Showing posts with label গাইবান্ধা. Show all posts
Showing posts with label গাইবান্ধা. Show all posts

অধিগ্রহণকৃত জমির মুল্য পরিশোধ না করে স্থাপনা উচ্ছেদ রাস্তার কাজ শুরু

চিলাহাটি ওয়েব ডটকম : Monday, May 13, 2024 | 5/13/2024 11:45:00 PM

ছাদেকুল ইসলাম রুবেল,গাইবান্ধা : ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক ৪ লেনে উন্নীত করণের লক্ষ্যে জেলার পলাশবাড়ী পৌর শহরের প্রাণকেন্দ্র নুনিয়াগাড়ি মৌজার অধিগ্রহণকৃত জমির ক্ষতিপূরণের টাকা পরিশোধ না করে জোর পূর্বক উচ্ছেদ অভিযান করে রাস্তার কাজ শুরু করায় হতাশা প্রকাশ করছেন ভুক্তভোগীরা। উল্লেখ্য (৩১ মার্চ) পলাশবাড়ী চৌমাথা মোড়ে নুনীয়াগাড়ী মৌজার ক্ষতিগ্রস্ত ভূমির মালিক গন দ্রুত ক্ষতিপূরণ পাওয়ার নিমিত্তে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। 
মানববন্ধনে ক্ষতিগ্রস্তরা বলেন, যথারীতি নিয়মমাফিক আমাদের জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট শাখায় টাকার জন্য ঘুরে কোনো ফল মিলছে না। দেই-দিচ্ছি বলে নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। তারা আরও বলেন, অনেক জমি মালিকের সবটুকু জমিসহ স্থাপনা অধিগ্রহণ করা হয়েছে। আজ তাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই। তারা আজ মানবেতর জীবন যাপন করছেন। এমতাবস্থায় অধিগ্রহণকৃত জমির মালিকগন ক্ষতিপূরণের টাকা প্রাপ্তির লক্ষ্যে জেলা প্রশাসক সহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন ভুক্তভোগীরা। অন্যথায় সরকার নির্ধারিত টাকা আদায়ের লক্ষ্যে বৃহত্তর আন্দোলনসহ মহাসড়কে চলমান কাজ বন্ধের হুমকি দেন তারা। মানব বন্ধনের অভিযোগের ভিত্তিতে গনমাধ্যম কর্মীরা জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নিকট বিষয়টি দৃষ্টি গোচর করলে দু মাসের মধ্যে সকল সমস্যা সমাধান করবেন বলে জানান কিন্তু প্রায় দু মাস হতে চললেও ক্ষতিপুরণের পাওনার কোন আশানুরূপ অগ্রগতি না হওয়ায় এরিমধ্য আবারো ক্ষতিগ্রস্ত ভুক্তভোগীরা মিশ্র প্রতিক্রিয়া ও হতাশা প্রকাশ করে জেলা প্রশাসক মহোদয় কে বিষয় টি দ্রুত আন্তরিক হস্তক্ষেপ কামনা করেন অন্যথায় পুনরায় মানব বন্ধন সহ কঠোর তম আন্দোলনে যাবেন ক্ষতিগ্রস্ত অধিগ্রহণ কৃত জমির মালিকগন।

বোরোর বাম্পার ফলনেও কৃষকের মুখে হাসি নেই

ছাদেকুল ইসলাম রুবেল,গাইবান্ধা : সম্প্রতি গাইবান্ধার নিভৃত অঞ্চলে দেখা গেছে, কৃষকের মাঠে দুলছে পাকা ধান। লক্ষাধিক হেক্টর জমির ধান কাটার উপযুক্ত সময় হলেও পর্যাপ্ত কৃষি শ্রমিক না থাকায় জমির ধান ঘরে ওঠানো নিয়ে আতঙ্কে আছেন কৃষকরা। হঠাৎ শিলাবৃষ্টি কিংবা ঝড় হলে ধানের যে পরিমাণ ক্ষতি হবে তা বলা বাহুল্য। দিগন্তজুড়ে নজর কাড়ছে বোরো ধান। ইতোমধ্যে খেতের ধান পাকতে শুরু করেছে। কেউ কেউ কাটা-মাড়াইও করছেন। এরমধ্যে দেখা দিয়েছে আকাশের বিরূপ আচরণ। কখনও কালো মেঘে ঢাকছে আবার কখনও গুড়িগুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। এ অবস্থায় পাকা ধান ঘরে তুলতে চরম দুশ্চিন্তায় আছেন অনেকে। এই বুঝি শেষ সময়ে কষ্টের ফসল নষ্ট হয়ে যাবে। অক্লান্ত পরিশ্রম করে সেই ধান ঘরে তুলতে শুরু করেছেন কৃষরা। তবে সঠিক দাম না পাওয়ার আশঙ্কায় হাসি নেই তাদের মুখে।চলতি মৌসুমজুড়েই ছিলো বৈরী আবহাওয়া। প্রথম দিকে বৃষ্টি না হওয়ায় মোটরে পানি তুলে জমি প্রস্তত করেন কৃষকরা। ধান লাগানোর পর নিয়মিত সেচও মোটরের পানিতে দেওয়া লাগে তাদের। এছাড়া তুলনামূলক উচ্চ মূল্যে সার, শ্রমিক, কীটনাশক খরচ করে যখন ধান পাকার সময় আসলো, তখনই অধিকাংশ ক্ষেতে বাদামি গাছ ফড়িংয়ের (কারেন্ট পোকা) আক্রমণ শুরু হয়। এতেও অনেক খরচ করে কীটনাশক ও অন্যান্য পদ্ধতি ব্যবহারে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। উৎপাদন খরচ ও বাজার দরের বিরাট পার্থক্যের কারণে হতাশাগ্রস্ত কৃষকের মুখে এবার হাসি ফোটেনি। অধিকাংশের ধারণা, ধান বিক্রির টাকায় সার-বীজ-কীটনাশকের দোকানের দেনাও শোধ করতে পারবেন না তারা। এভাবে লোকশানের কারণে কৃষি কাজে আগ্রহ হারাচ্ছেন অনেকে। গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ জানিয়েছে চলতি মৌসুমে জেলায় বোরো চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে অর্জন হয়েছে ১ লাখ ২৮ হাজার ৩৪০ হেক্টর। এ থেকে প্রায় ৮ লাখ ৬২ হাজার মেট্রিক টন ধান ও ৬ লাখ মেট্রিক টন চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা সম্ভাবনা রয়েছে। মৌসুমের শুরুতে আবহাওয়া কিছুটা খারাপ থাকায় উৎপাদন খরচ বাড়লেও ফলনে খুব বেশি প্রভাব পড়েনি। বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় কারেন্ট পোকার আক্রমণ বেশি ছিলো। এতে বেড়েছে কীটনাশক ব্যয়। গত ৭ দিন আগে থেকে এ অঞ্চলে ধান কাটা শুরু হয়েছে। এলাকার সম্পূর্ণ কাটা ঝাড়া শেষ করতে আরও অন্তত ১০-১৫দিন সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন চাষিরা। রবিবার (১২ মে ) বিকেলে সরেজমিনে পলাশবাড়ীর কয়েকটি ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায়, যেসব এলাকার ক্ষেতে কারেন্ট পোকার আক্রমণ হয়নি, সেসব এলাকার চাষিরা ধানের বাম্পার ফলন পেয়েছেন। তবুও উৎপাদন খরচ ও বাজার দরের পার্থক্যের কারণেই হতাশাগ্রস্ত বেশিরভাগ চাষি। তাদের মুখে নতুন ধান ঘরে তোলার আনন্দ আসেনি। তারপরও ধান ঘরে তোলার বিষয়টি মাথায় রেখে সার-কীটনাশক ব্যবসায়ী, সেচ পাম্প ও ট্রাক্টর মালিকরা তাদের বকেয়া আদায়ে হালখাতার তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছেন। এই হালখাতা নামটি হতাশাগ্রস্ত কৃষকের কাছে যেন বিষফোঁড়া। অধিকাংশ কৃষকের দাবি, ধানের উৎপাদন ভালো হলেও তাদের খরচের টাকা উঠছে না। উপজেলার মহদীপুর ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামের কৃষক মজনু, তাজু, এজাদুল,আলম, মইনুল ইসলামসহ বেশ কয়েকজন জানান, জায়গা জমি কম থাকায় তারা অন্যের জমি লিজ নিয়ে ধান চাষ করে থাকেন। ফলনও ভালো হয়েছে। কিন্তু তারপরও খরচের টাকা উঠছে না। তারা খরচের হিসেব দিয়ে বলেন, এ বছর এক বিঘা লিজ নিতে জমির মালিককে দিতে হয়েছে সর্বনিম্ন ৮ হাজার টাকা। প্রথমেই এক বিঘা জমির জন্য বীজতলা তৈরি করে চারা উৎপাদন করতে খরচ হয় দুই হাজার টাকা। তারপর জমি চাষ করতে লাগে ১ হাজার ৫০০ টাকা। জমিতে চারা রোপণ করতে খরচ হয়েছে দুই হাজার টাকা, আগাছা অপসারণ বাবদ ব্যয় হয়েছে প্রায় আড়াই হাজার টাকা, তিনবারে ডিএপি, টিএসপি, এমওপি ও ইউরিয়া সার মিলে কমপক্ষে দুই হাজার টাকার রাসায়নিক সার লাগে। আগাছানাশক, পোকা দমন ও পচন রোধে অন্তত দেড় হাজার টাকার কীটনাশক স্প্রে করতে হয়।সর্বশেষ এক বিঘা জমির ধান কাটতে, বহন করতে ও মাড়াই করে গোলাজাত করতে ছয় হাজার টাকা খরচ হয়। এছাড়া বর্ষা মৌসুমে সময় মতো বৃষ্টিপাত না হওয়ায় সেচ বাবদ পাম্পের মালিককে এক হাজার ২০০ টাকা দিতে হবে। কোনো কোনো গ্রামে সেচ বাবদ পাম্প মালিকদের তিন-চার হাজার টাকা পর্যন্ত দিতে হয়।তারা বলেন, সবমিলিয়ে আমরা যদি নিজেদের শ্রমের মজুরির টাকা বাদও দেই, তারপরও এক বিঘা জমির ধান উৎপাদন করতে কমপক্ষে বিশ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। একবিঘা জমিতে গড়ে বিশ মণ ধানও উৎপাদন হয় না। বর্তমান বাজারে এক হাজার ৫০ থেকে এক হাজার ১০০ টাকা মণ হাতে ধান বিক্রি হচ্ছে। তাহলে বাম্পার ফলনে কৃষকের লাভ কী হলো? পলাশবাড়ী কৃষিবিদ কৃষি কর্মকর্তা ফাতেমা কাউসার মিশু বলেন, এ বছর ধানের ফলন ভালো হয়েছে। আমরা প্রতিটি ইউনিয়ানে আমন চাষিদের প্রণোদনা হিসেবে বীজ ও সার প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া কৃষকদের বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষি প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। উপজেলা বোরর বাম্পার ফলন হওয়ায় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছি।

পলাশবাড়ীতে বিএনপির সাংগঠনিক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

চিলাহাটি ওয়েব ডটকম : Friday, May 10, 2024 | 5/10/2024 11:48:00 PM

ছাদেকুল ইসলাম রুবেল,গাইবান্ধা খালেদা জীয়ার মুক্তি ও ১ দফা দাবী আদায়, ডামি উপজেলা নির্বাচনসহ সকল স্খানীয় নির্বাচন বর্জন কার্যক্রম লক্ষ্যে পলাশবাড়ীতে সাংগঠনিক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১০ মে শুক্রবার বিকালে পলাশবাড়ী উপজেলা ও পৌর বিএনপি,র আয়োজনে বরিশাল ইউনিয়ানের জুনদাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে পলাশবাড়ী উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুস সামাদ মন্ডলের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন,গাইবান্ধা জেলা বিএনপি,র সভাপতি অধ্যাপক ডাঃ মইনুল হাসান সাদিক,প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখেন, মাহামুদুন নবী টিটুল, বিশেষ অতিথি বক্তব্য রাখেন যথা ক্রমে পলাশবাড়ী পৌর বিএনপির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ,গাইবান্ধা জেলা বিএনপি,র সহ সভাপতি শহীদুজ্জামান শহীদ,সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাডঃ মঞ্জুর শোর্শেদ বাবু,আমন্ত্রিত অতিথির বক্তব্য রাখেন,গাইবান্ধা জেলা জিয়া পরিষদ এর আহবায়ক আব্দুল আউয়াল আরজু, অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন,গাইবান্ধা জেলা বিএনপি,র শিল্প ও বানিজ্যিক বিষয় সম্পাদক শহিদুল ইসলাম রাজা,পলাশবাড়ী উপজেলা বিএনপি,র সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রউফ প্রধান আঞ্জু,পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম,বিএনপি নেতা মুকুল আহম্মেদ,মোস্তাক আহম্মেদ, ছকু,সেলিম,লিখন সরকার,নুরনবী মিধা,ফারুক,তুহিন,শিমুল,উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব রাজু আহম্মেদ,সিঃ যুগ্ম আহবায়ক সাগর সরকার মিনু,উপজেলা শ্রমিক দলের যুগ্ম আহবায়ক শাহ জালাল,পৌর যুবদলের আহবায়ক লথিত,সদস্য সচিব হেমাইদুল,সিঃ যুগ্ম আহবায়ক,রুহুল আমিন,যুগ্ম আহবায়ক সুমন,যুব নেতা আপেল, জিয়া আসাদুল,উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি আরিয়েন সরকার আরিফ প্রমুখ।

নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে- ইসি রাশেদা

চিলাহাটি ওয়েব ডটকম : Sunday, April 28, 2024 | 4/28/2024 10:57:00 PM

ছাদেকুল ইসলাম রুবেল,গাইবান্ধা : ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) রাশেদা সুলতানা। রোববার (২৮ এপ্রিল) সকালে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ সভা হয়। গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক কাজী নাহিদ রসুল এর সভায় সভাপতিত্ব প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রংপুর বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার অতিরিক্ত সচিব মো. জাকির হোসেন, রংপুর বিভাগের পুলিশ প্রধান উপ মহাপুলিশ পরিদর্শক মো. আব্দুল বাতেন, উপজেলা নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) দেওয়ান মওদুদ আহমেদসহ জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা এবং পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তারা। সভায় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপে অনুষ্ঠেয় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে গাইবান্ধা জেলার সাতটি উপজেলার চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) ও ভাইস চেয়ারম্যান (মহিলা) পদের প্রার্থীরা অংশ নেন। ইসি রাশেদা সুলতানা বলেন, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে। প্রার্থীদের নির্বাচন বিধিমালা মেনে চলার পাশাপাশি ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি নিশ্চিত করার আহ্বান জানান তিনি।

গোবিন্দগঞ্জে বন্ধুদের নিয়ে প্রেমিকাকে সংঘবদ্ধ ভাবে ধর্ষণ আটক ২

চিলাহাটি ওয়েব ডটকম : Saturday, April 27, 2024 | 4/27/2024 11:22:00 PM

ছাদেকুল ইসলাম রুবেল,গাইবান্ধা : জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় প্রেমিকাকে (১৪) বন্ধুরা মিলে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। অভিযুক্তরা হলেন উপজেলার শালমারা গ্রামের জাহিদুল ইসলামের ছেলে মনিরুল ইসলাম । আর ধর্ষণে অংশ নেওয়া তার দুই বন্ধু হলো- একই গ্রামের মজনু শেখের ছেলে অসীম শেখ (২০) ও শরিফুল শেখের ছেলে শহীদ শেখ (২২)। ধর্ষকদের মধ্যে শহীদ পলাতক রয়েছে। 
শনিবার (২৭ জুলাই) গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুল আলম শাহ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। কিশোরীর সঙ্গে আরও কয়েকজনের প্রেমের সম্পর্ক থাকায় ক্ষুব্ধ হয়ে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে বলে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে প্রেমিক মনিরুল ইসলাম (২০)। প্রেমিক মনিরুল জবানবন্দিতে জানায়, ১৪ বছরের এক কিশোরীর সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রেম চলাকালীন সে জানতে পারে ওই কিশোরীর আরো কয়েকজনের সম্পর্ক রয়েছে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তার সহযোগী বন্ধু অসীম ও শহীদকে সাথে নিয়ে গত ৪ এপ্রিল কিশোরীকে কৌশলে তার বাড়ির পিছনে ডেকে এনে দলবদ্ধ ধর্ষণ করে। এ ঘটনা উভয়পক্ষই চাপা দিলেও পরবর্তীতে কিশোরীটি অসুস্থ হওয়ায় সংঘবদ্ধ ধর্ষণের বিষয়টি প্রকাশ পায়। পরে কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে গত ১৯ এপ্রিল ওই তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) গোবিন্দগঞ্জ চৌকি আদালতে মনিরুল ও অসীম ঘটনার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুল আলম শাহ বলেন, মামলার অভিযুক্ত তিনজনের মধ্যে মনিরুল ও অসীমকে জবানবন্দি শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

গোবিন্দগঞ্জে ট্রাকের ধাক্কায় প্রতিবন্ধী নারী নিহত

চিলাহাটি ওয়েব ডটকম : Wednesday, April 10, 2024 | 4/10/2024 03:40:00 PM

ছাদেকুল ইসলাম রুবেল,গাইবান্ধা : জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় একটি ট্রাকের ধাক্কায় এক প্রতিবন্ধী নারী নিহত হয়েছেন।
নিহত উপজেলার উত্তর ছয়ঘরিয়া গ্রামের অপু মিয়ার মেয়ে রওশন আরা বেগম (২৫)। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে গোবিন্দগঞ্জ শহরের মহাসড়কে জাহানারা মার্কেট সংলগ্ন স্থানে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানায়, ওই সময় রওশন আরা বেগম সড়ক পার হচ্ছিলেন। এরই মধ্যে একটি ট্রাক তাকে ধাক্কায় দিলে রাস্তায় ছিটকে পড়ে ঘটনা স্থলে তার মৃত্যু হয়।
গোবিন্দগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনা স্থল থেকে ও নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। দুর্ঘটনার পর ট্রাকটি রেখে চালক ও হেলপার পালিয়ে যায়।

বিরামপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় একজন নিহত

চিলাহাটি ওয়েব ডটকম : Monday, April 1, 2024 | 4/01/2024 11:33:00 PM

ইব্রাহীম মিঞা, বিরামপুর(দিনাজপুর)প্রতিনিধিঃদিনাজপুর গোবিন্দগঞ্জ মহাসড়কের বিরামপুর সরকার ফিলিং স্টেশন এর উত্তর পাশে হিমেল নার্সারীর সামনে ১০ চাকা বিশিষ্ট একটি পণ্যবাহী ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলে বাইসাইকেল আরোহী বিপুল (১৬) নামের একজন শ্রমিক নিহত হয়েছে। 
রবিবার (৩১ মার্চ) আনুমানিক ১২ ঘটিকায় বিরামপুর পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের মহাসড়কে পণ্যবাহী ১০ চাকা বিশিষ্ট একটি ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে বাইসাইকেল আরোহী বিপুল ঘটনাস্থলে মারা যায়।মৃত বিপুল বিরামপুর পৌরসভার হঠাৎ পাড়া গ্রামের আঃ হালিমের একমাত্র ছেলে।স্থানীয়রা জানান,সে বিরামপুর পৌরশহরের একটি বেকারিতে কাজ করে। বিরামপুর সরকার ফিলিং স্টেশনে তেল নেওয়ার লক্ষ্যে বাইসাইকেল নিয়ে রাস্তা পার হতে গিয়ে দিনাজপুরগামী ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে মারা যায়।এদূর্ঘটনার খবর পেয়ে বিরামপুর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে। মহাসড়কে যানজট সৃষ্টি হলে বিরামপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মহাসড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করে।