জুয়েল বসুনীয়া, চিলাহাটি ওয়েব : প্রেমের অবসান ঘটিয়ে স্ত্রীর দাবিদারের জন্য কলেজ ছাত্রী প্রেমিকের বাড়িতে টানা ৭ দিন থেকে অবস্থান । কলেজ ছাত্রী তার প্রেমিকের বাড়িতে প্রবেশ করার পর তার প্রেমিক পশু ডাক্তার আলামিন বাড়ি থেকে শটকে পরে। গ্রাম্য সালিশে ৪ দফা বৈঠকের পর ইউপি চেয়ারম্যান ষষ্ঠ দিনে এক মাসের সময় বেঁধে দেন। এই ঘোষণায় এলাকায় উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া সহ চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে।
ঘটনাটি ঘটেছে নীলফামারী জেলার চিলাহাটির ভোগডাবুরী ইউনিয়নের আনন্দবাজার গ্রামে ।
সালিশ বৈঠক সূত্রে জানা গেছে- নীলফামারী জেলার চিলাহাটির ভোগডাবুরী ইউনিয়নের পাবনা পাড়া গ্রামে নানা হযরত আলী বাড়ি থেকে লেখাপড়া করত কলেজ ছাত্রী (১৮)। এরই মধ্যে প্রতিবেশী আনন্দবাজার গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে পশু ডাক্তার আলামিন এর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক অবসান ঘটাতে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কলেজ ছাত্রী প্রেমিক আলামিনের বাড়িতে এসে উঠে। পরিবারের চাপে ওই দিনেই আলামিন আত্মগোপনে চলে যায়। এরপর শুরু হয় দফায় দফায় সালিশ বৈঠক। ৪ দফা সালিশ বৈঠক বসলেও তারা আলামিনকে হাজির করেনি।
ফলে শেষ বৈঠকে আলামিনকে হাজির করার জন্য এক মাস সময় বেঁধে দেওয়া হয়। ওই বৈঠকে মেয়ে পক্ষকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও হুমকি-ধমকি দেওয়ায় ছেলে পক্ষ প্রকাশ্য ক্ষমা প্রার্থনা করে।
আলামিনের পিতা রফিকুল ইসলাম বড় ভাই আলী রাব্বিল ও রাব্বানী চিলাহাটি ওয়েব ডটকমকে বলেন- মেয়েকে আমরা মেনে নিয়েছি সে আমাদের বাড়িতে আসে এবং থাকবে।
ভোগডাবুরী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রেয়াজুল ইসলাম কালু বলেন- এক মাস সময় দেওয়ার প্রশ্নই আসে না। যত দ্রুত সম্ভব ছেলেকে নিয়ে এসে কাবিননামা শেষ করতে হবে। যেহেতু মেয়েটি ছেলের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছে সেহেতু তার নিরাপত্তার জন্য ছেলে পক্ষ দায়ী থাকবে।