চিলাহাটিতে আমের মুকুলে ভরে গেছে গাছ, বেশি ফলনের সম্ভাবনা

চিলাহাটি ওয়েব ডটকম : Sunday, March 31, 2024 | 3/31/2024 01:08:00 PM

আপেল বসুনীয়া, চিলাহাটি ওয়েব : নীলফামারী জেলার চিলাহাটিতে আমের মুকুলে ভরে গেছে গাছ। রঙিন বনফুলের সমারোহ প্রকৃতি যেমন সেজেছে বর্ণিল সমাজে।
গ্রামবাংলার সর্বত্রই এখন এমনই দৃশ্য। মৌমাছির গুণগুণ শব্দে ফুলের রেণুকা থেকে মধু সংগ্রহ আর প্রজাপতির এক ফুল থেকে আরেক ফুলে পদার্পণ এ অনুরুপ প্রাকৃতিক দৃশ্য সত্যিই যেন মনোমুগ্ধকর এক মুহূর্ত। গতবছরের তুলনায় এবার বেশি ফলনের আশা দেখছেন এলাকাবাসী।
বসন্তের আগমনের মধ্য দিয়ে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সৌরভ ছড়াচ্ছে আমের মুকুল। সুমিষ্টি ঘ্রাণে মৌ মৌ করছে প্রকৃতি। এ যেন মুকুলের স্বর্গরাজ্য। বসন্তের শুরু থেকেই মুকুলে মুকুলে শোভা পাচ্ছে পুরো উপজেলার আম গাছগুলো। ষড়ঋতুর এই বাংলাদেশে পাতাঝরা ঋতুর রাজা বসন্ত।
প্রতিবারের মতো শীতের জড়তা কাটিয়ে কোকিলের সেই সুমধুর কুহুতানে মাতাল করতে আবারও ফিরে এলো ঋতুরাজ বসন্ত।
চিলাহাটির বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সদ্য মুকুল ফোটা দৃশ্য এখন ইট পাথরের শহর থেকে শুরু করে বিস্তৃত গ্রাম্য জনপদেও। বেশির ভাগ ইউনিয়ানের গ্রামগুলোতে মুকুলে ছেয়ে গেছে।

ফুলবাড়ীর দেবীপুর ছোট যমুনা নদী থেকে বালু উত্তোলন

আফজাল হোসেন, ফুলবাড়ী থেকে:ফুলবাড়ী উপজেলা প্রশাসনের নজরদারী বা অভিযান না থাকায় দেবীপুর ছোট যমুনা নদী থেকে উত্তোলন করা হচ্ছে কোটি টাকার বালু। 
ফুলবাড়ী উপজেলার শিবনগর ইউপির দেবীপুর গ্রামে সংলগ্ন ছোট যমুনা নদী থেকে বছরে বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা অবৈধ্যভাবে কোটি টাকার বালু উত্তোন করে বিভিন্ন স্থানে মজুদ করে বিক্রি করছে। এতে নদী সংলগ্ন পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলি নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়ছে। প্রতি দিন গভীর রাতে ও ভোর বেলায় বালু ব্যবসায়ীরা ট্রলি নামিয়ে বালু উত্তোলন করে নিয়ে যাচ্ছে। প্রতি গাড়ি বালু ১২শত থেকে ১৪শত টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। শিবনগর ইউপির পাঠকপাড়া কুমারপুর ঘাট থেকে মোঃ মিলন, দেবীপুর ঘাট থেকে মোঃ উজ্জল, পাঠপাড়া ঘাট থেকে মোঃ বাদশা, শ্মসান ঘাট থেকে মোঃ বেলাল বালু উত্তোলন করছেন। প্রকৃত সরকারি ঘাটের ইজারা ডাক না থাকায় এই অবস্থার মধ্য দিয়ে অবৈধ্য বালু ব্যবসায়ীরা লুটে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। এমনি অবস্থা বিরাজ করছেন ফুলবাড়ী উপজেলার দৌলতপুর ও খয়েরবাড়ী সহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে। এই অবস্থা চলতে থাকলে সরকার বিপুল পরিমান রাজস্ব হারাবেন। এই ছোট যমুনা নদী থেকে অবৈধ্যভাবে বালু উত্তোলন করেন সরকারি বেসরকারি রাস্তা ঘাটের কাজ ও করা হচ্ছে। সরকারি কাজে ঠিকাদারদের সিডিউলে বালুর দাম ধরা থাকলেও তারা বাইরে কিছু লোকজনদেরকে দিয়ে চোরাই পথে যমুনা নদী থেকে বালু উত্তোলন করে রাস্তাগুলির কাজ করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বিশেষ করে শিবনগর ইউপির পাঠকপাড়া থেকে আমডুংগিহাট পর্যন্ত যমুনা নদীতে যেভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে তাতে নদীর দুই ধারের জমির মালিকদের অফুরন্ত ক্ষতি হচ্ছে। বর্ষাকাল এলে জমিতে লাগানো ফসল নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এই বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে এখনই ব্যবস্থা নেওয়া না হলে তারা অবৈধ বালু নদী থেকে তুলে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হবে। ভাংতে থাকবে কৃষকদের ফসলি জমি। এ ব্যাপারে পাঠকপাড়া ইউপির ৩নং ওয়ার্ডের ওয়ার্ড সদস্য জানান, প্রশাসনকে বলে কোন কাজ হয় না। প্রশাসন স্থানীয় চকিদারদের দিয়ে এই সব অবৈধ বালু ব্যবসায়ীর গাড়ি আটক করে আইনগত ব্যবস্থা নিলে হয়তোবা অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ হতে পারে। এ ব্যাপারে কৃষক মোঃ আমিনুল ইসলাম জানান, আমরা ভয়ে বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে কিছু বলতে পারিনা। আমরা অসহায়। এ ব্যাপারে শিবনগর ইউপির গ্রামবাসী ও কৃষকেরা দেবীপুর থেকে আমডুংগি হাট পর্যন্ত ছোট যমুনা নদী থেকে বালু উত্তোলন বন্ধকল্পে প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

গোবিন্দগঞ্জে ৮৮ কেজি গাঁজাসহ আটক ২

ছাদেকুল ইসলাম রুবেল,গাইবান্ধা : জেলার গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় একটি পিকআপ গাড়িতে ৮৮ কেজি গাঁজা জব্দসহ ২ জন কে আটক করেছে র‌্যাব। আটককৃত হলেন,বিপ্লব কুমার কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ি উপজেলার নাইডাঙ্গা গ্রামের বিশ্বনাথ কুমারের পুত্র চালক বিপ্লব কুমার (৩০) ও হেলপার আসলাম হোসেন সাদ্দামকে (৩০) কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ি উপজেলার নাইডাঙ্গা গ্রামের বিশ্বনাথ কুমারের ছেলে ও আসলাম হোসেন সাদ্দাম । 
শনিবার (৩০ মার্চ) বিকেলে র‌্যাব-১৩ গাইবান্ধা ক্যাম্পের স্কোয়াড্রন লিডার মাহমুদ বশির আহমেদ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়টি জানানো হয়। র‌্যাব-এর বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শনিবার (৩০ মার্চ) সকালের দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় গোবিন্দগঞ্জের ফাসিতলা এলাকায় সন্দেহভাজন একটি পিকআপ গাড়ি তল্লাশি করা হয়। এতে থাকা একটি তেলের ড্রামের ভেতর থেকে ৮৮ কেজি গাঁজা জব্দসহ ওই মাদক কারবারিদের গ্রেফতার করা হয়েছে। র‌্যাব-১৩ গাইবান্ধা ক্যাম্পের স্কোয়াড্রন লিডার মাহমুদ বশির আহমেদ বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যান্যদের বিরুদ্ধে গোপন অনুসন্ধান চলছে। গ্রেফতারকৃতদের গোবিন্দগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়।

গোবিন্দগঞ্জে নিখোঁজ শিশুর মরদেহ উদ্ধার

ছাদেকুল ইসলাম রুবেল,গাইবান্ধা : জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় এক নিখোঁজ শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। 
নিহত অভিজিৎ চন্দ্র জিৎ বগুলাগাড়ী গ্রামের রনজিৎ চন্দ্রের ছেলে ও স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র। শনিবার (৩০ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার দরবস্ত ইউনিয়নের বগুলাগাড়ী (নামাপাড়া) এলাকার করতোয়া নদীর চরের একটি ভুট্টা খেত থেকে ওই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। দরবস্ত ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৬ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য সজীব আহমেদ খান বলেন, শুক্রবার (২৯ মার্চ) সন্ধ্যার দিকে হঠাৎ বাড়ি থেকে অভিজিৎ চন্দ্র জিৎ নিখোঁজ হয়। এরপর থেকে পরিবারের লোকজন সম্ভাব্য বিভিন্ন স্থানে খোজাখুজি করতে থাকে। এরই মধ্যে শনিবার দুপুরের দিকে ওই নদী চরের ভুট্টা খেতে অভিজিৎ চন্দ্রের মরদেহ দেখতে পায় স্থানীয়রা। পরে খবর পেয়ে থানা পুলিশ শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করেছে। গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুল আলম শাহ জানান, এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এক পা বিশিষ্ট জন্ম নেওয়া শিশুর পরিবারের পাশে প্রশাসন

চিলাহাটি ওয়েব ডটকম : Thursday, March 28, 2024 | 3/28/2024 11:38:00 PM

ইব্রাহীম মিঞা, বিরামপুর(দিনাজপুর) প্রতিনিধি : দিনাজপুরের বিরামপুরে একপাওয়ালা শিশুর জন্মের ঘটনায় এলাকায় এক চাঞ্চল্যকর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। বিকলাঙ্গ শিশুটির উন্নত চিকিৎসার জন্য ভ্যান চালক বাবার পাশে দাঁড়িয়েছেন বিরামপুর উপজেলা প্রশাসন ও জেলা প্রশাসক।বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেল আনুমানিক ৪ ঘটিকায় বিরামপুর মর্ডান ক্লিনিকে সিজারের মাধ্যমে জমজ শিশুর জন্ম হয়। জমজ শিশু দুটির মধ্যে প্রথমটি মেয়ে এবং অন্যটি অস্বাভাবিক যার কোন লিঙ্গ নির্ধারণ করতে পারেনি চিকিৎসক। কারন দ্বিতীয় শিশুটির কোন মলত্যাগ ও প্রস্রাবের রাস্তা নেই এবং এক পা বিশিষ্ট। দ্বীতীয় শিশুটি অস্বাভাবিক জন্ম এক পা বিশিষ্ট এবং কোন প্রশ্রাব ও মলদ্বারের রাস্তা না থাকায় বিরামপুর মর্ডান ক্লিনিকের গাইনী বিশেষজ্ঞ মোছাঃ তাহেরা বেগম তার পরিবারকে পরামর্শ দিয়েছেন যে দ্রুত শিশুটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বা সার্জারির জন্য ভালো কোন মেডিকেলে নেওয়ার। জমজ শিশু দুটির বাবা মাহফুজুল ইসলাম পেশায় একজন ভ্যানচালক হওয়ায় এমন পরিস্থিতিতে সে কি করবে ভেবে উঠতে না পারায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দিনাজপুর জেলা প্রশাসক জনাব শাকিল আহমেদ মহোদয়ের দৃষ্টিগোচর হলে তিনি তাৎক্ষণিক বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুজহাত তাসনীম আওনকে পরিবারটির পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশ দেন। জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুজহাত তাসনীম আওন নির্দেশনা মোতাবেক বিরামপুর উপজেলায় এক পা বিশিষ্ট শিশু জন্ম নেওয়ায় সংশ্লিষ্ট ক্লিনিকে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুরাদ হোসেনসহ স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে শিশুটির মাকে সান্ত্বনা দেন, এসময় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১০ হাজার টাকা অর্থ সহায়তা দেওয়া হয়। পরবর্তীতে শিশুটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে তার পরিবার।অপরদিকে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিশুটিকে নিয়ে এলে দিনাজপুর জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশে এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে দিনাজপুর জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক জনাব দেবাশীষ এবং জেলা ত্রান ও পুনর্বাসন অফিসার শিশুটিকে দেখতে এসে তার বাবা মাহফুজুল ইসলামকে অর্থ সহায়তা প্রদান করেন এবং শিশু ওয়ার্ডের সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের শিশুটির প্রতি লক্ষ্য রাখতে বলেন।কে চিকিৎসা প্রদানের নির্দেশনা দেন।পরিবার সূত্রে জানা যায় ২০১৪ সালে নবাবগঞ্জ উপজেলার শালখুরিয়া ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের আমিরুল ইসলামের ছেলে মাহাফুজুল ইসলামের সঙ্গে একই উপজেলার দাউদপুরের ঈশরপুর গ্রামের তোকছেদ আলীর মেয়ে তাসলিমার বিয়ে হয়। তাদের এক ছেলে সন্তান ও একটি মেয়ে রয়েছে। সম্প্রতি আবারো গর্ভবতী হন তসলিমা। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে গর্ভে জমজ সন্তানের বিষয়টি নিশ্চিত হলে পারিবারিকভাবে সিজারের মাধ্যমে সন্তান প্রসবের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। তার স্ত্রী তাসলিমা বেগমকে সিজারের উদ্দেশ্যে বিরামপুর মর্ডান ক্লিনিকে নিয়ে আসলে বিকেল আনুমানিক ৪ ঘটিকার সময় জমজ শিশু দুটি সিজারের মাধ্যমে এ পৃথিবীর আলো দেখেন।দ্বীতীয় শিশুটি অস্বাভাবিক জন্ম এক পা বিশিষ্ট এবং কোন প্রশ্রাব ও মলদ্বারের রাস্তা নেই । এমন ঘটনায় এলাকায় এক চাঞ্চল্যকর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে।

ইফতারের পর ক্লান্তিভাব দূর করবেন যেভাবে

চিলাহাটি ওয়েব, রকমারি ডেস্ক : চলছে সিয়াম সাধনার মাস পবিত্র রমজান। সারাদিন রোজা রেখে মাগরিবের আজান শুনে ইফতারের টেবিলে রাখা মজার খাবারগুলো পেটপুরে খেয়ে নিলেন, এরপর ভাবছেন মুহূর্তেই শক্তিশালী হয়ে যাবেন?
আপনার প্রত্যাশা এমনটা থাকলেও আসলে তা আর হয়ে উঠে না। কারণ, ইফতার খাওয়ার পরপরই আপনার ক্লান্তি লাগতে শুরু করে। সারাদিন উপবাসের পর একগাদা খাবার একসঙ্গে খাওয়ার কারণে তা হজমে সময় লাগে। আর তাতেই ক্লান্ত হয়ে যায় আমাদের শরীর। তাহলে ইফতারে কী খাবেন। আর কী করলে ক্লান্তি লাগবে না চলুন জেনে নিই।
পানিশূন্যতা দূর করুন : সারাদিন পানাহার থেকে বিরত থাকার কারণে খুব স্বাভাবিকভাবেই আমাদের শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দেয়। এরপর ইফতারে তেলে ভাজা আর বিভিন্ন মসলাদার খাবার খাওয়া হয়। ফলে পানির ঘাটতি পূরণ হয় না।
ইফতারের পর প্রচুর পানির দরকার হয় শরীরের। তাই বিভিন্ন ফল, ফলের রস, শরবত, ডাবের পানি ইত্যাদি খান। এতে শরীরে পানির ঘাটতি দূর হবে।
একসঙ্গে অনেক খাবার খাবেন না : ইফতারে এক সঙ্গে অনেক বেশি খাবার খাবেন না। একবারে অনেক বেশি খাবার খাওয়া সারাদিন রোজা থাকার পর ক্লান্তি লাগার একটি বড় কারণ। আপনি ক্ষুধার্ত ঠিক আছে, তবে পেটকেও সময় দিতে হবে হজম করতে।
তাই একসঙ্গে অনেক বেশি খাবার না খেয়ে অল্প অল্প করে খান। কিছুক্ষণ পরপর খান। এতে শরীর খুব একটা ক্লান্ত হবে না। খাবার হজমের জন্যও পর্যাপ্ত সময় পাবে।
নামাজ পড়ে নিন : ইফতারের শুরুতে একটি খেজুর ও এক গ্লাস পানি খেয়ে মাগরিবের নামাজ পড়ে নিন। এতে নামাজ সময়মতো আদায় হয়ে যাবে এবং ততক্ষণে আপনার পেটও খাবার হজমের জন্য তৈরি হবে। নামাজ শেষ করে ইফতারের বাকি খাবার খাবেন। যারা এভাবে খেয়ে অভ্যস্ত, তারা তুলনামূলক অনেক কম ক্লান্ত হন।
চা কিংবা কফি : রোজায় চা কিংবা কফি পানের অভ্যাস বাদ দেন অনেকে। তবে ইফতারের পর ক্লান্তি কাটানোর জন্য এক কাপ চা কিংবা কফি পান করতে পারেন।
কারণ, এ ধরনের পানীয়তে থাকা ক্যাফেইন আপনাকে ভেতর থেকে সতেজ রাখতে কাজ করে। তবে এই চা কিংবা কফি যেন খুব কড়া না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখবেন।
কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করুন : ইফতারের পরপরই শুয়ে-বসে থাকবেন না। বরং স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করুন। আমাদের শরীর আমাদের মনের কথা শুনে চলে। তাই নিজেকে ক্লান্ত ভাববেন না। বরং ইফতারের পর কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করুন। এতে ক্লান্তি দূর হবে সহজেই। একই সঙ্গে হজমও ভালো হবে।

২২ বছর পালিয়ে থাকা সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার

এস.এম.রকি,খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিসনধি : ২২ বছর আত্মগোপনে পালিয়ে থাকার পরে দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় ধর্ষণ ও গর্ভপাত ঘটানোর অপরাধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত তসলিম উদ্দিন (৫২) নামে এক পলাতক আসামিকে এলিট ফোর্স র‌্যাব-৩ এর সহায়তায় আটক করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করেছে খানসামা থানা পুলিশ।
গ্রেফতার তসলিম উদ্দিন খানসামা উপজেলার ৬নং গোয়ালডিহি ইউনিয়নের দুবলিয়ার আমিজ উদ্দিনের ছেলে। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে খানসামা থানা পুলিশ এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, গত ২২ বছর যাবৎ ছদ্মবেশে বিভিন্ন ব্যবসার সাথে জড়িত থাকার আড়ালে আত্মগোপনে থেকেছেন তসলিম উদ্দিন। পরে তাকে নারায়ণগঞ্জের গাউসিয়া মার্কেট সংলগ্ন ফলপট্টি এলাকা থেকে বুধবার (২৭ মার্চ) র‌্যাব-৩ এর সহায়তায় খানসামা থানা পুলিশ গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে বলে পুলিশ জানায়। খানসামা থানা পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, গ্রেফতার তসলিম উদ্দিন ২০০০ সালে দিনাজপুর জেলার খানসামা থানাধীন খামারপাড়া ইউনিয়নে ‘প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ’ নামক একটি এনজিওতে সুপারভাইজার হিসেবে চাকরিরত ছিলেন।
তসলিম খামারপাড়া ইউনিয়নের ৭টি বিদ্যালয়ের প্রায় ১৪ জন শিক্ষকের সুপারভাইজার ছিলেন ও তারই অধীনে ভিকটিম বালাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল এনজিও থেকে নিয়োগকৃত শিক্ষিকা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। একই কর্মসূচির আওতায় চাকরিরত থাকার সুবাধে তাদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গ্রেফতার তসলিম ও ভুক্তভোগীর নিয়মিত যোগাযোগের সুবাধে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গ্রেফতার আসামি ছিল বিবাহিত ও দুই সন্তানের জনক। এসময় ভিকটিম আসামীর বিবাহিত জীবন সম্পর্কে সম্পূর্ণ অজ্ঞাত ছিল।
ঘনিষ্ঠতা ও যোগাযোগ বৃদ্ধির সুযোগে তসলিম ভুক্তভোগীকে নানাভাবে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনে প্রলুব্ধ করে। শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনে ভিকটিমের অসম্মতি থাকায় সে ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলার নাম করে সুবিধাজনক স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করে। একাধিকবার ধর্ষণের ফলে ভুক্তভোগী গর্ভবতী হয়ে পড়েন। বিষয়টি তসলিমকে জানালে সে অস্বীকার করে ও গর্ভের ভ্রূণ নষ্ট করার জন্য প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। তাতে সম্মত না হয়ে তসলিমকে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকলে তসলিম নিজেকে বিবাহিত দাবি করে ও ভিকটিমকে বিয়ে করা অসম্ভব বলে সাফ জানিয়ে দেয়। অন্তঃসত্ত্বা ভিকটিম বাধ্য হয়ে বিষয়টি তসলিমের পরিবারকে জানালে তসলিম সম্মানহানির প্রতিশোধ নিতে প্রতারণা করে ভিকটিমকে তার সঙ্গে যোগাযোগের কথা বলে একটি বেসরকারি ক্লিনিকে নিয়ে গর্ভপাত করায়। এসময় ভুক্তভোগী ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন।
মানসম্মান এবং গর্ভের সন্তান হারিয়ে অসহায় ও আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েন এবং বিয়ের জন্য প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করেন। এমনকি এসময় তিনি আত্মহত্যার চেষ্টাও করেন। তখন তসলিম পূর্বের চাকরি ছেড়ে দিয়ে ঢাকায় একটি ডেলিভারি ম্যান হিসেবে যোগদান করে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। কোনো উপায়ন্তর না পেয়ে ভুক্তভোগী নারীর পরিবার বাধ্য হয়ে তসলিমের বিরুদ্ধে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণসহ ভ্রূণ নষ্ট করার অপরাধে পেনাল কোডের ৩১৩ ধারায় দিনাজপুর জেলার খানসামা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে ২০১৩ সালে বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল, দিনাজপুর তার বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করেন। মামলা রুজু হওয়ার পর থেকেই গ্রেপ্তার তসলিম স্ত্রী-সন্তান নিয়ে নিজ এলাকা ত্যাগ করে ঢাকায় চলে আসেন। এমনকি গ্রেপ্তার এড়াতে তিনি ঘনঘন স্থান পরিবর্তন করেন। প্রথম ২ বছর তিনি ঢাকায় ডেলিভারি ম্যান, এরপর ৩ বছর সিলেটে একটি দোকানে কর্মচারী হিসেবে কাজ করেন। এরপর ঢাকায় ফেরত এসে তিনি একটি কোম্পানিতে কাজ করেন। রায় হওয়ার পর আত্মগোপনে থাকার উদ্দেশ্যে গাজীপুরে কখনো ভ্যান চালিয়ে, কখনো মাটিকাটা শ্রমিকের কাজ করে, কখনো এনজিওর মাঠ কর্মী হিসেবে জীবিকা নির্বাহ করে।
মাঠকর্মী থাকার সময় গাজীপুরের শ্রীপুর এবং কাশিমপুর এলাকার বিভিন্ন গ্রাহকের কাছ থেকে নামে বেনামে প্রতারণার মাধ্যমে সুকৌশলে ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে নারায়ণগঞ্জের ভুলতা গাউছিয়া এলাকায় সে আত্মগোপন করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে খানসামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাহারুল ইসলাম বলেন, ধর্ষণ মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী তসলিম ২২ বছর পলাতক ছিলেন। র‌্যাবের সহায়তায় তাকে আটক করে বৃহস্পতিবার বিজ্ঞ আদালত দিনাজপুরে প্রেরণ করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

বিরামপুরে বিএসটিআই অনুমোদনহীন জুসসহ ২ জন আটক

ইব্রাহীম মিঞা, বিরামপুর (দিনাজপুর)প্রতিনিধি : বিরামপুরে গ্রামের হাট বাজারের দোকানে বিএসটিআইয়ের অনুমোদনহীন জুস জাতীয় তরল পানীয় (ড্রিংকু,ফ্রুটি,আমরো) ও ডেইরি মিল্ক বিপণনের অভিযোগে ২ জনকে ১শত টাকা করে জরিমানা ও উভয়কে ১ মাস করে ভ্রাম্যমান আদালতে কারাদন্ড প্রদান করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ মুরাদ হোসেন।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুর ১.৩০ ঘটিকায় বিরামপুর ইসলামী ব্যাংকের পশ্চীম পার্শ্বে নাবিল বাস কাউন্টারের পিছনে একটি গোডাউনে অভিযান চালিয়ে অনুমোদনহীন পন্যসমূহ ও এর সাথে জড়িত ২ জনকে আটক করে ভ্রাম্যমান আদালতের সাজা প্রদান করা হয়।
আটককৃত দুজন হলেন দিওড় ইউনিয়নের ব্যাপারিটোলা নারায়ণপুর গ্রামের মশিউর রহমানের ছেলে লিটন এবং সুরেন্দ্রনাথ সরকারের ছেলে গৌতম কুমার।ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুরাদ হোসেন বলেন রমজান উপলক্ষে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী খাদ্যদ্রব্য ভেজাল এরকম কোন পণ্য বাজারজাত বা বিক্রয় যেন না হয় নজরদারি হিসেবে আমাদের এই অভিযান চলমান রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুজহাত তাসনীম আওন মহোদয়ের নির্দেশে অভিযান চালিয়ে জুস জাতীয় তরল পানীয় ও ডেইরি মিল্ক জব্দ করেছি এবং এর সাথে জড়িত দুজনকে আমরা আটক করেছি। জব্দকৃত মালামালের আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ১ লক্ষ টাকা।
জব্দকৃত জুস জাতীয় তরল পানীয় ও চকলেট জাতীয় ডেইরি মিল্ক সমূহ বিরামপুর উপজেলার ৭ নং পলিপ্রয়াগপুর ইউনিয়নের ছোট যমুনা নদীর পাশে বাজেয়াপ্ত করা হয়।এ অভিযানে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করে বিরামপুর থানা পুলিশ।

পীরগঞ্জে বিনামূল্যে ৫ হাজার কৃষককের মাঝে সারবীজ বিতরণ

চিলাহাটি ওয়েব ডটকম : Wednesday, March 27, 2024 | 3/27/2024 09:16:00 PM

শেখ সমশের আলী, পীরগঞ্জ (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি : পীরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চত্বরে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে সার বীজ বিতরণ করা হয়।
আজ বুধবার পৌর এলাকা সহ ১০টি ইউনিয়নে ৫ হাজার কৃষক সারবীজ পেয়ে বেশ খুশি। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে উপসী আউস প্রণোদনা হিসেবে প্রতি কৃষককে ৫ কেজি ধান বীজ, ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি করে এমওপি সার বিতরণ করা হয়।
বিতরণ কালে উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ আখতারুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট রমিজ আলম, উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ লায়লা আরজুমান বেগম, ডিএন ডিগ্রি কলেজ উপাধ্যক্ষ ও ডায়াবেটিস হাসপাতাল প্রতিষ্ঠাতা ফয়জুল ইসলাম, পীরগঞ্জ প্রেসক্লাব সভাপতি জয়নাল আবেদীন বাবুল, সাংবাদিক মোশাররফ হোসেন, আবুল হাসানাত, বিষ্ণুপদ রায়, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা যথাক্রমে পঙ্কজ কুমার, আব্দুর রহিম, মোফাজ্জল হক, কৃষক সহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

বিরামপুরে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত

চিলাহাটি ওয়েব ডটকম : Tuesday, March 26, 2024 | 3/26/2024 11:52:00 PM

ইব্রাহীম মিঞা,বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি : দিনাজপুরের বিরামপুরে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে তোপধ্বনি এবং সরকারি ও বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকাল ৭ টায় শহীদ স্মৃতিফলকে উপজেলা প্রশাসন, থানা পুলিশ, উপজেলা আওয়ামীলীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,সামাজিক ও সাংস্কৃতিক এবং বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে নিহতদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়। এরপর সকাল ৯ টায় বিরামপুর আনছার মাঠে পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। সেখানে বিরামপুর থানা পুলিশ, ফায়ার সিভিল সার্ভিস, আনছার বাহিনী এবং বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীদের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও সূধীবৃন্দ, সরকারি অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ সাংবাদিকবৃন্দের হাঁড়ি ভাঙ্গা,টার্গেটিংসহ নানান ধরনের খেলার আয়োজন করা হয়।বেলা ১ টায় পুরস্কার বিতরণী,হাসপাতালে ভালো খাবার পরিবেশন করা হয়।এরপর বিকেল ৫ টায় উপজেলা পরিষদ চত্বরে উপজেলা নিবার্হী অফিসার নুজহাত তাসনিম আওনের সভাপতিত্বে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা,আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলের মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করা হয়েছে। এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুজহাত তাসনিম আওনের সভাপতিত্বে একাডেমিক সুপারভাইজার আব্দুস সালাম সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিরামপুর পৌরসভার মেয়র মোঃ আক্কাস আলী, বিরামপুর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ মেজবাউল ইসলাম মন্ডল,মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান উম্মে কুলসুম বানু,সহকারী কমিশনার(ভূমি) মুরাদ হোসেন,বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুব্রত কুমার সরকার,উপজেলা কৃষি অফিসার কাওছার হোসেন, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বিপুল চক্রবর্তী, উপজেলা অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম ইলিয়াস, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মোশাররাত জাহান, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা জমিল উদ্দিন মন্ডল, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শমসের আলী, বিরামপুর মহিলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মেসবাউল হক , উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি বাবু শ্রীবাস কুন্ডু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক মাস্টার সহ মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হাবিবুর রহমান ও বীরমুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও শহীদ জায়ারা দিনাতিপাত করছেন ভিক্ষাবৃত্তি করে

মাহমুদ আহসান হাবিব, ঠাকুরগাঁও : দেশ স্বাধীনের ৫৩ বছরেও ঠাকুরগাঁওয়ের শহীদ জায়াদের খবর রাখেনি কেউ। বৃদ্ধ বয়সে তারা আজও কাজ করে চলেছেন জীবীকার তাগিদে। কেউ করছেন অন্যের বাড়িতে ঝি এর কাজ আবার কেউ দিনাতিপাত করছেন ভিক্ষাবৃত্তি করে। থাকছেন ভাঙ্গা বাড়িতে। টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছেন না অনেকে। মানবেতর জীবন যাপনের এমন চিত্রের দেখা মেলে মহান মুক্তিযুদ্ধে ঠাকুরগাঁওয়ের বেঁচে থাকা অর্ধশত শহীদ জায়াদের পরিবারে। মহান মুক্তিযুদ্ধে ঠাকুরগাঁওয়ে সাড়ে ৪ হাজার শহীদের পরিচয় পাওয়া গেছে। ৪২ টি স্থানে গণহত্যা সংঘঠিত হলেও উল্লেখযোগ্য সদরের জাঠিভাঙ্গা। যেখানে একই স্থানে প্রায় আড়াই হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়। সেই সময় মাইকিং করে ভারতে পাঠানোর কথা বলে নিরীহ বাঙ্গালিদের শুকানপুকুরি ইউনিয়নের জাঠিভাঙ্গা এলাকায় পাথরাজ নদীর তীরে একত্রিত করে রাজাকার আলবদর বাহিনীর সদস্যরা। পরে নারী ও শিশুদের চোখের সামনে ব্রাশ ফায়ার করে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয় পুরুষ ও যুবকদের। দেশ স্বাধীনের পরে স্বামী হারানো জায়ারা বাবা হারানো শিশুদের নিয়ে জীবন সংগ্রাম শুরু করেন। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চকহলদি ও জগন্নাথপুর এলাকায় অর্ধশত শহীদ জায়া এখনও চালিয়ে যাচ্ছেন সে সংগ্রাম। র্দীঘদিনেও তাদের সরকারি ভাবে সহায়তা না করায় হতাশ তারা। ঠাকুরগাঁওয়ের গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ জাদুঘর ট্রাস্টের গবেষক ফারজানা হক বলেন, ঠাকুরগাঁও সদরের চকহলদী এলাকায় বিধবা পল্লীতে জাঠিভাঙ্গা গণহত্যায় শহীদদের প্রায় ৫০ জন বিধবা এখনও বেঁচে আছেন, তারা বর্তমানে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। স্বাধীনতার ৫ দশক পড়ে এসেও এই বিধবারা কোথাও সরকারি বা বেসরকারি কোন সহায়তা পাননি তা ভাবতেই অবাক লাগে। মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় থেকে শহীদ জায়াদের জন্যে যেসব প্রতিশ্রুতি রয়েছে, তার বাস্তবায়ন আদও হয়নি এখানে। জেলা প্রশাসক মাহবুবর রহমান জানান, আমাদের এসব তথ্য জানা ছিলনা। দেশের জন্যে যারা জীবন দিয়েছে তাদের জায়াদের এমন অবস্থা সত্যিই মেনে নেওয়ার মত না। আমরা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের দ্রুত সহযোগীতার ব্যবস্থা করছি এবং শহীদ বিধবাদের জন্য সবসময় সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।

সুলভ মুল্যে ডিম ও দুধ বিক্রির উদ্বোধন

ছাদেকুল ইসলাম রুবেল,গাইবান্ধা : ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস ও পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে খোলা বাজারে ভ্রাম্যমান ভাবে সুলভ মুল্যে প্রানিজ আমিষ " দুধ ও ডিম " বিক্রির কার্যক্রমের ও খামারিদের মাঝে মিল্কিং মেশিন বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন স্থানীয় জাতীয় সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড.উম্মে কুলসুম স্মৃতি এমপি। 
ডিমের ডজন ১ শত ও দুধ কেজি ৫০ টাকা দরে উপজেলা প্রানী সম্পদ ও ভোটেরিনারি হাসপাতালে এর উদ্যোগে ও উপজেলার ডি এন আর ডেইরী ফার্ম,তামিম ডেইরী ফার্ম,মের্সাস রিপন ট্রেডার্স এর সহযোগীতায় খোলা বাজারে সুলভ মুল্যে ডিম ও দুধ বিক্রির কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ২৬ মার্চ মঙ্গলবার সকালে উপজেলা প্রানী সম্পদ অফিসে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুল হাসানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ হারুন আর রশিদ। এতে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব একেএম মোকছেদ চৌধুরী বিদ্যুৎ,উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এসএম রফিকুল ইসলাম রিপন,আনোয়ারা বেগম,সহকারি কমিশনার মাহমাদুল হাসান,অফিসার ইনচার্জ আরজু মোঃ সাজ্জাদ হোসেন। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন ডেইরী এ্যাসোসিয়েশন এর সভাপতি আব্দুল মতিন সরকার, পলাশবাড়ী প্রেসক্লাবে সভাপতি ফজলুল হক দুদু, রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি আশরাফুল ইসলাম, খামারী সৈয়দ দিন মোহাম্মাদ ডন, শাহারুল ইসলাম, মমিনুল ইসলাম রিপনসহ অন্যান্য খামারীরা৷ এরআগে প্রানী সম্পদ ও ডেইরী উন্নয়ন প্রকল্পের সহযোগীতায় প্রডিউসার গ্রুপ (পিজি) খামারিদের মাঝে মিল্কিং মেশিন বিতরণ করা হয়৷ অপরদিকে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচী পালনের মধ্য দিয়ে দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে।

ফুলেল শুভেচছায় খানসামায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বরণ করলেন সরকারী কর্মকর্তারা

এস.এম.রকি,খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি : ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ফুলেল শুভেচছায় সিক্ত করলেন সরকারী দপ্তরের কর্মকর্তারা। 
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সকালে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে খানসামা সরকারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা, আলোচনা সভা ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তাঁদের বরণ করে উপজেলায় কর্মরত কর্মকর্তারা। ইউএনও মো: তাজ উদ্দিনের সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান সফিউল আযম চৌধুরী লায়ন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আফরোজা পারভীন, ওসি মোজাহারুল ইসলাম, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার মোখলেছুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের পরিবার সদস্যগণ, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ ও সুধীজন। উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার মোখলেছুর রহমান তাঁর বক্তব্যে বলেন, বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে বাঙালির মুক্তির জন্য যুদ্ধে গিয়েছিলাম। সেই স্বপ্ন আজ বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা পূরণে কাজ করছেন। তিনি আমাদের সম্মানিত করেছেন। তিনি আরো বলেন, আজকে উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত অনুষ্ঠানে যেভাবে সম্মান জানালেন এতে আমরা আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তাজ উদ্দিন বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কারণেই আজ আমরা স্বাধীন একটি ভূখণ্ড বাংলাদেশ পেয়েছি বলেই সরকারী কর্মকর্তা হওয়ায় সুযোগ পেয়েছি। এজন্য তাঁদের প্রতি আমরা চির কৃতজ্ঞ। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমরা সরকারী কর্মকর্তারা কাজ করে যাচ্ছি। যেন তাঁদের দেওয়া আমানত এই দেশকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আরো উন্নত জায়গায় পৌঁছে দিতে পারি। এর আগে খানসামা উপজেলা পরিষদ চত্বরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলী অর্পণ ও খানসামা সরকারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, থানা পুলিশ, আনসার, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্যারেডে অংশগ্রহণ করেন।

স্বাধীনতার দিনে পরিবর্তন হচ্ছে বরেন্দ্র এক্সপ্রেস

চিলাহাটি ওয়েব ডটকম : Monday, March 25, 2024 | 3/25/2024 04:53:00 PM

আপেল বসুনীয়া, চিলাহাটি ওয়েব : উত্তরের সর্বশেষ সীমান্তবর্তী রেলওয়ে স্টেশন চিলাহাটি থেকে রাজশাহী চলাচলকারী আন্তঃনগর বরেন্দ্র এক্সপ্রেস ট্রেনের পরিবর্তন হচ্ছে ২৬ মার্চ।
দীর্ঘ ৯ বছর চিলাহাটি থেকে চলাচলের পর সাদা রেকে চলাচল করবে এ ট্রেনটি। রেলওয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পুরনো রেক বদলে আগামী ২৬ মার্চ থেকে বরেন্দ্র এক্সপ্রেস ট্রেন ইন্দোনেশিয়ান সাদা রঙের কোচের রেক নিয়ে চলাচল করবে।
ইন্দোনেশিয়ান (সাদা) কোচ দিয়ে চিলাহাটি-রাজশাহী-চিলাহাটি রুটে চলাচল করা ৭৩২/৭৩১ নম্বর আন্তঃনগর বরেন্দ্র এক্সপ্রেস ট্রেন নতুন মার্শালিংয়ে চলাচলের প্রশাসনিক অনুমোদন দেওয়া হলো।
যা আগামী ২৬ মার্চ (মঙ্গলবার) চিলাহাটি থেকে ছেড়ে আসা ৭৩২ নম্বর ট্রেনের মাধ্যমে কার্যকর হবে। নতুন রেক কম্পোজিশন, মার্শালিং ও আসন সংখ্যা অনুযায়ী ট্রেনে ১২টি কোচ থাকবে।
এর মধ্যে ২টি শোভন শ্রেণির আসন যুক্ত ডাইনিং কারে (ডব্লিউইসিডিআর) ৫১টি করে ১০২টি, একটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত স্লিপার কারে (ডব্লিউজেসি) ৪৮টি, একটি শোভন শ্রেণির আসনসহ পাওয়ার কারে (ডব্লিউইপিসি) ১৬টি, একটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত চেয়ার কোচে (ডব্লিউজেসিসি) ৮০টি, ৭টি শোভন চেয়ার কোচে (ডব্লিউইসি) ৯২টি করে মোট ৬৪৪টি আসন থাকবে।
পুরো রেকে মোট আসন হবে ৮৯০টি। চিলাহাটি স্টেশনে রেকের 'ঠ' প্রান্তে ইঞ্জিন সংযোজিত হবে।
উল্লেখ্য- দীর্ঘদিন এই ট্রেনটি রাজশাহী থেকে নীলফামারী চলাচলের পর ২০১৫ সালের ১৫ জানুয়ারি এ টেনটি রাজশাহী-চিলাহাটি চলাচল করছে।

পলাশবাড়ীতে গমের বাম্পার ফলন কৃষকের মুখে হাসি

চিলাহাটি ওয়েব ডটকম : Sunday, March 24, 2024 | 3/24/2024 11:53:00 PM

ছাদেকুল ইসলাম রুবেল,গাইবান্ধা :গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় এ বছর উচ্চ ফলনশীল গম চাষ করা হচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূল থাকায় গমের বাম্পার ফলন পাওয়ার আশা করছেন কৃষকেরা। 
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে এ বছর উপজেলায় ৪শত হেক্টর জমিতে গমের চাষ হয়েছে। এর মধ্যে বারি গম-৩০,৩২ ও ৩৩ নামের উচ্চফলনশীল জাতের গমের পাশাপাশি অন্যান্য উচ্চফলনশীল জাতের গম চাষ হয়েছে। পলাশবাড়ী কৃষি উপ-সহকারি অফিসার মিজানুর বলেন, কৃষি বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী কৃষকেরা চাষাবাদ করায় গমের আবাদ ভালো হয়েছে। মহদীপুর ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামের কৃষক মমিনুর ইসলাম জানান, তিনি এ বছর ৪৬ শতক জমিতে কৃষি বিভাগের সহায়তায় উচ্চ ফলনশীল বারি-৩০ জাতের গমের চাষ করেছেন। কৃষি বিভাগের পরামর্শে ক্ষেত পরিচর্যা করায় গম ভালো হয়েছে। চাষকৃত জমি থেকে প্রায় ১৮ মণ গম পাবেন বলে আশা করছেন তিনি। একই ইউনিয়নের কেত্তারপাড়া গ্রামের অপর কৃষক মজিবর রহমান জানান ২৮ শতক জমিতে উচ্চফলনশীল জাতের গমের চাষ করেছেন। তারাও ভালো ফলন পাবেন বলে আশা করছেন। 
পলাশবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফাতেমা কাউসার মিশু বলেন,এ উপজেলায় উচ্চ ফলনশীল গম চাষে কৃষকদের আগ্রহ বেড়েছে। আবহওয়া অনুকুলে থাকায় এ বছর পলাশবাড়ীতে গম ভালো হয়েছে। রোগবালাই তেমন হয়নি। মাঠে ফসলের অবস্থাও ভালো। চলতি মৌসুমে গমের বাম্পার ফলন হবে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

ফুলবাড়ীতে ভুট্টা চাষে ব্যাপক আগ্রহী হয়ে ওঠেছেন কৃষক

আফজাল হোসেন, ফুলবাড়ী প্রতিনিধি: দিনাজপুরের ফুলবাড়ী পৌরসভাসহ উপজেলার ৭ টি ইউনিয়নে চলতি মৌসুমে ৩ হাজার ৭৮০ হেক্টর জমি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও শেষতক ৪ হাজার ১০ হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষ করা হয়েছে। এ চাষাবাদ থেকে ৪৮ হাজার ১২০ মেট্রিক টন ভুট্টা উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে মনে করছেন উপজেলা কৃষি বিভাগ। অন্যান্য ফসলের তুলনায় অধিক লাভজনক হওয়ায় ভুট্টা চাষে ঝুঁকছেন উপজেলার কৃষকেরা। 
চলতি মৌসুমে কাবেরী ৫৪, এমকে ৪০, পালোয়ান, সুপার শাইন, কাবেরী ৪৪, সিনজেনটা ৭৭২০ সহ বিভিন্ন জাতের ভুট্টা চাষ করা হয়েছে। উপজেলার অপেক্ষাকৃত উঁচু জমিগুলোতে আগাম জাতের ভুট্টা চাষ করা হয়েছে। চাহিদার সাথে বাজার মূল্য বেশি ও অধিক লাভ হওয়ায় এবার বোরো ধানের জমিতেও আগাম জাতের ভুট্টা চাষ করা হয়েছে। উপজেলার শিবনগর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের কৃষক যোতিষ চন্দ্র রায় জানান, গত বছর ভুট্টার দাম ভালো পাওয়ায় এ বছর বর্গা নিয়ে ৩ বিঘা জমিতে ভুট্টার চাষ করেছেন। ভুট্টা বিক্রি ছাড়াও ভুট্টার গাছ জ্বালানী হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এছাড়াও যেসব জমিতে এক সময় বোরো চাষ করা হতো সেসব জমিতে কৃষকেরা এখন ভুট্টা চাষ করছেন। 
উপজেলার চককবীর গ্রামের খবির শেখ জানায়, ধানসহ অন্যান্য ফসলের তুলনায় ভুট্টা চাষে খরচ ও শ্রম কম এবং দাম বেশি পাওয়ায় কৃষদের মাঝে ভুট্টা চাষে আগ্রহ বাড়ছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রুম্মান আক্তার বলেন, ভুট্টা থেকে গবাদিপশুসহ মাছ ও মুরগির খাদ্য উৎপাদন এবং গাছ জ্বালানী হিসেবে ব্যবহৃত হওয়ায় এটি লাভজনক। এজন্য কৃষকদের মধ্যে ভুট্টা চাষের আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে। উপজেলার ৯৮০ জন কৃষককে কৃষি প্রণোদনার আওতায় এনে ৯৮০ বিঘা জমিতে ভুট্টা চাষ করা হয়েছে। এজন্য ৯৮০ জন কৃষককে বিনামূল্যে সার ও বীজ কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে।

চুরি রোধে রসুন ক্ষেত পাহারায় কৃষক : শিয়ালের কামড়ে আহত ১০

এস.এম.রকি,খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি : উত্তরের জেলা দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় সাদা সোনা খ্যাত রসুন চাষে স্বপ্ন পূরণের আশায় দিন গুণছেন কৃষক-কৃষাণীরা। গত বছরের তুলনায় চলতি মৌসুমে এই উপজেলায় রসুনের ভালো ফলন হয়েছে। তবে ক্ষেতের রসুন চুরি হওয়ায় আশংকায় রাত জেগে নিজেদের উৎপাদিত রসুন ক্ষেত পাহারা দিচ্ছেন কৃষকরা। রাতে পাহারা দিতে গিয়ে এপর্যন্ত উপজেলায় চলতি মৌসুমে ১০ জন শিয়ালের কামড়ে আহত হয়েছে। 
খানসামা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে ৬টি ইউনিয়নে রসুন চাষ হয়েছে ১৬২০ হেক্টর। যা গতবছরে ছিল ১৫০০ হেক্টর। রসুন চাষে লাভবান হওয়ায় কৃষি বিভাগের পরামর্শ এটি বৃদ্ধি হয়েছে। শুক্রবার (২২ মার্চ) রাতে উপজেলার গোয়ালডিহি, নলবাড়ী, হাসিমপুর ও কাচিনীয়া গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, জমিতে পলিথিন দিয়ে অস্থায়ী ঘর তৈরি করে কৃষকরা সেখানে রাত্রিযাপন করছেন। কৃষকদের চোখে ঘুম নেই, রাত জেগে টর্চ লাইটের আলোয় রসুন ক্ষেত পাহারা দিচ্ছে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে শিয়ালের উপদ্রুব হওয়ায় তাঁরা আতংক আছে। ঈদের আগেই রসুন উঠানো ও ঘরে তোলার কাজ শেষ হবে বলে কৃষকরা জানায়। ৫০ শতকের প্রতি বিঘা জমিতে রসুন চাষে বীজ, সার, সেচ, হাল ও পরিচর্যা বাবদ এই বছর খরচ হয় প্রায় ৯০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। 
এবার বীজের দাম বেশী হওয়ায় খরচটা বেড়ে গেছে। আর প্রতি বিঘায় ফলন হয় ৫৫-৭০ মণ। প্রতি মণের বর্তমান বাজার মূল্য ৩০০০-৩৫০০ টাকা। সে হিসেবে অন্য আবাদের চেয়ে রসুন চাষ লাভবান বলে জানান উপজেলার গোয়ালডিহি জমির শাহ পাড়ার রসুন চাষী রিশাদ শাহ। গোয়ালডিহি গ্রামের রসুন আশরাফ আলী (৬০) বলেন, সময়ের সাথে রসুন চাষে খরচ ও শ্রম বেড়েছে। কিন্তু এত কষ্টে আবাদ করেও চোরের চিন্তায় রাত জাগতে হয়? কেননা রসুন দামী ফসল তাই পাহারা দিচ্ছি। মনির জীবন নামে এক যুবক তাঁর ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন আমাদের গ্রামে ৩ জনসহ আসে পাশের গ্রামে ১০ জন কৃষককে শিয়াল কামড়ানোর খবর শুনলাম। অর্ধেক নাক ছিঁড়ে নেওয়ার মত ঘটনা ঘটেছে। একদিকে রাতের আধারে জমির ফসল চুরি অন্যদিকে দিনে দুপুরে শেয়ালের উৎপাত। কৃষক যেনো কোনো কিছুতেই স্বস্তি পাচ্ছেনা এখন। উপজেলা ভারপ্রাপ্ত কৃষি কর্মকর্তা হাবিবা আক্তার বলেন, আবহাওয়া ভালো হওয়ায় চলতি মৌসুমে ভালো ফলন ও বর্তমান বাজারে রসুনের দাম বেশি পাওয়ার মাধ্যমে কৃষকরা লাভবান হবেন। পেঁয়াজ চুরির বিষয়টি স্থানীয় কৃষক ও কৃষি কর্মকর্তার মাধ্যমে জানতে পেরেছি। চুরি রোধে কৃষকরা দিনে ও রাতে পাহারা দিচ্ছে শুনেছি।’ 
এবিষয়ে থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাহারুল ইসলাম বলেন, থানা পুলিশ, গ্রাম পুলিশ ও রাত্রিকালীন পাহারাদাররা চুরি রোধে নিয়মিত টহল দিচ্ছে। এদের সাথে জনগণের সচেতন ভূমিকা চুরি রোধ ও অপরাধ কমাতে অনেক কার্যকর হবে।

পলাশবাড়ীতে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ

ছাদেকুল ইসলাম রুবেল,গাইবান্ধা :গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার নদ নদী গুলোতে নব্যতা , নদী ভাঙ্গন, বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ গুলো প্রাকৃতিক ও কৃত্রিম সংকটে সংস্কার অভাবে ব্যাপক ভাবে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। 
অপরদিকে উপজেলার বড় শিমুলতলা, দিঘকান্দি, নেকটগাড়ী, চেরেঙ্গা, শিশুদহ এলাকাসহ একাধিক স্থানে নদী ভাঙ্গন ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে বসতবাড়ী ও আবাদী জমি হারিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে দুই শতাধিক পরিবার। উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া করতোয়া নদীর পারের বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ গুলো পুরোপুরি অকেজো হয়েছে পড়েছে। যে গুলো দ্রুত সংস্কার করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে ৷ উপজেলার মোট আয়তন- ১৮৫.৩৩ বর্গ কিলোমিটার এ উপজেলায় ২ টি নদ নদী রয়েছে আখিরা নদী স্থানীয় ভাবে যার নাম দুটিতে পরিচিত এর একস্থানে নাম মর্চ নদী অন্যস্থানে নামটি হলো নলেয়া নদী। এ নদটির নব্যতার কারণে নিজের গতি হারিয়ে ফেলেছে, নদ হতে আবাদী জমি গ্রাস করে বিলে রুপ নিয়েছে অপরদিকে এ অঞ্চলের বেশীর ভাগ আবাদী জমি গুলো সেচ নির্ভর হয়ে পড়েছে। পলাশবাড়ী উপজেলার এ নদটি দ্রুত খনন করে নব্যতা দুর করণে প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহন করা প্রয়োজন। এছাড়াও করতোয়া নদী উপজেলার পশ্চিম সীমান্ত ১ নং কিশোরগাড়ী ও ২ নং হোসেনপুর ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এ দুইটি ইউনিয়নের বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ গুলোতে ছোট বড় ভাঙ্গন,নদী ও নদীপারের জমি হতে মাটি পরিবহনের কাজে নিয়োজিত ট্রাক্টর, ট্রলি,ভেকু ও জ্যাম ট্রাক চলাচলে ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ৷ এসব বাঁধ দ্রুত সময়ে সংস্কার করা না হলে বর্ষাকালে বন্যায় ফসলি জমি ও বসতবাড়ীসহ উপজেলার পূর্ব ও পশ্চিম অঞ্চলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার আশংঙ্কা রয়েছে। 
এ বিষয়ে গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ হাফিজুল হক ব্যস্ত থাকায় তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে এ বিষয়ে রংপুর বিভাগের বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডে প্রধান প্রকৌশলী (পুর) মোঃ মাহবুবর রহমান জানান,করতোয়া নদী ও আখিড়া নদ নিয়ে স্ট্যাডি চলছে, পরীক্ষা নিরিক্ষা শেষে প্রকল্প গ্রহন করা হবে। এরপর বরাদ্দ পেলে দ্রুত সংস্কার কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ কামরুল হাসান জানান, উপজেলার করতোয়া নদীর ভাঙ্গন ,নদ গুলোর নব্যতা রোধে খনন ও বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ সংস্কার বিষয়ে জেলা সমন্বয় মিটিং এ উত্থাপন করা হয়। সেখানে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ হতে দ্রুত নদী ভাঙ্গন রোধ ও বাঁধ সংস্কার করার আশ্বাস দিয়েছেন । উপজেলার চেরেঙ্গা এলাকায় বাঁধ সংস্কার কাজ শুরু করা হয়েছে। এবং বর্ষার আগেই উপজেলার ক্ষতিগ্রস্ত বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ এর বাকি অংশে দ্রুত এ সংস্কার কাজ করা প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি। উক্ত নদ নদী গুলো দ্রুত খনন ও সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্টদের নজরে আনতে তিনি স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের সার্বিক সহযোগীতা কামনা করেন। পলাশবাড়ী উপজেলার নদ ও নদী পারের স্থানীয় ভোক্তভোগী জনসাধারণ ,উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া নদ ও নদী নব্যতা ও ভাঙ্গন রোধ এবং বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ সংস্কারের জন্য স্থানীয় জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা,নৌ ও পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি ,স্থানীয় জাতীয় সংসদ সদস্য এ্যাড.উম্মে কুলসুম স্মৃতি এমপি, রংপুর বিভাগীয় কমিশনার হাবিবুর রহমান,পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণের ও স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের প্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

চিলাহাটিতে স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে সরকারী গাছ কাটার অভিযোগ

চিলাহাটি ওয়েব ডটকম : Saturday, March 23, 2024 | 3/23/2024 04:02:00 PM

চিলাহাটি ওয়েব ডেস্ক : নীলফামারী জেলার চিলাহাটিতে সরকারী গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩ শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
জানা গেছে- জেলার চিলাহাটির মুক্তিরহাটে ডাঙ্গাপাড়া পূর্ব ভোগডাবুড়ী বাংলাদেশ রাইফেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহমান বিটুল, দুই সহকারী শিক্ষক আব্দুল মজিদ ও কারিমুল ইসলাম মিল্লাল গত শুক্রবার (২২ মার্চ) রাতের আঁধারে রেললাইন সংলগ্ন এলাকা থেকে ৭টি ইউকালেক্টর গাছ কর্তন করে।
এ সময় এলাকাবাসী বাধা দিতে গেলে সহকারী শিক্ষক কারিমুল ইসলাম মিল্লাল এলাকাবাসীকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি প্রদান করেন। রাতের আঁধারে গাছ নিয়ে আসার সময় সাহার মোড় নামক এলাকায় স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ আটক করলে এক পর্যায়ে সেখানে বাক-বিতর্কের সৃষ্টি হয়।
এক পর্যায়ে সবকিছু ম্যানেজ করে ওই তিন স্কুল শিক্ষক গাছগুলো স্থানীয় পাইকারের কাছে বিক্রি করে দেন। জানতে চাইলে ওই স্কুল শিক্ষকরা এ ব্যাপারে কথা বলতে নারাজ।
বাংলাদেশ রেলওয়ে পাকসি ডিভিশন এসএসএই (আইডব্লিউ) শরিফুল আজিম জানান- রেল সেন্টার থেকে যদি আমাদের আয়ত্তে থাকে তাহলে এটা বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে অর্থাৎ আমি প্রয়োজনের ব্যবস্থা নেব। আর যদি রেলের জায়গায় না হয় তাহলে ওই শিক্ষকরা টেন্ডার ছাড়া গাছ কাটতেই পারবেনা।
সুধী মহল জানান- ঠিক ইফতারের সময়ে ওই শিক্ষকদের বিক্রি করা গাছ পাইকার কাটে। এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি গাছ কাটার ব্যাপারে কথা বলবেন না বলে জানান।

এক বছরের মাথায় চিলাহাটি এক্সপ্রেস কোচ লক্কড়ঝক্কড়

আপেল বসুনীয়া, চিলাহাটি ওয়েব : উত্তরের সর্বশেষ সীমান্তবর্তী এলাকায় চিলাহাটি বাসীর দীর্ঘদিনের প্রানের দাবির প্রেক্ষিতে চিলাহাটি-ঢাকা দিবাকালীন চিলাহাটি এক্সপ্রেস নামে আরেকটি আন্তঃনগর ট্রেন চালু করা হয়।
কিন্তু বছর যেতে না যেতেই চাকা ক্ষয়ে বাঁকা হয়ে যাওয়া, রানিংয়ে এক্সেল কয়েল স্প্রিং ভেঙে পড়া, রুফ সিলিং খুলে যাওয়াসহ কোচগুলোতে নানা সমস্যা দেখা দিয়েছে। যাত্রীদের ভাষায় টেনটি লক্কড়ঝক্কড়।
২০২৩ সালের ৪ জুন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ট্রেনটি চলাচলের উদ্বোধন করেন।
জানা যায়- উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে চীনের থাংশানের কোম্পানি সিআরআরসি থেকে প্রায় ১ বছর আগে এ ট্রেনের কোচগুলো আমদানি করে বাংলাদেশ রেলওয়ে। কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী এসব কোচের ওয়ারেন্টি ২ বছরের। কিন্তু কোচগুলো ট্রেনে যুক্ত করার পরপরই দেখা দিয়েছে নানা সমস্যা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ট্রেন পরীক্ষক (টিএক্সআর) বলেন- কোচের চাকা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ক্ষয় হচ্ছে। চলন্ত অবস্থায় ব্রেক প্যাড পড়ে যাচ্ছে।
স্বাভাবিকভাবে নতুন কোচের স্প্রিং ২ থেকে ৩ বছর পরে ভাঙলেও এসব কোচের ১ বছর না যেতেই রানিংয়ে এক্সেল কয়েল স্প্রিং ভেঙে যাচ্ছে।
এ ছাড়া প্রাইমারি ডাম্পার অকার্যকর, অস্বাভাবিকভাবে তেল লিকেজ হচ্ছে। দ্রুত পাওয়ার কার গরম হয়ে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এতে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে।
চিলাহাটি এক্সপ্রেস ট্রেনের এক যাত্রী বলেন- বেশি ভাগ ফ্যানই অচল। কোচে পানির ট্যাংক ভরা থাকলেও হ্যান্ড শাওয়ারে ও পানির কলে পানি আসে না।
জানালার স্যুট বোল্ট খুলে যায়। বায়ো টয়লেটের সরবরাহ লাইন দিয়ে মল ও নোংরা পানি পড়ে দুর্গন্ধ ছড়ায়। এ অবস্থায় ভোগান্তি নিয়ে অনেকটা বাধ্য হয়েই এই ট্রেনে ভ্রমণ করতে হচ্ছে।
সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার সিঅ্যান্ডডব্লিউ মেশিন শপ সূত্র জানায়, বাংলাদেশ রেলওয়েতে বিজি এমডি-৫২৩ (চায়না-২০২৩) ১০০টি কোচ রেলওয়ের যানবাহন বহরে যুক্ত হয়।
এ কোচগুলো নিয়মমাফিক প্রতি ১ বছর পরপর মেরামতে আসার কথা থাকলেও চাকার বিভিন্ন ত্রুটির কারণে এক বছরের আগেই বিশেষ রিপেয়ারের প্রয়োজন পড়ছে।
এসব কোচ বিভিন্ন সময় সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় মেরামতে এলে চাকা টার্নিংয়ের সময় চাকায় ব্লোহোল বা ক্র্যাক দেখা যায়। স্বাভাবিকভাবে চাকা ৮ মিলিমিটার থেকে ১০ মিলিমিটার টার্নিংয়ের প্রয়োজন হয়।
কিন্তু চায়না কোচে ব্লোহোল বা ক্র্যাকের কারণে অনেক বেশি অর্থাৎ ১৫ মিলিমিটার থেকে ২০ মিলিমিটার, কোনো কোনো ক্ষেত্রে তার চেয়েও বেশি টার্নিংয়ের প্রয়োজন হচ্ছে। ফলে চাকার স্থায়িত্বকাল আগের চেয়ে অনেক কমে যাচ্ছে।
রেলওয়ে শ্রমিক ইউনিয়ন সৈয়দপুর কারখানা শাখার সাধারণ সম্পাদক শেখ রোবায়েতুর রহমান চিলাহাটি ওয়েব ডটকমকে বলেন- চিলাহাটি এক্সপ্রেস ট্রেনের কোচগুলো চীন থেকে এক বছরের কম সময়ে কেনা হয়েছে। এখনই সমস্যা দেখা দিয়েছে।
অথচ ইন্দোনেশিয়া ও ভারত থেকে আনা রেলের কোচ গত ৬-৭ বছর চলছে সমস্যা ছাড়াই।
এ নিয়ে মোবাইল ফোনে কথা হয় রেলওয়ের যুগ্ম মহাপরিচালক (যান্ত্রিক) তাবাসসুম বিনতে ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, ওয়ারেন্টি সময়ে চুক্তি অনুযায়ী দেখভাল করার দায়িত্ব আমদানি করা কোম্পানির।
কিন্তু এ সময় ত্রুটি দেখা দিলে বিষয়টি আমাকে বিভাগীয়ভাবে জানানোর কথা।
তবে এখনো আমাকে জানানো হয়নি। বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজ নেওয়া হবে।