ছাদেকুল ইসলাম রুবেল,গাইবান্ধা : গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার চাঞ্চল্যকর কুমারী মাতার নব জাতক সন্তান ঘাতক মা ফাতেমা (২০) ও তার মা গোলাপী বেগম (৪২) এর নামে হত্যা মামলা হওয়ার ১২ ঘন্টার মধ্যেই থানা পুলিশ তাদের আটক করেন।
আটককৃতরা হলেন আসমতপুর গ্রামের রনজুর মেয়ে ফাতেমা আকতার ও রনজুর স্ত্রী গোলাপি বেগম ।
গতকাল ৩০ মে শুক্রবার বিকালে উপজেলার আসমতপুর নিজ বাড়ী থেকে মা ও মেয়েকে থানা পুলিশ আটক করেছে।
আসমতপুর গ্রামের শফিকুল মন্ডলের পুত্র ইয়াসিন বাদী হয়ে পলাশবাড়ী থানায় রনজু, মেয়ে ফাতেমা আকতার ও রনজুর স্ত্রী গোলাপি বেগম নামে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ২৬
এজাহার সুত্রে জানা যায় ১৭ মে উপজেলার কিশোরগাড়ী উপজেলার আসমতপুর কুমারী মাতা ফাতেমা সন্তান প্রসাব ব্যাথা উঠলে প্রথমে পলাশবাড়ী হাসপাতালে ভর্তি হউন। পরে গাইবান্ধা রাবেয়া ক্লিনিকে ভর্তি হলে একটা পুত্র সন্তান জন্ম দেন।
গত ১৯ মে সোমবার গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার আসমতপুর গ্রামের বালেয়াগাড়ী বিল হতে সাড়ে চারটার দিকে অজ্ঞাত পরিচয় এক নবজাতক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছিল পুলিশ।
প্রাথমিক ভাবে পরিচয় না মেলায় স্থানীয় গ্রাম পুলিশ সাহেব মিয়ার ছেলে মশিউর রহমান বাদি হয়ে একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করেন যার নং ১৭/১৯/০৫/২৫
মঙ্গলবার (২০ মে) মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
এ নিয়ে উপজেলা জুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠে।
মামলার বিবরণে জানাযায় স্থানীয় রনজুর মেয়ে ফাতেমা শিকার করেন তার বিবাহ না হওয়ায় অবৈধ মেলামেশার কারনে তার গর্ভে সন্তান আসায় তার পরিচয় দিতে না পারায় নবজাতক সন্তানকে নিজে হাতে হত্যা করতে বাধ্য হয়েছি।
গত ১৬ মে প্রসব বেদনা উঠলে তার মা গোলাপি বেগম গাইবান্ধা সদরে রাবেয়া ক্লিনিকে ভর্তি করান এবং ওই দিনই নরমাল ভাবে একটি ফুটফুটে পুত্র সন্তানের জন্ম হয়।
এমতো অবস্থায় তার মা ও বাবা সহযোগিতায় ১৭ মে রাত্রি ৯:৩০ ঘটিকায় বাড়িতে নিয়ে আসেন এবং ওই রাত্রি ১১:৩০ ঘটিকায় তার পিতা এবং মাতার সহযোগিতায় নিজে হাতে শিশু বাচ্চাটিকে নাক মুখ চেপে ধরে হত্যা করে বলে জানান।
এবং পিতা মাতার সহযোগিতায় আসমতপুর গ্রামের বালিয়াগাড়ী বিলে পানিতে ফেলে রেখে আসে।
৬ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য জানান, এই রকম ঘৃণ্য অপরাধের জন্য যে দায়ী সরেজমিনে তদন্ত করে নবজাতকের পিতার পরিচয় বের করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবী জানান।
এ বিষয়ে পলাশবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলি ভুট্টা জানান,এ বিষয়ে আমরা একটা অভিযোগ পেয়েছি।আমাদের প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।