলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মেসবাউল হকসহ উপকারভোগীরা।

ফুলবাড়ীতে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার প্রথম দিন অনুপস্থিত ২৩ জন

চিলাহাটি ওয়েব ডটকম : Thursday, February 15, 2024 | 2/15/2024 11:57:00 PM

আফজাল হোসেন, ফুলবাড়ী, দিনাজপুর প্রতিনিধি: দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি), দাখিল ও ভোকেশনাল (সমমান) পরীক্ষায় প্রথম দিনেই অনুপস্থিত ছিলেন ২৩ জন। 
বৃহস্পতিবার (৩০ ফেব্রুয়ারি) উপজেলার পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোতে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে এসএসসি, দাখিল ও ভোকেশনাল (সমমান) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে প্রথম দিনেই অনুপ¯ি’ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২৫ জন। উপজেলার সুজাপুর সরকারি মডেল উ”চ বিদ্যালয়, জিএম পাইলট উ”চ বিদ্যালয় ও দারুস সুন্নাহ সিদ্দিকীয়া মাদ্রাসা পরীক্ষা কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণ ভাবে পরীক্ষা দি”েছ। বিদ্যালয়ের গেটের বাহিরে অপেক্ষা করছেন অভিভাবকরা। পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আতাউর রহমান মিল্টন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর মোঃ আল কামাহ তমাল, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুহাম্মদ জাফর আরিফ চৌধুরী, থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান প্রমূখ।উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা যায়, চলতি এসএসসি পরীক্ষায় ২ হাজার ১ শত ০৬ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহন করার কথা থাকলেও জেনারেল শাখায় ১৪৭৯ পরিক্ষার্থীর মধ্যে ৯ জন পরীক্ষার্থী অনুপ¯ি’ত। দাখিল পরীক্ষায় ৩৬০ জনের মধ্যে ১২ জন অনুপস্থিত। ভোকেশনাল পরীক্ষায় ২৫০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ২ জনসহ অনুপ¯ি’ত মোট ২৩ জন পরীক্ষার্থী অনুপ¯ি’ত ছিলেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর মোঃ আল কামাহ জানান, উপজেলার সুজাপুর সরকারি মডেল উ”চ বিদ্যাল, ফুলবাড়ী গোলাম মোস্তফা (জিএম) পাইলট উ”চ বিদ্যালয়, দাদুল চোকিয়াপাড়া উ”চ বিদ্যালয়, দারুস সুন্নাহ সিদ্দিকীয় মাদ্রাসা কেন্দ্রে অত্যন্ত সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে প্রথম দিনের এসএসএসি/সমমান পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কেন্দ্র গুলোতে কঠোর নজরদারি রাখা হয়েছে। কোন প্রকার বিশৃঙ্খলার ঘটনা ঘটেনি। আশা করা যা”েছ বাকি পরীক্ষাগুলোর সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হবে।

খানসামায় প্রথম বারের মত রঙিন ফুলকপি চাষ

এস.এম.রকি, খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি : প্রথম বারের মত দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় রঙিন ফুলকপি চাষ হয়েছে। উপজেলার গোবিন্দপুর এলাকায় ২০ শতক জমিতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহায়তায় সোনালী রঙের ফুলকপি চাষ করেছেন ঐ এলাকার কৃষক আবুল কালাম আজাদ। এতে অল্প পুঁজিতে অধিক লাভ হওয়ায় এলাকায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন এই কৃষক। 
জানা যায়, সাদা ফুলকপির সঙ্গে সকলে পরিচিত হলেও খানসামা উপজেলায় এবারই প্রথম চাষ করা হয়েছে রঙিন ফুলকপির। ভ্যান্টেলিনা জাতের রঙিন ফুলকপি দেখতে যেমন সুন্দর, তেমনি খেতেও সুস্বাদু। রোগ প্রতিরোধ সম্পন্ন ও পুষ্টিগুণে ভরপুর রঙিন জাতের এই ফুলকপিগুলির দাম সাধারণ জাতের ফুলকপির চেয়ে বেশি। তবে দেখে মনে হতে পারে সাদা ফুলকপির ওপর রঙ দেয়া হয়েছে। মূলত সোনালী রঙের ফুলকপির চাষ হয়েছে এবার। নতুন জাতের ফুলকপি দেখতে প্রতিদিন মানুষ ঐ কৃষকের ক্ষেতে ভিড় করছেন। বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারী) বিকেলে এই রঙিন ফুলকপি ক্ষেত পরিদর্শন করেন দিনাজপুর অঞ্চলের টেকসই কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক মো: রাকিবুজ্জামান। এই সময় উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাবিবা আক্তার, উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা অরুণ কুমার রায় ও উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা পৃথ্বীরাজ রায়। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, দিনাজপুর অঞ্চলে টেকসই কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ২০২৩-২৪ মৌসুমে উচ্চ মূল্যের নিরাপদ সবজি উৎপাদন প্রদর্শনীর মাধ্যমে কৃষি বিভাগের বীজ, সার ও উপকরণ সহায়তায় নতুন জাতের এই রঙিন ফুলকপি চাষ হয়েছে। যেটি এই উপজেলায় প্রথম বারের মত চাষ হয়েছে। সরেজমিনে বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারী) দেখা যায়, খানসামা থেকে চৌরঙ্গী মূল সড়কের সিফনি ভাটা নামক জায়গায় থেকে কৃষক আবুল কালাম আজাদের ক্ষেতে তাকালেই নজরে পড়বে সবুজ পাতায় মোড়ানো ফুলকপি। কিন্তু কাছে গিয়ে দেখলেই নজরে আসবে সবুজ পাতার মধ্যে সোনালী ফুলকপি। যেটি ইতিমধ্যেই ব্যাপক আলোচিত হয়েছে। রঙিন ফুলকপি চাষী আবুল কালাম আজাদ বলেন, ২০ শতক জমি চাষ, বীজ, সার ও পরিচর্যা বাবদ প্রায় ৬-৭ হাজার টাকা খরচ হবে। অন্যদিকে এই জমির প্রায় ১৮০০-২০০০ পিস ফুলকপি বর্তমান বাজার অনুযায়ী প্রায় ৩৮-৪০ হাজার টাকা বিক্রি হবে। যা লাভজনক। সেই সাথে এই রঙিন ফুলকপি চাষে রাসায়নিক সারের চেয়ে জৈব সার বেশী ব্যবহার করা হয়েছে বলে তিনি জানান। ভারপ্রাপ্ত উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাবিবা আক্তার বলেন, নতুন এই জাতের রঙিন ফুলকপি পুষ্টি চাহিদা পূরণ করবে। সেই সাথে অল্প পুঁজিতে কৃষকরা অধিক লাভবান হবে। এইজন্য উপজেলা কৃষি বিভাগ সার্বিক বিষয়ে কৃষকদের সহযোগিতা করছে। দিনাজপুর অঞ্চলে টেকসই কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক মো: রাকিবুজ্জামান বলেন, পুষ্টি চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে পুষ্টি সমৃদ্ধ ও নিরাপদ সবজি উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য এই জাত সম্প্রসারণে কাজ করছে কৃষি বিভাগ। এতে কৃষকরা যেমন লাভবান হবে তেমনি বাজারে পুষ্টি সমৃদ্ধ ও নিরাপদ সবজি পাবে ভোক্তারা।

বিরামপুরে লিজেন্ড কাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত

চিলাহাটি ওয়েব ডটকম : Sunday, February 11, 2024 | 2/11/2024 03:40:00 PM

ইব্রাহীম মিঞা, বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি : বিরামপুর পৌরসভার সাবেক খেলোয়াড়দের আয়োজনে লিজেন্ড কাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ১ম রাউন্ডের শেষ খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ৩ ঘটিকায় বিরামপুর ঐতিহ্যবাহী আনসার মাঠে খেলাটি অনুষ্ঠিত হয়। লিজেন্ড কাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ১ম রাউন্ডের শেষ খেয়ায় থ্রীষ্টার ফাইটারস্ টিমের সাথে বিরামপুর পি এইচ এস ৯৩ টিমের খেলায় থ্রীষ্টার প্রথমে ব্যাট করে ১৫২ রান করে। পরবর্তীতে ১৫৩ রানের লক্ষ্য নিয়ে পি এইচ এস ৯৩ ব্যাট করে ৬৭ রানে অলআউট হয়।
লিজেন্ড কাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে ৬ টি দল অংশগ্রহণ করেন যথাক্রমে বিরামপুর পি এইচ এস ৯৩, ইসলামপাড়া কিংস ইলেভেন,তানিম স্যানেটরি সুপার কিংস, এন পলি,টু্রমূর ল্যান্ড,থ্রী স্টার ফাইটারস্। প্রত্যেক দল একে অপরের সাথে খেলে জয়লাভ করে বিরামপুর লিজেন্ড কাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ২য় রাউন্ডের খেলায় অংশগ্রহণ করার চেষ্টা করে।২য় রাউন্ডের খেলায় সর্বোচ্চ ৪ টি‌ ম্যাচে জয়লাভ করে তানিম স্যানেটারি সুপার কিংস,৩ টি ম্যাচে জয়লাভ করে টু্রমূর ল্যান্ড ও এন পলি এবং ২টি ম্যাচে জয়লাভ করে ২য় রাউন্ডে খেলার সুযোগ পেয়েছে ইসলামপাড়া কিংস ইলেভেন দল।
অপরদিকে ১টি ম্যাচে জয়লাভ করে ২য় রাউন্ডে যাওয়ার সুযোগ হয়নি থ্রীস্টার ফাইটারস্ ও বিরামপুর পি এইচ এস ৯৩ দলের। বিরামপুর লিজেন্ড কাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ১ম রাউন্ডের শেষ খেলায় ম্যান অফ দা ম্যাচ হন থ্রীস্টার ফাইটারস্ দলের এনামুল ইসলাম এবং সেরা খেলোয়াড় হন আসিফ উদ্দিন।
তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন বিরামপুর লিজেন্ড কাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট পরিচালনা কমিটি এসময় উপস্থিত ছিলেন থ্রী স্টার ফাইটারস্ টিমের ওনার মোঃ সনেট, টিম ম্যানেজার ইব্রাহীম মিঞা, টিমের অধিনায়ক রফিক ইসলাম, সহকারী অধিনায়ক শাহিন কাদিরসহ খেলোয়াড়বৃন্দ। খেলাটির প্রচারনায় শান্ত এন্টারপ্রাইজ প্রোঃ মোঃ দুলাল হোসেন এবং আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তৈমুর হোসেন ও ইজাজ আহমেদ।