ছাদেকুল ইসলাম রুবেল,গাইবান্ধা : গাইবান্ধা-২ (সদর) আসনে স্বামী-স্ত্রী দুজনেই স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ভোটের মাঠে লড়াই করছেন। স্বামী শাহ সারোয়ার কবীর ট্রাক প্রতীকে এবং তার স্ত্রী মাসুমা আক্তার ঈগল প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।
স্বামী-স্ত্রী দুই প্রতীকের প্রার্থী হলেও মাসুমা আক্তার গণসংযোগ ও ট্রাক প্রতীকে ভোট চাচ্ছেন তার স্বামী শাহ সারোয়ার কবীরের জন্য। তিনি সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় স্বামী শাহ সারোয়ার কবীরের সঙ্গে ঘুরে ঘুরে প্রচারণা চালিয়ে ট্রাক প্রতীকে ভোট চাইছেন।
শাহ সারোয়ার কবীর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।
দল থেকে নৌকার মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন তিনি।
এরই মধ্যে স্বামীর পক্ষে মাসুমা আক্তারের প্রচারণা ও নির্বাচনি সভা-উঠান বৈঠকের বক্তব্যে ট্রাক প্রতিকে ভোট প্রার্থনার ছবি-ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
নিজে প্রার্থী হয়ে অপর প্রার্থী স্বামী শাহ সারোয়ার কবীরের পক্ষে এমন প্রচারণার বিষয়টি এলাকায় ব্যাপক কৌতূহল ও আলোচনার জন্ম দিয়েছে। সেই সঙ্গে স্বামী-স্ত্রীর এমন অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন মহলসহ ভোটারদের মধ্যে দেখা দিচ্ছে ভিন্ন মত।
একসঙ্গে স্বামী-স্ত্রী স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে শাহ সারোয়ার কবীর বলেন, স্ত্রীর প্রার্থিতার বিষয়টি তেমন কিছু না। আমাকে নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র ছিল। এ কারণে দুজনই প্রার্থী হয়েছি। তবে স্ত্রী ভোটের মাঠে তার পক্ষেই কাজ করছেন। প্রচারণা ও গণসংযোগে মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া পাচ্ছি।
এখানে অন্য তি নজন প্রতিদ্বন্দ্বী থাকলেও শেষ পর্যন্ত ট্রাকের জয় হবে।
জেলার সদর উপজেলার একটি পৌরসভা ও ১৩টি ইউনিয়ন পরিষদ নিয়ে গঠিত গাইবান্ধা-২ আসন। মোট তিন লাখ ৮১ হাজার ৯৬৯ জন ভোটারের এ আসনে এবার স্বামী-স্ত্রীসহ পাঁচ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকে লড়ছেন সাবেক এমপি আব্দুর রশিদ সরকার।
এ ছাড়া জাসদের মশাল প্রতীকে গোলাম মারুফ মনা ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) আম প্রতীকে লড়ছেন জিয়া জামান খান।
জোটগত সিদ্ধান্তে আওয়ামী লীগ আসনটি জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেয়। ফলে নৌকা মনোনীত প্রার্থী টানা তিনবারের নির্বাচিত এমপি মাহাবুব আরা বেগম গিনি প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন।