আজম রেহমান, ঠাকুরগাঁও : ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জে লামিয়া আকতার নামে এক গৃহবধুকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী ও পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে। রবিবার সকালে উপজেলার কোষা মন্ডলপাড়ায় স্বামীর বাড়ি থেকে ঐ গ্রহবধুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় সন্ধায় থানায় স্বামী সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা করেছেন নিহতের পিতা। পুলিশ ঐ গৃহবধুর স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে।
এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার কোষামন্ডলপাড়া গ্রামের বাদশা আলমের ছেলে বাদল ইসলাম ও উপজেলার থুমনিয়া শাহাপাড়া গ্রামের রবিউল ইসলামের ১৪ বয়সী কিশোরী কন্যা লামিয়া প্রায় ৮ মাস আগে প্রেম করে এফিডেভিটের মাধ্যমে বিয়ে করে। ছেলে পক্ষ এ বিয়ে মেনে নিলেও মেয়ে পক্ষ মেনে নেয়নি। এ অবস্থায় কোষামন্ডল পাড়ায় নিজ বাড়িতে সংসার করে আসছিল বাদল ও লামিয়া। অন্যান দিনের মত শনিবার রাতে খাওয়া দাওয়া শেষে নিজ শয়ন ঘড়ে ঘুমিয়ে পড়েন তারা। রাতে লামিয়া ঘড়ের তীরের সাথে ওরনা পেচিয়ে আত্নহত্যা করেছে বলে ভোর রাতে প্রচার চালায় তার স্বামী বাদল। এলাকার লোকজন এসে লামিয়াকে মৃত অবস্থায় দেখতে পায়। খবর পেয়ে সকালে মরদেহ উদ্ধার করে থানা পুলিশ এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্বামী বাদল ইসলামকে আটক করে থানায় নেওয়া হয়। বাদলের দাবী তার স্ত্রী আত্নহত্যা করেছে।
এদিকে লামিয়ার পিতা রবিউল হক জানান, লামিয়ার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের দাগ তারা দেখেছেন। আত্নহত্যা নয়, লামিয়াকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে আত্নহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে তার জামাই সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
পীরগঞ্জ থানার ওসি তাজুল ইসলাম জানান, এক গৃগবধুর মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। গৃহবধুর বাবা বাদী হয়ে ৫ জনের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা দয়ের করেছেন ঐ গৃহবধুর স্বামীকে প্রথমে আটক এবং প্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যান্য আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।