খালেক পারভেজ লালু, উলিপুর (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি : কুড়িগ্রামে গোলাম মোস্তফা নামের ১০ বছরের দন্ডপ্রাপ্ত ধর্ষণ মামলার পলাতক আসামিকে ২৩ বছর পর গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কুড়িগ্রাম সদর থানার এএসআই শওকত আলম সিদ্দিকীকের নেতৃত্বে ২৪ মে ২০২৫ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে পুলিশ ও র্যাব-১৩ যৌথ অভিযান পরিচালনা করে ঢাকার ধানমন্ডি জিগাতলা এলাকা থেকে আসামি গোলাম মোস্তফাকে গ্রেফতার করে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আসামি গোলাম মোস্তফা কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর থানাধীন দইখাওয়া গ্রামের মৃত আয়নাল হকের পুত্র। সে নিজেকে একজন কাজী পরিচয় দিয়ে কুড়িগ্রাম সদরের তালতলায় বসবাস করতো। এসময় সে ভুয়া কাবিননামা তৈরি করে এক তরুণীকে বিয়ে করে। পরে ভিকটিম গর্ভবতী হলে সে পালিয়ে যায়। ভুক্তভোগী নারীর পরিবার আদালতের মামলা দায়ের করে। আদালত বিচারকার্য শেষে তাকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করে। রায়ের পর থেকেই আসামি গোলাম মোস্তফা পলাতক ছিলো। দীর্ঘ ২৩ বছর পর আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। পলাতক এই আসামিকে গ্রেফতারের ঘটনায় এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
অপরদিকে ধর্ষণের ঘটনায় ভিকটিম নারীর কোলে জন্ম নেয়া শিশু এখন কিশোর বয়সে পা রেখেছে। সমাজে কিশোরটির পিতার পরিচয় নিয়ে উঠেছে বিভিন্ন প্রশ্ন। কথা উঠেছে আসামি যখন তার ঔরষজাত সন্তানের পরিচয় না দেয়ার জন্য আদালতের সাজাকে মাথায় নিয়ে দীর্ঘ সময় পলাতক থাকলো এখন কি হবে কিশোরটির ভবিষ্যৎ।
কিশোরটি কি আদৌ তার পিতৃপরিচয় পাবে এমন প্রশ্ন এখন গ্রামের সর্বত্র। কুড়িগ্রাম সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জানান, আসামিকে কুড়িগ্রাম আদালতে হস্তান্তর করা হয়েছে। আদালতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আসামির বিরুদ্ধে পূর্বের রায় কার্যকর করা হবে। সন্তানের পিতৃপরিচয় সংক্রান্ত বিষয়টিও আদালতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অনুসরণ করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।