নজরুল ইসলাম, বোদা (পঞ্চগড়) প্রতিনিধি, চিলাহাটি ওয়েব : পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার বোদা সদর ইউনিয়নের ডাবর ভাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ে বিরোধীয় জমি প্রদান করে ভুয়া দাতা সেজে অফিস সহকারি (কেরানি) পদে চাকুরী দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ।
নার্গিস আক্তার বিদ্যালয়ে জমিদাতা হিসেবে অফিস সহকারি পদে চাকুরীতে যোগদান করেন। যা বিদ্যালয়ের রেজুলেশন সূত্রে জানা গেছে। বিরোধপূর্ণ জমি বিদ্যালয়ে দান করে জমি দাতা হিসেবে বিদ্যালয়ে অফিস সহকারী পদে কর্মরত রয়েছে নার্গিস আক্তার।
বিরোধপূর্ণ জমি বিদ্যালয়ে দান করেছেন বিষয়টি জানাজানি হলে, বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদ ও প্রধান শিক্ষক তাকে জমি সংশোধন করে দেওয়ার কথা বলেন। পরে তিনি জমি সংশোধন করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি প্রদান করলেও এখনো তা প্রদান করেননি।
চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি ওই বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক বোদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো,শাহরিয়ার নজিরের সভাপতিত্বে ম্যানেজিং কমিটির সভায় নার্গিস আক্তার বিদ্যালয়ের জমি সংশোধন করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি প্রদান করে যা রেজুলেশনের উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু আদৌ তা বাস্তবায়ন করেনি।
জানা গেছে, নার্গিস আক্তারের বাবা আমির উদ্দিন প্রধান বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা লগ্নে ওই বিদ্যালয়ে ৩৩ শতক জমি দান করেন। কিন্তু বিদ্যালয়ে জমি দান করার পূর্বেই ওই জমি অন্য ব্যক্তির নামে লিখে দেন। তার দান করা মাত্র ১০ শতক জমি সঠিক রয়েছে।
২৩ শতক জমি বিরোধপূর্ণ। এই বিরোধপূর্ণ জমি নার্গিস আক্তার সংশোধন করে দিব দিচ্ছি বলে টাল বানা করছে বলে, বর্তমান বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো,এহছানুল ইসলাম প্রধান লাবু জানান। তিনি আরো জানান, বিরোধপূর্ণ জমি সংশোধন করে না দেওয়ার কারণে বিদ্যালয় উন্নয়ন ব্যাহত হচ্ছে। এই কারণে বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে রয়েছে।
বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন- নার্গিস আক্তার জমি দাতা হিসেবে এই বিদ্যালয়ে অফিস সহকারি পদে চাকরি গ্রহণ করেন।
অফিস সহকারী নার্গিস আক্তার জানান- বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে আমার বাবা ওই বিদ্যালয়ে ৩৩ শতক জমি দান করে। দাতা হিসেবে আমার বাবা সঠিক রয়েছে এবং জমিও সঠিক রয়েছে।