Showing posts with label ফিচার. Show all posts
Showing posts with label ফিচার. Show all posts

শত বছরের সন্দেশ

চিলাহাটি ওয়েব ডটকম : Tuesday, October 24, 2023 | 10/24/2023 02:05:00 PM

চিলাহাটি ওয়েব ডেস্ক : বাঙালি জাতি হিসাবে আমরা ভোজনরশিক। খাওয়া-দাওয়া আমরা খুবই পছন্দ করি। আমাদের দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে রয়েছে বিখ্যাত সব মিষ্টি। মিষ্টির কথা স্থান পেয়েছে সাহিত্যের পাতায়। সৈয়দ মুজতবা আলি মিষ্টি নিয়ে লিখেছেন।
নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলার সন্দেশ একবার যিনি খেয়েছেন তাকে বারবার মনে করতে হবে এর স্বাদের কথা। মুখে দিলেই হাওয়ায় মিষ্টির মতো যেন গলে যায়। মান্দা থানার ফেরিঘাট সংলগ্ন ছোট ছোট এই মিষ্টান্নের দোকানগুলোতে পাওয়া প্রায় শত বছরের পুরনো সন্দেশ।
যতোদূর জানা যায় যে, সন্দেশ দেব দেবীর ভোগের জন্য। পরবর্তীতে এই সন্দেশের সুখ্যাতি জেলা শহরের গন্ডি পেরিয়ে দেশ বিদেশের বহু অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। সন্দেশ এমনিতেই কৃত্রিম উপায়ে এক সপ্তাহ পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায়। তাই ঘরে রেখে সময় নিয়ে ইচ্ছেমত খাওয়া যায়।
মান্দার সন্দেশ তৈরির কারিগরদের সাথে কথা বলে জানা যায়, দুধ থেকে তৈরি ছানা দিয়ে সন্দেশ তৈরি করা হয়। ছানার সাথে চিনি, ছোট এলাচ ও খেজুরের গুড় মিশিয়ে তৈরি করা হয় সুস্বাদু সন্দেশ। এখানকার সন্দেশগুলো গোলাকৃতির হয়ে থাকে, ৭৫ থেকে ৮০ পিসে ১ কেজি ওজন হয়।

হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী মাচাং ঘর

চিলাহাটি ওয়েব ডটকম : Monday, October 23, 2023 | 10/23/2023 05:16:00 PM

আপেল বসুনীয়া, চিলাহাটি ওয়েব : আধুনিকতার ছোঁয়ায় হারিয়ে গেছে ঐতিহ্যবাহী মাচাং ঘর। বাঁশ, কাঠ, টিন ও ছন দিয়ে বিশেষ পদ্ধতিতে তৈরি মাচাং ঘর এক সময়ের ঐতিহ্যবাহী ঘর।
আধুনিকতার ছোঁয়ায় হারিয়ে গেছে ঐতিহ্যবাহী মাচাং ঘর। বাঁশ কাঠ ও ছন দিয়ে বিশেষ পদ্ধতিতে তৈরি এক ধরনের ঘরকে বলা হয় মাচাং ঘর।
ভূমি থেকে উচুঁ খুঁটির উপর নির্মিত এ মাচাং ঘরে পোকা মাকড় ও বন্যপ্রাণীর আক্রমণের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। শুধু তাই নয় বিশ্রাম নেয়া, ধান রাখা থেকে শুরু করে গৃহস্থালির নানা কাজে ব্যবহৃত হয় মাচাং ঘর। আধুনিকতার ছোঁয়ায় মাচাং ঘর প্রায় বিলুপ্তির পথে।

চিলাহাটিতে বিলুপ্তির পথে বাবুই পাখি

চিলাহাটি ওয়েব ডটকম : Friday, October 6, 2023 | 10/06/2023 06:15:00 PM

আপেল বসুনীয়া,চিলাহাটি ওয়েব : নীলফামারী জেলার চিলাহাটির বিভিন্ন এলাকায় উঁচু তাল, নারিকেল ও খেজুর গাছে এক সময় দেখা মিলতো বাবুই পাখির বাসা। কিন্তু এখন সারিবদ্ধ তালগাছের পাতায় ঝুলতে দেখা যায় না তাদের শৈল্পিক বাসা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, নির্বিচারে বৃক্ষ নিধন, কীটনাশকের ব্যবহার, শিকারিদের দৌরাত্ম্য, অপরিকল্পিত নগরায়ণ ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাবুই পাখি বিলুপ্ত হতে বসেছে। 
সাধারণত বাবুই পাখি খড়, ঝাউ, তালপাতা ও কাশবনের লতাপাতা দিয়েই উঁচু তাল গাছ এবং খেজুর গাছে বাসা বাঁধে। বাবুই পাখি বাসা বানানোর জন্য খুবই পরিশ্রম করে থাকে। বাবুই প্রথমে ঠোঁট দিয়ে ঘাসের আস্তরণ সারায় এবং যত্ন করে পেট দিয়ে ঘষে অর্থাৎ পালিশ করে মসৃণ করে বাসা তৈরি করে। সাধারণত উঁচু তালগাছে খড়-কুটো দিয়ে তৈরি বাসা দেখতে খুব সুন্দর, আকর্ষণীয় ও মজবুত যা প্রবল ঝড়েও ছিঁড়ে পড়ে না। বাবুই পাখির বাসা শুধু শৈল্পিক নিদর্শনই নয়, মানুষকে স্বাবলম্বী হতে উৎসাহিত করতো।
কবি রজনী কান্ত সেনের ভাষায়- ‘বাবুই পাখিরে ডাকি বলিছে চড়াই, কুঁড়েঘরে থেকে করো শিল্পের বড়াই। আমি থাকি মহাসুখে অট্টালিকার ’পরে, তুমি কত কষ্ট পাও রোদ, বৃষ্টি-ঝড়ে।’ চিরচেনা সেই বাবুই পাখি এখন আর খুব একটা চোখে পড়ে না। নির্বিচারে তাল ও সুপারি গাছ কাটায় বসবাস উপযোগী পরিবেশ নেই। ফলে হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামবাংলার শৈল্পিক কারিগর ‘বাবুই পাখি’!
অথচ মাত্র ১৫-১৬ বছর আগেও গ্রামবাংলার সবখানে চোখে পড়তো চিরচেনা সেই পাখি। দেখা যেত সারিবদ্ধ তালগাছ অথবা সুপারি গাছের পাতায় কি সুন্দরভাবে ঝুলে আছে। এখন আর ঝুলতে দেখা যায় না, কিচিরমিচির শব্দে মুখরিত হয় না গ্রামবাংলার জনপদ।

কাশফুলের সৌন্দর্যে মুগ্ধ প্রকৃতি প্রেমীরা

চিলাহাটি ওয়েব ডটকম : Sunday, October 1, 2023 | 10/01/2023 12:59:00 PM

আপেল বসুনীয়া,চিলাহাটি ওয়েব : শরৎ মানেই নীল আকাশে সাদা মেঘের ভেলা এবং কাশফুলের শুভ্রতা। স্বচ্ছ নীল আকাশে সাদা মেঘ, মাঠজুড়ে সবুজের সমারোহ ও সাদা কাশফুল যখন বাতাসের দোলায় দুলতে থাকে তখন মনটাও যেন আন্দোলিত হয়।
প্রকৃতিতে যখন শরৎকাল আসে তখন কাশফুলই জানিয়ে দেয় এর আগমনী বার্তা। এই ঋতুতে পালকের মতো নরম ও ধবধবে সাদা রঙের কাশফুল ফোটে। কাশফুলের অপরূপ সৌন্দর্য পুলকিত করে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দায়। 
নীলফামারী জেলার চিলাহাটিরি গিরিয়ার ডাঙ্গা এলাকায় ঢেকে গেছে কাশফুলে। ঝকঝকে নীল আকাশে ভেসে বেড়ানো সাদা মেঘের ভেলা প্রকৃতি প্রেমীদের কাছে টানছে। এমন মনোমুগ্ধকর পরিবেশ সবার মন ছুঁয়ে যায়।
সূর্য অস্ত যাওয়ার আগে ওইসব স্থানে প্রকৃতিপ্রেমীদেরকে দেখা যায়। কেউ কেউ ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করছেন।

সৈয়দপুরে দর্শনীয় ন্যারোগেজ ইঞ্জিন ও রেলের মিউজিয়াম

চিলাহাটি ওয়েব ডটকম : Saturday, September 30, 2023 | 9/30/2023 12:10:00 PM

আপেল বসুনীয়া,চিলাহাটি ওয়েব : দেশের বৃহত্তম সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার অভ্যন্তরে রাখা ন্যারোগেজ ইঞ্জিন ও গড়ে উঠা রেলওয়ের মিউজিয়াম দর্শনীয় স্থানে পরিণত হয়েছে। ফলে দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন আসছেন কয়লাচালিত লোকোমোটিভ বা ইঞ্জিন দেখতে। কেউবা রেলের মিউজিয়াম ঘুরে দেখে অতীত ঐতিহ্য খুঁজে ফিরছেন।
১৮৭০ সালে ১১০ একর জমির ওপর সৈয়দপুরে নির্মিত হয় দেশের প্রাচীন এবং বৃহত্তম রেলওয়ে কারখানা। ব্রিটিশ আমলে নির্মিত এ রেল কারখানার ২৬টি উপ-কারখানায় শ্রমিকরা কাজ করে থাকেন। রেলের ছোটবড় যন্ত্রাংশ থেকে শুরু করে ব্রডগেজ ও মিটারগেজ লাইনের বগি মেরামতসহ সব কাজ করা হয় এই কারখানায়।
রেলওয়ে সম্পর্কে বাস্তব জ্ঞান অর্জনে দেশের বিভিন্ন কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ এই কারখানা পরিদর্শন করেন। সৈয়দপুর রেল কারখানা ঘুরে দেখা মেলে ইতিহাসের সাক্ষী কয়লাচালিত ইঞ্জিনের। কারখানা চত্বরে যে তিনটি লোকোমোটিভ স্থান পেয়েছে তার মধ্যে একটি ন্যারোগেজ ইঞ্জিন, একটি কয়লাচালিত ব্রডগেজ এবং অন্যটি ডিজেলচালিত মিটারগেজ ইঞ্জিন।
কয়লা চালিত ন্যারোগেজ বাষ্পীয় লোকোমোটিভ বা ইঞ্জিন সিএস ১৫। এটি তৈরি করা হয় ১৯৩৬ সালে। বিজ্ঞানী জেমস ওয়াটের বাষ্পীয় ইঞ্জিন আবিষ্কারের অনেক পরে। ইঞ্জিনটি নির্মাণ করে ইংল্যান্ডের ডবিউজি বাগলান লিমিটেড নামের একটি কারখানা। ১০ ফুট ৬ ইঞ্চি উচ্চতা আর ১৯ ফুট দীর্ঘ ইঞ্জিনটির ওজন ১১ দশমিক ৭৬ টন। খুলনা-বাগেরহাট রুটে কয়লাচালিত ইঞ্জিন দিয়ে ট্রেন চলাচল করত।
সর্বশেষ ১৯৩৬ থেকে ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত চলাচল করেছে এই কয়লাচালিত ন্যারোগেজ স্টিম লোকোমোটিভ। বর্তমানে সারা পৃথিবীতে ন্যারোগেজ ইঞ্জিনের ব্যবহার নেই বললেই চলে। রেলের ইতিহাস বহন করা আরেকটি ইঞ্জিন হলো কয়লাচালিত ব্রডগেজ বাষ্পীয় লোকোমোটিভ বা ইঞ্জিন এসজিসি-জেড ২৪০। এটি ৫৩ ফুট ১০ ইঞ্চি লম্বা। ১৯২১ সালে তৈরি হয়েছিল। এ ইঞ্জিন দিয়ে পাকশি রুটে ট্রেন চলাচল করত।
১৯৩৭ থেকে ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত চলাচলের উপযোগী ছিল। সময়ের বিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে রেলের ইঞ্জিনেও আসতে থাকে পরিবর্তন। কয়লাচালিত ইঞ্জিনের পরিবর্তে আসতে থাকে ডিজেলচালিত ইঞ্জিন।
সৈয়দপুর রেল কারখানার চত্বরে ডিজেলচালিত একটি মিটারগেজ লোকোমোটিভ বা ইঞ্জিন এমএইচজেড-৮ (৩৩৩২) রাখা আছে। এটি ৩৮ ফুট লম্বা। এ ইঞ্জিনটি ১৯৮২ সালে তৈরি হয়েছিল। ইঞ্জিনটি দিয়ে পার্বতীপুর-সান্তাহার-লালমনিরহাট রুটে ট্রেন চলাচল করত বলে জানা গেছে।
সর্বশেষ ১৯৮৩ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত এ ইঞ্জিন চলাচল করেছে। বাংলাদেশ রেলওয়ের তথ্য অনুসারে, ১৮৬২ সালে বাষ্পীয় ইঞ্জিনের রেলসেবা চালুর পরবর্তী শত বছরেরও বেশি সময় ধরে এই ইঞ্জিনগুলো বাংলাদেশের রেলওয়েতে সেবা দিয়ে এসেছে। ১৯৫৩ সালে কানাডার তৈরি ‘ইএমডি বি-১২’ মডেলের ২০০০ শ্রেণির মিটার গেজ লোকোর মাধ্যমে বাংলাদেশে (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) ডিজেল লোকোর সূচনা হয় এবং রেলে ডিজেল ইঞ্জিনের চাহিদা ও ব্যবহার বাড়তে থাকে। তবে আধুনিকতার দাপটে ধীরে ধীরে কমতে থাকে বাষ্পীয় ইঞ্জিনের ব্যবহার। সর্বশেষ বাংলাদেশে স্টিম লোকোমোটিভ পরিচালিত হয় ১৯৮৪ সালে।

চাঁই বেচে জীবিকা

চিলাহাটি ওয়েব ডটকম : Friday, September 29, 2023 | 9/29/2023 05:30:00 PM

চিলাহাটি ওয়েব ডেস্ক : দেশী প্রজাতির ছোট মাছ ধরার উপকরণ বাঁশের তৈরি চাঁই (মাছ ধরার ফাঁদ) কেনার ধুম পড়েছে। বৃষ্টির পানিতে এখন টই-টুম্বুর ফসলের জমি থেকে শুরু করে খাল-বিল ও নদী । এতে দেশি প্রজাতির ছোটজাতের মাছের পরিমাণ বেড়ে গেছে। তাই বিভিন্ন উপায়ে মাছ ধরতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
জানা যায়, জেলার বিভিন্ন হাটবাজারগুলোতে শত শত চাঁই বিক্রি হচ্ছে। এখানকার তৈরি চাঁই স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে সরবরাহ করা হচ্ছে পার্শ্ববর্তী জেলাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায়। গুণগত মান ভালো হওয়ায় আশানুরূপ দাম পাচ্ছেন চাঁইশিল্পের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা। নিম্নআয়ের অনেক পরিবার বাড়তি আয়ের উৎস হিসেবে চাঁই তৈরিকে বেছে নিয়েছেন। বাঁশ ও সুতা দিয়ে তৈরি এসব চাঁই ভালো মানের হওয়ায় দেশের বিভিন্ন এলাকার মাছশিকারিরা হাটবাজার থেকে তা কিনে নিয়ে যান।
বর্ষা মৌসুমে চাহিদা বেশি হওয়ায় চাঁই তৈরির সঙ্গে জড়িত পরিবারগুলো দুই-তিন মাসেই প্রায় সারা বছরের আয় করে নেন। চাঁই তৈরির কারিগররা জানান, চাঁই তৈরিতে প্রকারভেদে খরচ পড়ে ৮০ থেকে ২০০ টাকা। বিক্রি হয় ২০০ থেকে ৫০০ টাকায়। আকারে বড় চাঁই তৈরিতে খরচ অনুযায়ী বিক্রির মূল্য নিধারণ করা হয়। চাঁই বিভিন্ন এলাকায় ধন্দি, বানা, খাদন, খালই, বিত্তি, বুড়ং ও ভাইর নামে পরিচিত। ছোট প্রজাতির মাছ ধরার সুতি, কারেন্ট জালসহ বিভিন্ন উপকরণের দাপটের কারণে বাঁশের তৈরি চাঁই বাজারে বেশ প্রতিযোগিতার মুখে পড়েছে।

পথচারিদের ডাকছে কারমাইকেলের কাঠগোলাপ

চিলাহাটি ওয়েব ডটকম : Thursday, September 28, 2023 | 9/28/2023 06:07:00 PM

চিলাহাটি ওয়েব ডেস্ক : হে পথিক একটু দাড়াঁও না, তোমার জন্যই না আমি সুভাস্বনী হয়ে রয়েছি। প্রাচ্যের অক্সফোর্টখ্যাত কারমাইকেল কলেজসহ রংপুরের বিভিন্ন স্থানে প্রকৃতি প্রেমীদের এভাবেই মুগ্ধ করছে বাহারী কাঠগোলাপ ফুল। ফুলটি বছরের প্রায় সবসময়ই ফোটে। তবে গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ ও হেমন্তকালে গাছ ফুলে ফুলে ছেয়ে যায়।
এ ফুল নানা রঙের হয়। কোনোটি দেখতে ধবধবে সাদা, কোনোটি সাদা পাপড়ির ওপর হলুদ দাগ, আবার কোনোটি লালচে গোলাপি রঙের। দূরে বা কাছ থেকে এসব বাহারি কাঠ গোলাপ সহজেই নজর কাড়ে প্রকৃতিপ্রেমীদের। কাঠগোলাপের সৌন্দর্য্যে বিমোহিত হয়ে ফটোসেশন করতেও দেখা যায় অনেক পথিককে।
বিমোহিত প্রকৃতিপ্রেমী অপলক দৃষ্টিতে চেয়ে থাকে নয়নাভিরাম কাঠগোলাপে। একটু নিজেকে সতেজ করার জন্যই প্রকৃতির এমন চিরচেনা রুপ। কারমাইকেল কলেজ প্রাঙ্গণে দূর থেকেই চোখে পড়ে অসংখ্য কাঠগোলাপ পড়ে আছে সবুজ ঘাসের বুকে। শ্বেত শুভ্র ফুলগুলো দেখে আকৃষ্ট হচ্ছেন তরুণ-তরুণীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষজন।
শুধু কারমাইকেল কলেজেই নয় রংপুর শহরে বিভিন্ন সড়কের পাশে, বাগানে ও নার্সারিতেও স্নিগ্ধতা ছড়াচ্ছে সুগন্ধিমাখা শুভ্র কাঠগোলাপ। অনেক অভিভাবক শিশুদেরকে ফুল চেনাচ্ছেন এবং ফুল দিয়ে সাজিয়ে ছবি তুলে তুলছেন। প্রকৃতিপ্রেমীরা যে কাঠগোলাপে বিমোহিত তা বলার আর অপেক্ষা রাখে না।
শিশুকে ফুল দেখতে নিয়ে আসা এক অভিভাবক বলেন, শিশুদের মেধা বিকাশে প্রকৃতির সৌন্দর্যের সঙ্গে পরিচয় হওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বইয়ে কিংবা মোবাইলে হয়তো চিনিয়ে দেওয়া সম্ভব কিন্তু কাছ থেকে দেখার আনন্দই আলাদা। এ জন্য প্রায় সময়ই ঘুরতে আসি কারমাইকেল কলেজ প্রাঙ্গণে। নিজেও মুগ্ধ হই চমৎকার প্রকৃতিতে নিঃশ্বাস নিতে পেরে, আমার সন্তানও খুশি হয়।