Type Here to Get Search Results !

কনকনে শীতে খানসামা উপজেলায় বেড়েছে ডায়রিয়া ও শ্বাসকষ্ট রোগীর সংখ্যা

এস.এম.রকি,খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি : শীতের তীব্রতা বৃদ্ধির সাথে সাথে দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় বেড়েছে ডায়রিয়া ও শ্বাসকষ্ট রোগীর সংখ্যা। বর্তমানে শ্বাসকষ্ট রোগে আক্রান্ত রোগীর চেয়ে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বেশী বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। 
শনিবার (১৩ জানুয়ারী) সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ঘুরে দেখা যায়, পুরুষ, মহিলা ও শিশু ওয়ার্ড মিলে প্রতিদিন ৫০-৫৫ জন রোগী ভর্তি হলেও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিন ১০-১২ জন রোগী ও শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ৭-৮ জন রোগী ভর্তি হচ্ছেন। অন্য সমস্যার রোগী ও ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বেশী হলেও আন্তরিকতার সহিত রোগীদের সেবা দিচ্ছে হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স-মিডওয়াইফ ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। সেই সাথে ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও কমিউনিটি ক্লিনিকে এখন রোগীর ভিড় বাড়ছে। 
পাকেরহাটস্থ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, গত সপ্তাহ থেকে শীত বাড়ার সাথে সাথে উপজেলায় ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়ে যায়। জরুরী বিভাগ ও বর্হিবিভাগে প্রতিদিন গড়ে ৩৫-৪০ জন ডায়রিয়া রোগী স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করছেন এবং ৯-১০ জন ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হচ্ছেন। সেই সাথে জ্বর-সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টের রোগীর সংখ্যা তুলনামূলক বেশী বলে জান যায়। উপজেলার বাহাদুর বাজার এলাকার খালেদা বেগম (৫০) গত বুধবার ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে আছেন। তিনি বলেন, হঠাৎ করে ডায়রিয়া পরে হাসপাতালে আসলে ডাক্তার ভর্তির পরামর্শ দেয়। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যর্মীদের ট্রিটমেন্টে আগের চেয়ে এখন শারীরিক অবস্থা অনেকটা ভালো। শনিবার (১৩ জানুয়ারী) দুপুরে জরুরী বিভাগে ২ বছর বয়সী এক শিশুকে নিয়ে সেবা নিতে আসেন ছাতিয়ানগড় গ্রামের নূর মোহাম্মদ। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ইনডোরে ভর্তি করান। তিনি বলেন, ডায়রিয়া ও চেহারা ফ্যাকাসে হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি করাইছি এখন চিকিৎসা চলমান রয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডা.শামসুদ্দোহা মুকুল বলেন, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে ডায়রিয়া রোগী বেড়েছে। এসময় সবাইকে সচেতন থাকতে হবে এবং শিশুদের প্রতি যত্নশীল হতে হবে। পাতলা পায়খানা শুরু হলে মুখে খাবার স্যালাইন বার বার খাওয়াতে হবে। প্রয়োজনে হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। 
উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডা. মলয় কুমার মন্ডল বলেন, আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী রোগীদের সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি। এতে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের আন্তরিকতার ঘাটতি নেই। এছাড়া খোলা ও বাসি খাবার পরিহারের পাশাপাশি সবসময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকারও পরামর্শ দেন এই কর্মকর্তা। শনিবার দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯৭ ভাগ। চলতি বছরে এটি জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। জেলায় এ সপ্তাহে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হতে পারে। বৃষ্টি হলে তাপমাত্রা আরো কমে যেতে পারে বলে জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান জানান।
বিভাগ

Top Post Ad

Hollywood Movies