পার্বতীপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: ফাটলকৃত বাড়ির ক্ষতিপুরণসহ চারদফা দাবিতে পার্বতীপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি এলাকার চৌহাটি গ্রামের শত শত নারীপুরুষ খনির প্রধান গেইট অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছে।
গতকাল রবিবার বেলা ১১ টার দিকে ‘জীবন ও বসতভিটা রক্ষা কমিটি’র ব্যানারে এ বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় বক্তব্য রাখেন- জীবন ও বসতভিটা রক্ষা কমিটির সভাপতি চৌহাটি গ্রামের মতিয়ার রহমান, হযরত আলী, গোলাম রহমান, আতাউর রহমান প্রমুখ। বক্তরা বলেন, চৌহাটি গ্রামের মধ্যে কয়লার প্রধান কার্যালয়, ভূগর্ভে প্রবেশ ও কয়লা উত্তোলনের মেইন শ্যাফট ও অক্সিলারী শ্যাফট, কোল ইয়ার্ডসহ যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। কয়লা খনি উন্নয়ন ও কয়লা উত্তোলনের কারণে চৌহাটিসহ পূর্ব-দক্ষিণ ও দক্ষিণ পাশের ১২-১৩টি গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং প্রতিনিয়ত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় অন্যান্য গ্রামের জমি অধিগ্রহণসহ ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হলেও চৌহাটি গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত বসতবাড়ির কোন ক্ষতিপূরণ কখনই দেওয়া হয়নি। বারবার আবেদন করেও খনি কর্তৃপক্ষ গত প্রায় ২৫ বছরে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘরের সার্ভে করা হয়নি বলে অভিযোগ করেন ক্ষতিগ্রস্থরা। তারা বলেন, ক্রমান্নয়ে বাড়িঘরের ফাটল বৃদ্ধি পাচ্ছে। জীবনের ঝুকি নিয়ে পরিবার পরিজনসহ সেখানে বসবাস করতে হচ্ছে।
এ অবস্থায় আগামী ৯ অক্টোবরের মধ্যে খনি কর্তৃপক্ষ ফাটলকৃত বাড়ির সার্ভে শুরু না করলে কঠোর থেকে কঠোরতর আন্দোলন গড়ে তুলে দাবি আদায় করা হবে বলে ‘জীবন ও বসতভিটা রক্ষা কমিটি’র সভাপতি মতিয়ার রহমান হুসিয়ারী দেন। এর আগে চৌহাটি গ্রাম থেকে শতশত নারীপুরুষ বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে খনির প্রধান গেটের সামনে সমবেত হয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। এতে করে বেলা ১১ টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত খনি গেট বন্ধ হয়ে যায়। ফলে খনি থেকে কেউ বাহির বা প্রবেশ করতে পারেননি।
এবিষয়ে জানতে চাইলে বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের (বিসিএমসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম জানান- চৌহাটি গ্রামের লোকজন মানববন্ধন করে তাদের দাবি জানিয়েছে। ওই এলাকাটি অধিগ্রহণের চিন্তাভাবনা আছে। এটা নিয়ে সরকারের অন্য পরিকল্পনা রয়েছে। এজন্য তাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়নি। তাছাড়া কিছু বাড়িঘরে ফাটল ধরেছে হালকা। তেমন কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে এমডি বলেন।