রাকিবুল হাসান, স্টাফ রিপোর্টার : নীলফামারী জেলার চিলাহাটি-ডোমার জনবহুল সড়কের সংস্কার কাজ দীর্ঘদিন থেকে থমকে আছে। ফলে সব শ্রেণীর মানুষের চলাচল করতে চরম দুর্ভোগের স্বীকারে ভূগছে হাজার হাজার মানুষ।
ঠিকাদার মাসের পর মাস অবহেলায় দিন কেটে আসলেও দেখার কেউ নাই। প্রায় দুই বছর থেকে ঠিকাদার ঢিলেঢালে কাজ করায় দিন দিন জনদুর্ভোগে ভুগছে সব শ্রেণীর মানুষ।
জানা গেছে, ২০২৩ সালে চিলাহাটি-ডোমার ২০ কিলোমিটার রাস্তা সংস্কারে জন্য দুইজন ঠিকাদারকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। শুরু থেকে ওই দুই ঠিকাদার ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে ঢিলে ঢালে তাদের ইচ্ছামত কাজ করে আসছে। তখন থেকে অদ্যবধি জনদুর্ভোগে ভুগছে এলাকার মানুষ।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে আসছে। কবে নাগাদ এই সড়কের কাজ শেষ করা হবে তা কেউ বলতে পারেনি। এই সড়ক দিয়ে চলাচল কারীদের যৌন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তেমনি দ্বিগুণ সময় অপব্যবহার করতে হচ্ছে।
সড়কটি ঝুঁকিপূর্ণ থাকায় দীর্ঘদিন থেকে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। সংস্কার কাজ শেষ হলে এই সড়ক দিয়ে পুনরায় বাস চলাচল শুরু হবে এই প্রত্যাশা হাজার হাজার মানুষের। এই সমস্ত মানুষদের অপেক্ষার প্রহর গুনতে হচ্ছে।
ডোমার উপজেলা প্রকৌশলী অফিস সূত্র জানান, চিলাহাটি-ডোমার সড়কের কাজ শেষ করার সময়২৩ জুলাই পর্যন্ত। এই সময়ের মধ্যে বিলের জন্য ঠিকাদার কাজ শেষ করতে পারেনি। তাই তারা সময়সীমা বৃদ্ধি নিয়েছে।
অটো চালক জাহিদুল, জামান বলেন, প্রতিদিন ঝুঁকি পূর্ণ অবস্থায় যাত্রীদের নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।
সড়কের কাজ শেষ না হওয়ায় চিলাহাটি থেকে ডোমার পৌঁছাইতে দুই থেকে তিনগুণ সময় লাগছে। এছাড়া প্রায় সময় দুর্ঘটনার সম্মুখীনে পড়তে হয়। কবে নাগাদ এই দুর্দশার হাত থেকে মুক্ত হব।
চিলাহাটি স্থানীয় রবিউল, হাফিজুর, মনা সহ আরো অনেকে বলেন, ডোমার- চিলাহাটি সড়কটি সংস্কারে নির্দিষ্ট সময়সীমা আছে কি-না। যদি থাকে তাহলে কবে নাগাদ সড়কের কাজ শেষ হবে। প্রভাবশালী ঠিকাদাররা এখনও তাদের প্রভাব খাটিয়ে তাদের ইচ্ছা মত সড়কের কাজ করে আসছে। গত জুনের আগে নামমাত্র সড়কের কাজ শুরু করে বিল তুলার পর আবারও কাজ বন্ধ রাখে।
ডোমার উপজেলা প্রকৌশলী ফিরোজ আলম বলেন, ঠিকাদারকে কাজ শেষ করার জন্য একাধিকবার তাগিদ দেওয়া হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ না হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।