Showing posts with label রকমারি. Show all posts
Showing posts with label রকমারি. Show all posts

ডিম-সবজির চিতই পিঠা

চিলাহাটি ওয়েব ডটকম : Sunday, November 26, 2023 | 11/26/2023 12:10:00 PM

চিলাহাটি ওয়েব, রকমারি ডেস্ক : সন্ধ্যার নাস্তায় কী বানানো যায় তা নিয়ে কখনো কখনো খুব চিন্তায় পড়তে হয়। তবে শীতের দিনে এ চিন্তাটার সমাধানও করা যায় সহজে। কারণ শীতের সন্ধ্যায় নাস্তা হিসেবে ভাজা পোড়া অথবা পিঠা কিন্তু বেশ জমে যায়।
আর পিঠা যদি হয় ডিম সবজির চিতই পিঠা তাহলেতো আর চিন্তা নেই। এই পিঠায় ডিম-সবজি থাকায় এ খাবারের ভিটামিন নিয়ে ভাবতে হবে না মায়েদের। বাড়ির সকলেই অনেক পছন্দ করবে এই ডিম-সবজির চিতই পিঠা ।
যা যা লাগবে-
আতপ চালের গুঁড়া ২৫০ গ্রাম, কর্নফ্লাওয়ার ১ টেবিল চামচ, ময়দা ১ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো, ডিম ৪টি, বরবটি কুঁচি করা ১ কাপ, গাজর কুঁচি করা ১ কাপ, কাঁচা মরিচ কুঁচি করা ২চা চামচ (যেমন ঝাল খান), পেঁয়াজ কুঁচি ১/২ কাপ, আদা বাটা ১ চা চামচ, রসুন বাটা ১/২ চা চামচ, ধনেপাতা কুঁচি ৩ টেবিল চামচ, পুদিনা পাতা কুঁচি ১ চা চামচ, পানি পরিমাণ মতো। 
যেভাবে তৈরি করতে হবে- 
একটি বাটিতে আতপ চালের গুঁড়া, কর্নফ্লাওয়ার আর ময়দা ভালো করে মিশিয়ে তাতে সামান্য পানি দিয়ে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। ভেজানো চালের গুঁড়া, কর্নফ্লাওয়ার আর ময়দার মিশ্রণে ৪টি ডিম ভেঙে মিশিয়ে নিন।
ডিমগুলো ভালো করে ফেটে নিন যেন গুটি গুটি না থাকে এবং ভেজানো চালের গুঁড়ার সাথে খুব ভালোভাবে মিশে যায়। তারপর এর মধ্যে একে একে বরবটি, গাজর কুঁচি, পেঁয়াজ কুঁচি, কাঁচামরিচ কুঁচি, আদাবাটা, রসুনবাটা, ধনেপাতা কুঁচি, পুদিনাপাতা কুঁচি, স্বাদমতো লবণ দিয়ে মাখিয়ে নিন।
চুলায় মাটির পাতিল অথবা লোহার তাওয়া (চিতই পিঠার খোদাই করা থাকে এই তাওয়াতে) গরম হতে দিন। গরম হয়ে এলে একটি কাপড়ে তেল লাগিয়ে তা দিয়ে পাতিলে বা তাওয়ায় তেল মাখিয়ে নিন।
এবার ১টি চামচের সাহায্যে মিশ্রণটি দিয়ে দিন এবং একটি ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিন। এসময় চুলার আঁচ মৃদু থেকে একটু বেশি থাকবে।
এভাবেই একটি একটি করে বানিয়ে নিন পিঠাগুলো। এই পিঠাগুলো এমনি খেতেও খুব ভালো লাগে। তবে টক জাতীয় কোন চাটনি, ভর্তা অথবা সস এর স্বাদকে আরো বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়। এই পিঠা বাসায় তৈরি করুন এবং উপভোগ করুন মজাদার ডিম সবজির চিতই পিঠা।

সংসারে খরচ কমানোর ৭ উপায়

চিলাহাটি ওয়েব ডটকম : Tuesday, November 21, 2023 | 11/21/2023 12:53:00 PM

চিলাহাটি ওয়েব, রকমারি ডেস্ক : সংসারের খরচের রাশ কোনোমতেই টেনে ধরা যাচ্ছে না? এক খাতে খরচের লাগাম টেনে ধরলে বেড়ে যাচ্ছে অন্য খাতে? আসলে আয়ের তুলনায় ব্যয়ের মিল নেই।
তাই মাস শেষে ভোগান্তিতে পড়ছেন অনেকে। এমতাবস্থায় একটু পরিকল্পনা করে চলার বিকল্প নেই। কীভাবে দৈনন্দিন খরচ কমাবেন সে বিষয় জানা থাকলে সংসারে কিছুটা হলেও ব্যয় কমানো সম্ভব।
জেনে নিন খরচ কমানোর ৭ উপায় :
 
হাঁটার অভ্যাস 
অফিসে যাওয়ার জন্য হেঁটেই বাসস্ট্যান্ডে যান। রিকশা ভাড়া বাঁচান। সকালের হাঁটা হয়ে যাবে। তবে কিছুটা সময় হাতে নিয়ে বের হতে হবে। আবার অফিস থেকে ফেরার পথে বাস থেকে নেমে রিকশায় না চড়ে হেঁটেই বাড়ি ফিরুন। প্রতিদিনের সামান্য টাকা মাস শেষে বড়ই হবে।
কমদামে কেনাকাটা 
অযথা অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনবেন না। কেনাকাটা করার সময় প্রয়োজনের কথা ভেবেই কিনুন। যেখানে একটু কমদামে কেনাকাটা করা যাবে সময় নিয়ে সেখান থেকে কেনাকাটা করুন।
বাজেটে কাটছাঁট 
মাসের শুরুতেই বাজেট বানান। সেই বাজেট থেকে ফের কাটছাঁট করুন। তার পরেও কেনার সময়ে দরদাম করে কিনলে দেখবেন কিছুটা পয়সা বাঁচবে।
সময় বাড়িয়ে বাজেট 
মাসের খরচের বাজেট করুন এই মাসের ৫ তারিখ থেকে পরবর্তী মাসের ৫ তারিখ পর্যন্ত। এভাবে সময় বাড়িয়ে বাজেট করলে ঝামেলা ও খরচ দুটোই কম হবে।
মূল্য ছাড়ের খোঁজ 
যে জিনিস পরেও কাজে লাগবে, তা একসঙ্গে বেশি করে কিনুন। মূল্য ছাড়ের সময় একসঙ্গে বেশি করে কেনাকাটা করে রেখে দিতে পারেন। কোথায় কী কিনলে ছাড় মিলছে খোঁজ রাখুন। কুপন পেলে রেখে দিন। পরবর্তী সময়ে তা দিয়েই কেনাকাটা করুন।
রেস্তোরাঁকে না 
দামি দামি রেস্তোরাঁয় খাওয়ার অভ্যাস বাদ দিন। বিশেষ অফার চলছে কিংবা ছাড় পাওয়া যাবে এমন রেস্তোরাঁর খোঁজখবর রাখুন। পরিবার নিয়ে খেতে হলে সে সব জায়গায় যান।
ক্রেডিট কার্ডকে না 
অতি প্রয়োজন না হলে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করা বাদ দিন। সুদের হার অনেক বেশি। মাসের শুরুতে বাজেট করে সেই টাকার মধ্যে কেনাকাটার চেষ্টা করুন।

৭টি বিষয় কারও সঙ্গে শেয়ার করবেন না

চিলাহাটি ওয়েব ডটকম : Sunday, November 19, 2023 | 11/19/2023 01:30:00 PM

চিলাহাটি ওয়েব, রকমারি ডেস্ক : সাতটি বিষয় কখনো কারও সঙ্গে শেয়ার করা ঠিক হবে না। কেননা সে ক্ষেত্রে আপনাকে ভুগতে হতে পারে।
এ ছাড়া ষড়যন্ত্র, ‘নেগেটিভ এনার্জি’র সম্মুখীন হয়ে পিছিয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে এতে। আত্মোন্নয়নমূলক ওয়েবসাইট মেক মি বেটার অনুসারে এ তথ্য জানা গেছে।
স্বপ্ন ও আকাঙ্ক্ষা 
কথায় বলে, মানুষ তাঁর স্বপ্নের সমান বড়। স্বপ্ন না দেখলে মানুষ বড় হবে কীভাবে? কিন্তু আপনি যদি সেই স্বপ্নের কথা আশপাশের মানুষদের বলে বেড়ান, তাহলে আপনার নিজেরই ক্ষতি। নিজের কথা যাঁদের বলবেন, তাঁদের হয়তো নিজেদের ওপরই অতটা বিশ্বাস নেই। সে হীনম্মন্যতা দিয়ে তাঁরা আপনাকে বিচার করতে পারে। আপনার আত্মবিশ্বাস কমিয়ে দিতে পারে। তা ছাড়া সব স্বপ্ন তো আর পূরণ হবে না, এটিই স্বাভাবিক। কিন্তু সেটা যদি আপনি অন্যদের বলে বেড়ান, তাহলে তারা আপনাকে সেভাবেই দেখবে যে লোকটার কেবল মুখে বড় বড় কথা। আর কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হোন।
টাকা-পয়সার বিবরণ 
আপনার কী আছে না আছে, তা অন্যদের না জানানোই ভালো। কেবল পরিবারের বিশ্বস্ত মানুষেরা জানবে। প্রথমত, অর্থসম্পদের নিরাপত্তার খাতিরে জানাবেন না।
দ্বিতীয়ত, মানুষের ঈর্ষা থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখার জন্যও জানাবেন না।
ব্যক্তিগত সমস্যা
মানুষের ব্যক্তিগত সমস্যা থাকবেই। হতে পারে সেটা কোনো শারীরিক বা মানসিক সমস্যা অথবা কোনো ব্যক্তির সঙ্গে কিছু নিয়ে ঝামেলা। অকারণে নিজের সেই সমস্যার কথা শেয়ার করবেন না। যেখানে সমাধান পাবেন, সেখানে শেয়ার করবেন। মানুষের দুর্বল জায়গায় আঘাত করতে সময় লাগে না।
ব্যক্তিগত বিশ্বাস
আপনার যদি এমন কোনো কিছু থেকে থাকে, সেটা একান্তই আপনার ব্যক্তিগত। অকারণে অন্যের সঙ্গে শেয়ার করলে বিড়ম্বনায় পড়তে পারেন। যার সঙ্গে শেয়ার করবেন, তিনি হয়তো এমন বিশ্বাসকে হেসেই উড়িয়ে দিতে পারেন। তার সঙ্গে আপনার সম্পর্কের ঘাটতি হতে পারে। তাই নিজের বিশ্বাস নিজের কাছেই রাখুন। আর বিশ্বাস তো বিশ্বাসই।
সম্পর্কের কথা
পৃথিবীতে নিখুঁত সম্পর্ক বলে কিছু নেই। প্রেমিক-প্রেমিকা বা স্বামী-স্ত্রীর মনোমালিন্য খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। আপনি অযথা মানুষের সঙ্গে শেয়ার করলে তা কানকথার সৃষ্টি করবে, নেতিবাচকতা ছড়াবে আর আপনাদের ঝামেলা আরও বাড়বে। বরং আপনজন বা বিশ্বস্ত বন্ধুবান্ধবের সাহায্য নিন। প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞের সাহায্য নিন।
গোপন অতীত বা গোপন কথা 
সব কথা কখনো কাউকেই বলবেন না। যাঁর যে কথা জানা জরুরি, তাঁকে সে ব্যাপারে জানান। সব শেয়ার করার মাধ্যমে সম্পর্কে জটিলতা সৃষ্টি হয়।
স্বাস্থ্যের অবস্থা 
সবাইকে আপনার শারীরিক কোনো অসুস্থতা বা অবস্থার কথা জানানোর দরকার নেই। কেননা উপদেশ দেওয়ার মানুষের তো অভাব নেই। আর বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তিনি সে বিষয়ে বিশেষজ্ঞ নন। তাই এতে করে আপনি দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে যেতে পারেন। আপনার উদ্বেগ আরও বাড়তে পারে।

আজ বিশ্ব ‘সিঙ্গেল ডে’

চিলাহাটি ওয়েব ডটকম : Saturday, November 11, 2023 | 11/11/2023 12:00:00 AM

চিলাহাটি ওয়েব, রকমারি ডেস্ক : আজ বিশ্ব ‘সিঙ্গেল ডে’। প্রতিবছর ১১/১১ অর্থাৎ এগারো নভেম্বর তারিখটি শুধুই সিঙ্গেলদের জন্য। প্রেমিকযুগলদের জন্য ভালোবাসা দিবসসহ নানা দিবস রয়েছে। যারা এখনো সিঙ্গেল তারা সেসব দিবস পালন করেন মন খারাপের দিন হিসেবেই।
চীনের নানজিং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দিবসটি (সিঙ্গেল ডে) উদযাপন শুরু হয় ১৯৯০ সালে। সে সময়ে নানজিং বিশ্ববিদ্যালয়ের মিংকাওউঝু ছাত্রাবাসের চারজন ছাত্র আলোচনা করেন, কীভাবে তারা একা থাকার একঘেয়েমি দূর করতে পারেন।
তখনই সিদ্ধান্ত নেন ১১ নভেম্বর তাদের মতো আরও যারা সিঙ্গেল আছেন তাদের জন্য একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করবেন। যেমন ভাবা তেমন কাজ। তারা আয়োজন করে ফেলেন অনুষ্ঠানের। বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক সিঙ্গেল তরুণ-তরুণী সে অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিল।
সেই থেকে চীনে এগারো-এগারো তারিখটি সিঙ্গেল ডে হিসেবে পালন হয়ে আসছে।

যে মসজিদ থেকে শোনা যেতো জিনের জিকির

চিলাহাটি ওয়েব ডটকম : Wednesday, October 25, 2023 | 10/25/2023 06:30:00 PM

চিলাহাটি ওয়েব, রকমারি ডেস্ক : প্রায় দুই শতাব্দী আগের কথা। তখন লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলা ছিল জনশূন্য বিশাল চরাঞ্চল। দু'চোখ জুড়ে অবারিত মেঘনা আর ডাকাতিয়া। একসময় এখানে আগমন ঘটে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মহান কিছু ধর্মযাজকের। সেই সময় রায়পুরের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম নেন মাওলানা আবদুল্লাহ।
ইংরেজি ১৮২৮ সালের কথা। ধার্মিক পরিবারে জন্ম নেওয়া আব্দুল্লাহ নিজ এলাকায় প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করে উচ্চতর শিক্ষা লাভের উদ্দেশ্যে পাড়ি জমান ভারতে। সেখানে দারুল উলুম দেওবন্দ মাদ্রাসায় ভর্তি হন।
দেওবন্দে দীর্ঘ ১৭ বছর অভিজ্ঞ ও প্রসিদ্ধ আলেমদের সান্নিধ্যে থেকে লাভ করেন দ্বীনি শিক্ষা। এরপর বাংলাদেশে ফেরার পথে কিছু সময় দিল্লিতে অবস্থান করেন। ওই সময় দিল্লির শাহী জামে মসজিদের নির্মাণশৈলী তাকে মুগ্ধ করে। বাংলাদেশে ফিরে ওই রকম একটি মসজিদ নির্মাণের স্বপ্ন দেখতে থাকেন। আর তা বাস্তবায়নের প্রবল ইচ্ছাশক্তি থেকেই নিজ এলাকায় মসজিদ নির্মাণ শুরু করেন তিনি। পরে শাহী জামে মসজিদের আদলে ১১০ ফুট লম্বা ও ৭০ ফুট প্রস্থের তিন গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদটি প্রতিষ্ঠা করেন তিনি।
এলাকাবাসীর মতে এর নির্মাণকাল ১৮৮৮ সাল। আর মসজিদটির অন্যতম আকর্ষণ হচ্ছে এর ২০ ফুট নিচে থাকা ৩ কামরার একটি গোপন ইবাদতখানা। এখানেই নাকি ধ্যানে মগ্ন থাকতেন মাওলানা আবদুল্লাহ। ১৩ ধাপ সিঁড়ি ডিঙ্গিয়ে প্রবেশ করতে হয় এ মসজিদে। মসজিদের সামনের জরাজীর্ণ মিনারটি ২৫ ফুট উঁচু।
জনশ্রুতি আছে, মাওলানা আবদুল্লাহর কিছু শিষ্য জিন ছিল। রাতের আঁধারে মসজিদের নির্মাণকাজ ওরাই সম্পন্ন করেছে। সেই থেকেই মসজিদটি জিনের মসজিদ নামে পরিচিত। এলাকাবাসী এখনও বলেন, মসজিদের পাশের পুকুরগুলোতে জিনেরা গোসল করতো। তারা এই মসজিদে নিয়মিত নামাজ আদায়সহ জিকিরও করতো।
এমনকি গভীর রাতে জিকিরের আওয়াজ অনেক দূর থেকেও শোনা যেতো। লক্ষ্মীপুরের ঐতিহাসিক এই জিনের মসজিদটি এলাকায় ‘মৌলভী আবদুল্লাহ সাহেবের মসজিদ’ নামেও পরিচিতি রয়েছে। তবে মসজিদের সামনে সিঁড়ির কাছে লাগানো শিলালিপি থেকে জানা যায়, মসজিদটির আদি নাম ‘মসজিদ-ই-জামে আবদুল্লাহ’।
মসজিদটি লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর পৌর শহর থেকে ৮/৯ শ’ গজ পূর্বে পীর ফয়েজ উল্লাহ সড়কের দক্ষিণ দিকে অবস্থিত। নান্দনিক রূপ ও অবকাঠামোর দিক থেকে এটি জেলার অন্যতম একটি পর্যটন আকর্ষণও। তবে এখন আর জিনের দেখা পায় না কেউ। কিংবা গভীর রাতে শোনা যায় না জিকিরের আওয়াজও।

যেভাবে তাপদাহ সহ্য করে প্রাণীকূল

চিলাহাটি ওয়েব ডটকম : Tuesday, October 24, 2023 | 10/24/2023 06:00:00 PM

চিলাহাটি ওয়েব, রকমারি ডেস্ক : অতিরিক্ত গরমে হাঁপিয়ে ওঠে মানুষসহ প্রাণীকূল। তবে তাপ সহ্য করার জন্য বিভিন্ন প্রাণীর রয়েছে নানা শারীরিক কায়দা। এর মাধ্যমে তাপমাত্রার ক্ষতি থেকে তারা শরীরকে রক্ষা করে।
মানুষ : গরমে মানুষের শরীর থেকে ঘাম ঝরে৷ মস্তিষ্ক তখন বলে, ‘একটু শীতল হতে হবে’৷ একক্রাইন ঘাম গ্রন্থিগুলো তখন কাজ শুরু করে এবং শিগগিরই মুখ, বগলসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে ফোঁটা ফোঁটা ঘাম জমতে থাকে। ত্বকের সেই ঘাম বাষ্পীভূত করতে শরীর তখন অতিরিক্ত তাপকে কাজে লাগায়৷ এভাবে শরীর ঠান্ডা হতে থাকে। তবে বেশি গরমে মানুষ স্নান করে, আইসক্রিম খেয়ে বা ফ্যান, ছাতা, এসি ইত্যাদি ব্যবহার করেও শরীর ঠান্ডা করার চেষ্টা করে৷
শূকর : শূকরও গরমে গোসল করে৷ তবে তাদের শরীরে ঘাম হয় না বলে সাধারণত কাদায় গড়াগড়ি করে৷ কাদা বেশিক্ষণ গায়ে থাকে, শুকাতে সময় লাগে, ওই সময় পর্যন্ত ঠান্ডা থাকে শূকরের শরীর৷ 
ফেনেক শিয়াল : যে কোনো শিয়াল বা কাছাকাছি গড়নের যে কোনো কুকুরের চেয়ে অনেক বড় কান থাকে ফেনেক শিয়ালের৷ সেই কান ব্যবহার করে তারা শরীর ঠান্ডা রাখে৷ ফেনেক শিয়ালের দেখা মেলে মরুভূমি অঞ্চলে৷ সেখানে প্রায়ই তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১২২ ডিগ্রি ফারেনহাইট)-এর চেয়েও ওপরে ওঠে৷ তখন ওই বড় কান দুটো রীতিমতো পাখার কাজ করে৷
হাতি : সব প্রাণীর গায়ে যে রোম বা পশম থাকে তা তাদের শরীরকে গরম রাখে৷ কিন্তু হাতির ক্ষেত্রে ব্যাপারটা ঠিক উল্টো৷ তাদের শরীরে খুব ছোট ছোট যে চুল বা রোম থাকে, সেগুলো শরীরকে শীতল রাখতে সহায়তা করে৷ প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা গবেষণা করে বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েছেন৷
উট : উট পিঠের কুঁজোয় চর্বি জমিয়ে রাখে এবং যখন খাদ্য ও পানির অভাব দেখা দেয়, তখন সেই চর্বি গলিয়েই শরীরের চাহিদা মেটায়৷ ওই চর্বি গরমের সময় শরীরের বাড়তি উত্তাপ বের করে দিতেও সহায়তা করে৷ পানি না পেলেও উট কয়েক মাস বেঁচে থাকতে পারে৷ পানি পেলে অবশ্য ১০০ লিটারেরও বেশি পানি পান করে তেষ্টা মিটিয়ে নেয়৷ 
কুকুর : কুকুরের ত্বকেও ঘাম ঝরানোর গ্রন্থি নেই৷ তীব্র গরমে তারা থাবা এবং নাকের মাধ্যমে শরীরের তাপ বের করে। তাছাড়া তীব্র গরমে কুকুরদের যে হাঁপাতে দেখা যায়, জিহ্বা বেরিয়ে থাকে, তখন কিন্তু শরীরের অতিরিক্ত তাপ নির্গত হয়৷ জিহ্বা গরম হয়ে গেলে কুকুর মিনিটে ৪০০ বার পর্যন্ত শ্বাস নেয়৷ এর ফলে জিহ্বার আর্দ্রতা বাষ্পীভূত হয় এবং তার ফলে শরীর শীতল হয়৷
চাই মানুষের সহায়তা : অনেক পোষা প্রাণী গরমের সময় শরীরের তাপমাত্রা ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না৷ এ কারণে খুব গরমে অনেব প্রাণী হিটস্ট্রোকে মারা যায়। গ্রীষ্মের দাবদাহের সময় গাড়িতে দরজা-জানলা বন্ধ করে রেখে যাওয়ার কারণে অনেক কুকুর মারাও যায়৷ তাই কখনো গাড়িতে আপনার পোষা কুকুর রেখে যাবেন না৷ গিনিপিগ বা খরগোশও গরমে দ্রুত কাহিল হয়ে পড়ে৷ তখন তাদের পর্যাপ্ত ছায়া এবং পানি দিতে হয়।

বাবা হলেই এক বছরের ছুটি

চিলাহাটি ওয়েব ডটকম : Monday, October 23, 2023 | 10/23/2023 05:50:00 PM

চিলাহাটি ওয়েব, রকমারি ডেস্ক : সন্তানের জন্ম শুধু মায়ের জন্যই আনন্দের নয়, বাবার জন্যও তা সমান আনন্দের। তেমনি দুজনের একই রকম মানসিক চাপ যায় এই পুরো সময়টা। সন্তানের জন্ম এবং জন্ম পরবর্তী সময় লালন পালনের জন্য নারীদের জন্য আছে মাতৃত্বকালীন ছুটি। তবে সেই সংখ্যা খুবই কম। মায়েদের জন্য ৬ মাস থাকলেও বাবাদের জন্য আমাদের দেশে সর্বোচ্চ ১৫দিন। তাও সব জায়গায় না।
মায়েদের অফিসে মাতৃত্বকালীন ছুটি থাকলেও অনেক সময়েই বাবারা এ জন্য বিশেষ কোনো ছুটি পান না। সন্তান জন্মের পর অধিকাংশ পিতাই অতিরিক্ত ছুটি থেকে বঞ্চিত হন। বোস্টন কলেজ সেন্টারের এক গবেষণা থেকে জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রে চার সপ্তাহ বা তার বেশি পিতৃত্বকালীন ছুটি নেন মাত্র ১৩ শতাংশ বাবা। অন্যদিকে, গড়পড়তায় অন্য বাবারা কাজে ফিরে আসেন সন্তান জন্মানোর দুই সপ্তাহের মাথায়। তবে এর ভিন্নতাও আছে।
জাপানে পিতৃকালীন ছুটি থাকে ১ বছর পর্যন্ত। এসময় নতুন বাবা ছুটি নিয়ে উপভোগ করতে পারেন তার ছোট্ট সোনামণির বেড়ে ওঠা। চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন দেশে বাবারা কতদিন ছুটি পান-
লিথুয়ানিয়া : ইউরোপীয় দেশ লিথুয়ানিয়ায় মাসিক বেতনের ৭৭.৫৮ শতাংশ সহ ৩০ দিনের ছুটি দেওয়া হয় নতুন বাবাকে। তবে শিশুর বয়স ৩৬ মাস পর্যন্ত বিভিন্ন সময় ধাপে ধাপে তিনি আরও ছুটি পাবেন। সেক্ষেত্রে বেতন পাবেন প্রথম বছর পুরোটা এবং বাকি সময় ৭০ শতাংশ।
জাপান : জাপানের অনেক কোম্পানি অভিভাবকীয় ছুটি ধাপে ধাপে দেয়। তবে সেদেশে নিয়ম হচ্ছে এক বছর পর্যন্ত একজন বাবা পিতৃকালীন ছুটি পাবেন। এক্ষেত্রে প্রথম ১৮০ দিন পুরো বেতনই পাবেন। বাকি সময়গুলোতে পাবেন ৫০ শতাংশ। এজন্য জাপানে বেশিরভাগ দম্পতি সন্তান জন্মের পর ভাগ করে ছুটি নেন। এক বছর মায়ের ছুটি হলে পরের বছর ছুটি নেন বাবা। এতে সন্তান লালন পালন হয় আরও সুন্দর। 
সুইডেন : সুইডেনে পিতামাতাকে আংশিক বেতনসহ ৪৮০ দিন ছুটি দেওয়া হয়। এসময় মূল বেতনের ৮০ শতাংশ পাবেন একজন বাবা। এস্তোনিয়া এস্তোনিয়া আরেকটি পরিবার-বান্ধব ইউরোপীয় দেশ। তারা বাবাদের সম্পূর্ণ বেতনসহ দুই সপ্তাহ ছুটি দেন। তবে বাবা-মা ভাগ করে আরও অতিরিক্ত ৪৩৫ দিন ছুটি নিতে পারবেন। আইসল্যান্ড আইসল্যান্ডে নতুন ২০২১ আইন অনুযায়ী সম্মিলিত মাতৃত্ব এবং পিতৃত্বকালীন ছুটির মেয়াদ মোট ১২মাস পর্যন্ত। যা বাবা-মা চাইলে ভাগ করে নিতে পারবেন। প্রথম ছয়মাস মা এই ছুটি নিলে বাবা নিতে পারবেন পরের ছয়মাস।
এসময় তারা বেতন পান মূল বেতনের ৮০ শতাংশ। স্লোভেনিয়া ইউরোপীয় দেশ স্লোভেনিয়ার পিতারা বিভিন্ন বেতনে ১২ সপ্তাহের পিতৃত্বকালীন ছুটি পান। প্রথম দুই সপ্তাহ কর্মচারীর মজুরির পুরোটা প্রদান করা হয় এবং বাকি ১০ সপ্তাহ পাবেন কিছুটা কম।
কানাডা : কানাডায় পিতৃত্বকালীন ছুটি থাকে পাঁচ সপ্তাহ। এসময় কর্মচারীকে গড় বার্ষিক বেতনের ৫৫ শতাংশ অর্থ একসঙ্গে দেওয়া হয়। ফ্রান্স ফ্রান্স সম্প্রতি তাদের পিতৃত্বকালীন ছুটির ভাতা দুই সপ্তাহ থেকে দ্বিগুণ করে চার সপ্তাহ করেছে। পর্তুগাল এখানে বাবারা পান ২০ দিনের পিতৃত্বকালীন ছুটি। সেই সঙ্গে অতিরিক্ত আরও পাঁচদিন ঐচ্ছিক ছুটি নিতে পারবেন। এসময় পুরো বেতনই পাবেন কর্মচারী।