নজরুল ইসলাম, বোদা (পঞ্চগড়) প্রতিনিধি : পঞ্চগড়ে ধর্ষণ চেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার পঞ্চগড় সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের গণিত বিষয়ের শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমানের মুক্তির দাবিতে আদালত চত্বরে অবস্থান কর্মসূচী পালন করেছে শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার বিকেলে পঞ্চগড় জেলা ও দায়রা জজ আদালত চত্বরের ন্যায় কুঞ্জ ভবনের সামনে তারা অবস্থান কর্মসূচী পালন করে। পরে তারা ২০ মিনিটের ধরে পঞ্চগড়-তেতুঁলিয়া মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। এতে সড়কের দুই ধারে বাস, ট্রাক সহ অর্ধশতাধিক যানবাহন আটকে পড়ে।
পরে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লা হিল জামান, সেকেন্ড অফিসার কাইয়ূম আলী শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সড়িয়ে দেন।
এর আগে, শিক্ষার্থীরা ওই শিক্ষকের মুক্তির দাবিতে জেলা প্রশাসক বরাবরে স্মারকলিপি দিয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে যান।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, গণিত বিষয়ের শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমানকে ন্যায় বিচার পাওয়া থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা অতিরিক্ত পিপি হওয়ায় আসামী পক্ষে কোন আইনজীবীকে দাঁড়াতে দিচ্ছেন না আদালতে। দ্রুতই তারা শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমানের জামিন দাবী করেন।
মোস্তাফিজুর রহমানের স্ত্রী আক্তার বানু অভিযোগ করে বলেন, একটি মিথ্যা মামলায় আসামী মোস্তাফিজুর রহমানকে জেলহাজতে রাখা হয়েছে। ভূক্তভোগীর বাবা অতিরিক্ত পিপি হওয়ায় আসামী পক্ষে কোন আইনজীবীকে শুনানী করতে দেয়া হচ্ছে না। একই সাথে টানা পাঁচ দিন ধরে মামলার শুনানির তারিখ দেয়া হয়।
মঙ্গলবার দুপুরে মামলার শুনানিকালে এজলাসে আসামী পক্ষের কাউকে ঢুকতে দেয়া হয়নি। দ্রুতই মামলার চার্জশিট দেয়া হয়েছে। কোন মামলায় এত দ্রুত চার্জশিট দেয়া হয়না। আমি আমার স্বামীর নি:শর্ত মুক্তি দাবি করছি।
তবে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর জাকির হোসেন বলেন, আসামীর মামলার শুনানী যথাযথ প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে হচ্ছে।
আসামী পক্ষে কোন আইনজীবী দাঁড়াতে দেয়া হচ্ছে না ঘটনাটি সত্য নয়। তারা কোন আইনজীবীর প্রতি ভরসা রাখতে পারছেন না। আর শিশু আসিয়া নিহতের ঘটনার পর থেকে প্রতিটি ধর্ষণ মামলা দ্রুততম সময়ের মধ্যে শেষ করার নির্দেশনা রয়েছে।