ইব্রাহীম মিঞা, বিরামপুর(দিনাজপুর) প্রতিনিধি :দিনাজপুরের বিরামপুরে আমের মুকুলের মৌ মৌ গন্ধ বাতাসে ভাসছে ।
উপজেলার প্রতিটি এলাকা জুড়ে এখন সর্বত্র গাছে গাছে আমের মুকুল আর মুকুল। মুকুলের ভারে নুয়ে পড়ছে আম গাছের ডালপালা। বাতাসে ভাসছে আমের মুকুলের মৌ মৌ গন্ধ,যে গন্ধ মনকে বিমোহিত করে। পাশাপাশি মধুমাসের আগমনী বার্তা দিচ্ছে আমের মুকুল। আম বাগানের সারি সারি গাছে শোভা পাচ্ছে কেবলই মুকুল। মুকুলে ছেয়ে আছে গাছের ডালপালা প্রতিটি ডালে ভাসছে কৃষকের সোনালী স্বপ্ন এ যেন কাঁচা সোনা। তবে আমের ফলন নির্ভর করছে আবহাওয়ার ওপর। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর আমের বাম্পার ফলনের আশা করছেন বিরামপুর উপজেলার বাগান মালিকরা।
মৌসুমের শুরুতে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় মুকুলে ভরে গেছে বাগানসহ ব্যক্তি উদ্যোগে লাগানো আম গাছগুলো। তবে বড় আকারের চেয়ে ছোট ও মাঝারি আকারের গাছে বেশি মুকুল ফুটেছে। সেই মুকুলের মৌ মৌ গন্ধে বাগান মালিকদের চোখে ভাসছে সফলতার স্বপ্ন। দেশি আমের পাশাপাশি আম্রোপালি, গোপালভোগ, ল্যাংড়া, ফজলি জাতের আম অন্যতম। বিরামপুর উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, আম গাছে শোভা পাচ্ছে কেবলই মুকুল। এ যেন হলুদ আর সবুজের মহামিলন। মুকুলে ছেয়ে আছে গাছের প্রতিটি ডালপালা। চারদিকে ছড়াচ্ছে সেই মুকুলের সুবাসিত পাগল করা ঘ্রাণ। যেদিকে তাকাই গাছে গাছে এখন শুধু দৃশ্যমাণ সোনালী মুকুলের আভা। মুকুলের ভারে নুইয়ে পড়ার উপক্রম প্রতিটি গাছ। মৌমাছিরাও আসতে শুরু করেছে মধু আহরণে। শীতের জড়তা কাটিয়ে কোকিলের সেই সুমধুর কুহুতানে মাতাল করতে আবারও ফিরে এসেছে ঋতুরাজ বসন্ত।
বিরামপুর উপজেলার অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম ইলিয়াস বলেন এবার উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ৭টি ইউনিয়নে ১০৪ হেক্টর জমিতে আমের বাগান রয়েছে এতে আনুমানিক লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ২ শত ৪৮ মেট্রিকটন ।বাগানের মালিকগণ,কৃষি কর্মকর্তা ও আম চাষিরা আশা করছেন, বড় ধরনের কোনো প্রাকৃতিক দূর্যোগ না হলে এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে উপজেলায় আমের বাম্পার ফলন হবে। বর্তমানে আমচাষি ও বাগান মালিকরাও বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।