Showing posts with label গাইবান্ধা. Show all posts
Showing posts with label গাইবান্ধা. Show all posts

সুন্দরগঞ্জে ট্রাকচাপায় এক বৃদ্ধ নিহত

চিলাহাটি ওয়েব ডটকম : Thursday, March 21, 2024 | 3/21/2024 08:41:00 PM

ছাদেকুল ইসলাম রুবেল,গাইবানধা : জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় ট্রাকচাপায় এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। নিহত হলেন শোভাগঞ্জের উত্তর মরুয়াদহ গ্রামের মৃত জালাল হোসেন জাল্লাদুর ছেলে কবির হোসেন (৭১)।
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) সকালে উপজেলার ছাপরহাটি ইউনিয়নের বালাছিড়া-সোভাগঞ্জ সড়কের বাদশার রাইচ মিলের পাশে ছোটব্রিজ সংলগ্ন স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ছাপরহাটি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৩ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য আনছার আলী স্থানীয়দের বরাত দিয়ে বলেন, কবির হোসেন দীর্ঘদিন ধরে শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে ওইস্থানে পৌঁছালে অপর একটি ট্রাক তাকে চাপায় দেয়।
এসময় ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুব আলম বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় কবির হোসেন নামের এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন

এক নলা ওয়ান শুটারগান দুই রাইন্ড গুলিসহ আটক - ৩

চিলাহাটি ওয়েব ডটকম : Friday, March 15, 2024 | 3/15/2024 11:24:00 PM

ছাদেকুল ইসলাম রুবেল,গাইবান্ধা : জেলার সদরে দেশীয় তৈরি এক নলা ওয়ান শুটারগান ও দুই রাউন্ড গুলিসহ তিনজনকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। 
আটককৃতরা হলেন,গাইবান্ধা সদর উপজেলার উত্তর ঘাগোয়া সরকারপাড়া গ্রামের মৃত নুরনবীর পুত্র আসাদুজ্জামান হিরু (৫৫), দারিয়াপুর গ্রামের মৃত আসমত ব্যাপারীর পুত্র মোজাম্মেল (৫২) ও উত্তর ঘাগোয়া সরকারপাড়া গ্রামের মৃত মৃত কছিমুদ্দিনের পুত্র খোকা মিয়া (৬০)। 
শুক্রবার (১৫ মার্চ) দুপুরে গাইবান্ধা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পুলিশ সুপার (এসপি) মো. কামাল হোসেন পিপিএম। সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) বিকেলে গাইবান্ধা সদর উপজেলার ঘাগোয়া ইউনিয়নের ঘাগোয়া সরকারপাড়া গ্রামে অভিযান পরিচালনা করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এসময় একই গ্রামের আব্দুল জব্বারের পুত্র জাকির হোসেন জাফরুলের নির্মানাধীন ভবনের মেঝের বালুর নিচে থেকে একটি প্লাস্টিকের বয়ামের মধ্যে রক্ষিত দেশীয় এক নলা ওয়ান শুটারগান ও দুই রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। সেইসঙ্গে তিনজনকে আটক করা হয়। পুলিশ সুপার বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে গাইবান্ধা সদর থানায় মামলা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. ইবনে মিজান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. ইব্রাহিম হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বি সার্কেল) আব্দুল্লাহ আল মামুন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ-সার্কেল) ধ্রুব জ্যোতির্ময় গোপ (বিপিএম), জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোখলেছুর রহমান সরকার, পরিদর্শক বদরুজ্জামানসহ জেলা পুলিশের বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তারা।

পলাশবাড়ীতে এসটারিক্স জাতের আলু চাষে বেলালের সাফাল্য

চিলাহাটি ওয়েব ডটকম : Tuesday, March 12, 2024 | 3/12/2024 10:49:00 PM

ছাদেকুল ইসলাম রুবেল,গাইবান্ধা : জেলার পলাশবাড়ীর বেলাল হোসেন ছিলেন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা অবসরে এসে সে নিজেই সেজেছেন কৃষক। প্রথমবার দুই একর জমিতে বারি-২৫ (এসটারিক্স) জাতের আলু চাষে তাক লাগিয়েছেন এলাকার কৃষকদের। 
এই জমিতে ৫০০ মণের বেশি আলু ফলিয়ে ৩ লক্ষাধিক টাকা লাভ থাকছে এই কৃষকের। বেলাল হোসেন গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার বেতকাপা ইউনিয়নের মুরারীপুর গ্রামের মৃত ইয়াকুব উদ্দিনের ছেলে।খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কৃষি বিভাগে বেলাল হোসেন চাকরি জীবনে একাধিকবার বিভাগীয় সম্মাননা পেয়েছেন। কর্ম এলাকার কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে অধিক ফলন পেয়ে দেওয়ায় এই সম্মাননা পান তিনি। আর এখান থেকে স্বপ্ন বুনছিলেন নিজের জমিতে উন্নত জাতের ফসল নিয়ে এলাকার কৃষকদের উৎসাহিত করবেন। ঠিক যেমন স্বপ্ন তেমন কাজ। ধানের রাজ্যে আলু উৎপাদনে এলাকাজুড়ে সাড়া ফেলছেন বেলাল হোসেন। এরই মধ্যে তার আবাদ করা আলু দেখতে আসছেন শত শত কৃষক। আগামী বছরে তারাও আলু চাষবাদের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন বলে জানিয়েছেন একাধিক কৃষক।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কৃষক বেলাল হোসেন দুই একর জমিতে বারি-২৫ (এসটারিক্স) জাতের আলু আবাদ করেছেন। অধিক পরিমাণ ফলন হয়। আলু সংগ্রহের সময় উৎসুক মানুষের ভিড়ও লক্ষ্যণীয়। বিঘাপ্রতি আলু উৎপাদন হয়েছে ৯০ মণ। এতে সার-শ্রমিকসহ অন্যান্য খরচ প্রায় ২০ থেকে ২২ হাজার টাকা। বর্তমান বাজার দাম অনুয়ায়ী ৪ লক্ষাধিক টাকার আলু বিক্রির সম্ভাবনা রয়েছে। এ বছর আবহাওয়া অনুক’লে থাকায় প্রত্যেকটি আলুর ওজন প্রায় ২০০ থেকে ৩০০ গ্রাম হয়েছে। এটি বাম্পার ফলন বলে এই কৃষকের দাবি। স্থানীয় কৃষক আলাল উদ্দিন বলেন, আমাদের ইউনিয়নে কেউই আলু আবাদ করেন না। ধানসহ অন্যান্য ফসল উৎপাদন করেন। এ বছর বেলাল হোসেনের আলুর আবাদ দেখে অবাক হয়েছি। এতো বড় বড় আকারের আলু আগে কখনো দেখিনি। ইনশাআল্লাহ আগামী বছর থেকে আমিও এই জাতের আলু চাষ করবো। কৃষক বেলাল হোসেন জানান, নিজে অর্থনৈতিকভাবে চাঙ্গা হওয়ার পাশাপাশি এলাকার কৃষকদের উৎসাহিত করার জন্য এসটারিক্স জাতের আলু আবাদ করেছেন। অধিক ফলনও পেয়েছেন। স্বল্প খরচে এই আবাদ কেউ করলে অনায়াসে লাভবান হবেন। তিনি আরও বলেন, আমার দুই একর জমির উৎপাদিত আলু কোল্ড স্টোরে রাখা হচ্ছে। আগামী রবি মৌসুমে বীজ হিসেবে কৃষকদের মাঝে স্বল্পমূল্যে বিক্রি করা হবে। যাতে করে বেতকাপা এলাকাটি আলুর রাজ্যে পরিণত হয়।পলাশবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফাতেমা কাওয়াসার মিশু বলেন, বারি-২৫ জাতের আলু আবাদে অধিক ফলন পাওয়া সম্ভব। বাজারে চাহিদাও ভালো রয়েছে। যা কৃষক বেলাল হোসেন আমাদের উদাহরণ।

সাদুল্লাপুরে ইউপি নির্বাচনে ৪প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন

চিলাহাটি ওয়েব ডটকম : Sunday, March 10, 2024 | 3/10/2024 11:04:00 PM

ছাদেকুল ইসলাম রুবেল, গাইবান্ধা : জেলার সাদুল্লাপুরের ধাপেরহাট ইউপির চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ নির্বাচনে শহিদুল ইসলাম শিপন চশমা প্রতীকে সাত হাজার ৫২৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। 
এ এলাকায় আরও আট প্রার্থী ভোটে অংশগ্রহণ করেন। এর মধ্যে চারজন প্রার্থী মাত্র তিনটি থেকে ৩০টি ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন। শনিবার (৯ মার্চ) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ধাপেরহাট ইউনিয়নের ১২ কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে যারা মাত্র তিনটি থেকে ৩০টি ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন তারা হলেন - ঢোল প্রতীক প্রার্থী জাহিদ হাসান সেলিম। তিনি পেয়েছেন তিন ভোট। রজনীগন্ধা প্রতীকে শামীমা আখতার ছনিয়া পান পাঁচ ভোট। অটোরিকশা প্রতীকে সজল মিয়া পান ২০ ভোট। অপরদিকে টেবিল ফ্যান প্রতীকে নবাকুল ইসলাম ৩০ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন। 
 স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই নির্বাচনের বিজয়ী প্রার্থী শহিদুল ইসলাম শিপনের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন তারই স্ত্রী শামীমা আখতার ছনিয়া এবং সহোদর ভাই জাহিদ হাসান সেলিম। এছাড়া প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নজরুল ইসলামের বিপরীতে প্রার্থী হয়েছিলেন তারই ভাতিজা সজল মিয়া। সাদুল্লাপুর উপজেলা নির্বাচন ও রিটানিং কর্মকর্তা আতাউল হক বলেন, ধাপেরহাট ইউপির চেয়ারম্যান পদে হওয়া উপনির্বাচনে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। এ ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ২৫ হাজার ৪ হাজার।

বিস্তীর্ণ বালুচরে ছয়টি মূল্যবান খনিজ সম্পদের সন্ধান

ছাদেকুল ইসলাম রুবেল,গাইবান্ধা : জেলার গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রাম জেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদের বিস্তীর্ণ বালুচরে ছয়টি মূল্যবান খনিজ পদার্থের সন্ধান পাওয়া গেছে। গবেষণায় শনাক্তের পর ইনস্টিটিউট অব মাইনিং, মিনারেলজি অ্যান্ড মেটালার্জি- আইএমএমএম বলছে প্রতি এক বর্গকিলোমিটার এলাকায় প্রাপ্ত খনিজ সম্পদের দাম তিন হাজার ৬৩০ কোটি টাকা। জয়পুরহাটে অবস্থিত ইনস্টিটিউট অফ মাইনিং, মিনারেলজি অ্যান্ড মেটালার্জি নামে একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান এমন তথ্য জানিয়েছে। শুধু তাই নয়, গবেষণায় এসব মূল্যবান খনিজ সম্পদের বর্তমান বাজার মূল্য হাজার হাজার কোটি টাকা। এই প্রতিষ্ঠানটির তথ্যে অনুযায়ী জানা গেছে, প্রতি এক বর্গকিলোমিটার এলাকায় প্রাপ্ত খনিজ সম্পদের টেকনো ইকোনমিক ইভাল্যুয়েশন ছাড়াই দাম অন্তত ৩ হাজার ৬৩০ কোটি টাকা। কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধার বিভিন্ন বালুচর থেকে ১ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন বালু সংগ্রহ করা হয়েছিল। খনিজ প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্রে বিভিন্ন প্রক্রিয়া অনুসরণ করে প্রতি টন বালু থেকে ২ কেজি ইলমিনাইট, ২শ’ গ্রাম রুটাইল, ৪ শ’ গ্রাম জিরকন, ৩.৮ কেজি ম্যাগনেটাইট, ১২ কেজি গারনেট ও ৫০ কেজি কোয়ার্টজ মিনারেল পাওয়া গেছে। ১০ মিটার গভীরতায় প্রতি এক বর্গকিলোমিটার এলাকা থেকে উত্তোলনের পর নির্মাণকাজে ব্যবহৃত বালুর বাজারমূল্য ৮০ থেকে ১০০ কোটি টাকা। আর সমপরিমাণ এলাকা থেকে প্রাপ্ত খনিজের বাজার মূল্য তিন হাজার ৬৩০ কোটি টাকা। তবে কোন প্রক্রিয়ায়, কোন প্রতিষ্ঠান এসব খনিজ আহরণ করবে, সেটা নির্ধারণ করবে সরকারের জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগ। মূল্যবান খনিজ পদার্থগুলো হলো- ইলমেনাইট, রুটাইল, জিরকন, ম্যাগনেটাইট চুম্বক ও ইস্পাত, গারনেট ও কোয়ার্টজ। এছাড়া বালুতে আরও অন্য কোনো খনিজ পদার্থ আছে কিনা, সেটা নিয়েও গবেষণা করছে প্রতিষ্ঠানটি। যেসব কাজে ব্যবহৃত হয় মূল্যবান ছয় খনিজ:ইলমেনাইট: ১৭৯১ সালে পাহাড়ি উপত্যকার স্রোত থেকে উইলিয়াম গ্রেগর এটি আবিষ্কার করেন। এই এলাকাটি মানাকানের একটি গ্রামে অবস্থিত। সর্বপ্রথম রাশিয়ার ইলমেনেস্কি পর্বতশ্রেণীতে ইলমেনাইট আবিষ্কৃত হয়। জায়গাটির নামানুসারে এর নাম হয় ইলমেনাইট। ইলমেনাইট হল টাইটানিয়াম ডাই অক্সাইডের প্রধান উৎস; যা রং, কাপড়, প্লাস্টিক, কাগজ, সানস্ক্রিন, খাদ্য এবং প্রসাধনীতে ব্যবহৃত হয়। রিটাইল: ওয়েলডিং রড, কালি, খাবার, কসমেটিকস ও ওষুধ উৎপাদনে ব্যবহৃত হয় রুটাইল। অস্ট্রেলিয়া, ভারত, ইতালি, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, সিয়েরা লিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্র মূল্যবান এই খনিজটি সারা বিশ্বে রপ্তানি করে। জিরকন: জিরকন ব্যবহৃত হয় সিরামিক, টাইলস, রিফ্যাক্টরিজ ও মোল্ডিং স্যান্ডসে (ছাঁচ নির্মাণে ব্যবহৃত বালু)। বর্তমানে সারা বিশ্বে অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, ভারত, চীন, ব্রাজিল, সিয়েরা লিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্র এ খনিজ উপাদানটি রপ্তানি করে থাকে। ম্যাগনেটাইট চুম্বক ও ইস্পাত: ম্যাগনেটাইট চুম্বক ও ইস্পাত উৎপাদন, খনি থেকে উত্তোলিত কয়লা পরিষ্কার করা এবং তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে গভীর কূপ খননে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। বিশ্বের মাত্র দু’টি দেশ মূল্যবান এ খনিজটি সারা বিশ্বে রপ্তানি করে থাকে। দেশ দু’টি হলো দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়া। গারনেট: গারনেট হলো ভারি ও মূল্যবান খনিজ। এটি ব্যবহার করা হয় সিরিশ কাগজ উৎপাদন, লোহাজাতীয় পাইপ পরিষ্কার ও বালুতে বিস্ফোরণ ঘটানোর জন্য। বর্তমানে অস্ট্রেলিয়া ও ভারত সারা বিশ্বে খনিজটি রপ্তানি করে থাকে। কোয়ার্টজ: কোয়ার্টজ বা কোয়ার্টজাইট একটি আলংকারিক পাথর। এটি দেওয়ালে, ছাদের টালি হিসেবে, মেঝেতে কিংবা সিঁড়ির ধাপ তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। রান্নাঘরের কাউন্টারটপ হিসেবে এর ব্যবহার দ্রুত বর্ধনশীল। এটি গ্রানাইটের তুলনায় অধিকতর দৃঢ় এবং দাগ প্রতিরোধী। বিচূর্ণ কোয়ার্টজাইট অনেক সময় সড়ক নির্মাণে ব্যবহৃত হয়। খনিজ সম্পদ নিয়ে গবেষণা করা প্রতিষ্ঠান জয়পুরহাটের ইনস্টিটিউট অব মাইনিং, মিনারেলজি অ্যান্ড মেটালার্জির পরিচালক ড. মোহাম্মদ নাজিম জামান মুঠোফোনে বলেন, 'আমি আর বিবৃতি দেব না। তাছাড়া জয়পুরহাট থেকে আমাকে ঢাকায় বদলি করা হয়েছে। এ বিষয়ে এখন থেকে বাংলাদেশ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের আওতাধীন বাংলাদেশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তরের দায়িত্বরত কর্মকর্তারা বিবৃতি দিবেন।’ আপনার গবেষণায় প্রাপ্ত ফলাফলে যেসব মূল্যবান খনিজ সম্পদ পাওয়ার কথা বলেছেন, সেগুলো উত্তোলনের জন্য অস্ট্রেলিয়ার একটি কোম্পানি চুক্তি করতে চাইছে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'এখনো সেটা চূড়ান্ত হয়নি। তারা খনিজ সম্পদ আহরণের জন্য সরকারের কাছে আবেদন করেছে বলে শুনেছি। এরপর সরকার সেটা যাচাই-বাছাই এবং দেশের স্বার্থ ভেবে সিদ্ধান্ত নেবে'। কবে শুরু করেছিলেন এই কার্যক্রম? এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'গাইবান্ধার নদী অববাহিকায় যেসব চর আছে, সেসব চর নিয়ে প্রথমে আমরা জিওফিজিক্যাল সার্ভে করি। কোন জায়গায় কোন ধরনের মিনারেলস আছে, সেটার প্রাথমিক জরিপ শুরু হয় ২০১০ সালে। ২০১২ সালে জরিপের প্রাথমিক কাজ শেষ করা হয়। এই জরিপ কার্যকরী হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী এই বিষয়ে একটি পাইলটিং প্রকল্পের নির্দেশনা দেন। এরপর ২০১৭ সালে একটি এটিপি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। সেই প্রকল্প অনুযায়ী, জয়পুরহাটে একটি খনিজ গবেষণা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়। গবেষণায় গাইবান্ধার ব্রহ্মপুত্র নদে মূল্যবান খনিজ সম্পদের সন্ধান পাওয়া যায়।’ এ বিষয়ে জানতে চাইলে শুক্রবার (৮ মার্চ) দুপুরে বাংলাদেশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আলী আকবর মুঠোফোনে বলেন, 'আসলে গাইবান্ধার ব্রহ্মপুত্রের বালুকণাতে ১৫ থেকে ২০ ধরনের মিনারেল পাওয়া গেছে। কিন্তু যে প্রতিষ্ঠান এসব খনিজ সম্পদ উত্তোলন করতে চায়, তারা ৬টি মিনারেলকে গুরুত্ব দিতে চায়। এ কারণে ৬টি মিনারেলের কথা সবাই জানতে পেরেছে। বাকি মিনারেলগুলোও দেশের গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। সবকিছু বিবেচনা করে সরকার সিদ্ধান্ত নেবে।’

যে গ্রামে নেই কোনো ভোটার

চিলাহাটি ওয়েব ডটকম : Wednesday, March 6, 2024 | 3/06/2024 11:25:00 PM

ছাদেকুল ইসলাম রুবেল, গাইবান্ধা প্রতিনিধি, চিলাহাটি ওয়েব : গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার পশ্চিম ভবানীপুর গ্রাম। উপজেলার ধাপের হাট ইউনিয়নের ২২টি গ্রামের মধ্যে পশ্চিম ভবানীপুর একটি। প্রথম দেখায় অন্য আর দশটা জনপদের মতই মনে হবে গ্রামটিকে। তবে প্রায় ১২শ একর আয়তনের গ্রাম প্রায় জনবসতিশূন্য। জনমানবশূন্য এই গ্রামে নেই কোনো ভোটারও। গড়ে উঠেনি শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা’সহ মৌলিক সুযোগ-সুবিধাও। আগে এই গ্রামে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বসবাস ছিল বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তবে দেশভাগ আর মুক্তিযুদ্ধের সময় পর্যায়ক্রমে তারা এলাকা ছেড়ে চলে যান। তখন থেকেই ফাঁকা পড়ে আছে গ্রামটি। কথা হয় গ্রামের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীর সাথেও। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দূরে থাকায় তাদের অনেক ভোগান্তিতে পড়তে হয় বলে জানান তারা। এই ইউনিয়নের নির্বাচিত চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম মিন্টুর মৃত্যুতে সম্প্রতি শূন্য হয় পদটি। ৯ মার্চ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচন। নির্বাচন কমিশনের খাতায় পশ্চিম ভবানীপুরের নাম থাকলেও কোনো ভোটার নেই। সম্প্রতি পাশের গ্রাম থেকে এখানে এসে বসবাস করছে বেশ কয়েকটি পরিবার। তবে তারা সবাই অন্য গ্রামের ভোটার। এ বিষয়ে ৬ নং ধাপেরহাট ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম শিপন বলেন, ২২টি মৌজার মধ্যে এই একটি মৌজায় কোনো বসতি নেই। ভোট চাইতে গিয়ে তারা বিভ্রান্তির মধ্যে পড়েন বলেও জানান তিনি। ধাপেরহাট ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল মেয়র শাহাদত হোসেন বলেন, গ্রামটি কৃষিনির্ভর। তবে কোনো ভোটার নেই। যারা আছেন তারা পার্শ্ববর্তী গ্রামের ভোটার।

ধাপেরহাট ইউপি উপনির্বাচনে স্বামী-স্ত্রী সহ ৯ প্রার্থী

ছাদেকুল ইসলাম রুবেল, গাইবান্ধা প্রতিনিধি, চিলাহাটি ওয়েব : জেলার সাদুল্লাপুর উপজেলার ধাপেরহাট ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান পদে শূন্য আসনে উপনির্বাচন ৯ মার্চ ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
এ নির্বাচনের চশমা প্রতীক প্রার্থী শহিদুল ইসলাম শিপনের প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী হয়েছেন তারই স্ত্রী শামীমা আখতার ছনিয়া ও সহোদর ভাই জাহিদ হাসান সেলিম। এছাড়া নজরুল ইসলাম নামের মোটরসাইকেল প্রতীক প্রার্থীর বিপরীতে অংশ নিয়েছন তারই ভাতিজা সজল মিয়া। স্থানীয়রা জানায়, ওইসব প্রার্থীর মধ্যে ভোটের মাঠে লড়ছেন শিপন ও নজরুল। আর ছনিয়া, সেলিম ও সজল নামের এই তিন প্রার্থী প্রতীক বরাদ্দ নিলেও তাদের মাঠে নেই পোস্টার কিংবা প্রচারণা। তারা নিজ নিজ প্রার্থী হয়েও কাজ করেছেন চাচা, স্বামী ও ভাইয়ের পক্ষে। এ প্রার্থীদের ডিগবাজি কাণ্ড নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যকর সৃষ্টি হয়েছে বলে একাধিক ভোটার জানিয়েছে। উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে—ওই ৫ প্রার্থী ছাড়া এখানে আরও ৪ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন—ঘোড়া প্রতীকে নুরে আলম সিদ্দিকি মিঠু, আনারস প্রতীকে জিয়াউর রহমান জিয়া, দুটিপাতা প্রতীকে আল মামুন মন্ডল ও টেবিল ফ্যান প্রতীকে নবাকুল ইসলাম। সম্প্রতি নির্বাচনি এলাকা ঘুর দেখা গেছে, ইতোমধ্যে প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা তুঙ্গে উঠেছে। উঠান বৈঠক করাসহ মাইক প্রচার ও কর্মী-সমর্থক নিয়ে প্রার্থীরা ছুটছেন ভোটারদের দুয়ারে দুয়ারে। এলাকার নানা উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটপ্রার্থনা করছেন তারা। বিশেষ করে ভোটযুদ্ধে মাঠে লড়ছেন শহিদুল ইসলাম শিপন, নজরুল ইসলাম ও নুরে আলম সিদ্দিকি মিঠু। এই তিন প্রার্থীর মধ্যে মূল লড়াই হবে বলে ভোটারদের ধারণা। আর টেবিল ফ্যান প্রতীকে নবাকুল ইসলাম নামের প্রার্থীর নাম শোনা গেলেও তার কোন পোস্টার বা প্রচারণা দেখা যায়নি। সাদুল্লাপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রির্টানিং অফিসার আতাউল হক বলেন, ধাপেরহাট ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ২৫ হাজার ৪০৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১২ হাজার ৫৯৬ ও নারী ১২ হাজার ৮০৭। আগামী ৯ মার্চ সকাল ৮ টা থেকে বিকেল ৪ পর্যন্ত ১২টি ভোটকেন্দ্রে ব্যালটের মাধ্যমে ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। ধাপেরহাট ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শফিকুল কবির মিন্টুর মৃত্যুজনিত কারণে পরিষদের চেয়ারম্যান পদটি শূন্য ঘোষণা করা হয়।