আকাশ রহমান, বদরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি, চিলাহাটি ওয়েব : রংপুরের বদরগঞ্জে শংকরপুর ঝাড়পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পিয়ন রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে
শিক্ষার্থীদের শ্লীলতাহানীর অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি আফজাল হোসেন
উপজেলা নির্বাহী অফিসে একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।
লিখিত অভিযোগ ও প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা যায়, উপজেলার কালুপাড়া ইউনিয়নে অবস্থিত শংকরপুর
ঝাড়পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পিয়ন রবিউল ইসলাম স্থানীয় প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘদিন ধরে
ছাত্রীদের উত্যক্ত করে আসছে। তিনি সুযোগ পেলে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীদের কাছে ডেকে নিয়ে
তার মোবাইল ফোনে অশ্লীল ভিডিও দেখাতে বাধ্য করেন। এমনকি সুযোগ পেলে শিক্ষার্থীদের শরীরে
পর্যন্ত হাত দেন এবং তাদেরকে কুপ্রস্তাব দেন। কিন্তু সম্মানহানীর ভয়ে শিক্ষার্থীরা কাউকে কিছু বলার
সাহস পায়না। উক্ত পিয়নের অনৈতিক কার্যকলাপে কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের পাঠদানে বিঘœ
ঘটছে। এমনকি অভিভাবকগন তাদের আদরের মেয়েদেরকে বিদ্যালয়ে পাঠাতে ইতস্তোত বোধ করছে।
ফ্যাসিষ্ট আওয়ামী সরকারের দোসর পিয়ন রবিউল ইসলাম একজন লম্পট প্রকৃতির ছেলে। তিনি এতটাই
প্রভাবশালী যে, সব কিছু জানার পরেও কেউ তার বিরুদ্ধে মুখ খোলার সাহস পায়না। তাই তিনি দিনে
দিনে আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। যারফলে তার হাতে কোন ছাত্রীই নিরাপদ নয় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা
হয়।
এবিষয়ে প্রধান শিক্ষিকা মাহামুদা খাতুন বলেন, পিয়ন রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে অনেক শিক্ষার্থী
অভিভাবক অভিযোগ করেছে। তাদের অভিযোগ এই বিদ্যালয়ে রবিউল থাকলে তারা তাদের বাচ্ছাদের বিদ্যালয়ে
পাঠাবেনা। বলা যায়, আমরা এখন অনেকটাই বেকায়দায় পড়েছি। কারন শুধু শিক্ষার্থীরাই নয়, ওই পিয়নের
দ্বারায় আমরা শিক্ষিকারাও নিরাপদ নই।
এরপর অভিযোগকারী ওই বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি আফজাল
হোসেন বলেন, বিদ্যালয়ের পিয়ন একজন চরিত্রহীন ব্যক্তি। তিনি শুধু শিক্ষার্খীদের শ্লীলতাহী করেই ক্ষান্ত
হননি। গত ৫বছর পুর্বে তিনি বিদ্যালয় এলাকার জনৈক নজরুল ইসলামের স্ত্রী রোজিনার সাথে পরকীয়ায়
জড়িয়ে পড়ে অবশেষে তাকে বিয়ে করতে বাধ্য হন। আমরা এখন তার যথাযথ শাস্তি কামনা করছি।
তবে অভিযুক্ত পিয়ন রবিউল ইসলাম প্রকাশ্য দাম্ভিকতার সহিত সাংবাদিকদের বলেন, আপনাদের যা করার
আছে করেন গিয়ে। কেউ আমার এক লোমও ছিড়তে পারবেনা।
বুধবার সহকারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোছাঃ লাজিজা বেগম বলেন, ঘটনাটি
আসলেই দুঃখজনক। তদন্ত করে এর সত্যতা পাওয়া গেলে পিয়ন রবিউলের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া
হবে।
এবিষয়ে জানতে চেয়ে বদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজানুর রহমানের মোবাইল ফোনে
একাধিকবার কল করা হলেও তিনি সাংবাদিকের ফোন রিসিভট করেননি। ফলে তার কোন মন্তব্য নেওয়া সম্ভব
হয়নি।