Type Here to Get Search Results !

আন্তঃধর্মীয় সংলাপ বিষয়ক সম্মেলন

ইব্রাহীম মিঞা, বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি :সমাজে শান্তি ও সম্প্রীতির পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারস্পরিক বোঝাপড়া, সহমর্মিতা ও আন্তঃধর্মীয় ঐক্যের বিকল্প নেই। এই উপলব্ধি নিয়েই ৯ই সেপ্টেম্বর ২০২৫, মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হলো আন্তঃধর্মীয় সংলাপ বিষয়ক সম্মেলন-২০২৫। “গড়ে তুলি সম্প্রীতির সংস্কৃতি” প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে দিনব্যাপী এই সম্মেলনে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসেন ধর্মীয় নেতা, সামাজিক সংগঠক, শিক্ষাবিদ ও তরুণ প্রতিনিধিরা। সম্মেলনের প্রধান অতিথি ছিলেন মাননীয় উপদেষ্টা, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, “ধর্ম, বর্ণ ও সম্প্রদায় নির্বিশেষে আমরা সবাই একই সমাজের অংশ। পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সহমর্মিতা ছাড়া প্রকৃত মানবিক সমাজ গড়ে তোলা সম্ভব নয়। তরুণ প্রজন্মকে সম্প্রীতির সংস্কৃতি চর্চায় এগিয়ে আসতে হবে।” এছাড়া অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহামান্য কার্ডিনাল জর্জ যাকোব কভোকাদ, প্রতিকানের আন্তঃধর্মীয় সংলাপ বিষয়ক মন্ত্রী। তিনি শান্তি ও সহনশীলতার বার্তা দিয়ে বলেন, “বাংলাদেশে বিভিন্ন ধর্ম ও সংস্কৃতির মানুষের মিলনমেলা বিশ্বের জন্য এক উজ্জ্বল উদাহরণ। এই ঐতিহ্য রক্ষা করাই আমাদের দায়িত্ব।” অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ৩নং খানপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ আদিবাসী সমাজ উন্নয়ন সমিতি, কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি জনাব চিত্তরঞ্জন পাহান। তিনি আদিবাসী সম্প্রদায়ের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে সম্প্রীতি রক্ষায় স্থানীয় উদ্যোগের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। দিনাজপুর কাথলিক ডায়োসিসের প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা সম্মেলনে অংশ নিয়ে তাঁদের মতামত তুলে ধরেন। তাঁরা বলেন, আন্তঃধর্মীয় সংলাপ শুধু আলোচনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ না থেকে বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করতে হবে। সমাজের প্রতিটি স্তরে সম্প্রীতির অনুশীলন জরুরি। সম্মেলনের আয়োজন করে খ্রীষ্টীয় ঐক্য ও আন্তঃধর্মীয় সংলাপ কমিশন, সিবিসিবি, ঢাকা, বাংলাদেশ। আয়োজকরা জানান, বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সামাজিক শান্তি এখন সময়ের বড় চ্যালেঞ্জ। এই ধরনের সম্মেলন মানুষের মধ্যে বিশ্বাস ও ঐক্য দৃঢ় করতে সহায়ক হবে।
বিভাগ

Top Post Ad

Hollywood Movies