Showing posts with label সাহিত্য. Show all posts
Showing posts with label সাহিত্য. Show all posts

‘পরিত্যক্ত পৃথিবী’ সাহিত্য পত্রিকার মোড়ক উন্মোচন

চিলাহাটি ওয়েব ডটকম : Saturday, April 20, 2024 | 4/20/2024 01:25:00 AM

ডেস্ক রিপোর্ট: গত ১৪ এপ্রিল ভারতের কোলকাতা শহরের বিপ্লবী নলিনী গুহ সভাহলে প্রদ্বীপ প্রজ্বলন ও উদ্বোধনী সংগীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়, ‘পরিত্যক্ত পৃথিবী’ সাহিত্য পত্রিকার মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। 
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, শ্রদ্বেয় কবি সাংবাদিক শক্তিময় দাশ। এ অনুষ্ঠানে উপস্থিতি ছিলেন, বিশ্ব বরণ্য সাহিত্যিক (গিনেস বুকের রেকর্ড ধারী লেখক) পৃথ্বীরাজ সেন। ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধা- সাংবাদিক-কবি শক্তিময় দাশ ও কবি-সাংবাদিক বরুণ চক্রবর্তী। ত্রিপুরা থেকে বিশিষ্ট কবি মৃণাল কান্তি পন্ডিত। সম্প্রতি সময়ে জন - আলোকিত সংগঠক ও কবি চন্দ্রনাথ বসু। কমিটির সহ-সভাপতি স্বনামধন্য কবি ত্রিলোচন ভট্টাচার্য। উদ্বোধনী সংগীত পরিবেশন করেন, শ্রদ্বেয় কবি-শিল্পী মুকূল চক্রবর্তী। বর্ষবরণ ও বাংলা মাকে শ্রদ্ধা নিবেদনে গান পরিবেশন করেন শিল্পী স্নেহা দাশ। উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে শ্রীবৃদ্ধি করেন রঞ্জনা গুহ, মৌসুমি ডিংগাল, নিউটন দাশ( বাংলাদেশ), রজত সরকার,দুলাল ক্যাটারি,স্বাগতা দাস,আশীষ মন্ডল, রণি মহাপাত্র, সুবীর ঘোষ। সৈকত দাশ,দেবু মন্ডল সহ আরো অনেক মান্যগণ্য ব্যক্তিগণ। পরিত্যক্ত পৃথিবী সাহিত্য পত্রিকার উদ্বোধক, শ্রদ্ধেয় কবি পৃথ্বীরাজ সেন, তাঁর বক্তব্য নয়, তাঁর উপস্থিতই অনুষ্ঠানে রশ্মি ছড়ায় হিরা অনুরূপ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বলেন, ১৯৭১ সালের যিনি মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক বাংলার রক্ষক। আমাদের অভিবাবক। সময় সচেতনতা সময়কে মূল্যদানের অমূল্য বক্তব্য উপস্থাপনের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ স্বর্ণময়ের দিক নির্দেশনা থেকে, দেন পথপ্রদর্শক রশ্মি মার্গ। বিশেষ অতিথি, বীর মুক্তিযোদ্ধা, কবি আ.খ.ম সিরাজুল ইসলাম শারীরিক অসুস্থতার কারণে উপস্থিত হতে না পারায় আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করেন,তিনি প্রধান অতিথি শক্তিময় দাশ সহ কমিটির সবাইকে শুভেচ্ছা বার্তা জানান এবং অনুষ্ঠানের সার্বিক মঙ্গল কামনা জানিয়ে এক গুরুত্বপূর্ণ ম্যাসেজ প্রেরণ পূর্বক গৌরবময় করেন ‘পরিত্যক্ত পৃথিবী’ কমিটিকে। বিশেষ বক্তব্য রাখেন শ্রদ্ধেয় কবি সাংবাদিক বরুণ চক্রবর্তী। তিনি বক্তব্যের পরিশেষে সাহিত্য জগতে আন্তরিক ভূমিকা রেখে যাওয়া অনন্য বক্তব্য উপস্থাপন করে আমাদের হৃদয় সমৃদ্ধি করেন।
শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সম্প্রতি সময়ের আলোকিত কবি দক্ষ সংগঠক-‘পশ্চিম বঙ্গ সাহিত্য মঞ্চ’ এর কর্ণধার চন্দ্র নাথ বসু। শুভেচ্ছা বক্তব্য শেষে বর্তমান সময় যে বিশুদ্ধ অক্সিজেন ও জল সংকট থেকে পৃথিবীকে রক্ষার্থে বৃক্ষ রোপণ ও জলের অপচয় রোধ করার জন্য অনুষ্ঠানের প্রত্যেককে সচেতন করেন।সাহিত্য ও ত্রিপুরা রাজ্যে সম্পর্কে অসামান্য বক্তব্য রাখেন পরিত্যক্ত পৃথিবীর সম্মানিত উপদেষ্টা মৃণাল কান্তি পন্ডিত। যাঁর বক্তব্যে অনুষ্ঠানের প্রত্যেকে আকৃষ্ট হন এবং আমাদের আন্তরিকতা প্রসারিত হয়।সহ-সভাপতি শ্রদ্বেয় কবি ত্রিলোচন ভট্টাচার্য্যের প্রাণবন্ত বক্তব্য ‘পরিত্যক্ত পৃথিবী’ সাহিত্য জগতের জন্য আশীর্বাদ সমতুল্য। পরিত্যক্ত পৃথিবীর মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানেই ৭০ জন লেখকের মধ্যে সেরা ১০, ঘোষণা করেন বিচারক রঞ্জনা গুহ, মৌসুমী ডিংগাল ও স্বাগতা দাশ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সঞ্চালিকা মধুমিতা ধূত। জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে সমাপ্তি হয়। উপস্থিত ও শুভাকাঙ্ক্ষী-সহযোগী সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি করেন পরিত্যক্ত পৃথিবী সাহিত্য পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা বিউটি দাশ।

কষ্ট

চিলাহাটি ওয়েব ডটকম : Sunday, January 21, 2024 | 1/21/2024 01:22:00 AM





















কষ্ট
 ____/এ আর আলম 

 মাঝে মাঝে মনে হয়,
 কেনো বেঁচে আছি?
মাঝে মাঝে মনে হয়, 
কেনো থাকি হাসি-খুশি?
মাঝে মাঝে মনে হয়,
কেনো ভালোবাসি?
মাঝে মাঝে মনে হয়-
কাঁথা মুড়ে কেনো শুধু-
গোপনে গোপনে একেলা কাঁদি?
মাঝে মাঝে মনে হয়,
কম'তো দিইনি!
 মাঝে মাঝে মনে হয়,
কারো ক্ষতিও তো চাইনি!
মাঝে মাঝে মনে হয়,
কেনো এতো উদার হই?
মাঝে মাঝে মনে হয়-
কেনো শুধু গভীরে গভীরে- 
একটা কাউকে বড্ড মিস করি?
মাঝে মাঝে মনে হয়,
ছোটদের কেনো করি স্নেহ!
মাঝে মাঝে মনে হয়,
আমি এতো বিনয়ী কেনো?
মাঝে মাঝে মনে হয়,
নিজেকে পাল্টাতে পারিনা কেনো?
মাঝে মাঝে মনে হয়-
এতো সরলমনা হয়ে-
আর কতো ঠকে যাবো?
মাঝে মাঝে মনে হয়,
কেউ'কি আছে আমার?
মাঝে মাঝে মনে হয়,
আমিই'বা হতে পেরেছি কার?
মাঝে মাঝে মনে হয়,
কিছুটা কঠিন কেনো হতে পারিনা?
মাঝে মাঝে মনে হয়-
এতো ভালোবাসার কি দরকার?
কেনো এতো ভালোবাসি আমি?
মাঝে মাঝে মনে হয়,
আমি এক অগ্নিকূপ,
যেনো পুঁড়ে পুঁড়ে গলে যাচ্ছি-
আর ভস্ম হয়ে যাচ্ছে আমার আত্মা!
যার আর্তনাদে কেঁদে উঠে রজনী,
কষ্টের নোনা জলে ভিজে যায় বালিশ,
দু মুহুর্ত সুখের বদলে আমৃত নরক বুকে লয়ে,
বারবার বেহায়ার মত শুধু হেসে যাই!
 কেনো এতো বোকা আমি?
আমার মত কে কবে-
এই আমাকে কখনো,
এতটুকু দরদ করেছিলো কি?
ঝাপসা চোখে চেয়ে দেখি-
পৃথিবীর মঞ্চে চলছে, শুধুই অভিনয়!
অভিনয়, অভিনয় এবং অভিনয়।
মাঝে মাঝে মনে হয়-
আমি মোটে ভালো অভিনয় জানি না;
এটাই হয়তো আমার দুর্বলতা; 
ভীষণরকম দুর্বলতা, আফসোস্- 
আমি সম্ভবত এখনো মানুষই হতে পারিনি!
মানুষের এই মঞ্চে বারবার ঠকেই যাই-
মানুষ হলে কি এতবার ঠকতাম?
মানুষেরা কতবার ঠকে?
একবার, দু'বার নাকি বহুবার?

মায়া করোনা

চিলাহাটি ওয়েব ডটকম : Friday, January 12, 2024 | 1/12/2024 12:50:00 AM




















মায়া করোনা 
>এ আর আলম <
হে নাবিক,
দেখ কলাপাতার বিছানা
আরামে শুয়ে পড়ো
ঘুমিয়ে পড়ো
দুনিয়া নিয়ে অত ভেবোনা।
 এই এখানে,
সকলেই তোমার আপন
এবং কেউ আপন নয়
 ভুলে যাও! 
 মিথ্যে সুখে আর হেসোনা।
দেখোনি কি?
 নির্মম সে অপেক্ষার ক্লান্তি
একেলা বিছানার দুর্গন্ধ
আসবেনা কেউ
অধরার ঘোরে ডুবে থেকোনা।
জেনে নাও
তুমি তোমরা আমরা এখানে
সকলেই স্বার্থপর এবং একা
ভুলে যাবে
এবং কারোর মনেও রবেনা।
 মায়া করোনা
চিরদিন সত্যকেই বিশ্বাস করো
তুমিও ভুলের মায়ায় বিধ্বস্ত
দুঃখ পেওনা
কেউ কখনোই কারোর থাকেনা।

প্রথম দিন

চিলাহাটি ওয়েব ডটকম : Wednesday, January 10, 2024 | 1/10/2024 11:19:00 PM





















প্রথম দিন 
 শেখ সোহেল রেজা 

 স্কুলেতে যাবে টিনা
হাতে নতুন বই,
পায়ে দেখো সাদা জুতা  
তোমরা সবাই কই।

 চুল বেঁধেছে লাল ফিতায়
লাল জামা গায়,
সঙ্গে যাবে ময়না টিয়া 
দেখবি যদি আয়। 

 আরো আছে বিড়াল ছানা
ধরছে নাকি বায়না,
রাগ করেছে শালিক পাখি
তাইতো কথা কয়না।

রক্ত দিয়ে পাওয়া স্বাধীনতা

চিলাহাটি ওয়েব ডটকম : Sunday, December 3, 2023 | 12/03/2023 02:25:00 PM

একটি কবিতা লেখা হবে তার জন্য অপেক্ষার উত্তেজনা নিয়ে লাখ লাখ উন্মত্ত অধীর ব্যাকুল বিদ্রোহী শ্রোতা বসে আছে ভোর থেকে জনসমুদ্রের উদ্যান সৈকতে- ‘কখন আসবে কবি?’ এই শিশুপার্ক সেদিন ছিল না, এই বৃক্ষে ফুলে শোভিত উদ্যান সেদিন ছিল না, এই তন্দ্রাচ্ছন্ন বিবর্ণ বিকেল সেদিন ছিল না। তা হলে কেমন ছিল সেদিনের বেলাটি? তা হলে কেমন ছিল শিশুপার্কে, বেঞ্চে, বৃক্ষে, ফুলের বাগানে ঢেকে দেওয়া এই ঢাকার হৃদয় মাঠখানি? জানি, সেদিনের সব স্মৃতি মুছে দিতে হয়েছে উদ্যত কালো হাত। তাই দেখি কবিহীন এই বিমুখ প্রান্তরে আজ কবির বিরুদ্ধে কবি, মাঠের বিরুদ্ধে মাঠ, বিকেলের বিরুদ্ধে বিকেল, উদ্যানের বিরুদ্ধে উদ্যান, মার্চের বিরুদ্ধে মার্চ...।’
স্বাধীনতা আসলে একটি স্বপ্ন। প্রতিটি পরাধীন মানুষের চোখে প্রথম স্বপ্ন থাকে একখণ্ড স্বাধীন ভূমির, একটি নিজস্ব পতাকার এবং নিজস্ব ভাষার অধিকার। পরাধীনতা একটি অভিশাপ। এই অভিশাপ থেকে সবাই মুক্তি পেতে চায়। পৃথিবীতে বহু জাতি পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্তি পেতে যুদ্ধ করেছে এবং আজও করছে। ব্রিটিশদের হাত থেকে ভারতবর্ষকে মুক্ত করতে বিভিন্ন সময়ে বহু দেশপ্রেমিক জীবন উৎসর্গ করেছেন। তাদের যৌবন, কিশোরবেলা ছিল স্বাধীনতার জন্য। তারপর পশ্চিম পাকিস্তানের শ্যেন দৃষ্টি থেকে মুক্ত করে পেয়েছি স্বাধীন বাংলাদেশ।
পেয়েছি লাল,সবুজ পতাকা। একটি যুদ্ধ, একটি স্বাধীন দেশ পাওয়ার জন্য বহু মানুষের রক্ত, সম্মান, সাহস আর শক্তির সমন্বয় প্রয়োজন হয়। তার চেয়েও বেশি প্রয়োজন হয় একটি স্বপ্নের। স্বাধীনতার স্বপ্ন। যে স্বপ্ন একদিন বাঙালি দেখেছিল। সেই স্বপ্ন বাঙালির চোখে এঁকে দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। পরিসংখ্যান শুধু সংখ্যার হিসাব করে। ভয়াবহতার হিসাব করে না। নৃশংস ও নির্মমতার দিক থেকে পৃথিবীর যেকোনো গণহত্যার চেয়ে ভয়ংকর ছিল পাকিস্থানীদের গণহত্যা। নির্মম বা নৃশংস কোনো শব্দই এই নির্মমতা প্রকাশের জন্য যথেষ্ট নয়। যেখানে এক রাতেই রক্তের নদী বানিয়ে ফেলেছিল ঢাকা শহরে। একদিন পৃথিবীতে আমাদের সেই বীর মানুষ থাকবেন না। সময়ের সাথে সাথে আমরা তাদের হারিয়ে ফেলবো। কিন্তু তাদের স্বপ্ন, তাদের দেখানো পথ আমাদের সামনে থাকবে। আমাদের মাঝেই তারা বেঁচে থাকবেন।
স্বাধীনতা একটি স্পর্শমণি যা প্রত্যেকেই চায়। আমরাও চেয়েছিলাম। অনেক ত্যাগ, অনেক শ্রম আর বুকের রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। বাংলাদেশে গণহত্যা বইতে সিডনির শৈল চিকিৎসক ড. জিওফ্রে ডেভিস তার মতামতে জানিয়েছেন, ধর্ষিতা মহিলাদের সংখ্যা সরকারি কর্মচারীদের হিসাবে আনুমানিক দুই লাখ হলেও তার মতে এ সংখ্যা অনেক কম করে অনুমান করা হয়েছে।
তিনি মনে করেন এই সংখ্যা চার থেকে চার লাখ ত্রিশ হাজারের মতো হতে পারে। তিনি আরো জানান, অন্তঃসত্তা মহিলার সংখ্যাই দুই লাখ। এসব মহিলার অনেকেই যৌন রোগে আক্রান্ত হয়েছেন আবার অনেকেই বন্ধ্যাত্ব বরণ করেছেন। অনেক মহিলাকেই যুদ্ধের পর স্বামী ছেড়ে গেছে। অনেকেই মানবেতর জীবন যাপন করেছেন। সুতরাং পরিবার পরিজনহীন একাকী জীবন সংগ্রাম করে বেঁচে থাকা
এসব বীরাঙ্গনাকে মর্যাদার আসনে বসাতে হবে। তাদের প্রাপ্য নিশ্চিত করতে হবে। যেসব মানুষ আমাদের একটি স্বাধীন দেশ এনে দিতে জীবন বাজী রেখেছেন তাদের কেউ কেউ আজও অবহেলিত। দেশকে ভালোবেসে যাওয়াই তাদের একমাত্র সান্ত¦না। কিন্তু তাদের জন্য কিছু না করতে পারাটা আমাদের ব্যার্থতা।
আমরা চাই একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা যিনি এ দেশের জন্য রনাঙ্গনে জীবন বাজী রেখেছিলেন তিনি তার কর্মের স্বীকৃতি পাক। এসব মুক্তিযোদ্ধাকে খুঁজে বের করে তাকে তার সম্মান দেওয়া হোক। তাদের ঋণের শোধ না হলেও সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা করাই যায়। ডিসেম্বর মাস আমাদের স্বাধীনতার মাস। আমাদের অস্তিত্তের স্বীকৃতির মাস। এ মাসেই আমরা স্বাধীনতা পেয়েছিলাম। ভারতীয় সেনাবাহিনী ও মুক্তিবাহিনী নিয়ে গঠিত মিত্রবাহিনীর তীব্র আক্রমণে দিশেহারা পাকিস্তান সেনাবাহিনী আত্নসমর্পণ করতে বাধ্য হয়। কবির ভাষায়, স্বাধীনতা হীনতায় কে বাঁচিতে চায় রে কে, বাঁচিতে চায়, দাসত্ব শৃঙ্খল কে পরিবে পায়, রে কে পরিবে পায়। পৃথিবীর প্রতিটি প্রাণী জন্ম থেকেই স্বাধীনতামুখী। প্রতিটি প্রাণী নিজ স্বাধীনতা অর্জনে বদ্ধ পরিকর থাকে। আবার এক শ্রেণির প্রাণী থাকে যারা অন্যের স্বাধীনতা হরণ করেই শান্তি পায়। এক শ্রেণি শোষণকারী অপরদিকে থাকে শোষিত শ্রেণি। যারা অধিকার আদায়ের লক্ষে প্রতিনিয়ত সংগ্রাম করে চলে। যুগ যুগ ধরে এটি হয়ে আসছে।
শোষিত শ্রেণি যখনই অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে রাস্তায় নামে, সংগ্রাম করে তখনই তাদের উপর নেমে আসে জুলুমকারীদের খড়গ। কিন্তু একথা ঠিক যে স্বাধীনতা বঞ্চিত মানুষের ক্ষোভ হয় তীব্র এবং তা সব বাধা ভেঙে দেয়। এক সাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের স্বাধীনতা। বাঙালি জাতির মরণপন সংগ্রামের ফলেই এ স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। এটা আমাদের চূড়ান্ত ত্যাগের প্রতীক। আমরা যারা এ প্রজন্মের তারা মুক্তিযুদ্ধ দেখিনি। কিন্তু আমরা যতটুকু জেনেছি, তাতে শ্রদ্ধায় আমাদের মাথা নত হয়ে আসে। সত্যিকার অর্থে দেশকে এগিয়ে নিতে আজকের প্রজন্মের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাস্তবায়ন করতে হবে।
একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রে জন্মগ্রহণ করা যে কতটা সৌভাগ্যের তা কেবল স্বাধীন দেশে জন্ম নেওয়া, বেড়ে ওঠা একটি শিশুই বলতে পারবে। যার একটি সুন্দর শৈশব থাকবে, যে নির্ভয়ে খেলা করবে, লেখাপড়া শিখবে। কারণ পৃথিবীতে আজ যারা স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করছে তাদের নির্মম পরিণতি চোখের সামনে দেখছি। আমরা ফিলিস্থিনের সংগ্রাম দেখছি। এমনকি একটু বেঁচে থাকার স্বাধীনতার জন্য মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের সংগ্রামকে দেখছি।
বহু জাতি বহু সংগ্রাম, যুদ্ধ, রক্ত, ইজ্জত, সম্পদ হারিয়েছে কেবল স্বাধীনতার স্বাদ পাওয়ার জন্য। আমরাও করেছি। দীর্ঘ নয় মাস করেছি। রক্ত দিয়েছি, সম্পদ দিয়েছি, ইজ্জত দিয়েছি। সব দিয়েছি শুধুমাত্র দেশ স্বাধীন করার জন্য। দেশ স্বাধীন মানে আমাদের নিজস্বতা অর্জন করা। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করা প্রতিটি মানুষ স্বাধীনতার স্বাদ উপভোগ করে। ছোটবেলায় ব্যাকরণ বইয়ের ভাব সম্প্রসারণে পড়েছি, স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে স্বাধীনতা রক্ষা করা কঠিন। কিন্তু তখন এর অর্থ পুরোপুরি বুঝতে পারিনি। কথাটির গভীরতা এখন বুঝতে পারি। স্বাধীনতা বলতে যা বোঝায় তা ধরে রাখা এবং মুক্তিকামী মানুষের স্বপ্নের দেশে পরিণত করাটাই চ্যালেঞ্জের বিষয়। কতটা চ্যালেঞ্জের তা আমরা বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতিতে বুঝতে পারি। কারণ প্রতি পদক্ষেপে বাধা আসবে। একটি রাষ্ট্র গঠনের জন্য দরকার ভূখণ্ড, সার্বভৌমত্ব, জনগণ ও সরকার। কিন্তু সেই রাষ্ট্রকে এগিয়ে নিতে প্রয়োজন ঘুষ, দুর্নীতিমুক্ত হওয়া।
আমাদের স্বাধীনতার উদ্দেশ্য আজ বাধাগ্রস্থ করছে অসৎ মানুষদের অসৎ মনোভাব। এক শ্রেণির অসাধু মানুষ ঘুষ নামক শব্দটিকে তাদের জীবনে ওতোপ্রতোভাবে জড়িয়ে ফেলেছে। যার জাল ছিড়ে মুক্ত হওয়া যাচ্ছে না। সেই জাল ছিড়ে মুক্ত করার দায়িত্ব নিতে হবে আজকের তরুণ প্রজন্মকে। যারা এই দেশকে ভালোবাসে। দেশের জন্য কাঁদে। জাতীয় সঙ্গীতে যাদের কণ্ঠ সুর মেলায় তাদের হাত ধরেই আসবে প্রকৃত স্বাধীনতা। ধর্মীয় সম্প্রীতির এক অনন্য উদাহরেণর নাম বাংলাদেশ। সেই আদিকাল থেকেই এদেশে হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান পাশাপাশি হাত ধরে বসবাস করে আসছে। স্বাধীনতার পর থেকেও একই পতাকার নিচে আমরা সবাই আজ বসবাস করছি। আমরা চাই না এদেশে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাস্প ঘিরে ফেলুক। সব ধর্ম, বর্ণ, গোষ্ঠী যেন শান্তিতে বসবাস করতে পারে।
স্বাধীনতার এটিও উদ্দেশ্য। দেশ নিয়ে একটি কথা আমাকে খুব টানে। সেটি হলো দেশ তোমাকে কী দিয়েছে তা বড় কথা নয়, তুমি দেশকে কী দিতে পেরেছ সেটিই বড় কথা। সত্যি তো, স্বাধীনতার তো বহু বছর পার হয়ে গেল। কী দিতে পেরেছি দেশকে। কতটুকুই বা দিতে পেরেছি। দেশের কাছে এটি চাই ওটি চাই কিন্তু আমি কী দিচ্ছি।
দেশতো আমাদের। আমরা ছাড়া কেই বা দেশের জন্য ভাববে? আজ আমরা গর্ব করে বলতে পারি আমরা স্বাধীন দেশের নাগরিক। আমাদের একটি লাল সবুজ পতাকা আছে। সেই পতাকা আমাদের অহংকার। আমরা চাই দেশকে স্বাধীন করার জন্য যারা সর্বস্ব বাজী রেখেছিলেন তারা যেন তাদের প্রাপ্য সম্মানটুকু পান। তারা বেঁচে থাক আমাদের মধ্যে, তরুণ প্রজন্মের মধ্যে। কবির ভাষায়, তোমার পতাকা যারে দাও, তারে বহিবারে দাও শকতি।
এই লাল সবুজ পতাকা যেন আমরা মর্যাদার সাথে, গৌরবের সাথে চিরকাল, আত্মর্মাদার সাথে ধরে রাখতে পারি সে দৃঢ় প্রতিজ্ঞা আমাদের করতে হবে। স্বাধীনতা শব্দটির ভেতর রয়েছে আমাদের বলার স্বাধীনতা, চলার স্বাধীনতা, সাংস্কৃতিক স্বাধীনতা ইত্যাদি। কিন্তু এই শব্দের ব্যবহার অর্থ এই নয় যে আপনি যাকে যা ইচ্ছা বলতে পারেন, আপনার কথার দ্বারা কাউকে ছোটো করতে পারেন। এটা স্বাধীনতা নয়। বরং স্বাধীনতা কাউকে সম্মান করার শিক্ষাই দেয়। যা ইচ্ছা তাই করা স্বাধীনতা নয়। আপনার কথা এবং কাজ যেন কাউকে কষ্ট না দেয়, অধিকারের নামে যেন অতিরঞ্জিত আচরণ না হয় ইত্যাদি বিষয়গুলো আমাদের মেনে চলতে হবে। স্বাধীনতার অর্থ আমাদের বুঝতে হবে। আমাদের ব্যবহার করতে হবে।
স্বাধীনতার ৫২ বছর পেরিয়ে আমাদের দেশের যেখানে পৌঁছানোর কথা ছিল আমরা সেখানে পৌঁছাতে সক্ষম হইনি। কারণ সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি বাসা বেঁধেছে। এখান থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। এক সাগর রক্তের বিনিময়ে পাওয়া একটি দেশের মানুষ কেন দুর্নীতিপরায়ণ হবে সে কথা মাথায় আসে না।
দেশপ্রেম না থাকলেই দেশের জন্য ক্ষতিকর এমন কাজ করতে পারে। দেশপ্রেমই আসল। দেশকে কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে পৌঁছাতে, স্বাধীনতার অর্জন যেন ম্লান না হয় সেজন্য সবাইকে একসাথে সঠিকপথে থেকে কাজ করতে হবে। তাহলেই একদিন সত্যিকারের সোনার বাংলা গড়ে উঠবে। 
 
অলোক আচার্য 
প্রাবন্ধিক ও কলামিষ্ট

শীত এসেছে

চিলাহাটি ওয়েব ডটকম : Thursday, November 23, 2023 | 11/23/2023 01:22:00 AM

 

 

 

 

 

 

 ―শেখ সোহেল রেজা 
শীত এসেছে,শীত এসেছে
খেজুর গাছে হাড়ি,
পিঠা পুলি বানায় দেখো
সবার বাড়ি বাড়ি।
কোঁয়াশা পরে থাকে
সবুজ ঘাসের উপরে,
সূয্যি মামা যায়না দেখা
যায় যে দেখা দুপুরে।
রসের হাড়ি নামায় দেখো
গাছি ভাই সকালে,
শস্যে ফুলে সোনালী রোদ
পরে থাকে বিকেলে।
মৌমাছি ফুলে ফলে
দেখো কতো বসেছে,
বছর ঘুরে আবার দেখো
শীত ঐ এসেছে।

যায় আসেনা

চিলাহাটি ওয়েব ডটকম : Monday, November 20, 2023 | 11/20/2023 06:43:00 PM

― লিপি কাজী
আমি ওই যায় আসেনা মেয়েটাকে খুঁজছি
যে পেটের দায়ে শরীরের মাংস বিক্রি না করে
দিনে কলেজে পড়ে,
আর রাতে কারো বাড়ির বাসন পরিস্কার করে অথবা
বাজার ঝাড়ু দিয়ে আখের ছোবড়া কুড়ায়।
আমি ওই যায় আসেনা ছেলেটাকে খুঁজছি
যে দিনে ভার্সিটিতে পরে
আর রাতে, কোন সি এন জি, অথবা রিক্সা চালায়।
আমাদের রঙিন জামার মুখোশের আড়ালে কেবল, কেবল যায় আর যায়!
সাহেবী কেতায় অস্থির মিথ্যে প্রতিযোগিতা, রাংতা মোড়ানো মুখোশ!
সবুজ ঘাসে স্বাস নিয়ে ফড়িং অথবা প্রজাপতি ছোঁয়া সকালের মত মামুষগুলো, কেমন করে যেন সব একুরিয়ামের মাছ হয়ে গেল!
কেমন করে যেন গোল্ড ফিসের মত স্মৃতি ভ্রষ্ট, অচেনা হয়ে গেল;
সবার কেবল মিথ্যে ইঁদুর দৌড়!
আমারই কি কেবল পায়ে ও মনে
খুনের আসামীর মত যায়না নামক ডান্ডা বেরী?
আমার তাতেও কিছছু যায় আসেনা।
আমি এখনো ওদের খুঁজছি যাদের ও কিছছুতে কিছছু যায় আসেনা।