খালেক পারভেজ লালু, উলিপুর (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি :উলিপুরে নেশার টাকার জন্য ফুফুকে শ্বাসরোধে হত্যার পর তার স্বর্ণালংকার লুটের অভিযোগ উঠেছে ভাতিজা রুবেল হোসেনের (২৪) বিরুদ্ধে।
গত ১২ মে রাতে উপজেলার পান্ডুল ইউনিয়নের ছাট কাগজীপাড়া গ্রামে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটে।
নিহত গোলেনুর বেগম (৬০) একই গ্রামের ইউসুফ আলীর মেয়ে। অভিযুক্ত রুবেল হোসেন কফিল উদ্দিনের ছেলে এবং নিহতের আপন ভাতিজা। ঘটনার সময় তার সঙ্গে এক অজ্ঞাতনামা বন্ধুও ছিল বলে জানা গেছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মোস্তাফিজার আকালু জানান, ঘটনার রাতে রুবেল হোসেন ও তার সঙ্গী বাড়িতে এসে গোলেনুর বেগমের কাছে নেশার টাকা ও ড্রাইভিং লাইসেন্সের অজুহাতে টাকা চান। গোলেনুর বেগম টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে তারা ঘুমিয়ে পড়েন। এরপর গভীর রাতে রুমের পার্টিশনের টিন খুলে গোলেনুর বেগমের ঘরে ঢুকে গলায় গামছা পেঁচিয়ে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়।
পরে তার নাকের স্বর্ণের ফুল, কানের দুল ও গলার চেইনসহ একই বাড়িতে থাকা কোহিনুর বেগমের স্বর্ণালংকার লুট করে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা।
পরদিন সকালে কোহিনুর বেগম ঘুম থেকে উঠে নিজের গহনা খোয়া যেতে দেখে সন্দেহ করেন। পরে গোলেনুর বেগমকে ডাকতে গিয়ে সাড়া না পেয়ে ঘরের দরজা ধাক্কা দিলে তা খুলে যায়। ঘরে ঢুকে দেখা যায়, গলায় গামছা পেঁচানো ও পা কাপড় দিয়ে বাঁধা অবস্থায় গোলেনুর বেগম নিথর পড়ে আছেন। নাক দিয়ে রক্ত ঝরছিল।
ঘটনার পর নিহতের বড় ভাই আব্দুল আজিজ বাদী হয়ে উলিপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে উলিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জিল্লুর রহমান জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুড়িগ্রাম মর্গে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে পুলিশ জোর তৎপরতা চালাচ্ছে।