শেখ সমশের আলী, পীরগঞ্জ (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি : ৫ লাখ টাকা
জ্বালানি তেলের মূল্য পরিশোধ করতে না পারায় পীরগঞ্জ সরকারি হাসপাতালে
এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস বন্ধ রয়েছে। সরকারি নতুন এ্যাম্বুলেন্সটি ১৫ দিন ধরে
বন্ধ থাকায় মুমুর্ষ ও রেফার্ডকৃত রুগীরা চরম বিপাকে পরেছে। পীরগঞ্জ
গুয়াগাঁও এলাকার পদ্মা অয়েল কোম্পানির ডিলার ও আলম ফিলিং ষ্টেশন
কর্তৃপক্ষ পীরগঞ্জ হাসপাতালের এ্যাম্বুলেন্সে জ্বালানি সরবরাহ করতেন।
৫ লাখ
টাকা তেলের বিল বকেয়া থাকায় এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যথা সময়ে
পরিশোধ করতে না পারায় ওই প্রতিষ্ঠানের মালিক এ্যাম্বুলেন্সে তেল সরবরাহ
বন্ধ করেছে। তেল সরবরাহ না করায় এ্যাম্বুলেন্সটি বর্তমানে রুগীর সেবা
দিতে পারছে না। এ্যাম্বলেন্সটি হাসপাতালের গোডাউনের ভিতরে তালা বদ্ধ
করে রেখেছে কর্তৃপক্ষ।
এ্যম্বুলেন্সটি চলাচল না করায় গাড়ির ব্যাটারি ও
অন্যান্য যন্ত্রাংশ অকেজো হচ্ছে। পাশাপাশি দিনাজপুর ও রংপুর মেডিকেল
কলেজ হাসপাতালে রেফার্ডকৃত রুগীরা প্রাইভেট ও লক্কর ঝক্কর এ্যাম্বুলেন্সে
করে সরকারি ভাড়ার দ্বিগুন ভাড়া নিয়ে রুগী নিয়ে যাচ্ছে অভিভাবকরা।
রুগীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে এবং রুগীর খরচের ব্যায় বাড়ছে
বলে বৃহস্পতিবার সিংগারোল গ্রামের ভূক্তভুগী রুগী আব্দুল বাতেন
জানান।
পীরগঞ্জ সরকারি হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে
এ্যম্বুলেন্স সার্ভিসের জন্য প্রতি মাসে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত ভুর্তুকি
দিবে কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যে পরিমান রুগী বহন করেছে তার
ভুর্তুটি মাসে প্রায় ২ লাখ টাকা।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এ্যাম্বলেন্স
সার্ভিসের নির্ধারিত ভুর্তুকির পরিমানের চেয়ে দ্বিগুন ভুর্তুকি হওয়ায়
মন্ত্রণালয় এ অর্থ পরিশোধ করতে নারাজ। হাসপাতাল থেকে গত তিন মাসে
যেসব রুগী বহন করেছে তার এ্যাম্বলেন্স ভাড়ার অর্থ টেজারি চালানের
মাধ্যমে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছেন।