নজরুল ইসলাম, বোদা (পঞ্চগড়) প্রতিনিধি :পঞ্চগড়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নৈশ্য প্রহরী ও দপ্তরি নিয়োগের নামে ঘুষ নেয়ার অভিযোগে দুই প্রধান শিক্ষককে সাময়িক বহিষ্কার করার আদেশ দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন। রবিবার দুপুরে পঞ্চগড় জেলা শহরের সরকারি অডিটোরিয়ামে জেলা প্রশাসন ও জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির আয়োজিত দুদকের গণশুনানিতে তাদের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এই আদেশ প্রদান করেন দুদকের কমিশনার মিঞা মুহাম্মদ আলি আকবার আজিজী।
ওই দুই শিক্ষক হলেন পঞ্চগড় সদর উপজেলার ডাঙ্গাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল হায়াত বাবুল ও বুড়িরবান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ঝরেন রায়।
কমিশনের ভুক্তভোগিদের অভিযোগ থেকে জানা যায়, ডাঙ্গাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল হায়াত বাবুল ভুয়া সার্কুলার দিয়ে নৈশ্য প্রহরী হিসেবে নিয়োগ দেয়ার কথা বলে আল আমিন নামে এক ব্যক্তির কাছে ৫ লাখ টাকা ঘুষ নেন। পরে ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা ফেরত দিলেও ৮০ হাজার টাকা আর ফেরত দেন নি। তাই দুদকের গণশুনানিতে এই অভিযোগ তোলেন আল আমিন। অভিযোগের শুনানিতে ওই প্রধান শিক্ষক টাকা নেয়ার কথা স্বীকার করলে তাকে সাময়িক বহিষ্কারের আদেশ দেয় কমিশন। একই সাথে ঘুষ দেয়ার অভিযোগে আল আমিনের পাওনা ৮০ হাজার টাকা তাকে না দিয়ে সরকারি কোষাগারে ডিসেম্বরের মধ্যে জমা করারও আদেশ দেয়া হয়।
এদিকে ৪ বছর আগে বুড়িরবান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরি হিসেবে নিয়োগ দেয়ার কথা বলে নাসরিন আক্তার নামের এক নারীর কাছে আড়াই লাখ টাকা ঘুষ নেয় প্রধান শিক্ষক ঝরেন রায়। ৪ বছর তার পিছে পিছে ঘুরেও টাকা ফেরত পান নি ওই নারী। দুদকের গণশুনানিতে অভিযোগ জমা দেয়ার খবর শুনেই তড়িঘড়ি করে শুক্রবার সব টাকা ফেরত দেয় ওই প্রধান শিক্ষক। গণশুনানিতে ঘুষ নেয়ার বিষয়টি স্বীকার করায় তাকে সাময়িক বহিষ্কারের আদেশ দেয় কমিশন।
পঞ্চগড় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আরিফ আহম্মেদ বলেন, ঘুষ নেয়ার অভিযোগে গণশুনানিতে দুই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে সাময়িক বহিষ্কারের জন্য আদেশ দেয়া হয়েছে। আমরা তো সরাসরি সাময়িক বহিষ্কার করতে পারি না। তাই অধিদপ্তরের মাধ্যমে তাদের সাময়িক বহিষ্কার করা হবে।