Type Here to Get Search Results !

ফুলবাড়ীতে জমির শাক-সবজির গাছ কেটে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা

আফজাল হোসেন, ফুলবাড়ী থেকে: দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে রাতের অন্ধকারে ১০ শতাংশ জমিতে লাগানো পটল, ঢেড়স, করলা, বরবটি, পুুঁইশাকসহ বিভিন্ন প্রকার শাক সবজির গাছ কেটে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে পথে বসেছেন বর্গাচাষি দিনমজুর লাল বাবু রায়। ঘটনাটি ঘটেছে, গত বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) দিবাগত রাতের কোনো এক সময়ে ফুলবাড়ী উপজেলার ৭নং শিবনগর ইউনিয়নের বহিলহারপুর গ্রামে। বর্গাচাষি দিনমজুর লাল বাবু রায় বলেন, খেতখামারে দিনমজুরির পাশাপাশি বাড়তি আয়ের আশায় গ্রামের মধ্যে থাকা ফুলবাড়ী পৌরশহরের শিবু দত্ত নামের এক ব্যক্তি ১০ শতাংশ জমি ১৬ হাজার টাকা বছর চুক্তিতে বর্গা নিয়েছেন। বর্গা নেওয়া ১০ শতাংশ জমিতে জমিতে লাগানো পটল, ঢেড়স, করলা, বরবটি, পুুঁইশাকসহ বিভিন্ন প্রকার শাক সবজি আবাদ করেছেন। ইতোমধ্যে গাছে পটল, বরবটি, করলা, পুঁইশাক ধরেছে। বাবু লাল রায় প্রতিদিন মজুরি দিতে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে যান। এ সময় বর্গা নেওয়া ওই জমির শাক-সবজির আবাদ দেখাশুনা করেন তার মা কল্যাণী রানী রায়। কিন্তু কারো সাথে কোনো প্রকার শত্রুতা না থাকলেও কে বা কারা গত বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) দিবাগত রাতের কোনো এক সময়ে শত্রুতা করে পুরো ১০ শতাংশ জমিতে আবাদ করা শাক-সবজির গাছ কেটে দিয়েছে। এতে বর্গার জন্য দেওয়া ১৬ হাজার টাকার সঙ্গে আবাদের খরচ প্রায় ২০ হাজার টাকা পুরোটাই লোকসানে পড়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। বাবু লাল রায়ের মা কল্যাণী রানী রায় বলেন, এতোদিন শরীরের পরিশ্রম ধারদেনা করে টাকা জোগান দিয়ে আবাদ করা হয়েছিল। আশা ছিল আবাদ করে কিছু লাভ হলে সেই লাভের টাকা দিয়ে চাল কিনে রাখবেন পরিবারের লোকের খাবার জন্য। কিন্তু শত্রুতা করে খেতের সব গাছে কেটে দেওয়ায় বড় ধরনের ঋণদেনায় পড়ে গেছে পুরো পরিবার। প্রতিবেশি ভাদু চন্দ্র রায় (৭০) ও কলেজ ছাত্র তনু রানী রায় (২২) বলেন, বাবু লাল রায়ের কারো সাথে কোনো শত্রুতা নেই, তারপরও যারা তার আবাদ নষ্ট করে দিয়েছে তাদের কখনো ভালো হবে না। শিবনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ছামেদুল ইসলাম মাস্টার বলেন, বিষয়টি তার জানা নেই, তবে ওই গ্রামে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত বাবু লাল রায়ের পরিবারকে কিছু সহায়তা করার চেষ্টা করবেন। থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাফিজার রহমান বলেন, শাক-সবজি নষ্ট করার ঘটনার কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পাওয়া গেছে তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিভাগ