শ্যামলিমাময় বাংলার পথে প্রান্তরে আপন রূপের মহিমা ছড়ায় দৃষ্টিনন্দন লতানো এই গাছ। দেশের সব জায়গায় দেখা যায় স্বর্ণলতা। গ্রামে বসবাসকারী বা গ্রামে যাওয়া আসা করেন এমনসব মানুষ এই লতাটিকে চেনেন।
পরজীবী এই উদ্ভিদ বেশিরভাগ দেখা যায় বড়ই গাছের কাণ্ডে। এর সবুজাভ সোনালি উজ্জ্বল রঙ বহুদূর থেকে নজর কেড়ে নেয় দর্শকের। এই লতিকার বেড়ে ওঠা ভরা মৌসুম মূলত পৌষ থেকে চৈত্র মাস। তবে এই সময়ের আগে-পরেও এই তৃণলতা জন্মে। ভরা মৌসুমের বাইরেও বেঁচে থাকে স্বর্ণলতা।
পৌষের শিশিরভেজা মৃদু বাতাসে নীলফামারী জেলার চিলাহাটির বিভিন্ন এলাকায় হলুদ রঙের গালিচায় মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে আলোকলতা। দূর থেকে দেখলে মনে হয় ঝুরি ঝুরি হলদে সুতা ঝুলে আছে। এর ওপর রোদ পড়লে চকচক করে।
শীতের পাতাঝরা প্রকৃতিতে মোহনীয় সৌন্দর্য ছড়ায় আলোকলতা। তবে গ্রামে এখন খুব কমই দেখা যায় এ আলোকলতা। জীবন্ত গাছে জন্ম নিয়ে পরগাছকে অবলম্বন করে টিকে থাকে।
আলোকলতা একটি পরজীবী উদ্ভিদ। গাছেই এর জন্ম, গাছেই বেড়ে ওঠা, বংশবিস্তার। কোনো পাতা নেই, লতাই এর দেহ-কাণ্ড-মূল সব। সোনালি রঙের চিকন লতার মতো বলে এরূপ নামকরণ।