গোবিন্দগঞ্জে ৮৮ কেজি গাঁজাসহ আটক ২

চিলাহাটি ওয়েব ডটকম : Sunday, March 31, 2024 | 3/31/2024 12:11:00 AM

ছাদেকুল ইসলাম রুবেল,গাইবান্ধা : জেলার গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় একটি পিকআপ গাড়িতে ৮৮ কেজি গাঁজা জব্দসহ ২ জন কে আটক করেছে র‌্যাব। আটককৃত হলেন,বিপ্লব কুমার কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ি উপজেলার নাইডাঙ্গা গ্রামের বিশ্বনাথ কুমারের পুত্র চালক বিপ্লব কুমার (৩০) ও হেলপার আসলাম হোসেন সাদ্দামকে (৩০) কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ি উপজেলার নাইডাঙ্গা গ্রামের বিশ্বনাথ কুমারের ছেলে ও আসলাম হোসেন সাদ্দাম । 
শনিবার (৩০ মার্চ) বিকেলে র‌্যাব-১৩ গাইবান্ধা ক্যাম্পের স্কোয়াড্রন লিডার মাহমুদ বশির আহমেদ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়টি জানানো হয়। র‌্যাব-এর বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শনিবার (৩০ মার্চ) সকালের দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় গোবিন্দগঞ্জের ফাসিতলা এলাকায় সন্দেহভাজন একটি পিকআপ গাড়ি তল্লাশি করা হয়। এতে থাকা একটি তেলের ড্রামের ভেতর থেকে ৮৮ কেজি গাঁজা জব্দসহ ওই মাদক কারবারিদের গ্রেফতার করা হয়েছে। র‌্যাব-১৩ গাইবান্ধা ক্যাম্পের স্কোয়াড্রন লিডার মাহমুদ বশির আহমেদ বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যান্যদের বিরুদ্ধে গোপন অনুসন্ধান চলছে। গ্রেফতারকৃতদের গোবিন্দগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়।

গোবিন্দগঞ্জে নিখোঁজ শিশুর মরদেহ উদ্ধার

ছাদেকুল ইসলাম রুবেল,গাইবান্ধা : জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় এক নিখোঁজ শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। 
নিহত অভিজিৎ চন্দ্র জিৎ বগুলাগাড়ী গ্রামের রনজিৎ চন্দ্রের ছেলে ও স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র। শনিবার (৩০ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার দরবস্ত ইউনিয়নের বগুলাগাড়ী (নামাপাড়া) এলাকার করতোয়া নদীর চরের একটি ভুট্টা খেত থেকে ওই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। দরবস্ত ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৬ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য সজীব আহমেদ খান বলেন, শুক্রবার (২৯ মার্চ) সন্ধ্যার দিকে হঠাৎ বাড়ি থেকে অভিজিৎ চন্দ্র জিৎ নিখোঁজ হয়। এরপর থেকে পরিবারের লোকজন সম্ভাব্য বিভিন্ন স্থানে খোজাখুজি করতে থাকে। এরই মধ্যে শনিবার দুপুরের দিকে ওই নদী চরের ভুট্টা খেতে অভিজিৎ চন্দ্রের মরদেহ দেখতে পায় স্থানীয়রা। পরে খবর পেয়ে থানা পুলিশ শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করেছে। গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুল আলম শাহ জানান, এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এক পা বিশিষ্ট জন্ম নেওয়া শিশুর পরিবারের পাশে প্রশাসন

চিলাহাটি ওয়েব ডটকম : Thursday, March 28, 2024 | 3/28/2024 11:38:00 PM

ইব্রাহীম মিঞা, বিরামপুর(দিনাজপুর) প্রতিনিধি : দিনাজপুরের বিরামপুরে একপাওয়ালা শিশুর জন্মের ঘটনায় এলাকায় এক চাঞ্চল্যকর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। বিকলাঙ্গ শিশুটির উন্নত চিকিৎসার জন্য ভ্যান চালক বাবার পাশে দাঁড়িয়েছেন বিরামপুর উপজেলা প্রশাসন ও জেলা প্রশাসক।বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেল আনুমানিক ৪ ঘটিকায় বিরামপুর মর্ডান ক্লিনিকে সিজারের মাধ্যমে জমজ শিশুর জন্ম হয়। জমজ শিশু দুটির মধ্যে প্রথমটি মেয়ে এবং অন্যটি অস্বাভাবিক যার কোন লিঙ্গ নির্ধারণ করতে পারেনি চিকিৎসক। কারন দ্বিতীয় শিশুটির কোন মলত্যাগ ও প্রস্রাবের রাস্তা নেই এবং এক পা বিশিষ্ট। দ্বীতীয় শিশুটি অস্বাভাবিক জন্ম এক পা বিশিষ্ট এবং কোন প্রশ্রাব ও মলদ্বারের রাস্তা না থাকায় বিরামপুর মর্ডান ক্লিনিকের গাইনী বিশেষজ্ঞ মোছাঃ তাহেরা বেগম তার পরিবারকে পরামর্শ দিয়েছেন যে দ্রুত শিশুটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বা সার্জারির জন্য ভালো কোন মেডিকেলে নেওয়ার। জমজ শিশু দুটির বাবা মাহফুজুল ইসলাম পেশায় একজন ভ্যানচালক হওয়ায় এমন পরিস্থিতিতে সে কি করবে ভেবে উঠতে না পারায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দিনাজপুর জেলা প্রশাসক জনাব শাকিল আহমেদ মহোদয়ের দৃষ্টিগোচর হলে তিনি তাৎক্ষণিক বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুজহাত তাসনীম আওনকে পরিবারটির পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশ দেন। জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুজহাত তাসনীম আওন নির্দেশনা মোতাবেক বিরামপুর উপজেলায় এক পা বিশিষ্ট শিশু জন্ম নেওয়ায় সংশ্লিষ্ট ক্লিনিকে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুরাদ হোসেনসহ স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে শিশুটির মাকে সান্ত্বনা দেন, এসময় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১০ হাজার টাকা অর্থ সহায়তা দেওয়া হয়। পরবর্তীতে শিশুটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে তার পরিবার।অপরদিকে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিশুটিকে নিয়ে এলে দিনাজপুর জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশে এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে দিনাজপুর জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক জনাব দেবাশীষ এবং জেলা ত্রান ও পুনর্বাসন অফিসার শিশুটিকে দেখতে এসে তার বাবা মাহফুজুল ইসলামকে অর্থ সহায়তা প্রদান করেন এবং শিশু ওয়ার্ডের সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের শিশুটির প্রতি লক্ষ্য রাখতে বলেন।কে চিকিৎসা প্রদানের নির্দেশনা দেন।পরিবার সূত্রে জানা যায় ২০১৪ সালে নবাবগঞ্জ উপজেলার শালখুরিয়া ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের আমিরুল ইসলামের ছেলে মাহাফুজুল ইসলামের সঙ্গে একই উপজেলার দাউদপুরের ঈশরপুর গ্রামের তোকছেদ আলীর মেয়ে তাসলিমার বিয়ে হয়। তাদের এক ছেলে সন্তান ও একটি মেয়ে রয়েছে। সম্প্রতি আবারো গর্ভবতী হন তসলিমা। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে গর্ভে জমজ সন্তানের বিষয়টি নিশ্চিত হলে পারিবারিকভাবে সিজারের মাধ্যমে সন্তান প্রসবের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। তার স্ত্রী তাসলিমা বেগমকে সিজারের উদ্দেশ্যে বিরামপুর মর্ডান ক্লিনিকে নিয়ে আসলে বিকেল আনুমানিক ৪ ঘটিকার সময় জমজ শিশু দুটি সিজারের মাধ্যমে এ পৃথিবীর আলো দেখেন।দ্বীতীয় শিশুটি অস্বাভাবিক জন্ম এক পা বিশিষ্ট এবং কোন প্রশ্রাব ও মলদ্বারের রাস্তা নেই । এমন ঘটনায় এলাকায় এক চাঞ্চল্যকর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে।

ইফতারের পর ক্লান্তিভাব দূর করবেন যেভাবে

চিলাহাটি ওয়েব, রকমারি ডেস্ক : চলছে সিয়াম সাধনার মাস পবিত্র রমজান। সারাদিন রোজা রেখে মাগরিবের আজান শুনে ইফতারের টেবিলে রাখা মজার খাবারগুলো পেটপুরে খেয়ে নিলেন, এরপর ভাবছেন মুহূর্তেই শক্তিশালী হয়ে যাবেন?
আপনার প্রত্যাশা এমনটা থাকলেও আসলে তা আর হয়ে উঠে না। কারণ, ইফতার খাওয়ার পরপরই আপনার ক্লান্তি লাগতে শুরু করে। সারাদিন উপবাসের পর একগাদা খাবার একসঙ্গে খাওয়ার কারণে তা হজমে সময় লাগে। আর তাতেই ক্লান্ত হয়ে যায় আমাদের শরীর। তাহলে ইফতারে কী খাবেন। আর কী করলে ক্লান্তি লাগবে না চলুন জেনে নিই।
পানিশূন্যতা দূর করুন : সারাদিন পানাহার থেকে বিরত থাকার কারণে খুব স্বাভাবিকভাবেই আমাদের শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দেয়। এরপর ইফতারে তেলে ভাজা আর বিভিন্ন মসলাদার খাবার খাওয়া হয়। ফলে পানির ঘাটতি পূরণ হয় না।
ইফতারের পর প্রচুর পানির দরকার হয় শরীরের। তাই বিভিন্ন ফল, ফলের রস, শরবত, ডাবের পানি ইত্যাদি খান। এতে শরীরে পানির ঘাটতি দূর হবে।
একসঙ্গে অনেক খাবার খাবেন না : ইফতারে এক সঙ্গে অনেক বেশি খাবার খাবেন না। একবারে অনেক বেশি খাবার খাওয়া সারাদিন রোজা থাকার পর ক্লান্তি লাগার একটি বড় কারণ। আপনি ক্ষুধার্ত ঠিক আছে, তবে পেটকেও সময় দিতে হবে হজম করতে।
তাই একসঙ্গে অনেক বেশি খাবার না খেয়ে অল্প অল্প করে খান। কিছুক্ষণ পরপর খান। এতে শরীর খুব একটা ক্লান্ত হবে না। খাবার হজমের জন্যও পর্যাপ্ত সময় পাবে।
নামাজ পড়ে নিন : ইফতারের শুরুতে একটি খেজুর ও এক গ্লাস পানি খেয়ে মাগরিবের নামাজ পড়ে নিন। এতে নামাজ সময়মতো আদায় হয়ে যাবে এবং ততক্ষণে আপনার পেটও খাবার হজমের জন্য তৈরি হবে। নামাজ শেষ করে ইফতারের বাকি খাবার খাবেন। যারা এভাবে খেয়ে অভ্যস্ত, তারা তুলনামূলক অনেক কম ক্লান্ত হন।
চা কিংবা কফি : রোজায় চা কিংবা কফি পানের অভ্যাস বাদ দেন অনেকে। তবে ইফতারের পর ক্লান্তি কাটানোর জন্য এক কাপ চা কিংবা কফি পান করতে পারেন।
কারণ, এ ধরনের পানীয়তে থাকা ক্যাফেইন আপনাকে ভেতর থেকে সতেজ রাখতে কাজ করে। তবে এই চা কিংবা কফি যেন খুব কড়া না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখবেন।
কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করুন : ইফতারের পরপরই শুয়ে-বসে থাকবেন না। বরং স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করুন। আমাদের শরীর আমাদের মনের কথা শুনে চলে। তাই নিজেকে ক্লান্ত ভাববেন না। বরং ইফতারের পর কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করুন। এতে ক্লান্তি দূর হবে সহজেই। একই সঙ্গে হজমও ভালো হবে।

২২ বছর পালিয়ে থাকা সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার

এস.এম.রকি,খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিসনধি : ২২ বছর আত্মগোপনে পালিয়ে থাকার পরে দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় ধর্ষণ ও গর্ভপাত ঘটানোর অপরাধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত তসলিম উদ্দিন (৫২) নামে এক পলাতক আসামিকে এলিট ফোর্স র‌্যাব-৩ এর সহায়তায় আটক করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করেছে খানসামা থানা পুলিশ।
গ্রেফতার তসলিম উদ্দিন খানসামা উপজেলার ৬নং গোয়ালডিহি ইউনিয়নের দুবলিয়ার আমিজ উদ্দিনের ছেলে। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে খানসামা থানা পুলিশ এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, গত ২২ বছর যাবৎ ছদ্মবেশে বিভিন্ন ব্যবসার সাথে জড়িত থাকার আড়ালে আত্মগোপনে থেকেছেন তসলিম উদ্দিন। পরে তাকে নারায়ণগঞ্জের গাউসিয়া মার্কেট সংলগ্ন ফলপট্টি এলাকা থেকে বুধবার (২৭ মার্চ) র‌্যাব-৩ এর সহায়তায় খানসামা থানা পুলিশ গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে বলে পুলিশ জানায়। খানসামা থানা পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, গ্রেফতার তসলিম উদ্দিন ২০০০ সালে দিনাজপুর জেলার খানসামা থানাধীন খামারপাড়া ইউনিয়নে ‘প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ’ নামক একটি এনজিওতে সুপারভাইজার হিসেবে চাকরিরত ছিলেন।
তসলিম খামারপাড়া ইউনিয়নের ৭টি বিদ্যালয়ের প্রায় ১৪ জন শিক্ষকের সুপারভাইজার ছিলেন ও তারই অধীনে ভিকটিম বালাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল এনজিও থেকে নিয়োগকৃত শিক্ষিকা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। একই কর্মসূচির আওতায় চাকরিরত থাকার সুবাধে তাদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গ্রেফতার তসলিম ও ভুক্তভোগীর নিয়মিত যোগাযোগের সুবাধে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গ্রেফতার আসামি ছিল বিবাহিত ও দুই সন্তানের জনক। এসময় ভিকটিম আসামীর বিবাহিত জীবন সম্পর্কে সম্পূর্ণ অজ্ঞাত ছিল।
ঘনিষ্ঠতা ও যোগাযোগ বৃদ্ধির সুযোগে তসলিম ভুক্তভোগীকে নানাভাবে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনে প্রলুব্ধ করে। শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনে ভিকটিমের অসম্মতি থাকায় সে ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলার নাম করে সুবিধাজনক স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করে। একাধিকবার ধর্ষণের ফলে ভুক্তভোগী গর্ভবতী হয়ে পড়েন। বিষয়টি তসলিমকে জানালে সে অস্বীকার করে ও গর্ভের ভ্রূণ নষ্ট করার জন্য প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। তাতে সম্মত না হয়ে তসলিমকে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকলে তসলিম নিজেকে বিবাহিত দাবি করে ও ভিকটিমকে বিয়ে করা অসম্ভব বলে সাফ জানিয়ে দেয়। অন্তঃসত্ত্বা ভিকটিম বাধ্য হয়ে বিষয়টি তসলিমের পরিবারকে জানালে তসলিম সম্মানহানির প্রতিশোধ নিতে প্রতারণা করে ভিকটিমকে তার সঙ্গে যোগাযোগের কথা বলে একটি বেসরকারি ক্লিনিকে নিয়ে গর্ভপাত করায়। এসময় ভুক্তভোগী ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন।
মানসম্মান এবং গর্ভের সন্তান হারিয়ে অসহায় ও আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েন এবং বিয়ের জন্য প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করেন। এমনকি এসময় তিনি আত্মহত্যার চেষ্টাও করেন। তখন তসলিম পূর্বের চাকরি ছেড়ে দিয়ে ঢাকায় একটি ডেলিভারি ম্যান হিসেবে যোগদান করে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। কোনো উপায়ন্তর না পেয়ে ভুক্তভোগী নারীর পরিবার বাধ্য হয়ে তসলিমের বিরুদ্ধে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণসহ ভ্রূণ নষ্ট করার অপরাধে পেনাল কোডের ৩১৩ ধারায় দিনাজপুর জেলার খানসামা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে ২০১৩ সালে বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল, দিনাজপুর তার বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করেন। মামলা রুজু হওয়ার পর থেকেই গ্রেপ্তার তসলিম স্ত্রী-সন্তান নিয়ে নিজ এলাকা ত্যাগ করে ঢাকায় চলে আসেন। এমনকি গ্রেপ্তার এড়াতে তিনি ঘনঘন স্থান পরিবর্তন করেন। প্রথম ২ বছর তিনি ঢাকায় ডেলিভারি ম্যান, এরপর ৩ বছর সিলেটে একটি দোকানে কর্মচারী হিসেবে কাজ করেন। এরপর ঢাকায় ফেরত এসে তিনি একটি কোম্পানিতে কাজ করেন। রায় হওয়ার পর আত্মগোপনে থাকার উদ্দেশ্যে গাজীপুরে কখনো ভ্যান চালিয়ে, কখনো মাটিকাটা শ্রমিকের কাজ করে, কখনো এনজিওর মাঠ কর্মী হিসেবে জীবিকা নির্বাহ করে।
মাঠকর্মী থাকার সময় গাজীপুরের শ্রীপুর এবং কাশিমপুর এলাকার বিভিন্ন গ্রাহকের কাছ থেকে নামে বেনামে প্রতারণার মাধ্যমে সুকৌশলে ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে নারায়ণগঞ্জের ভুলতা গাউছিয়া এলাকায় সে আত্মগোপন করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে খানসামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাহারুল ইসলাম বলেন, ধর্ষণ মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী তসলিম ২২ বছর পলাতক ছিলেন। র‌্যাবের সহায়তায় তাকে আটক করে বৃহস্পতিবার বিজ্ঞ আদালত দিনাজপুরে প্রেরণ করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

বিরামপুরে বিএসটিআই অনুমোদনহীন জুসসহ ২ জন আটক

ইব্রাহীম মিঞা, বিরামপুর (দিনাজপুর)প্রতিনিধি : বিরামপুরে গ্রামের হাট বাজারের দোকানে বিএসটিআইয়ের অনুমোদনহীন জুস জাতীয় তরল পানীয় (ড্রিংকু,ফ্রুটি,আমরো) ও ডেইরি মিল্ক বিপণনের অভিযোগে ২ জনকে ১শত টাকা করে জরিমানা ও উভয়কে ১ মাস করে ভ্রাম্যমান আদালতে কারাদন্ড প্রদান করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ মুরাদ হোসেন।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুর ১.৩০ ঘটিকায় বিরামপুর ইসলামী ব্যাংকের পশ্চীম পার্শ্বে নাবিল বাস কাউন্টারের পিছনে একটি গোডাউনে অভিযান চালিয়ে অনুমোদনহীন পন্যসমূহ ও এর সাথে জড়িত ২ জনকে আটক করে ভ্রাম্যমান আদালতের সাজা প্রদান করা হয়।
আটককৃত দুজন হলেন দিওড় ইউনিয়নের ব্যাপারিটোলা নারায়ণপুর গ্রামের মশিউর রহমানের ছেলে লিটন এবং সুরেন্দ্রনাথ সরকারের ছেলে গৌতম কুমার।ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুরাদ হোসেন বলেন রমজান উপলক্ষে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী খাদ্যদ্রব্য ভেজাল এরকম কোন পণ্য বাজারজাত বা বিক্রয় যেন না হয় নজরদারি হিসেবে আমাদের এই অভিযান চলমান রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুজহাত তাসনীম আওন মহোদয়ের নির্দেশে অভিযান চালিয়ে জুস জাতীয় তরল পানীয় ও ডেইরি মিল্ক জব্দ করেছি এবং এর সাথে জড়িত দুজনকে আমরা আটক করেছি। জব্দকৃত মালামালের আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ১ লক্ষ টাকা।
জব্দকৃত জুস জাতীয় তরল পানীয় ও চকলেট জাতীয় ডেইরি মিল্ক সমূহ বিরামপুর উপজেলার ৭ নং পলিপ্রয়াগপুর ইউনিয়নের ছোট যমুনা নদীর পাশে বাজেয়াপ্ত করা হয়।এ অভিযানে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করে বিরামপুর থানা পুলিশ।

পীরগঞ্জে বিনামূল্যে ৫ হাজার কৃষককের মাঝে সারবীজ বিতরণ

চিলাহাটি ওয়েব ডটকম : Wednesday, March 27, 2024 | 3/27/2024 09:16:00 PM

শেখ সমশের আলী, পীরগঞ্জ (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি : পীরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চত্বরে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে সার বীজ বিতরণ করা হয়।
আজ বুধবার পৌর এলাকা সহ ১০টি ইউনিয়নে ৫ হাজার কৃষক সারবীজ পেয়ে বেশ খুশি। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে উপসী আউস প্রণোদনা হিসেবে প্রতি কৃষককে ৫ কেজি ধান বীজ, ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি করে এমওপি সার বিতরণ করা হয়।
বিতরণ কালে উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ আখতারুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট রমিজ আলম, উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ লায়লা আরজুমান বেগম, ডিএন ডিগ্রি কলেজ উপাধ্যক্ষ ও ডায়াবেটিস হাসপাতাল প্রতিষ্ঠাতা ফয়জুল ইসলাম, পীরগঞ্জ প্রেসক্লাব সভাপতি জয়নাল আবেদীন বাবুল, সাংবাদিক মোশাররফ হোসেন, আবুল হাসানাত, বিষ্ণুপদ রায়, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা যথাক্রমে পঙ্কজ কুমার, আব্দুর রহিম, মোফাজ্জল হক, কৃষক সহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।