রাকিবুল হাসান, স্টাফ রিপোর্টার : বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার টানা দু- তিন দিনের বৃষ্টিতে মাটিতে নুয়ে পড়েছে রোপা আমন ধান। ফলন ঘরে তোলার আগমুহূর্তে আধা পাকা ও আগাম পাকা ধান মাটিতে নুইয়ে পড়ায় ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন আমন ধান রোপণের চাষিরা। এ বিষয়ে ডোমারের এক কৃষকের সাথে কথা হলে তিনি জানান, ১০-১২ দিন পর ধান কাটার কথা ছিল তাঁর। তিনি হতাশা নিয়ে বলেন, ‘অনেক কষ্ট করে ধান আবাদ করেছি।
সার এবং কিটনাশকের দাম এমনিতেই অনেক বেশি এবার, আর যখন কাটার সময় হলো, তখন অসময়ে বৃষ্টিতে পাকা ধানে মই দিয়ে গেল বৃষ্টি ও বাতাস। জমিতে পানি জমে শিষ ভিজে নষ্ট হয়েছে ধান। তিনি জানান, তার কয়েক বিঘা জমির ধান বাতাসে মাটিতে নুইয়ে পড়েছে । ধান গাছের উপরে বৃষ্টির পানি বইছে। এখন তিনি ধান কিভাবে সংগ্রহ করবেন সেই চিন্তায় বিভোর।
আরেকজন কৃষক ইমরানের সাথে কথা হলে তিনি জানান- আমি প্রায় কয়েক একর জমিতে আমন ধানের আবাদ করেছি। বৃষ্টি ও বাতাসে আমার কয়েক বিঘা জমির ধানের গাছ ও শীষ মাটিতে নুইয়ে গেছে । দ্রুতপানি নিষ্কাশন না হলে ধান সংগ্রহ করতে ব্যাঘাত ঘটবে। এতে আমার ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। সরে জমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় কৃষকের বিঘা জমির ধান মাটিতে নুইয়ে পড়েছে। কিছু কিছু ধানের গাছে ধান পাকতে ধরছে সেসব ধানও মাটিতে নুইয়ে পড়েছে। কারো কারো ধানের গাছের উপরে দিয়ে বৃষ্টির পানি বইছে।
এ বিষয়ে ডোমার কৃষি অফিসার রফিকুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি জানান- এবার ডোমার উপজেলায় প্রায় ১৭,৯২৫ হেক্টর জমিতে আমন ধানের আবাদ হয়েছে।
গত দুই-তিন দিনের বৃষ্টিতে কিছু কিছু জায়গায় যেমন বাঁশঝাড় বা গাছপালা এসবের নিচে বাতাসে কৃষকের ধানের গাছ মাটিতে বেশি নুইয়ে পড়েছে। তাছাড়া হালকা বাতাসেও যেসব জায়গায় ধানের আবাদ এবং গাছ লম্বা হয়েছে সেসব জায়গায় ধানের গাছ বেশী নুইয়ে পড়েছে।
তিনি জানান, পাকা ধানের তেমনটা ক্ষতি হবে না, কিন্তু যেগুলো ধান এখনো পাকা ধরেনি সেগুলো ধানের ক্ষতির আশঙ্কা বেশি রয়েছে।
তিনি কৃষকদের পরামর্শ দেন যেসব ধানের গাছ মাটিতে সুইয়ে/নুইয়ে পড়েছে সেসব গাছ গোসা করে বেঁধে দিতে।এতে কিছুটা হলেও ক্ষতি কমবে।


