Home » » ধাপেরহাট ইউপি উপনির্বাচনে স্বামী-স্ত্রী সহ ৯ প্রার্থী

ধাপেরহাট ইউপি উপনির্বাচনে স্বামী-স্ত্রী সহ ৯ প্রার্থী

চিলাহাটি ওয়েব ডটকম : Wednesday, March 6, 2024 | 3/06/2024 11:23:00 PM

ছাদেকুল ইসলাম রুবেল, গাইবান্ধা প্রতিনিধি, চিলাহাটি ওয়েব : জেলার সাদুল্লাপুর উপজেলার ধাপেরহাট ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান পদে শূন্য আসনে উপনির্বাচন ৯ মার্চ ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
এ নির্বাচনের চশমা প্রতীক প্রার্থী শহিদুল ইসলাম শিপনের প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী হয়েছেন তারই স্ত্রী শামীমা আখতার ছনিয়া ও সহোদর ভাই জাহিদ হাসান সেলিম। এছাড়া নজরুল ইসলাম নামের মোটরসাইকেল প্রতীক প্রার্থীর বিপরীতে অংশ নিয়েছন তারই ভাতিজা সজল মিয়া। স্থানীয়রা জানায়, ওইসব প্রার্থীর মধ্যে ভোটের মাঠে লড়ছেন শিপন ও নজরুল। আর ছনিয়া, সেলিম ও সজল নামের এই তিন প্রার্থী প্রতীক বরাদ্দ নিলেও তাদের মাঠে নেই পোস্টার কিংবা প্রচারণা। তারা নিজ নিজ প্রার্থী হয়েও কাজ করেছেন চাচা, স্বামী ও ভাইয়ের পক্ষে। এ প্রার্থীদের ডিগবাজি কাণ্ড নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যকর সৃষ্টি হয়েছে বলে একাধিক ভোটার জানিয়েছে। উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে—ওই ৫ প্রার্থী ছাড়া এখানে আরও ৪ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন—ঘোড়া প্রতীকে নুরে আলম সিদ্দিকি মিঠু, আনারস প্রতীকে জিয়াউর রহমান জিয়া, দুটিপাতা প্রতীকে আল মামুন মন্ডল ও টেবিল ফ্যান প্রতীকে নবাকুল ইসলাম। সম্প্রতি নির্বাচনি এলাকা ঘুর দেখা গেছে, ইতোমধ্যে প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা তুঙ্গে উঠেছে। উঠান বৈঠক করাসহ মাইক প্রচার ও কর্মী-সমর্থক নিয়ে প্রার্থীরা ছুটছেন ভোটারদের দুয়ারে দুয়ারে। এলাকার নানা উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটপ্রার্থনা করছেন তারা। বিশেষ করে ভোটযুদ্ধে মাঠে লড়ছেন শহিদুল ইসলাম শিপন, নজরুল ইসলাম ও নুরে আলম সিদ্দিকি মিঠু। এই তিন প্রার্থীর মধ্যে মূল লড়াই হবে বলে ভোটারদের ধারণা। আর টেবিল ফ্যান প্রতীকে নবাকুল ইসলাম নামের প্রার্থীর নাম শোনা গেলেও তার কোন পোস্টার বা প্রচারণা দেখা যায়নি। সাদুল্লাপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রির্টানিং অফিসার আতাউল হক বলেন, ধাপেরহাট ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ২৫ হাজার ৪০৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১২ হাজার ৫৯৬ ও নারী ১২ হাজার ৮০৭। আগামী ৯ মার্চ সকাল ৮ টা থেকে বিকেল ৪ পর্যন্ত ১২টি ভোটকেন্দ্রে ব্যালটের মাধ্যমে ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। ধাপেরহাট ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শফিকুল কবির মিন্টুর মৃত্যুজনিত কারণে পরিষদের চেয়ারম্যান পদটি শূন্য ঘোষণা করা হয়।