Showing posts with label রকমারি. Show all posts
Showing posts with label রকমারি. Show all posts

দূষণ-যানজট কমাবে হোন্ডার ই-স্কুটার

চিলাহাটি ওয়েব ডটকম : Saturday, October 21, 2023 | 10/21/2023 02:30:00 PM

চিলাহাটি ওয়েব, রকমারি ডেস্ক : অল্প দূরত্বে যাওয়া-আসার জন্য বড় অল্প দূরত্বে যাওয়া-আসার জন্য বড় গাড়ির চমৎকার বিকল্প হতে পারে হালকা ইলেক্ট্রিক বাইক ও স্কুটার। এটি চলাচলে ও পার্ক করতে জায়গা কম লাগায় শহুরে যানজট কমাতে যেমন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে, তেমনি অবিশ্বাস্যভাবে কমাতে পারে পরিবেশ দূষণও। এটি চলাচলে ও পার্ক করতে জায়গা কম লাগায় শহুরে যানজট কমাতে যেমন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে, তেমনি অবিশ্বাস্যভাবে কমাতে পারে পরিবেশ দূষণও।
অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির সাম্প্রতিক এক গবেষণায় বলা হয়েছে, দিনে মাত্র একটি ট্রিপের জন্য গাড়ির পরিবর্তে ই-স্কুটারের মতো ক্ষুদ্রযান ব্যবহার করলে একজন শহুরে বাসিন্দার মাধ্যমে বছরে গড় কার্বন নিঃসরণ আধা টন পর্যন্ত কমানো সম্ভব। এসব উপকারের খবর সারাবিশ্বে ই-স্কুটার ও এর নির্মাতাদের প্রতি অনেক বেশি আগ্রহ তৈরি করেছে। তবে একই সময়ে এ ধরনের ক্ষুদ্রযানের বেশ কিছু সমস্যা এবং সমালোচনাও উঠে এসেছে।
যেমন- ২০১৮ সালের এক সমীক্ষায় বলা হয়, লুইসভিল-কেন্টাকির মতো জায়গাগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক স্টার্টআপ বার্ডের স্কুটারের গড় আয়ুষ্কাল এক মাসেরও কম। যদিও এ তথ্য সঠিক নয় বলে দাবি করেছে বার্ড কর্তৃপক্ষ। এছাড়া স্কুটার-সম্পর্কিত দুর্ঘটনা তো রয়েছেই। অস্থিতিশীল নকশা, রাস্তার অপ্রত্যাশিত অবস্থা এবং চালকের অনভিজ্ঞতার কারণে হালকা এসব যানবাহন চালানো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে। এক জরিপে দেখা গেছে, ই-স্কুটার থেকে আঘাত পাওয়ার হার অন্য সব যানবাহনের তুলনায় ১৭৫ থেকে ২০০ গুণ বেশি। ঠিক এই জায়গাতেই এগিয়ে যেতে পারে হোন্ডার ই-স্কুটার স্ট্রিমো। কারণ, এর প্রধান নজর সুরক্ষাতেই। তিন চাকার ক্ষুদ্রযানটি একবার চার্জ দিলে প্রায় ৩০ কিলোমিটার যেতে পারে। রয়েছে সেলফ-ব্যালেন্সিংয়ের সুবিধাও। এটি তৈরি করেছেন হোন্ডার এক অভিজ্ঞ প্রকৌশলী। স্ট্রিমোর সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী ইয়োতারো মোরি জানান, বিদেশে একই ধরনের পণ্য পরীক্ষা করে নেতিবাচক অভিজ্ঞতা থেকে তিনি স্কুটারটি তৈরিতে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন।
স্ট্রিমো প্রতিষ্ঠার আগে হোন্ডার মোটরসাইকেল গবেষণা ও উন্নয়নে এক দশকেরও বেশি সময় কাটিয়েছেন মোরি। স্ট্রিমোর টেস্ট ইভেন্টে তিনি বলেন, আমি ভেবেছিলাম, আমার টুলস ও ব্যাকগ্রাউন্ডের সাহায্যে আরও ভালো কিছু তৈরি করতে পারবো। মোরি জানান, তিনি এই থ্রি-হুইলারটির নকশা করতে বছরের পর বছর সময় ব্যয় করেছেন। এখন প্রায় ৩০০টি স্কুটারের জন্য অর্ডার পেয়েছে স্ট্রিমো, যা প্রাথমিকভাবে জাপানের বাজারে ছাড়া হবে।
২০২৩ সালে ইউরোপে এবং তারপরে এটি বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। এই মুহূর্তে ইলেক্ট্রিক স্কুটারের ভবিষ্যৎ বেশ উজ্জ্বল দেখা যাচ্ছে। পরামর্শক ফার্ম ম্যাকিনসলের ধারণা, ২০৩০ সালের মধ্যে ইলেক্ট্রিক ক্ষুদ্রযানের বাজার ৫০ হাজার কোটি মার্কিন ডলার স্পর্শ করবে। তাছাড়া, দ্রুত কার্বন নিঃসরণ কমাতে এটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে মনে করছে ব্লুমবার্গএনইএফ।

স্বাস্থ্যের জন্য পুষ্টিকর করলা

চিলাহাটি ওয়েব ডটকম : Wednesday, October 18, 2023 | 10/18/2023 12:30:00 PM

চিলাহাটি ওয়েব, রকমারি ডেস্ক : তিতকুটে স্বাদের জন্য পুষ্টিকর করলা খেতে ভালোবাসেন না অনেকেই। বিশেষ করে শিশুদের করলা খাওয়াতে রীতিমত বেগ পোহাতে হয়। মজাদার করলা ভাজি করে পরিবেশন করতে পারেন গরম ভাতের সঙ্গে। যারা করলা খেতে ভালোবাসে না, তারাও খাবে। জেনে নিন রেসিপি।
চুলায় প্যান বসিয়ে দিন। তেল গরম করে ১ কাপ পেঁয়াজ কুচি দিন। এই রান্নায় পেঁয়াজের পরিমাণটা একটু বেশি হবে। পেঁয়াজ নরম হয়ে আসলে মাঝ থেকে ফেরে নেওয়া কাঁচামরিচ ও পাতলা করে কাটা ২০০ গ্রাম করলা দিন। স্বাদ মতো লবণ দিয়ে নাড়তে থাকুন। আর কোনও মসলা দেওয়ার প্রয়োজন নেই। ভাজা ভাজা হয়ে গেলে নামিয়ে পরিবেশন করুন।

নারীর বক্ষবন্ধনীর হুক পেছনে থাকে যে কারণে

চিলাহাটি ওয়েব ডটকম : Sunday, October 8, 2023 | 10/08/2023 11:52:00 PM

চিলাহাটি ওয়েব, রকমারি ডেস্ক : বক্ষবন্ধনী বা ব্রা নারীদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। বিশেষ এই অন্তর্বাস আরামদায়ক (সঠিক সাইজ ও কোয়ালিটির) না হলে পিঠব্যথা, স্তনের চর্বি সমস্যা, কোমলতা, ঘামের সমস্যা, ত্বকের সমস্যা সহ নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। ফলে ব্রায়ের কাপড় থেকে শুরু করে ডিজাইন- সবকিছুতে গুরুত্ব দেওয়া হয়, যেন এটি আরামদায়ক হয়। ব্রা নারীদের বহুল ব্যবহৃত অন্তর্বাস হলেও অনেকেই জানেন না যে, কেন ব্রায়ের তিনটি হুক থাকে, কেন ব্রায়ের সামনে ‘বো’ ডিজাইন থাকে বা কেন বেশিরভাগ ব্রায়ের হুক পেছনে থাকে।
যদিও বর্তমানে বাজারে সামনে হুক লাগানো ব্রা পাওয়া যায়, কিন্তু মূল ডিজাইনের কথা যদি বলা হয়, তাহলে বেশিরভাগ ব্রা পেছনে হুক ডিজাইনের। অনেকের মনে হয়তো প্রশ্ন যে, এমন ডিজাইনের কারণ কী? এর পেছনে একটি বা দুটি নয়, পাঁচটি কারণ রয়েছে।
* সঠিক সাপোর্ট দেওয়ার জন্য: প্রথম এবং প্রধান কারণ হল, এই ধরনের ব্রা স্তনকে খুব ভালো সাপোর্ট দেয়। এমন ডিজাইনের কারণে স্তন কিছুটা উঁচুঁ হয়ে সোজা থাকে। পিঠের দিকে সাপোর্ট থাকায় এ বিষয়টি খুব সুবিধাজনক হয়। এ কারণেই হুক পেছনের দিকে রাখা হয়। সব ধরনের ব্রায়ের হুক যদি সামনে থাকে, তাহলে যাদের স্তন ভারী তাদের সমস্যা হবে এবং অস্বস্তিবোধ করবেন। এর পাশাপাশি যাদের স্তনের মাঝে ফাঁক বেশি থাকে তারাও সামনের হুক নিয়ে বিরক্ত হতে পারেন।
* বড় ব্যান্ডের জন্য: ব্রায়ের হুকগুলো পেছনের দিকে রাখা হয় যাতে বড় ব্যান্ডটি ব্রাতে রাখা যায়। যদি সামনের দিকে হয়, তাহলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায়, থ্রি লেয়ারের ব্যান্ডটি পাতলা ও একটি হুক থাকে। সামনের দিকে সাপোর্টের জন্য আরও হুক বসানো থাকলে এটি পরা অস্বস্তিকর হয়ে উঠবে।
* ভালো ব্যাক সাপোর্টের জন্য: ব্রেস্ট সাপোর্টের পাশাপাশি ব্যাক সাপোর্টও খুব গুরুত্বপূর্ণ। এমন ধরনের ব্রা পরা উচিত যেটি বুক এবং পিঠ উভয় পাশে ভালো সাপোর্ট দেবে। হুক পেছনের দিকে থাকলে এ সুবিধা পাওয়া যায়। দেহভঙ্গিমার উন্নতির জন্যও এ ধরনের ব্রা সেরা। কাঁধকে ঝুলে যাওয়া থেকেও অনেকাংশে ব্রা রক্ষা করতে পারে।
* ফিটিং সুবিধার জন্য: ব্রায়ের হুক পেছনের দিকে থাকলে, ভারী স্তনের নারীদের জন্য এ ধরনের ব্রা ফিটিং করা সুবিধাজনক হয়। সামনে একটি হুক ডিজাইনের ব্রা ফিটিংয়ের জন্য ভালোভাবে অ্যাডজাস্ট করা যায় না। অপরদিকে, পেছনের দিকে হুক সুবিধার ব্রা-তে থ্রি লেয়ারসহ একাধিক হুক থাকে, যা ফিটিংয়ের জন্য ভালো। প্রয়োজন অনুযায়ী টাইট বা আলগা করা যায়।
* টেকসই সুবিধা: সবশেষে, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এ ধরনের ডিজাইনের ব্রা অনেক বার ধোয়ার পরও টেকসই হয়। অপরটিকে সামনে হুক থাকা ব্রা দ্রুত ঢিলা হয়ে যায়, যার ফলে ধোয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হয়। কেননা ঢিলে হয়ে গেলে সেটি পরার উপযোগী থাকে না। এ কারণেই ব্রায়ের হুক পেছনে রাখা হয় এবং এর সুবিধাও বেশি।
কিন্তু তার মানে এটা নয় যে, সামনে হুক ডিজাইনের ব্রা মোটেও ভালো নয়। এই ডিজাইনেরও বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে। যেমন: পিঠে দাগ পড়ে না। এ ছাড়া নেক নেকলাইন বা ভি নেক পোশাকের সঙ্গে এ ধরনের ব্রা বেশি ভালো মানায়। তবে সারাদিনের ব্যবহারের কথা যদি আসে, তাহলে পেছনে হুক ডিজাইনের ব্রা পরাটাই ভালো হতে পারে।
 তথ্যসূত্র : কালাম টাইমস

বাঁশ খাবার উপকারিতা

চিলাহাটি ওয়েব ডটকম : Wednesday, October 4, 2023 | 10/04/2023 06:00:00 PM

চিলাহাটি ওয়েব, রকমারি ডেস্ক : একে অপরকে ক্ষতি করার ক্ষেত্রে অথবা মজা করার ছলে যে শব্দটি সবচেয়ে ব্যবহৃত হয়, সেটি ‘বাঁশ’।
অথচ আমাদের দেশের পাহাড়ি অঞ্চলসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বাঁশ খুবই সুস্বাদু একটি খাবার। শুধু সুস্বাদুই না শারীরিক সুস্থতায় বাঁশ খুবই উপকারী। বিভিন্ন রোগ থেকে খুব সহজেই মুক্তি দিতে বাঁশের কার্যকারিতা অপরিসীম। তাইতো চীনারা বাঁশের কোড়লকে বলেন ‘স্বাস্থ্যকর খাবারের রাজা’।
চলুন তবে জেনে নেয়া যাক বাঁশের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতাগুলো- 
বাঁশের যত পুষ্টিগুণ : তাজা বাঁশের কোঁড়লে ৮৮-৯৩% পানি, ১.৫-৪% প্রোটিন, ০.২৫-০.৯৫% চর্বি, ০.৭৮-৫.৮৬% চিনি, ০.৬০-১.৩৪% সেলুলোজ এবং ১.১% খনিজ পদার্থ আছে। এতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিনও বিদ্যমান।
বাঁশের উপকারিতা : বিভিন্ন গবেষণা থেকে জানা গেছে, শরীরের নানা রোগ প্রতিরোধ করে বাঁশ। চলুন জেনে নেয়া যাক সেগুলো-
# বাঁশের কোঁড়ল দেহে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
# এটি উচ্চ রক্তচাপ কমায় ও ক্যান্সারের ঝুঁকিও কমায়।
# কোষ্ঠ্যকাঠিন্য দূর করতে বাঁশের জুড়ি নেই।
# তাছাড়া হাঁপানী, ডায়াবেটিস, তীব্র জ্বর, মৃগি রোগে মূর্ছা যাওয়া ইত্যাদি নিরাময়েও যথেষ্ট অবদান রাখে বাঁশ। 
যেকোনো সবজির সঙ্গে তুলনা করলে বাঁশের কোঁড়ল কোনোভাবেই হেলাফেলার নয়। তাই নিয়মিত বাঁশ খেতে পারেন নিশ্চিন্তে।
উল্লেখ্য, সদ্য অঙ্কুরিত কচি বাঁশকে বলা হয় বাঁশ কোড়ল। বাংলাদেশ ছাড়াও ভারতের মেঘালয়, আসাম, হিমালয় অঞ্চলে, নেপাল, ভুটান, কোরিয়া, চিন, জাপানেও বেশ জনপ্রিয় এই বাঁশ কোড়ল।

সুস্থ থাকতে নিয়মিত ‘বাঁশ’ খান

চিলাহাটি ওয়েব ডটকম : Tuesday, October 3, 2023 | 10/03/2023 10:46:00 AM

চিলাহাটি ওয়েব, রকমারি ডেস্ক : ‘সুস্থ যদি থাকতে চান; নিয়মিত বাঁশ খান ! ‘বাঁশ কাবাব ও বাঁশপাতার চা’। সরু তল্লা বাঁশের মধ্যে বিভিন্ন মসলা দিয়ে মেরিনেট করা মাংস কয়লায় পুড়িয়ে তৈরি করা হচ্ছে বাঁশ কাবার।
আর বাঁশের কচিপাতা প্রক্রিয়াজাত করে তৈরি হচ্ছে বাঁশপাতার চা। বাঁশের রয়েছে নানা ঔষধি গুণ। কাঁচা বাঁশের মধ্যে থাকা রসে কয়লার আগুনে পুড়িয়ে রান্না করা মাংস খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি ঔষধি গুণসমৃদ্ধও।
বাঁশ পুড়িয়ে রান্না করা মাংসে যোগ হওয়া কাঁচা বাঁশের ফ্লেভারও খাবারে যোগ করছে ইউনিক স্বাদ। পার্বত্য অঞ্চলগুলোতে বাঁশ জাতীয় খাবার পরিচিত । বাঁশ ও বাঁশপাতার অনেক ঔষধি গুণ রয়েছে।
গবেষণার থেকে প্রমাণিত- বাঁশ ও বাঁশপাতার মধ্যে থাকা এন্টি অক্সিডেন্ট মানুষের হৃদরোগ প্রতিরোধে কার্যকর। আবার এর এন্টি এইজিং উপাদান চুল, ত্বক সুস্থ রাখে ফলে বার্ধ্যক্যের ছাপ প্রতিরোধে সহায়তা করে।
সাধারণ চা এর মধ্যে ক্যাফেইন থাকে, যার ক্ষতিকর প্রভাব রয়েছে। বাঁশের কচি পাতা দিয়ে তৈরী এই চায়ে কোনো ক্যাফেইন কিংবা ক্ষতিকর প্রভাব নেই। বরং এটি ডায়বেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ ও সিজনাল ফ্লু প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে। এছাড়া আছে পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, আয়রন, জিঙ্ক, সিলিকা।
এগুলো হাড়ের ঘনত্ব ও কোষের রোগপ্রতিরোধক ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। সবচেয়ে বড় ব্যাপার বাঁশ পাতায় প্রচুর এন্টি অক্সিডেন্ট আছে, যা ক্যান্সার প্রতিরোধক হিসেবে ব্যাপক কাজ করে।

‘অন্যের বউকে চুরি’ করে পালানোর উৎসব হয় যে অঞ্চলে

চিলাহাটি ওয়েব ডটকম : Wednesday, March 29, 2023 | 3/29/2023 02:12:00 PM

চিলাহাটি ওয়েব, রকমারি ডেস্ক : বিশ্বের প্রতিটি দেশেরই আছে নিজস্ব কিছু নিয়ম নীতি। এই যেমন আফ্রিকার বিভিন্ন অঞ্চলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠিরা উদ্ভট কিছু রীতি অনুশীলন করে। যেগুলো অন্যান্যের কাছে উদ্ভট, হাস্যকর কিংবা অমানবিক বলে মনে হয়। পশ্চিম আফ্রিকার নাইজারের যাযাবর ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠি ওডাআবে যুগ যুগ ধরে পালন করে আসছে ‘বউ চুরি উৎসব’।
খানিকটা অবাক করা হলেও সত্যিই এমনও এক ধরনের উৎসব পালিত হয় পশ্চিম আফ্রিকায়। উৎসবে ‘অন্যেও বউকে চুরি’ করেন সেখানকার পুরুষরা। এ কারণেই এটি ‘বাউ চুরির উৎসব’ নামেই পরিচিত। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠিরা একে ‘গেরেওল উৎসব’ বলে থাকেন। তবে অন্যেও বউকে চুরি করা হলেও এতে নেই কোন শাস্তি। প্রতিবছর সেপ্টেম্বর মাসে শুরু হয় ‘বউ চুরির উৎসব’, চলে এক সপ্তাহ ধরে। অন্যের বউকে চুরি করে পুরুষের ক্ষমতা প্রদর্শন করাই ‘গেরেওল উৎসব’ এর মূল আকর্ষণ।
ওডাআবে পুরুষদের ধারণা, তাদের সৌন্দর্য লুকিয়ে থাকে চোখের ধবধবে সাদাভাব, লম্বা নাক ও ঝকঝকে সাদা দাঁতে। এভাবেই পুরুষরা প্রতিযোগিতার জন্য নিজেদের তৈরি করেন। সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হলো, যেসব পুরুষ অন্যের বউকে নিয়ে পালায়, তাদের স্ত্রীরা এই উৎসবে অংশ নেন। আগের সম্পর্ক ভেঙে নতুন করে জীবন গড়ার স্বপ্ন দেখেন। যা বিভিন্ন ধর্ম ও সামাজিক আইনে অবৈধ। উৎসবে নাচ-গান ও হৈ-হুল্লোড়র পাশাপাশি চলে খাওয়া-দাওয়া।
এছাড়াও ওডাআবে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠির মেয়েরা বিয়ের আগে যার সঙ্গে ইচ্ছে সম্পর্কে যেতে পারে। এসব বিষয় তাদের কাছে খুবই স্বাভাবিক ও বৈধ। আবার বিয়ের পরও তারা যত খুশি স্বামী রাখতে পারেন। এই ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠির নারী ও পুরুষ তাদের শারীরিক সৌন্দর্য নিয়ে গর্ববোধ করে। এই প্রতিযোগিতায় বিচারক হন এই ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠির সেরা তিনজন বিবাহিত নারী। তারাই সেরা পুরুষদেরকে বেছে নেন।
আর বাছাইয়ের পর সেরা পুরুষরা তাদের পছন্দসই নারীকে বেছে নিতে পারেন। ওডাআবে সমাজে এই অমানবিক কর্মকাণ্ডই বৈধ বলে বিবেচিত। এই প্রতিযোগিতার পরেই শুরু হয় বউ চুরি উৎসব। নৃত্য প্রতিযোগিতা চলাকালীন পুরুষরা নাচের মাধ্যমে নারীদেরকে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করেন। অনেক নারীই তাদেরকে সঙ্গী হিসেবে পেতে চান।
তবে নৃত্যরত পুরুষ যাকে চান তাকে তিনি পরে খুঁজে নেন। প্রতিযোগিতা শেষে ওই নারীকে ভিড়ের মধ্যে খুঁজে সুযোগ নিয়ে তার কাঁধে টোকা দেন। সেই ডাকে সাড়া দেয় নারীও। এরপর পরস্ত্রীকে নিয়ে পালিয়ে যান ওই পুরুষ। বউ চুরি করে ধরা না পড়লে ওই নারীর সমাজ স্বীকৃত দ্বিতীয় স্বামী হয়ে যান পুরুষটি। এদিকে ওই নারীর সংসারে রেখে যাওয়া সন্তানদের লালন-পালনের দায়িত্ব নেয় তার পরিবার। এই উৎসবটি তাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য প্রতিবছরের সেপ্টেম্বর মাস নিয়ে তাদের জল্পনা কল্পনা থাকে তুঙ্গে। সূত্র: গার্ডিয়ান/আপ্যিকান এক্সপেনেন্ট

মাটির নিচে বিমান ঘাঁটি উদ্বোধন করল ইরান

চিলাহাটি ওয়েব ডটকম : Tuesday, March 28, 2023 | 3/28/2023 02:00:00 PM

চিলাহাটি ওয়েব, রকমারি ডেস্ক : ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সেনাবাহিনীর বিমান ইউনিট আজ (মঙ্গলবার) ভূগর্ভস্থ বিমান ঘাঁটি উদ্বোধন করেছে। ইরান এই প্রথম মাটির নিচে বিমান ঘাঁটি নির্মাণের কথা প্রকাশ্যে ঘোষণা করল। ভূগর্ভস্থ এই বিমান ঘাঁটির নাম দেওয়া হয়েছে 'ঈগল-ফোরটি ফোর'।
বিমান ঘাঁটি উদ্বোধনের সময় ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল মোহাম্মাদ বাকেরির পাশাপাশি সেনাবাহিনীর প্রধান কমান্ডার মেজর জেনারেল মুসাভিও উপস্থিত ছিলেন। ইরানের সেনাবাহিনীর ভূগর্ভস্থ বিমান ঘাঁটি থেকে সব ধরণের যুদ্ধবিমান, বোমারু বিমান ও ড্রোন পরিচালনা করা যায়।
এই ঘাটিতে কমান্ড সেন্টার, বিমান রাখার হ্যাঙ্গার, মেরামত কেন্দ্র ও নেভিগেশন সেন্টারসহ সব ধরণের আধুনিক ব্যবস্থা রয়েছে। এই বৃহৎ ভূগর্ভস্থ ঘাঁটিতে ইরানি বিমান বাহিনীর নতুন নতুন সামরিক বিমান পরিচালনার ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।
বলা হচ্ছে, ইরানের বিমান বাহিনী এ পর্যন্ত এ ধরণের বেশ কয়েকটি ভূগর্ভস্থ বিমান ঘাঁটি নির্মাণ করেছে। তবে এই প্রথম এ ধরণের বিমান ঘাঁটি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রদর্শন করা হলো। ইরান নিজের প্রতিরক্ষা সক্ষমতার প্রয়োজনে এ ধরণের ঘাঁটি নির্মাণ করছে যাতে শত্রুকে সহজেই ঘায়েল করা যায়। সাধারণত শহর থেকে দূরে বিশাল পাহাড়ের নিচে এ ধরণের ঘাঁটি নির্মাণ করা হয়।
ইরান এর আগে একাধিক ভূগর্ভস্থ ড্রোন ঘাঁটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেছে। এসব ঘাঁটিতে নানা ধরণের ড্রোন প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ইরানকে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ড্রোন শক্তিধর দেশ হিসেবে গণ্য করা হয়।