Type Here to Get Search Results !

ঈদের মাঠে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ

চিলাহাটি ওয়েব ডেস্ক : বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলায় ঈদের মাঠে পটকা (আতশবাজি) ফাটানোকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ২০জন আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে ১৩ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আদিখালী ও কাঠিপাড়া গ্রামবাসীর মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) বেদবতী মিস্ত্রী ও থানার পরিদর্শক এএইচএম কামরুজ্জামান খান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
কাঠিপাড়া গ্রামের আহতদের মধ্যে চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন, অহিদুল শেখ (৪০), আবুল হাসান (৩০), আলমগীর শেখ (৪৫), মকবুল শেখ (৫০), রবিউল ইসলাম (৫৫) ও কালু শেখ (৩৫)। অপরদিকে, আদিখালী গ্রামের আহতদের মধ্যে চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন, খায়রুল ইসলাম (২৫), ইসমাইল হোসেন (১৯), জুয়েল শেখ (২০), মোহম্মদ শেখ (২৮), শাহজাহান শেখ (৩০), রবিউল শেখ (৪০) ও স্বাধীন শেখ (১৬)।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শনিবার সকালে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে কাঠিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে বিভিন্ন দোকান বসে।
এ সময় আদিখালী গ্রামের কিশোর স্বাধীন শেখ ও খাইরুল আতশবাজিতে আগুন ধরিয়ে কাঠিপাড়া গ্রামের অহিদুল শেখের চটপটির দোকানের মধ্যে ছুড়ে মারে। বাজির শব্দে ক্রেতারা ভয় পায়। এ নিয়ে কাঠিপাড়ার লোকজন স্বাধীন শেখকে মারধর করে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কাঠিপাড়া ও আদিখালী গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে বেধে যায়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ২০জন আহত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
কাঠিপাড়া গ্রামের চটপটি দোকানী অহিদুল শেখ জানান, আদিখালী গ্রামের স্বাধীন শেখ তার দোকানের মধ্যে আতশবাজি ফাটালে এলাকার লোকজন তাকে কয়েকটি চড়-থাপ্পড় দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আদিখালীর লোকজন আমাদের পিটিয়ে আহত করেছে।
পটকা ছুড়ে মারার অভিযোগে অভিযুক্ত আদিখালী গ্রামের স্বাধীন শেখের চাচা রবিউল শেখ জানান, কাঠিপাড়ার লোকজন আমার ভাইপো স্বাধীনকে মেরে বেঁধে রাখে। আমরা তাকে ছাড়িয়ে আনতে গেলে আমাদের লোকজনকে পিটিয় আহত করেছে।
চিতলমারী থানার ওসি এএইচএম কামরুজ্জামান খান জানান, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে মারামারি হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।