চিলাহাটি ওয়েব ডেস্ক : দিনাজপুর-৫ (পার্বতীপুর-ফুলবাড়ী) আসনে পাল্টে যেতে পারে ভোটের সমীকরণ। তারুণ্যের অহংকার তারেক রহমান বলেছেন এবারে নাকি প্রার্থী বাছাইয়ে তরুণরা অগ্রাধীকার পাবে। আর এ অগ্রাধীকার দেয়া হলে পার্বতীপুর-ফুলবাড়ী-০৫ চিত্র পাল্টে যেতে পারে। প্রচার প্রচারণায় এগিয়ে আছে মনোনয়ন প্রত্যাশী উদীয়মান তরুণ নেতা নুরুল হুদা!
প্রায় চার দশক ধরে একটানা ৮ বার সংসদ সদস্য এবং মন্ত্রী ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রয়াত মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন ছাড়া তিনি সব নির্বাচনে জয়ী হন। ফিজারের বাড়ি ফুলবাড়ীতে হওয়ায় পার্বতীপুরের জনগণ মনে করে তারা কাঙ্ক্ষিত উন্নয়নের ছোঁয়া থেকে বঞ্চিত ছিলেন। ফলে এবার তারা আঞ্চলিকতাকে গুরুত্ব দিয়ে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
এদিকে, আগামী নির্বাচনে এ আসনে জামায়াতের প্রার্থী হিসেবে মাঠে আছেন পার্বতীপুর উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন। বিএনপির হয়ে মাঠে রয়েছেন একাধিক প্রার্থী, যাদের মধ্যে বেশিরভাগই পার্বতীপুরের বাসিন্দা।
প্রথমজন এ জেড এম রেজওয়ানুল হক,বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি। প্রায় সত্তর উর্ধো হক সাহেব ৩০ বছর ধরে দায়িত্ব পালন করছেন। তবে বর্তমানে অসুস্থ হয়ে ঢাকায় চিকিৎসাধীন আছেন।
দ্বিতীয়জন নুরুল হুদা বাবু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রনেতা, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক এবং বর্তমানে স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক। তরুণ নেতা হিসাবে বর্তমানে এলাকায় ব্যপক আলোচিত।
তৃতীয়জন জাকারিয়া বাচ্চু উপজেলা বিএনপির সদস্য। উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচনে একবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হয়েছেন।
অন্যদিকে, লন্ডন প্রবাসী ব্যারিস্টার কামরুজ্জামানও এ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী। তিনি লন্ডন বিএনপির সহ-সভাপতি। তার বাড়ি ফুলবাড়ীতে। তবে তার বাবা ডা: কাইয়ুম সাহেব অতীতে জামায়াতে ইসলাম থেকে দাঁড়িপাল্লা মার্কায় ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে অংশ নেন। ২০২৪ সালের ৫ আগষ্টের গণঅভ্যুত্থানের অনেক পরে এলাকাবাসী তার নাম জেনেছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, আওয়ামী লীগের দীর্ঘদিনের দখলে থাকা এ আসনে বিএনপির জন্য প্রার্থী মনোনয়ন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে পার্বতীপুর-ফুলবাড়ীর আঞ্চলিক ভারসাম্য ও প্রার্থীদের গ্রহণযোগ্যতা নির্ভর করবে নির্বাচনী সমীকরণে।
এ আসনের মোট ভোটার সংখ্যা প্রায় ৪৭১ হাজার ৫৬৪ জন। এর মধ্যে পার্বতীপুরে ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ১৪ হাজার ৯৭৩ এবং ফুলবাড়ীতে ১ লাখ ৫৬ হাজার ৫৯১ জন। অর্থাৎ, পার্বতীপুরের ভোটার সংখ্যা ফুলবাড়ীর দ্বিগুণেরও বেশি। দীর্ঘদিন ধরে এ আসনে ফুলবাড়ীর প্রার্থী হওয়ায় পার্বতীপুরবাসীর মধ্যে আঞ্চলিক ক্ষোভ ক্রমেই বাড়ছে। তবে তরুণদের অগ্রাধীকার দিলে এ আসন বিএনপির চেয়ার পার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়ার হাতে উপহার দিতে সক্ষম বলে এলাকাবাসীর ধারণা।