Home » » তিন শতাধিক পরিবারের চোখেমুখে আতঙ্কের ছাপ

তিন শতাধিক পরিবারের চোখেমুখে আতঙ্কের ছাপ

চিলাহাটি ওয়েব ডটকম : Saturday, July 15, 2023 | 7/15/2023 11:34:00 PM

এস.এম.রকি, খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি,চিলাহাটি ওয়েব : চোখেমুখে আতংকের ছাপ দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় ৫নং ভাবকী চাকিনীয়া গ্রাম, খামারপাড়া ইউনিয়নের মালিজালের ঘাট ও জোয়ার গ্রামের আত্রাই নদী তীরবর্তী প্রায় ৩শ পরিবারের। বর্ষায় নদী ভাঙনে এই দুই অঞ্চলের প্রায় ২৫০ একর আবাদি কৃষি জমি বিলীন হয়ে গেছে। হুমকির মুখে রয়েছে প্রায় তিন শতাধিক পরিবার। 
বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভাবকী ইউনিয়নের পশ্চিম-দক্ষিণে অবস্থিত চাকিনীয়া গ্রাম, খামারপাড়া ইউনিয়নের জোয়ার ও মালিজালের ঘাট দাসপাড়ায় আত্রাই নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়ে গেছে। এ ঘটনায় স্থানীয় মানুষের জীবিকা নির্বাহের একমাত্র সম্বল কৃষি জমি হারিয়ে অনেকে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন। এছাড়াও প্রতিদিন ভাঙ্গনের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় নদীর পাশ দিয়ে চলাচলের একমাত্র সড়ক ভাঙনের মুখে। স্থানীয়রা জানান, গত তিন বছর আগে বর্ষাকালে হঠাৎ করে নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়ে আবাদি জমির ওপর দিয়ে স্রোত যায়। এতে প্রায় আমাদের প্রায় ২৫০ একর আবাদী জমি নদীতে পরিণত হয়ে যায়। আর এ বছর ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে একেবারে বাড়ির কাছে এসে পৌছেঁছে। এমনকি নদীর পাশ দিয়ে চলাচলের একমাত্র রাস্তা যেকোন সময় ভেঙে যেতে পারে। বাড়িঘর গুলো নিয়ে হুমকির মধ্যে রয়েছে। 
নদী ভাঙ্গন রোধে ও বাড়িঘর রক্ষার জন্য নদীতে বাঁধ নির্মাণের জন্য ভুক্তভোগীরা প্রধানমন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। নদীর পাড়ের বাসিন্দা আব্দুল গনি বলেন, আমার ৩ বিঘা জমি চাষ করে সংসার চলত। এ বছর নদীতে সেই শেষ সম্বল জমি ও গাছ বিলীন হয়ে গেছে। বর্তমানে বসতবাড়ি নিয়ে হুমকির মধ্যে রয়েছি। হতাশার কন্ঠে নদীর পাড়ের আরেক বাসিন্দা সামাদ জানান, নদী ভাঙতে ভাঙতে আমার বাড়ির কাছে চলে এসেছে। এ বছর মনে হয়, আমার বাড়িতে থাকা হবে না। কেমন করে পরিবার নিয়ে থাকবো, সেই চিন্তায় আছি। দুঃখের সহিত রশিদ মিয়া বলেন, ধীরে ধীরে আত্রাই নদী আমাদের খেয়ে ফেলছে। এভাবে নদী ভাঙন অব্যাহত থাকলে ভবিষ্যতে এ চাকিনিয়া গ্রামের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা কঠিন হয়ে পড়বে। স্থানীয় ইউপি সদস্য মকবুল হোসেন বলেন, আমারও ৫ বিঘা জমি নদীতে চলে গেছে। নদী ভাঙ্গন রোধে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের পরামর্শে উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানিয়েছি। ভাবকী ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল আলম তুহিন বলেন, বিষয়টি আমি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে নদী ভাঙ্গন রোধে যেকোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। খামারপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক চৌধুরী বলেন, আত্রাই নদী ভাঙনের ফলে আমরাও চিন্তিত। দ্রুত ভাঙন রোধে সংশ্লিষ্টদের সুদৃষ্টি প্রয়োজন।