শেখ সমশের আলী, পীরগঞ্জ (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ
পৌর এলাকা সহ ১০টি ইউনিয়নের ১৭৩টি গ্রামে লাম্পি স্কিন রোগে ৫৫টি
গরুর মৃত্যু হয়েছে।
গত ৭ দিনে পৌর এলাকা সহ ১০টি ইউনিয়ন থেকে একাধিক
সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে। গবাদি পশুর লাম্পি স্কিন বা এলএসডি রোগ এ উপজেলায়
ব্যাপক হারে বেড়েছে। যথাযথ চিকিৎসা দিয়েও গবাদী পশু বাঁচানো যাচ্ছে না।
এতে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন কৃষক ও খামারিরা। আক্রান্ত গরু নিয়ে প্রতি দিনই তারা
প্রাণি সম্পদ দপ্তর ও গ্রামীণ চিকিৎসকের কাছে ভীড় করছেন।
জানা গেছে, মশা-
মাছি ও খাবারের মাধ্যমে এক গরু থেকে অন্য গরুতে এ রোগ ছড়ায়। আক্রান্ত গরুর
গা হঠাৎ গরম হয়ে যায়। শরীরজুড়ে ছোট ছোট আঁচিলের মতো গুটি ওঠে, চামড়া
উঠে ঘা হয়ে যায়, গরু খাওয়া ছেড়ে দেয়, চোখ দিয়ে পানি ঝরতে ঝরতে অন্ধ হয়ে
যেতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। খুরা রোগের চেয়েও এটি ভয়ংকর রোগ।
সাধারণত গ্রীষ্মের শেষে ও বর্ষার শুরুতে এ রোগের প্রকোপ দেখা দেয়। গত শুক্রবার
থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত উপজেলার সিংগারোল গ্রামের মাহাবুব আলম জুয়েল,
আব্দুল হামিদ, মিস্টার আলী, সাহেদ আলী, ভেমটিয়া গ্রামের আব্দুল গফ্ধসঢ়;ফার, রনশিয়া
গ্রামের মজিবর রহমান সহ ৪৪ ব্যক্তির ৫৫টি গরু এ রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে।
বর্তমানে গবাদী পশুর মালিকদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এ ব্যাপারে পীরগঞ্জ প্রাণী
সম্পদ দপ্তরের ভ্যাটিরিনারী সার্জন ডাঃ রমজান আলী জানান, সম্প্রতি গবাদী পশুর
মধ্যে এ রোগ দেখা দিয়েছে। কিছু গবাদী পশু মারা গেছে এবং আক্রান্ত গবাদী পশুর
চিকিৎসা সেবা নিশ্চত করার লক্ষ্যে আমি ও আমার জনবল মাঠ পর্যায়ে কাজ করছি।