ফুলবাড়ীতে ভুট্টা চাষে ব্যাপক আগ্রহী হয়ে ওঠেছেন কৃষক

চিলাহাটি ওয়েব ডটকম : Sunday, March 24, 2024 | 3/24/2024 11:51:00 PM

আফজাল হোসেন, ফুলবাড়ী প্রতিনিধি: দিনাজপুরের ফুলবাড়ী পৌরসভাসহ উপজেলার ৭ টি ইউনিয়নে চলতি মৌসুমে ৩ হাজার ৭৮০ হেক্টর জমি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও শেষতক ৪ হাজার ১০ হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষ করা হয়েছে। এ চাষাবাদ থেকে ৪৮ হাজার ১২০ মেট্রিক টন ভুট্টা উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে মনে করছেন উপজেলা কৃষি বিভাগ। অন্যান্য ফসলের তুলনায় অধিক লাভজনক হওয়ায় ভুট্টা চাষে ঝুঁকছেন উপজেলার কৃষকেরা। 
চলতি মৌসুমে কাবেরী ৫৪, এমকে ৪০, পালোয়ান, সুপার শাইন, কাবেরী ৪৪, সিনজেনটা ৭৭২০ সহ বিভিন্ন জাতের ভুট্টা চাষ করা হয়েছে। উপজেলার অপেক্ষাকৃত উঁচু জমিগুলোতে আগাম জাতের ভুট্টা চাষ করা হয়েছে। চাহিদার সাথে বাজার মূল্য বেশি ও অধিক লাভ হওয়ায় এবার বোরো ধানের জমিতেও আগাম জাতের ভুট্টা চাষ করা হয়েছে। উপজেলার শিবনগর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের কৃষক যোতিষ চন্দ্র রায় জানান, গত বছর ভুট্টার দাম ভালো পাওয়ায় এ বছর বর্গা নিয়ে ৩ বিঘা জমিতে ভুট্টার চাষ করেছেন। ভুট্টা বিক্রি ছাড়াও ভুট্টার গাছ জ্বালানী হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এছাড়াও যেসব জমিতে এক সময় বোরো চাষ করা হতো সেসব জমিতে কৃষকেরা এখন ভুট্টা চাষ করছেন। 
উপজেলার চককবীর গ্রামের খবির শেখ জানায়, ধানসহ অন্যান্য ফসলের তুলনায় ভুট্টা চাষে খরচ ও শ্রম কম এবং দাম বেশি পাওয়ায় কৃষদের মাঝে ভুট্টা চাষে আগ্রহ বাড়ছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রুম্মান আক্তার বলেন, ভুট্টা থেকে গবাদিপশুসহ মাছ ও মুরগির খাদ্য উৎপাদন এবং গাছ জ্বালানী হিসেবে ব্যবহৃত হওয়ায় এটি লাভজনক। এজন্য কৃষকদের মধ্যে ভুট্টা চাষের আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে। উপজেলার ৯৮০ জন কৃষককে কৃষি প্রণোদনার আওতায় এনে ৯৮০ বিঘা জমিতে ভুট্টা চাষ করা হয়েছে। এজন্য ৯৮০ জন কৃষককে বিনামূল্যে সার ও বীজ কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে।

চুরি রোধে রসুন ক্ষেত পাহারায় কৃষক : শিয়ালের কামড়ে আহত ১০

এস.এম.রকি,খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি : উত্তরের জেলা দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় সাদা সোনা খ্যাত রসুন চাষে স্বপ্ন পূরণের আশায় দিন গুণছেন কৃষক-কৃষাণীরা। গত বছরের তুলনায় চলতি মৌসুমে এই উপজেলায় রসুনের ভালো ফলন হয়েছে। তবে ক্ষেতের রসুন চুরি হওয়ায় আশংকায় রাত জেগে নিজেদের উৎপাদিত রসুন ক্ষেত পাহারা দিচ্ছেন কৃষকরা। রাতে পাহারা দিতে গিয়ে এপর্যন্ত উপজেলায় চলতি মৌসুমে ১০ জন শিয়ালের কামড়ে আহত হয়েছে। 
খানসামা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে ৬টি ইউনিয়নে রসুন চাষ হয়েছে ১৬২০ হেক্টর। যা গতবছরে ছিল ১৫০০ হেক্টর। রসুন চাষে লাভবান হওয়ায় কৃষি বিভাগের পরামর্শ এটি বৃদ্ধি হয়েছে। শুক্রবার (২২ মার্চ) রাতে উপজেলার গোয়ালডিহি, নলবাড়ী, হাসিমপুর ও কাচিনীয়া গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, জমিতে পলিথিন দিয়ে অস্থায়ী ঘর তৈরি করে কৃষকরা সেখানে রাত্রিযাপন করছেন। কৃষকদের চোখে ঘুম নেই, রাত জেগে টর্চ লাইটের আলোয় রসুন ক্ষেত পাহারা দিচ্ছে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে শিয়ালের উপদ্রুব হওয়ায় তাঁরা আতংক আছে। ঈদের আগেই রসুন উঠানো ও ঘরে তোলার কাজ শেষ হবে বলে কৃষকরা জানায়। ৫০ শতকের প্রতি বিঘা জমিতে রসুন চাষে বীজ, সার, সেচ, হাল ও পরিচর্যা বাবদ এই বছর খরচ হয় প্রায় ৯০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। 
এবার বীজের দাম বেশী হওয়ায় খরচটা বেড়ে গেছে। আর প্রতি বিঘায় ফলন হয় ৫৫-৭০ মণ। প্রতি মণের বর্তমান বাজার মূল্য ৩০০০-৩৫০০ টাকা। সে হিসেবে অন্য আবাদের চেয়ে রসুন চাষ লাভবান বলে জানান উপজেলার গোয়ালডিহি জমির শাহ পাড়ার রসুন চাষী রিশাদ শাহ। গোয়ালডিহি গ্রামের রসুন আশরাফ আলী (৬০) বলেন, সময়ের সাথে রসুন চাষে খরচ ও শ্রম বেড়েছে। কিন্তু এত কষ্টে আবাদ করেও চোরের চিন্তায় রাত জাগতে হয়? কেননা রসুন দামী ফসল তাই পাহারা দিচ্ছি। মনির জীবন নামে এক যুবক তাঁর ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন আমাদের গ্রামে ৩ জনসহ আসে পাশের গ্রামে ১০ জন কৃষককে শিয়াল কামড়ানোর খবর শুনলাম। অর্ধেক নাক ছিঁড়ে নেওয়ার মত ঘটনা ঘটেছে। একদিকে রাতের আধারে জমির ফসল চুরি অন্যদিকে দিনে দুপুরে শেয়ালের উৎপাত। কৃষক যেনো কোনো কিছুতেই স্বস্তি পাচ্ছেনা এখন। উপজেলা ভারপ্রাপ্ত কৃষি কর্মকর্তা হাবিবা আক্তার বলেন, আবহাওয়া ভালো হওয়ায় চলতি মৌসুমে ভালো ফলন ও বর্তমান বাজারে রসুনের দাম বেশি পাওয়ার মাধ্যমে কৃষকরা লাভবান হবেন। পেঁয়াজ চুরির বিষয়টি স্থানীয় কৃষক ও কৃষি কর্মকর্তার মাধ্যমে জানতে পেরেছি। চুরি রোধে কৃষকরা দিনে ও রাতে পাহারা দিচ্ছে শুনেছি।’ 
এবিষয়ে থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাহারুল ইসলাম বলেন, থানা পুলিশ, গ্রাম পুলিশ ও রাত্রিকালীন পাহারাদাররা চুরি রোধে নিয়মিত টহল দিচ্ছে। এদের সাথে জনগণের সচেতন ভূমিকা চুরি রোধ ও অপরাধ কমাতে অনেক কার্যকর হবে।

পলাশবাড়ীতে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ

ছাদেকুল ইসলাম রুবেল,গাইবান্ধা :গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার নদ নদী গুলোতে নব্যতা , নদী ভাঙ্গন, বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ গুলো প্রাকৃতিক ও কৃত্রিম সংকটে সংস্কার অভাবে ব্যাপক ভাবে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। 
অপরদিকে উপজেলার বড় শিমুলতলা, দিঘকান্দি, নেকটগাড়ী, চেরেঙ্গা, শিশুদহ এলাকাসহ একাধিক স্থানে নদী ভাঙ্গন ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে বসতবাড়ী ও আবাদী জমি হারিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে দুই শতাধিক পরিবার। উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া করতোয়া নদীর পারের বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ গুলো পুরোপুরি অকেজো হয়েছে পড়েছে। যে গুলো দ্রুত সংস্কার করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে ৷ উপজেলার মোট আয়তন- ১৮৫.৩৩ বর্গ কিলোমিটার এ উপজেলায় ২ টি নদ নদী রয়েছে আখিরা নদী স্থানীয় ভাবে যার নাম দুটিতে পরিচিত এর একস্থানে নাম মর্চ নদী অন্যস্থানে নামটি হলো নলেয়া নদী। এ নদটির নব্যতার কারণে নিজের গতি হারিয়ে ফেলেছে, নদ হতে আবাদী জমি গ্রাস করে বিলে রুপ নিয়েছে অপরদিকে এ অঞ্চলের বেশীর ভাগ আবাদী জমি গুলো সেচ নির্ভর হয়ে পড়েছে। পলাশবাড়ী উপজেলার এ নদটি দ্রুত খনন করে নব্যতা দুর করণে প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহন করা প্রয়োজন। এছাড়াও করতোয়া নদী উপজেলার পশ্চিম সীমান্ত ১ নং কিশোরগাড়ী ও ২ নং হোসেনপুর ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এ দুইটি ইউনিয়নের বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ গুলোতে ছোট বড় ভাঙ্গন,নদী ও নদীপারের জমি হতে মাটি পরিবহনের কাজে নিয়োজিত ট্রাক্টর, ট্রলি,ভেকু ও জ্যাম ট্রাক চলাচলে ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ৷ এসব বাঁধ দ্রুত সময়ে সংস্কার করা না হলে বর্ষাকালে বন্যায় ফসলি জমি ও বসতবাড়ীসহ উপজেলার পূর্ব ও পশ্চিম অঞ্চলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার আশংঙ্কা রয়েছে। 
এ বিষয়ে গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ হাফিজুল হক ব্যস্ত থাকায় তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে এ বিষয়ে রংপুর বিভাগের বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডে প্রধান প্রকৌশলী (পুর) মোঃ মাহবুবর রহমান জানান,করতোয়া নদী ও আখিড়া নদ নিয়ে স্ট্যাডি চলছে, পরীক্ষা নিরিক্ষা শেষে প্রকল্প গ্রহন করা হবে। এরপর বরাদ্দ পেলে দ্রুত সংস্কার কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ কামরুল হাসান জানান, উপজেলার করতোয়া নদীর ভাঙ্গন ,নদ গুলোর নব্যতা রোধে খনন ও বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ সংস্কার বিষয়ে জেলা সমন্বয় মিটিং এ উত্থাপন করা হয়। সেখানে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ হতে দ্রুত নদী ভাঙ্গন রোধ ও বাঁধ সংস্কার করার আশ্বাস দিয়েছেন । উপজেলার চেরেঙ্গা এলাকায় বাঁধ সংস্কার কাজ শুরু করা হয়েছে। এবং বর্ষার আগেই উপজেলার ক্ষতিগ্রস্ত বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ এর বাকি অংশে দ্রুত এ সংস্কার কাজ করা প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি। উক্ত নদ নদী গুলো দ্রুত খনন ও সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্টদের নজরে আনতে তিনি স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের সার্বিক সহযোগীতা কামনা করেন। পলাশবাড়ী উপজেলার নদ ও নদী পারের স্থানীয় ভোক্তভোগী জনসাধারণ ,উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া নদ ও নদী নব্যতা ও ভাঙ্গন রোধ এবং বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ সংস্কারের জন্য স্থানীয় জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা,নৌ ও পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি ,স্থানীয় জাতীয় সংসদ সদস্য এ্যাড.উম্মে কুলসুম স্মৃতি এমপি, রংপুর বিভাগীয় কমিশনার হাবিবুর রহমান,পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণের ও স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের প্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

চিলাহাটিতে স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে সরকারী গাছ কাটার অভিযোগ

চিলাহাটি ওয়েব ডটকম : Saturday, March 23, 2024 | 3/23/2024 04:02:00 PM

চিলাহাটি ওয়েব ডেস্ক : নীলফামারী জেলার চিলাহাটিতে সরকারী গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩ শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
জানা গেছে- জেলার চিলাহাটির মুক্তিরহাটে ডাঙ্গাপাড়া পূর্ব ভোগডাবুড়ী বাংলাদেশ রাইফেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহমান বিটুল, দুই সহকারী শিক্ষক আব্দুল মজিদ ও কারিমুল ইসলাম মিল্লাল গত শুক্রবার (২২ মার্চ) রাতের আঁধারে রেললাইন সংলগ্ন এলাকা থেকে ৭টি ইউকালেক্টর গাছ কর্তন করে।
এ সময় এলাকাবাসী বাধা দিতে গেলে সহকারী শিক্ষক কারিমুল ইসলাম মিল্লাল এলাকাবাসীকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি প্রদান করেন। রাতের আঁধারে গাছ নিয়ে আসার সময় সাহার মোড় নামক এলাকায় স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ আটক করলে এক পর্যায়ে সেখানে বাক-বিতর্কের সৃষ্টি হয়।
এক পর্যায়ে সবকিছু ম্যানেজ করে ওই তিন স্কুল শিক্ষক গাছগুলো স্থানীয় পাইকারের কাছে বিক্রি করে দেন। জানতে চাইলে ওই স্কুল শিক্ষকরা এ ব্যাপারে কথা বলতে নারাজ।
বাংলাদেশ রেলওয়ে পাকসি ডিভিশন এসএসএই (আইডব্লিউ) শরিফুল আজিম জানান- রেল সেন্টার থেকে যদি আমাদের আয়ত্তে থাকে তাহলে এটা বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে অর্থাৎ আমি প্রয়োজনের ব্যবস্থা নেব। আর যদি রেলের জায়গায় না হয় তাহলে ওই শিক্ষকরা টেন্ডার ছাড়া গাছ কাটতেই পারবেনা।
সুধী মহল জানান- ঠিক ইফতারের সময়ে ওই শিক্ষকদের বিক্রি করা গাছ পাইকার কাটে। এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি গাছ কাটার ব্যাপারে কথা বলবেন না বলে জানান।

এক বছরের মাথায় চিলাহাটি এক্সপ্রেস কোচ লক্কড়ঝক্কড়

আপেল বসুনীয়া, চিলাহাটি ওয়েব : উত্তরের সর্বশেষ সীমান্তবর্তী এলাকায় চিলাহাটি বাসীর দীর্ঘদিনের প্রানের দাবির প্রেক্ষিতে চিলাহাটি-ঢাকা দিবাকালীন চিলাহাটি এক্সপ্রেস নামে আরেকটি আন্তঃনগর ট্রেন চালু করা হয়।
কিন্তু বছর যেতে না যেতেই চাকা ক্ষয়ে বাঁকা হয়ে যাওয়া, রানিংয়ে এক্সেল কয়েল স্প্রিং ভেঙে পড়া, রুফ সিলিং খুলে যাওয়াসহ কোচগুলোতে নানা সমস্যা দেখা দিয়েছে। যাত্রীদের ভাষায় টেনটি লক্কড়ঝক্কড়।
২০২৩ সালের ৪ জুন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ট্রেনটি চলাচলের উদ্বোধন করেন।
জানা যায়- উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে চীনের থাংশানের কোম্পানি সিআরআরসি থেকে প্রায় ১ বছর আগে এ ট্রেনের কোচগুলো আমদানি করে বাংলাদেশ রেলওয়ে। কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী এসব কোচের ওয়ারেন্টি ২ বছরের। কিন্তু কোচগুলো ট্রেনে যুক্ত করার পরপরই দেখা দিয়েছে নানা সমস্যা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ট্রেন পরীক্ষক (টিএক্সআর) বলেন- কোচের চাকা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ক্ষয় হচ্ছে। চলন্ত অবস্থায় ব্রেক প্যাড পড়ে যাচ্ছে।
স্বাভাবিকভাবে নতুন কোচের স্প্রিং ২ থেকে ৩ বছর পরে ভাঙলেও এসব কোচের ১ বছর না যেতেই রানিংয়ে এক্সেল কয়েল স্প্রিং ভেঙে যাচ্ছে।
এ ছাড়া প্রাইমারি ডাম্পার অকার্যকর, অস্বাভাবিকভাবে তেল লিকেজ হচ্ছে। দ্রুত পাওয়ার কার গরম হয়ে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এতে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে।
চিলাহাটি এক্সপ্রেস ট্রেনের এক যাত্রী বলেন- বেশি ভাগ ফ্যানই অচল। কোচে পানির ট্যাংক ভরা থাকলেও হ্যান্ড শাওয়ারে ও পানির কলে পানি আসে না।
জানালার স্যুট বোল্ট খুলে যায়। বায়ো টয়লেটের সরবরাহ লাইন দিয়ে মল ও নোংরা পানি পড়ে দুর্গন্ধ ছড়ায়। এ অবস্থায় ভোগান্তি নিয়ে অনেকটা বাধ্য হয়েই এই ট্রেনে ভ্রমণ করতে হচ্ছে।
সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার সিঅ্যান্ডডব্লিউ মেশিন শপ সূত্র জানায়, বাংলাদেশ রেলওয়েতে বিজি এমডি-৫২৩ (চায়না-২০২৩) ১০০টি কোচ রেলওয়ের যানবাহন বহরে যুক্ত হয়।
এ কোচগুলো নিয়মমাফিক প্রতি ১ বছর পরপর মেরামতে আসার কথা থাকলেও চাকার বিভিন্ন ত্রুটির কারণে এক বছরের আগেই বিশেষ রিপেয়ারের প্রয়োজন পড়ছে।
এসব কোচ বিভিন্ন সময় সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় মেরামতে এলে চাকা টার্নিংয়ের সময় চাকায় ব্লোহোল বা ক্র্যাক দেখা যায়। স্বাভাবিকভাবে চাকা ৮ মিলিমিটার থেকে ১০ মিলিমিটার টার্নিংয়ের প্রয়োজন হয়।
কিন্তু চায়না কোচে ব্লোহোল বা ক্র্যাকের কারণে অনেক বেশি অর্থাৎ ১৫ মিলিমিটার থেকে ২০ মিলিমিটার, কোনো কোনো ক্ষেত্রে তার চেয়েও বেশি টার্নিংয়ের প্রয়োজন হচ্ছে। ফলে চাকার স্থায়িত্বকাল আগের চেয়ে অনেক কমে যাচ্ছে।
রেলওয়ে শ্রমিক ইউনিয়ন সৈয়দপুর কারখানা শাখার সাধারণ সম্পাদক শেখ রোবায়েতুর রহমান চিলাহাটি ওয়েব ডটকমকে বলেন- চিলাহাটি এক্সপ্রেস ট্রেনের কোচগুলো চীন থেকে এক বছরের কম সময়ে কেনা হয়েছে। এখনই সমস্যা দেখা দিয়েছে।
অথচ ইন্দোনেশিয়া ও ভারত থেকে আনা রেলের কোচ গত ৬-৭ বছর চলছে সমস্যা ছাড়াই।
এ নিয়ে মোবাইল ফোনে কথা হয় রেলওয়ের যুগ্ম মহাপরিচালক (যান্ত্রিক) তাবাসসুম বিনতে ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, ওয়ারেন্টি সময়ে চুক্তি অনুযায়ী দেখভাল করার দায়িত্ব আমদানি করা কোম্পানির।
কিন্তু এ সময় ত্রুটি দেখা দিলে বিষয়টি আমাকে বিভাগীয়ভাবে জানানোর কথা।
তবে এখনো আমাকে জানানো হয়নি। বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজ নেওয়া হবে।

পার্বতীপুরে জাতীয় ডাউন সিনড্রোম দিবস পালিত

চিলাহাটি ওয়েব ডটকম : Friday, March 22, 2024 | 3/22/2024 12:19:00 AM

পার্বতীপুর প্রতিনিধি : পার্বতীপুরে জাতীয় ডাউন সিনড্রোম দিবস পালিত হয়েছে। গতকাল ২১ মার্চ পার্বতীপুরের স্থানীয় বেসরকারি উন্নয়ন মূলক প্রতিষ্ঠান কাম টু ওয়ার্ক (সি টি ডাব্লিউ) এর আয়োজনে লিলিয়ন ফন্ডস ও সি ডি ডি এর সহযোগিতায় চাইল্ড ইম্প্রওয়ারমেন্ট প্রোগ্রাম বাস্তবায়নে অনুষ্ঠানে প্রতিবন্ধীদের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, নৃত্য, মায়েদের চেয়ার খেলা, র‌্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। 
এতে সভাপতিত্ব করেন সংস্থাটির প্রশাসনিক কর্মকর্তা (অর্থ) মোকারম হোসেন মানিক। বক্তব্য রাখেন, পার্বতীপুর শহরের রোস্তম নগরের বিসমিল্লাহ ফিজিওথেরাপী সেন্টারের পরিচালক মোঃ ইনামুল হক (চার্চিল) ও দৈনিক উত্তর বাংলা পত্রিকার পার্বতীরপুর প্রতিনিধি বদরুদ্দোজা বুলু। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালন করেন সংস্থাটির ফিজিও সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদ। পরে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

ঠাকুরগাওয়ে পুকুরে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু

চিলাহাটি ওয়েব ডটকম : Thursday, March 21, 2024 | 3/21/2024 08:52:00 PM

মাহমুদ আহসান হাবিব, ঠাকুরগাঁও : ঠাকুরগাঁওয়ে পুকুরের পানিতে ডুবে রাজু (১২) ও কাওসার আলী (১০) নামে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার গড়েয়া চন্ডিপুর এলাকায় এ দূর্ঘটনা ঘটে। নিহত রাজু গড়েয়া চন্ডিপুর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে ও নিহত কাওসার আলী ওই এলাকার ইদ্রিস আলীর ছেলে এবং তারা চাচাতো ভাই ছিলো বলে তথ্য পাওয়া যায়। নিহতের স্বজনরা জানায়, বৃহস্পতিবার বেলা প্রায় ১১ টা থেকে নিখোঁজ ছিলো তারা।
অনেক খোজা খুজির পর পাওয়া না গেলে স্বজনরা ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়। পরবর্তীতে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা বাড়ির পার্শ্ববর্তী একটি পুকুর থেকে শিশু দুটিকে উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করে। পুকুরের পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যুর তথ্যটি নিশ্চিত করে ঠাকুরগাঁও ফায়ার সার্ভিসের অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ সারোয়ার হোসেন।