সুলভ মুল্যে ডিম ও দুধ বিক্রির উদ্বোধন

চিলাহাটি ওয়েব ডটকম : Tuesday, March 26, 2024 | 3/26/2024 11:45:00 PM

ছাদেকুল ইসলাম রুবেল,গাইবান্ধা : ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস ও পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে খোলা বাজারে ভ্রাম্যমান ভাবে সুলভ মুল্যে প্রানিজ আমিষ " দুধ ও ডিম " বিক্রির কার্যক্রমের ও খামারিদের মাঝে মিল্কিং মেশিন বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন স্থানীয় জাতীয় সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড.উম্মে কুলসুম স্মৃতি এমপি। 
ডিমের ডজন ১ শত ও দুধ কেজি ৫০ টাকা দরে উপজেলা প্রানী সম্পদ ও ভোটেরিনারি হাসপাতালে এর উদ্যোগে ও উপজেলার ডি এন আর ডেইরী ফার্ম,তামিম ডেইরী ফার্ম,মের্সাস রিপন ট্রেডার্স এর সহযোগীতায় খোলা বাজারে সুলভ মুল্যে ডিম ও দুধ বিক্রির কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ২৬ মার্চ মঙ্গলবার সকালে উপজেলা প্রানী সম্পদ অফিসে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুল হাসানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ হারুন আর রশিদ। এতে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব একেএম মোকছেদ চৌধুরী বিদ্যুৎ,উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এসএম রফিকুল ইসলাম রিপন,আনোয়ারা বেগম,সহকারি কমিশনার মাহমাদুল হাসান,অফিসার ইনচার্জ আরজু মোঃ সাজ্জাদ হোসেন। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন ডেইরী এ্যাসোসিয়েশন এর সভাপতি আব্দুল মতিন সরকার, পলাশবাড়ী প্রেসক্লাবে সভাপতি ফজলুল হক দুদু, রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি আশরাফুল ইসলাম, খামারী সৈয়দ দিন মোহাম্মাদ ডন, শাহারুল ইসলাম, মমিনুল ইসলাম রিপনসহ অন্যান্য খামারীরা৷ এরআগে প্রানী সম্পদ ও ডেইরী উন্নয়ন প্রকল্পের সহযোগীতায় প্রডিউসার গ্রুপ (পিজি) খামারিদের মাঝে মিল্কিং মেশিন বিতরণ করা হয়৷ অপরদিকে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচী পালনের মধ্য দিয়ে দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে।

ফুলেল শুভেচছায় খানসামায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বরণ করলেন সরকারী কর্মকর্তারা

এস.এম.রকি,খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি : ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ফুলেল শুভেচছায় সিক্ত করলেন সরকারী দপ্তরের কর্মকর্তারা। 
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সকালে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে খানসামা সরকারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা, আলোচনা সভা ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তাঁদের বরণ করে উপজেলায় কর্মরত কর্মকর্তারা। ইউএনও মো: তাজ উদ্দিনের সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান সফিউল আযম চৌধুরী লায়ন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আফরোজা পারভীন, ওসি মোজাহারুল ইসলাম, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার মোখলেছুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের পরিবার সদস্যগণ, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ ও সুধীজন। উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার মোখলেছুর রহমান তাঁর বক্তব্যে বলেন, বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে বাঙালির মুক্তির জন্য যুদ্ধে গিয়েছিলাম। সেই স্বপ্ন আজ বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা পূরণে কাজ করছেন। তিনি আমাদের সম্মানিত করেছেন। তিনি আরো বলেন, আজকে উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত অনুষ্ঠানে যেভাবে সম্মান জানালেন এতে আমরা আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তাজ উদ্দিন বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কারণেই আজ আমরা স্বাধীন একটি ভূখণ্ড বাংলাদেশ পেয়েছি বলেই সরকারী কর্মকর্তা হওয়ায় সুযোগ পেয়েছি। এজন্য তাঁদের প্রতি আমরা চির কৃতজ্ঞ। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমরা সরকারী কর্মকর্তারা কাজ করে যাচ্ছি। যেন তাঁদের দেওয়া আমানত এই দেশকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আরো উন্নত জায়গায় পৌঁছে দিতে পারি। এর আগে খানসামা উপজেলা পরিষদ চত্বরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলী অর্পণ ও খানসামা সরকারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, থানা পুলিশ, আনসার, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্যারেডে অংশগ্রহণ করেন।

স্বাধীনতার দিনে পরিবর্তন হচ্ছে বরেন্দ্র এক্সপ্রেস

চিলাহাটি ওয়েব ডটকম : Monday, March 25, 2024 | 3/25/2024 04:53:00 PM

আপেল বসুনীয়া, চিলাহাটি ওয়েব : উত্তরের সর্বশেষ সীমান্তবর্তী রেলওয়ে স্টেশন চিলাহাটি থেকে রাজশাহী চলাচলকারী আন্তঃনগর বরেন্দ্র এক্সপ্রেস ট্রেনের পরিবর্তন হচ্ছে ২৬ মার্চ।
দীর্ঘ ৯ বছর চিলাহাটি থেকে চলাচলের পর সাদা রেকে চলাচল করবে এ ট্রেনটি। রেলওয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পুরনো রেক বদলে আগামী ২৬ মার্চ থেকে বরেন্দ্র এক্সপ্রেস ট্রেন ইন্দোনেশিয়ান সাদা রঙের কোচের রেক নিয়ে চলাচল করবে।
ইন্দোনেশিয়ান (সাদা) কোচ দিয়ে চিলাহাটি-রাজশাহী-চিলাহাটি রুটে চলাচল করা ৭৩২/৭৩১ নম্বর আন্তঃনগর বরেন্দ্র এক্সপ্রেস ট্রেন নতুন মার্শালিংয়ে চলাচলের প্রশাসনিক অনুমোদন দেওয়া হলো।
যা আগামী ২৬ মার্চ (মঙ্গলবার) চিলাহাটি থেকে ছেড়ে আসা ৭৩২ নম্বর ট্রেনের মাধ্যমে কার্যকর হবে। নতুন রেক কম্পোজিশন, মার্শালিং ও আসন সংখ্যা অনুযায়ী ট্রেনে ১২টি কোচ থাকবে।
এর মধ্যে ২টি শোভন শ্রেণির আসন যুক্ত ডাইনিং কারে (ডব্লিউইসিডিআর) ৫১টি করে ১০২টি, একটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত স্লিপার কারে (ডব্লিউজেসি) ৪৮টি, একটি শোভন শ্রেণির আসনসহ পাওয়ার কারে (ডব্লিউইপিসি) ১৬টি, একটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত চেয়ার কোচে (ডব্লিউজেসিসি) ৮০টি, ৭টি শোভন চেয়ার কোচে (ডব্লিউইসি) ৯২টি করে মোট ৬৪৪টি আসন থাকবে।
পুরো রেকে মোট আসন হবে ৮৯০টি। চিলাহাটি স্টেশনে রেকের 'ঠ' প্রান্তে ইঞ্জিন সংযোজিত হবে।
উল্লেখ্য- দীর্ঘদিন এই ট্রেনটি রাজশাহী থেকে নীলফামারী চলাচলের পর ২০১৫ সালের ১৫ জানুয়ারি এ টেনটি রাজশাহী-চিলাহাটি চলাচল করছে।

পলাশবাড়ীতে গমের বাম্পার ফলন কৃষকের মুখে হাসি

চিলাহাটি ওয়েব ডটকম : Sunday, March 24, 2024 | 3/24/2024 11:53:00 PM

ছাদেকুল ইসলাম রুবেল,গাইবান্ধা :গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় এ বছর উচ্চ ফলনশীল গম চাষ করা হচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূল থাকায় গমের বাম্পার ফলন পাওয়ার আশা করছেন কৃষকেরা। 
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে এ বছর উপজেলায় ৪শত হেক্টর জমিতে গমের চাষ হয়েছে। এর মধ্যে বারি গম-৩০,৩২ ও ৩৩ নামের উচ্চফলনশীল জাতের গমের পাশাপাশি অন্যান্য উচ্চফলনশীল জাতের গম চাষ হয়েছে। পলাশবাড়ী কৃষি উপ-সহকারি অফিসার মিজানুর বলেন, কৃষি বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী কৃষকেরা চাষাবাদ করায় গমের আবাদ ভালো হয়েছে। মহদীপুর ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামের কৃষক মমিনুর ইসলাম জানান, তিনি এ বছর ৪৬ শতক জমিতে কৃষি বিভাগের সহায়তায় উচ্চ ফলনশীল বারি-৩০ জাতের গমের চাষ করেছেন। কৃষি বিভাগের পরামর্শে ক্ষেত পরিচর্যা করায় গম ভালো হয়েছে। চাষকৃত জমি থেকে প্রায় ১৮ মণ গম পাবেন বলে আশা করছেন তিনি। একই ইউনিয়নের কেত্তারপাড়া গ্রামের অপর কৃষক মজিবর রহমান জানান ২৮ শতক জমিতে উচ্চফলনশীল জাতের গমের চাষ করেছেন। তারাও ভালো ফলন পাবেন বলে আশা করছেন। 
পলাশবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফাতেমা কাউসার মিশু বলেন,এ উপজেলায় উচ্চ ফলনশীল গম চাষে কৃষকদের আগ্রহ বেড়েছে। আবহওয়া অনুকুলে থাকায় এ বছর পলাশবাড়ীতে গম ভালো হয়েছে। রোগবালাই তেমন হয়নি। মাঠে ফসলের অবস্থাও ভালো। চলতি মৌসুমে গমের বাম্পার ফলন হবে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

ফুলবাড়ীতে ভুট্টা চাষে ব্যাপক আগ্রহী হয়ে ওঠেছেন কৃষক

আফজাল হোসেন, ফুলবাড়ী প্রতিনিধি: দিনাজপুরের ফুলবাড়ী পৌরসভাসহ উপজেলার ৭ টি ইউনিয়নে চলতি মৌসুমে ৩ হাজার ৭৮০ হেক্টর জমি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও শেষতক ৪ হাজার ১০ হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষ করা হয়েছে। এ চাষাবাদ থেকে ৪৮ হাজার ১২০ মেট্রিক টন ভুট্টা উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে মনে করছেন উপজেলা কৃষি বিভাগ। অন্যান্য ফসলের তুলনায় অধিক লাভজনক হওয়ায় ভুট্টা চাষে ঝুঁকছেন উপজেলার কৃষকেরা। 
চলতি মৌসুমে কাবেরী ৫৪, এমকে ৪০, পালোয়ান, সুপার শাইন, কাবেরী ৪৪, সিনজেনটা ৭৭২০ সহ বিভিন্ন জাতের ভুট্টা চাষ করা হয়েছে। উপজেলার অপেক্ষাকৃত উঁচু জমিগুলোতে আগাম জাতের ভুট্টা চাষ করা হয়েছে। চাহিদার সাথে বাজার মূল্য বেশি ও অধিক লাভ হওয়ায় এবার বোরো ধানের জমিতেও আগাম জাতের ভুট্টা চাষ করা হয়েছে। উপজেলার শিবনগর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের কৃষক যোতিষ চন্দ্র রায় জানান, গত বছর ভুট্টার দাম ভালো পাওয়ায় এ বছর বর্গা নিয়ে ৩ বিঘা জমিতে ভুট্টার চাষ করেছেন। ভুট্টা বিক্রি ছাড়াও ভুট্টার গাছ জ্বালানী হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এছাড়াও যেসব জমিতে এক সময় বোরো চাষ করা হতো সেসব জমিতে কৃষকেরা এখন ভুট্টা চাষ করছেন। 
উপজেলার চককবীর গ্রামের খবির শেখ জানায়, ধানসহ অন্যান্য ফসলের তুলনায় ভুট্টা চাষে খরচ ও শ্রম কম এবং দাম বেশি পাওয়ায় কৃষদের মাঝে ভুট্টা চাষে আগ্রহ বাড়ছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রুম্মান আক্তার বলেন, ভুট্টা থেকে গবাদিপশুসহ মাছ ও মুরগির খাদ্য উৎপাদন এবং গাছ জ্বালানী হিসেবে ব্যবহৃত হওয়ায় এটি লাভজনক। এজন্য কৃষকদের মধ্যে ভুট্টা চাষের আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে। উপজেলার ৯৮০ জন কৃষককে কৃষি প্রণোদনার আওতায় এনে ৯৮০ বিঘা জমিতে ভুট্টা চাষ করা হয়েছে। এজন্য ৯৮০ জন কৃষককে বিনামূল্যে সার ও বীজ কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে।

চুরি রোধে রসুন ক্ষেত পাহারায় কৃষক : শিয়ালের কামড়ে আহত ১০

এস.এম.রকি,খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি : উত্তরের জেলা দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় সাদা সোনা খ্যাত রসুন চাষে স্বপ্ন পূরণের আশায় দিন গুণছেন কৃষক-কৃষাণীরা। গত বছরের তুলনায় চলতি মৌসুমে এই উপজেলায় রসুনের ভালো ফলন হয়েছে। তবে ক্ষেতের রসুন চুরি হওয়ায় আশংকায় রাত জেগে নিজেদের উৎপাদিত রসুন ক্ষেত পাহারা দিচ্ছেন কৃষকরা। রাতে পাহারা দিতে গিয়ে এপর্যন্ত উপজেলায় চলতি মৌসুমে ১০ জন শিয়ালের কামড়ে আহত হয়েছে। 
খানসামা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে ৬টি ইউনিয়নে রসুন চাষ হয়েছে ১৬২০ হেক্টর। যা গতবছরে ছিল ১৫০০ হেক্টর। রসুন চাষে লাভবান হওয়ায় কৃষি বিভাগের পরামর্শ এটি বৃদ্ধি হয়েছে। শুক্রবার (২২ মার্চ) রাতে উপজেলার গোয়ালডিহি, নলবাড়ী, হাসিমপুর ও কাচিনীয়া গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, জমিতে পলিথিন দিয়ে অস্থায়ী ঘর তৈরি করে কৃষকরা সেখানে রাত্রিযাপন করছেন। কৃষকদের চোখে ঘুম নেই, রাত জেগে টর্চ লাইটের আলোয় রসুন ক্ষেত পাহারা দিচ্ছে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে শিয়ালের উপদ্রুব হওয়ায় তাঁরা আতংক আছে। ঈদের আগেই রসুন উঠানো ও ঘরে তোলার কাজ শেষ হবে বলে কৃষকরা জানায়। ৫০ শতকের প্রতি বিঘা জমিতে রসুন চাষে বীজ, সার, সেচ, হাল ও পরিচর্যা বাবদ এই বছর খরচ হয় প্রায় ৯০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। 
এবার বীজের দাম বেশী হওয়ায় খরচটা বেড়ে গেছে। আর প্রতি বিঘায় ফলন হয় ৫৫-৭০ মণ। প্রতি মণের বর্তমান বাজার মূল্য ৩০০০-৩৫০০ টাকা। সে হিসেবে অন্য আবাদের চেয়ে রসুন চাষ লাভবান বলে জানান উপজেলার গোয়ালডিহি জমির শাহ পাড়ার রসুন চাষী রিশাদ শাহ। গোয়ালডিহি গ্রামের রসুন আশরাফ আলী (৬০) বলেন, সময়ের সাথে রসুন চাষে খরচ ও শ্রম বেড়েছে। কিন্তু এত কষ্টে আবাদ করেও চোরের চিন্তায় রাত জাগতে হয়? কেননা রসুন দামী ফসল তাই পাহারা দিচ্ছি। মনির জীবন নামে এক যুবক তাঁর ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন আমাদের গ্রামে ৩ জনসহ আসে পাশের গ্রামে ১০ জন কৃষককে শিয়াল কামড়ানোর খবর শুনলাম। অর্ধেক নাক ছিঁড়ে নেওয়ার মত ঘটনা ঘটেছে। একদিকে রাতের আধারে জমির ফসল চুরি অন্যদিকে দিনে দুপুরে শেয়ালের উৎপাত। কৃষক যেনো কোনো কিছুতেই স্বস্তি পাচ্ছেনা এখন। উপজেলা ভারপ্রাপ্ত কৃষি কর্মকর্তা হাবিবা আক্তার বলেন, আবহাওয়া ভালো হওয়ায় চলতি মৌসুমে ভালো ফলন ও বর্তমান বাজারে রসুনের দাম বেশি পাওয়ার মাধ্যমে কৃষকরা লাভবান হবেন। পেঁয়াজ চুরির বিষয়টি স্থানীয় কৃষক ও কৃষি কর্মকর্তার মাধ্যমে জানতে পেরেছি। চুরি রোধে কৃষকরা দিনে ও রাতে পাহারা দিচ্ছে শুনেছি।’ 
এবিষয়ে থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাহারুল ইসলাম বলেন, থানা পুলিশ, গ্রাম পুলিশ ও রাত্রিকালীন পাহারাদাররা চুরি রোধে নিয়মিত টহল দিচ্ছে। এদের সাথে জনগণের সচেতন ভূমিকা চুরি রোধ ও অপরাধ কমাতে অনেক কার্যকর হবে।

পলাশবাড়ীতে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ

ছাদেকুল ইসলাম রুবেল,গাইবান্ধা :গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার নদ নদী গুলোতে নব্যতা , নদী ভাঙ্গন, বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ গুলো প্রাকৃতিক ও কৃত্রিম সংকটে সংস্কার অভাবে ব্যাপক ভাবে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। 
অপরদিকে উপজেলার বড় শিমুলতলা, দিঘকান্দি, নেকটগাড়ী, চেরেঙ্গা, শিশুদহ এলাকাসহ একাধিক স্থানে নদী ভাঙ্গন ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে বসতবাড়ী ও আবাদী জমি হারিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে দুই শতাধিক পরিবার। উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া করতোয়া নদীর পারের বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ গুলো পুরোপুরি অকেজো হয়েছে পড়েছে। যে গুলো দ্রুত সংস্কার করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে ৷ উপজেলার মোট আয়তন- ১৮৫.৩৩ বর্গ কিলোমিটার এ উপজেলায় ২ টি নদ নদী রয়েছে আখিরা নদী স্থানীয় ভাবে যার নাম দুটিতে পরিচিত এর একস্থানে নাম মর্চ নদী অন্যস্থানে নামটি হলো নলেয়া নদী। এ নদটির নব্যতার কারণে নিজের গতি হারিয়ে ফেলেছে, নদ হতে আবাদী জমি গ্রাস করে বিলে রুপ নিয়েছে অপরদিকে এ অঞ্চলের বেশীর ভাগ আবাদী জমি গুলো সেচ নির্ভর হয়ে পড়েছে। পলাশবাড়ী উপজেলার এ নদটি দ্রুত খনন করে নব্যতা দুর করণে প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহন করা প্রয়োজন। এছাড়াও করতোয়া নদী উপজেলার পশ্চিম সীমান্ত ১ নং কিশোরগাড়ী ও ২ নং হোসেনপুর ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এ দুইটি ইউনিয়নের বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ গুলোতে ছোট বড় ভাঙ্গন,নদী ও নদীপারের জমি হতে মাটি পরিবহনের কাজে নিয়োজিত ট্রাক্টর, ট্রলি,ভেকু ও জ্যাম ট্রাক চলাচলে ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ৷ এসব বাঁধ দ্রুত সময়ে সংস্কার করা না হলে বর্ষাকালে বন্যায় ফসলি জমি ও বসতবাড়ীসহ উপজেলার পূর্ব ও পশ্চিম অঞ্চলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার আশংঙ্কা রয়েছে। 
এ বিষয়ে গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ হাফিজুল হক ব্যস্ত থাকায় তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে এ বিষয়ে রংপুর বিভাগের বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডে প্রধান প্রকৌশলী (পুর) মোঃ মাহবুবর রহমান জানান,করতোয়া নদী ও আখিড়া নদ নিয়ে স্ট্যাডি চলছে, পরীক্ষা নিরিক্ষা শেষে প্রকল্প গ্রহন করা হবে। এরপর বরাদ্দ পেলে দ্রুত সংস্কার কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ কামরুল হাসান জানান, উপজেলার করতোয়া নদীর ভাঙ্গন ,নদ গুলোর নব্যতা রোধে খনন ও বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ সংস্কার বিষয়ে জেলা সমন্বয় মিটিং এ উত্থাপন করা হয়। সেখানে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ হতে দ্রুত নদী ভাঙ্গন রোধ ও বাঁধ সংস্কার করার আশ্বাস দিয়েছেন । উপজেলার চেরেঙ্গা এলাকায় বাঁধ সংস্কার কাজ শুরু করা হয়েছে। এবং বর্ষার আগেই উপজেলার ক্ষতিগ্রস্ত বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ এর বাকি অংশে দ্রুত এ সংস্কার কাজ করা প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি। উক্ত নদ নদী গুলো দ্রুত খনন ও সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্টদের নজরে আনতে তিনি স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের সার্বিক সহযোগীতা কামনা করেন। পলাশবাড়ী উপজেলার নদ ও নদী পারের স্থানীয় ভোক্তভোগী জনসাধারণ ,উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া নদ ও নদী নব্যতা ও ভাঙ্গন রোধ এবং বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ সংস্কারের জন্য স্থানীয় জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা,নৌ ও পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি ,স্থানীয় জাতীয় সংসদ সদস্য এ্যাড.উম্মে কুলসুম স্মৃতি এমপি, রংপুর বিভাগীয় কমিশনার হাবিবুর রহমান,পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণের ও স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের প্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।