মাতৃভাষা দিবসে অনুপস্থিত শিক্ষকরা : ক্ষোভ ঝাড়লেন আ.লীগের সভাপতি

চিলাহাটি ওয়েব ডটকম : Wednesday, February 21, 2024 | 2/21/2024 02:40:00 PM

এস.এম.রকি,খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২৪ উপলক্ষে দিনাজপুরের খানসামা উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের অনুপস্থিতি নিয়ে ক্ষোভ ঝাড়লেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম।
বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারী) সকালে উপজেলা পরিষদ হলরুমে উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত আলোচনা সভা ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি এই বক্তব্য দেন। এই সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, ২১ ফেব্রুয়ারী বাঙালিদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ দিন। এই দিনটি ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পালিত হয় কিন্তু আজকের প্রভাতফেরী ও শ্রদ্ধাঞ্জলী অর্পণসহ সকল আয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা তাদের শিক্ষার্থীদের উপর দায়িত্ব দিয়ে উধাও। বক্তব্যের এক পর্যায়ে তিনি বলেন, দয়াকরে যেসকল শিক্ষক উপস্থিত আছেন একটু পরিচয় দিবেন। এই সময়ে অনেক প্রতিষ্ঠানের অনুপস্থিতি অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলের নজরে আসে।
তিনি আরো বলেন, উপজেলা পরিষদে কর্মরত কর্মকর্তারা যদি রাত জেগে এখানে থেকে ২১ ফেব্রুয়ারী পালন করতে পারে তাহলে শিক্ষকরা বাড়িতে থেকে ২১ শে ফেব্রুয়ারি পালনে সমস্যা কোথায়? এদের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসন ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার প্রতি আহ্বান জানান এই নেতা। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির এমন বক্তব্যে পুরো হলরুমে নিস্তব্ধ হয়ে যায়। বক্তব্য শেষে পুরো রুমে হাততালি। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২৪ পালন উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত প্রস্তুতি সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রভাতফেরীতে গ্রীণ লিফ কিন্ডারগার্টেন, খানসামা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, খানসামা মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, খানসামা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, খানসামা দ্বিমুখী ফাযিল মাদ্রাসা, খানসামা মহিলা কলেজ, খানসামা ডিগ্রি কলেজ ও হোসেনপুর ডিগ্রি কলেজের নাম উল্লেখ করে শিক্ষক-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের উপস্থিত থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
কিন্তু এই নির্দেশনা উপেক্ষা করে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী উপস্থিতি দেখা গেছে অন্যদিকে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের কোন উপস্থিতিই সরেজমিনে দেখা যায়নি। এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: তাজ উদ্দিন বলেন, নির্দেশনা উপেক্ষা করে কোন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী উপস্থিতিতে গাফিলতি থাকলে বিধি মোতাবেক তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বিদ্যালয়ে নেই শহীদ মিনার, মনোকষ্টে শিক্ষার্থীরা

ছাদেকুল ইসলাম রুবেল,গাইবান্ধা : একুশের প্রথম প্রহরে জেলার সাদুল্লাপুর উপজেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফুলে ফুলে সেজে উঠবে শহীদ মিনারের বেদি। তবে ১২৪ বিদ্যালয়ে দেখা মেলবে না শ্রদ্ধা নিবেদন। এসব প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার না থাকায় শিক্ষার্থীরা আছে মনোকষ্টে। সম্প্রতি খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সাদুল্লাপুর উপজেলায় ১৯৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে।
এছাড়া মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের আওতায় উপজেলার ১২১ টি বিদ্যালয়। মোট ৩২০টি বিদ্যালয়ের মধ্যে ১২৪ টি-তে নেই শহীদ মিনার। এর মধ্যে মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ, টেকনিক্যাল ইনষ্টিটিউশন, মাদরাসাসহ ৫১ ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৭৩টি। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আজও নির্মাণ হয়নি শহীদ মিনার।
এতে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভাষা শহীদদের ইতিহাস অজানা হয়ে পড়ছে বলে ধারণা করছেন সচেতন সমাজ। প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার স্থাপন বাধ্যতামূলক থাকলেও সাদুল্লাপুর উপজেলার ১২৪ টি প্রতিষ্ঠানে নেই শহীদ মিনার। যার কারণে ওইসব প্রতিষ্ঠানে ফুল দিয়ে ভাষাসৈনিক বীরদের শ্রদ্ধা জানাতে পারে না শিক্ষার্থীরা।
নামপ্রকাশ না করা শর্তে দশম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী জানায়, বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নেই। যার কারণে বীর শহীদদের ফুল দিয়ে সম্মান জানাতে পারি না। তাই বাড়িতে কৃত্রিম উপায়ে শহীদ মিনার বানিয়ে ওখানে শ্রদ্ধা জানাই। আব্দুর রউফ নামের এক অভিভাবক বলেন, ভাষা শহীদদের স্মৃতি বিজরিত সম্মানীয় বড় স্থাপনা শহীদ মিনার। এখান থেকে শিক্ষা পাচ্ছে শিক্ষার্থীরা। তাই প্রতিটি বিদ্যালয়ে নির্ধারিত হাড়ে অর্থ বরাদ্দ দিয়ে শহীদ মিনার নির্মাণের দাবি করছি।
ধাপেরহাট বিএমপি দ্বিমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাসুদ প্রামানিক বলেন, শহীদ মিনার নির্মাণে সরকারিভাবে কোন বরাদ্দ নেই। তাই প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে শহীদ মিনার স্থাপনের চেষ্টা করা হচ্ছে। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) খায়রুল ইসলাম বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নির্মাণে সরকারিভাবে কোন বরাদ্দ নেই। তবে স্কুল মেরামতের বরাদ্দ থেকে শহীদ মিনার নির্মাণের ব্যবস্থা করা হবে।
সাদুল্লাপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল হোসেন জানান, স্কুল, মাদরাসা ও কলেজে শহীদ মিনার থাকা জরুরি। ওইসব প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় শহীদ মিনার নির্মাণে ইতোমধ্যে প্রধান শিক্ষকদের চিঠি দেওয়া হয়েছে।

চিলাহাটিতে বিভিন্ন সংগঠনের আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন

আপেল বাসুনীয়া, চিলাহাটি ওয়েব : মহান ২১ ফেব্রুয়ারী এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস চিলাহাটির বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে নানা কর্মসুচির মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে। চিলাহাটি সরকারী ডিগ্রী কলেজ একুশের প্রথম প্রহরে চিলাহাটি সরকারী কলেজ প্রঙ্গনে স্থাপিত শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন প্রতিষ্ঠানটি অধ্যক্ষ ও ছাত্রলীগ কলেজ শাখার যুগ্ন আহব্বায়ক আকরাম হোসেন মুন ।
সকাল ৯ টায় বিভিন্ন সংগঠন চিলাহাটি হাইস্কুল গেট থেকে ডাকবাংলো পর্যন্ত এক বিশাল র‌্যালী বের করে। র‌্যালী শেষে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ভোগডাবুড়ী ইউনিয়ন শাখার সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান বকুল এসময় আরো পুস্পস্তবক অর্পণ করেন মুরাদ আলী প্রামানীক, আসাদুজ্জামান ফিলিপ।
চিলাহাটি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচাজ মশিউর রহমান, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ভোগডাবুড়ী কমান্ড এর আহব্বায়ক আব্দুল জব্বার কানু, সভাপতি এ.কে.এম শাহাদাৎ হোসেন, বাংলাদেশ প্রাক্তন সৈনিক সংস্থা চিলাহাটির সভাপতি মমিনুল ইসলাম লুলু, সহ-সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, শ্রমিকলীগ সভাপতি আলমগীর হোসেন, যুবলীগ ভোগডাবুড়ী ইউনিয়ন শাখার সভাপতি এ.কে.এম জাহাঙ্গীর বসুনীয়া রাসেল, চিলাহাটি গর্লস স্কুল এন্ড কলেজের পক্ষে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ আইয়ুব আলী, চিলাহাটি জে.ইউ.ফাজিল (বি.এ) মাদ্রাসার পক্ষে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক ও ছাত্র ছাত্রীবৃন্দ, চিলাহাটি মার্চেন্টস সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পক্ষে প্রধান শিক্ষক শাহ এরশাদুল হক জিল্লু, ফিউচার প্রি-ক্যাডেট একাডেমির পক্ষে রকিব হোসেন রন ও শিক্ষক-ছাত্রছাত্রীবৃন্দ, সানমুন কিন্ডার গর্টেন এর পক্ষে আজাদুল হক প্রামানীক, সানফ্লাওয়ার স্কুল, চিলাহাটি কিন্ডার গর্টেন, সুর সংগীত বিদ্যানিকেতনসহ বিভিন্ন সংগঠন শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন।

তেঁতুলিয়ায় ভূট্টা ক্ষেতে ভারতীয় দুই বন্য হাতি

চিলাহাটিতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন

উলিপুরে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন

উলিপুর (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি:কুড়িগ্রামের উলিপুরে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়েছে। 
সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টায় উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক স. ম আল মামুন সবুজ। এসময় উপস্থিত ছিলেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাজী মাহমুদুর রহমান, উলিপুর মহারাণী স্বর্ণময়ী স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর আলম সরদার, উলিপুর কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতি লিমিটেডের চেয়ারম্যান যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা, উলিপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সৈয়দা উম্মে হাবিবা পলি, সাতদরগাহ্ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক তপন সেনগুপ্ত, বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী উপজেলা শাখার সহ-সভাপতি পার্থ সারথী সরকার, কার্যকরী সদস্য মিনহাজ আহম্মেদ মুকুল, শিক্ষক, সাংবাদিক, শিল্পী সহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষজন।

ফুলবাড়ী বিজিবি সদর দপ্তরে অবৈধ্য মাদক ধ্বংস

আফজাল হোসেন, ফুলবাড়ী, প্রতিনিধি:ফুলবাড়ী ২৯ বিজিবি এবং দিনাজপুর ৪২বিজিবি কর্তৃক মাদক বিরোধী অভিযানে ফুলবাড়ী সদরদপ্তরে ৭ কোটি ৫৯ লক্ষ ৩৬ হাজার ৪৪৬টাকার মাদক ধ্বংস করণ অনুষ্ঠিত হয়। 
গতকাল মঙ্গলবার বিকের সাড়ে ৩টায় ফুলবাড়ী বিজিবি সদরদপ্তরে ১৬ ডিসেম্বর ২০২২হতে ৩১ শে জানুয়ারী ২০২৪ পর্যন্ত, দিনাজপুর ৪২ বিজিবি কর্তৃক ১১ মে ২০২২ হতে ৩১ জানুয়ারী ২০২৪ ইং পর্যন্ত মালিক বিহীন অবস্থায় ফুলবাড়ী ২৯ বিজিবির প্রশিক্ষণ মাঠে মাদক ধ্বংস কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন উত্তর ও পশ্চিম রিজিয়ন কমান্ডার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল খোন্দকার শফিকুজ্জামান, পিএসসি। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর কন্যা মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর প্রদত্ত জিরো টলারেন্স নীতি নিশ্চিত কল্পে বিজিবি বদ্ধপরিকর। সীমান্তে বিজিবি জীবনের ঝুকি নিয়ে মাদক নিমূল অভিযান অব্যহত রেখেছেন। সকলের সহযোগীতা ছাড়া মাদক নিমূল কোন ভাবে সম্ভব নয়। তবু আমরা এই সমাজকে সুন্দর রাখতে মাদক নির্মূল করে যাচ্ছি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, কর্নেল রাশেদ, আজগর পিএসসি, জি, সেক্টর কমান্ডার, দিনাজপুর, লে: কর্ণেল মোঃ আহসান উল ইসলাম পিএসসি, অধিনায়ক দিনাজপুর ৪২ বিজিবি ব্যাটালিয়ন, লে কর্ণেল এবিএম জাহিদুল করিম, অধিনায়ক ফুলবাড়ী ২৯ বিজিবি ব্যাটালিয়ন, ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান। এছাড়ও উপস্থিত ছিলেন, বিজিবি’র উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, র‌্যাব কর্মকর্তা, গোয়েন্দা কর্মকর্তা, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিসহ প্রশাসনের কর্মকর্তা, স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকবৃন্দ এবং প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদকিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। আয়োজনে ছিলেন, ফুলবাড়ী ২৯ বিজিবি ব্যাটালিয়ন।