Showing posts with label দিনাজপুর. Show all posts
Showing posts with label দিনাজপুর. Show all posts

চিরিরবন্দরে ডা.আমজাদ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা সপ্তাহ উদযাপন

চিলাহাটি ওয়েব ডটকম : Sunday, April 28, 2024 | 4/28/2024 11:00:00 PM

এস.এম.রকি, খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলায় 'স্মার্ট শিক্ষা, স্মার্ট দেশ' স্লোগানে ডা.আমজাদ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে নানা আয়োজনে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা সপ্তাহ-২০২৪ উদযাপন করা হয়েছে। রবিবার (২৮ এপ্রিল) সকালে এবি ফাউন্ডেশনের এই প্রতিষ্ঠানটির আয়োজনে বর্ণাঢ্য র‍্যালী শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে এবি ক্যাম্পাস হলরুমে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এসময় গেস্ট অব অনার হিসেবে ভার্চুয়ালী বক্তব্য রাখেন স্বাধীনতা পদক প্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা.এম আমজাদ হোসেন। ডা.আমজাদ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ মোসলেম উদ্দিনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চিরিরবন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ.কে.এম শরীফুল হক। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফজলে এলাহী, উপজেলা আইসিটি কর্মকর্তা মাইদুল ইসলাম, ডা. আমজাদ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ডীন অব একাডেমিক লে. কর্ণেল (অব:) কাজী শাহাবুদ্দিন আহমেদ, এবি ফাউন্ডেশনের চীফ কো-অর্ডিনেটর জয়ন্ত রায়সহ শিক্ষক-শিক্ষার্থীগণ। গেস্ট অব অনার স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত ডা.এম আমজাদ হোসেন বলেন, টেকসই উন্নয়ন ও আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে কারিগরি শিক্ষার বিকল্প নেই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্য কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষাকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন। কারিগরি শিক্ষাকে গুরুত্ব ও বেকারদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে উপজেলা শহরে কারিগরি প্রতিষ্ঠান চালুর মাধ্যমে আমরা কাজ শুরু করেছি। এতে সকলের সহযোগিতা চাই।

খানসামায় ছাত্রলীগের বৃক্ষরোপণ

চিলাহাটি ওয়েব ডটকম : Saturday, April 27, 2024 | 4/27/2024 11:24:00 PM

এস.এম.রকি,খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি : দেশে চলমান তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি ও SDG অর্জনের লক্ষ্যে দিনাজপুরের খানসামায় ছাত্রলীগের উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচী পালিত। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নির্দেশনায় শনিবার (২৭ এপ্রিল) পাকেরহাট সরকারি কলেজ, খানসামা ডিগ্রি কলেজ ও হোসেনপুর ডিগ্রি কলেজে দিনব্যাপী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি সম্পন্ন হয়েছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আবু হেনা ও জারিফ খান জিয়নসহ কলেজ ও উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীবৃন্দ।

খানসামায় ৮ জুয়ারু গ্রেফতার

এস.এম.রকি, খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি : দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার ভেড়ভেড়ী মাগুরমারী এলাকা থেকে ডাবু খেলার সরঞ্জামদিসহ এক ইউপি সদস্যসহ ৮ জুয়ারুকে আটক করেছে থানা পুলিশ। 
শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) রাতে উপজেলার মাগুরমারী উচ্চ বিদ্যালয় এলাকায় ভুট্টা ক্ষেত থেকে ০৮ জুয়ারিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পরে শনিবার (২৭ এপ্রিল) তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়। আটক আটজন হচ্ছেন নীলফামারী সদর উপজেলার খোকশাবাড়ি ইউনিয়নের ওয়াহেদ শেখের ছেলে ইউপি সদস্য মাজেদুল ইসলাম মানিক (৩৮) ও হারোয়া মিশনপাড়া এলাকার মৃত হাফেজ উদ্দিন এর ছেলে নুরল ইসলাম মাশান(৬০), সৈয়দপুরের বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের মৃত নশেদুল্ল্যাহ সরকারের ছেলে ফজলুল হক (৫১), চিরিরবন্দরের সাতনালা ইউনিয়নের মৃত ফরমান আলীর ছেলে মোকলেছুর রহমান (৫৫), খানসামা উপজেলার টংগুয়া মাঝাপাড়ার ধীরেন্দ্রনাথ রায়ের ছেলে সুধীর চন্দ্র রায়(৪২), টংগুয়া মতিশাপাড়ার অতুল রায়ের ছেলে নারায়ণ রায়(২১), টংগুয়া মাঝাপাড়ার বাবুল রায়ের ছেলে মানিক চন্দ্র রায় (২০) এবং টংগুয়া জোদ্দারপাড়ার অর্জুন রায়ের ছেলে অনিমেষ রায় (২০)। 
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে মাগুরমারী স্কুলের পিছনে পরিত্যক্ত জায়গায় দীর্ঘদিন ধরে জুয়ার আসর চলে আসছিল। এটি বন্ধে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খানসামা থানা পুলিশ শুক্রবার (২৭ এপ্রিল) রাতে অভিযান চালিয়ে ০৮ জন জুয়ারুকে গ্রেফতার করেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে খানসামা থানাট অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোজাহারুল ইসলাম বলেন, আটক জুয়ারুদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু সাপেক্ষে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। জুয়া মুক্ত খানসামা উপজেলা গড়তে তথ্য দিয়ে সেবা নিন।

বিরামপুরে বেশ কিছু পরিবারে আজ ঈদ আগামীকাল সারাদেশে

চিলাহাটি ওয়েব ডটকম : Wednesday, April 10, 2024 | 4/10/2024 03:35:00 PM

ইব্রাহীম মিঞা, বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি : দিনাজপুরের বিরামপুরে বেশ কিছু পরিবার সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছে ।
বুধবার (১০ এপ্রিল) সকাল ৭.৪৫ মিনিটে বিরামপুর উপজেলার বিনাইল ইউনিয়নের আয়ড়া নুরুল হুদা দাখিল মাদ্রাসা ও জোতবানী ইউনিয়নের খয়েরবাড়ি মির্জাপুর গ্রামে ৮ টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
দুই জামাতে কয়েকটি গ্রামের প্রায় শতাধিক নারী ও পুরুষ ঈদের নামাজ আদায় করেন। বিনাইল ইউনিয়নের আয়ড়া নুরুল হুদা দাখিল মাদ্রাসায় ঈদুল ফিতরের নামাজের ইমামতি করেন আবু তালেবের ছেলে হাফেজ আব্দুল কাইয়ুম।সে ঢাকা মিরপুর কওমি মাদ্রাসা থেকে হেফজ সম্পন্ন করেন এবং জোতবানী ইউনিয়নের খয়েরবাড়ি মির্জাপুর মসজিদে ঈদুল ফিতরের নামাজের ইমামতি করেন মো. দেলোয়ার হোসেন কাজি।
সরেজমিনে আজ সকালে উপজেলার বিনাইল ইউনিয়নের আয়ড়া নুরুল হুদা দাখিল মাদ্রাসায় গিয়ে দেখা যায় সকাল থেকে দূর-দূরান্তের গ্রামের মুসল্লি ও তাদের পরিবারের নারী সদস্যরা একত্রিত হতে থাকেন।নির্ধারিত সময়ে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায়ের পর খোতবা পাঠের মাধ্যমে ঈদুল ফিতর উদযাপন করেন।
এ সময় স্থানীয় সাবেক পুলিশ সদস্য খাজের উদ্দিন,মনজেল হাজী,আবু তালেব,মাবুদ হাজী,নুরুল ইসলাম, শাহীন ফেরদৌস সহ তার পরিবারের সদস্যরা ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেন। এসময় স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুস সালাম এবং বিরামপুর থানা পুলিশের এসআই নিহার রঞ্জন ও গ্রাম পুলিশ সদস্যগন উপস্থিত ছিলেন।
একদিন আগে ঈদ উদযাপন করার বিষয়ে জানতে চাইলে মো.শাহিন ফেরদৌস বলেন,সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের সময়ের পার্থক্য মাত্র তিন ঘণ্টা। এসময়ের ব্যবধানে দিনের পরিবর্তন হয় না। তাই এই নামাজ আদায় করা।
আবার রমজানে ২৭ তারিখে আমরা লাইলাতুল কদর রাতে ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহকে খুঁজি কিন্তু দিন হিসেবে আমরা একদিন পর সেই রাতকে খুঁজছি। এমন বিভিন্ন চিন্তা ও হাদিসি ব্যাখ্যার কারণে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে আজ ঈদ উযদাপন করছি।
বিরামপুর থানার এসআই নিহার রঞ্জন বলেন, সারা দেশে আগামীকাল ঈদ উদযাপিত হবে। তবে আজ এই এলাকার বেশ কিছু মুসল্লি ঈদ উদযাপন করছেন।
এখানে যেন কোনো অপ্রীতিকার ঘটনা না ঘটে, সেই জন্য বিরামপুর থানা অফিসার ইনচার্জ সুব্রত কুমার সরকারের নির্দেশনায় বিরামপুর থানা পুলিশের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

ফুলবাড়ীর দেবীপুর ছোট যমুনা নদী থেকে বালু উত্তোলন

চিলাহাটি ওয়েব ডটকম : Sunday, March 31, 2024 | 3/31/2024 12:15:00 AM

আফজাল হোসেন, ফুলবাড়ী থেকে:ফুলবাড়ী উপজেলা প্রশাসনের নজরদারী বা অভিযান না থাকায় দেবীপুর ছোট যমুনা নদী থেকে উত্তোলন করা হচ্ছে কোটি টাকার বালু। 
ফুলবাড়ী উপজেলার শিবনগর ইউপির দেবীপুর গ্রামে সংলগ্ন ছোট যমুনা নদী থেকে বছরে বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা অবৈধ্যভাবে কোটি টাকার বালু উত্তোন করে বিভিন্ন স্থানে মজুদ করে বিক্রি করছে। এতে নদী সংলগ্ন পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলি নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়ছে। প্রতি দিন গভীর রাতে ও ভোর বেলায় বালু ব্যবসায়ীরা ট্রলি নামিয়ে বালু উত্তোলন করে নিয়ে যাচ্ছে। প্রতি গাড়ি বালু ১২শত থেকে ১৪শত টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। শিবনগর ইউপির পাঠকপাড়া কুমারপুর ঘাট থেকে মোঃ মিলন, দেবীপুর ঘাট থেকে মোঃ উজ্জল, পাঠপাড়া ঘাট থেকে মোঃ বাদশা, শ্মসান ঘাট থেকে মোঃ বেলাল বালু উত্তোলন করছেন। প্রকৃত সরকারি ঘাটের ইজারা ডাক না থাকায় এই অবস্থার মধ্য দিয়ে অবৈধ্য বালু ব্যবসায়ীরা লুটে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। এমনি অবস্থা বিরাজ করছেন ফুলবাড়ী উপজেলার দৌলতপুর ও খয়েরবাড়ী সহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে। এই অবস্থা চলতে থাকলে সরকার বিপুল পরিমান রাজস্ব হারাবেন। এই ছোট যমুনা নদী থেকে অবৈধ্যভাবে বালু উত্তোলন করেন সরকারি বেসরকারি রাস্তা ঘাটের কাজ ও করা হচ্ছে। সরকারি কাজে ঠিকাদারদের সিডিউলে বালুর দাম ধরা থাকলেও তারা বাইরে কিছু লোকজনদেরকে দিয়ে চোরাই পথে যমুনা নদী থেকে বালু উত্তোলন করে রাস্তাগুলির কাজ করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বিশেষ করে শিবনগর ইউপির পাঠকপাড়া থেকে আমডুংগিহাট পর্যন্ত যমুনা নদীতে যেভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে তাতে নদীর দুই ধারের জমির মালিকদের অফুরন্ত ক্ষতি হচ্ছে। বর্ষাকাল এলে জমিতে লাগানো ফসল নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এই বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে এখনই ব্যবস্থা নেওয়া না হলে তারা অবৈধ বালু নদী থেকে তুলে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হবে। ভাংতে থাকবে কৃষকদের ফসলি জমি। এ ব্যাপারে পাঠকপাড়া ইউপির ৩নং ওয়ার্ডের ওয়ার্ড সদস্য জানান, প্রশাসনকে বলে কোন কাজ হয় না। প্রশাসন স্থানীয় চকিদারদের দিয়ে এই সব অবৈধ বালু ব্যবসায়ীর গাড়ি আটক করে আইনগত ব্যবস্থা নিলে হয়তোবা অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ হতে পারে। এ ব্যাপারে কৃষক মোঃ আমিনুল ইসলাম জানান, আমরা ভয়ে বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে কিছু বলতে পারিনা। আমরা অসহায়। এ ব্যাপারে শিবনগর ইউপির গ্রামবাসী ও কৃষকেরা দেবীপুর থেকে আমডুংগি হাট পর্যন্ত ছোট যমুনা নদী থেকে বালু উত্তোলন বন্ধকল্পে প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

এক পা বিশিষ্ট জন্ম নেওয়া শিশুর পরিবারের পাশে প্রশাসন

চিলাহাটি ওয়েব ডটকম : Thursday, March 28, 2024 | 3/28/2024 11:38:00 PM

ইব্রাহীম মিঞা, বিরামপুর(দিনাজপুর) প্রতিনিধি : দিনাজপুরের বিরামপুরে একপাওয়ালা শিশুর জন্মের ঘটনায় এলাকায় এক চাঞ্চল্যকর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। বিকলাঙ্গ শিশুটির উন্নত চিকিৎসার জন্য ভ্যান চালক বাবার পাশে দাঁড়িয়েছেন বিরামপুর উপজেলা প্রশাসন ও জেলা প্রশাসক।বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেল আনুমানিক ৪ ঘটিকায় বিরামপুর মর্ডান ক্লিনিকে সিজারের মাধ্যমে জমজ শিশুর জন্ম হয়। জমজ শিশু দুটির মধ্যে প্রথমটি মেয়ে এবং অন্যটি অস্বাভাবিক যার কোন লিঙ্গ নির্ধারণ করতে পারেনি চিকিৎসক। কারন দ্বিতীয় শিশুটির কোন মলত্যাগ ও প্রস্রাবের রাস্তা নেই এবং এক পা বিশিষ্ট। দ্বীতীয় শিশুটি অস্বাভাবিক জন্ম এক পা বিশিষ্ট এবং কোন প্রশ্রাব ও মলদ্বারের রাস্তা না থাকায় বিরামপুর মর্ডান ক্লিনিকের গাইনী বিশেষজ্ঞ মোছাঃ তাহেরা বেগম তার পরিবারকে পরামর্শ দিয়েছেন যে দ্রুত শিশুটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বা সার্জারির জন্য ভালো কোন মেডিকেলে নেওয়ার। জমজ শিশু দুটির বাবা মাহফুজুল ইসলাম পেশায় একজন ভ্যানচালক হওয়ায় এমন পরিস্থিতিতে সে কি করবে ভেবে উঠতে না পারায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দিনাজপুর জেলা প্রশাসক জনাব শাকিল আহমেদ মহোদয়ের দৃষ্টিগোচর হলে তিনি তাৎক্ষণিক বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুজহাত তাসনীম আওনকে পরিবারটির পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশ দেন। জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুজহাত তাসনীম আওন নির্দেশনা মোতাবেক বিরামপুর উপজেলায় এক পা বিশিষ্ট শিশু জন্ম নেওয়ায় সংশ্লিষ্ট ক্লিনিকে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুরাদ হোসেনসহ স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে শিশুটির মাকে সান্ত্বনা দেন, এসময় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১০ হাজার টাকা অর্থ সহায়তা দেওয়া হয়। পরবর্তীতে শিশুটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে তার পরিবার।অপরদিকে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিশুটিকে নিয়ে এলে দিনাজপুর জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশে এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে দিনাজপুর জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক জনাব দেবাশীষ এবং জেলা ত্রান ও পুনর্বাসন অফিসার শিশুটিকে দেখতে এসে তার বাবা মাহফুজুল ইসলামকে অর্থ সহায়তা প্রদান করেন এবং শিশু ওয়ার্ডের সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের শিশুটির প্রতি লক্ষ্য রাখতে বলেন।কে চিকিৎসা প্রদানের নির্দেশনা দেন।পরিবার সূত্রে জানা যায় ২০১৪ সালে নবাবগঞ্জ উপজেলার শালখুরিয়া ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের আমিরুল ইসলামের ছেলে মাহাফুজুল ইসলামের সঙ্গে একই উপজেলার দাউদপুরের ঈশরপুর গ্রামের তোকছেদ আলীর মেয়ে তাসলিমার বিয়ে হয়। তাদের এক ছেলে সন্তান ও একটি মেয়ে রয়েছে। সম্প্রতি আবারো গর্ভবতী হন তসলিমা। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে গর্ভে জমজ সন্তানের বিষয়টি নিশ্চিত হলে পারিবারিকভাবে সিজারের মাধ্যমে সন্তান প্রসবের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। তার স্ত্রী তাসলিমা বেগমকে সিজারের উদ্দেশ্যে বিরামপুর মর্ডান ক্লিনিকে নিয়ে আসলে বিকেল আনুমানিক ৪ ঘটিকার সময় জমজ শিশু দুটি সিজারের মাধ্যমে এ পৃথিবীর আলো দেখেন।দ্বীতীয় শিশুটি অস্বাভাবিক জন্ম এক পা বিশিষ্ট এবং কোন প্রশ্রাব ও মলদ্বারের রাস্তা নেই । এমন ঘটনায় এলাকায় এক চাঞ্চল্যকর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে।

২২ বছর পালিয়ে থাকা সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার

এস.এম.রকি,খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিসনধি : ২২ বছর আত্মগোপনে পালিয়ে থাকার পরে দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় ধর্ষণ ও গর্ভপাত ঘটানোর অপরাধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত তসলিম উদ্দিন (৫২) নামে এক পলাতক আসামিকে এলিট ফোর্স র‌্যাব-৩ এর সহায়তায় আটক করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করেছে খানসামা থানা পুলিশ।
গ্রেফতার তসলিম উদ্দিন খানসামা উপজেলার ৬নং গোয়ালডিহি ইউনিয়নের দুবলিয়ার আমিজ উদ্দিনের ছেলে। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে খানসামা থানা পুলিশ এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, গত ২২ বছর যাবৎ ছদ্মবেশে বিভিন্ন ব্যবসার সাথে জড়িত থাকার আড়ালে আত্মগোপনে থেকেছেন তসলিম উদ্দিন। পরে তাকে নারায়ণগঞ্জের গাউসিয়া মার্কেট সংলগ্ন ফলপট্টি এলাকা থেকে বুধবার (২৭ মার্চ) র‌্যাব-৩ এর সহায়তায় খানসামা থানা পুলিশ গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে বলে পুলিশ জানায়। খানসামা থানা পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, গ্রেফতার তসলিম উদ্দিন ২০০০ সালে দিনাজপুর জেলার খানসামা থানাধীন খামারপাড়া ইউনিয়নে ‘প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ’ নামক একটি এনজিওতে সুপারভাইজার হিসেবে চাকরিরত ছিলেন।
তসলিম খামারপাড়া ইউনিয়নের ৭টি বিদ্যালয়ের প্রায় ১৪ জন শিক্ষকের সুপারভাইজার ছিলেন ও তারই অধীনে ভিকটিম বালাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল এনজিও থেকে নিয়োগকৃত শিক্ষিকা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। একই কর্মসূচির আওতায় চাকরিরত থাকার সুবাধে তাদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গ্রেফতার তসলিম ও ভুক্তভোগীর নিয়মিত যোগাযোগের সুবাধে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গ্রেফতার আসামি ছিল বিবাহিত ও দুই সন্তানের জনক। এসময় ভিকটিম আসামীর বিবাহিত জীবন সম্পর্কে সম্পূর্ণ অজ্ঞাত ছিল।
ঘনিষ্ঠতা ও যোগাযোগ বৃদ্ধির সুযোগে তসলিম ভুক্তভোগীকে নানাভাবে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনে প্রলুব্ধ করে। শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনে ভিকটিমের অসম্মতি থাকায় সে ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলার নাম করে সুবিধাজনক স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করে। একাধিকবার ধর্ষণের ফলে ভুক্তভোগী গর্ভবতী হয়ে পড়েন। বিষয়টি তসলিমকে জানালে সে অস্বীকার করে ও গর্ভের ভ্রূণ নষ্ট করার জন্য প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। তাতে সম্মত না হয়ে তসলিমকে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকলে তসলিম নিজেকে বিবাহিত দাবি করে ও ভিকটিমকে বিয়ে করা অসম্ভব বলে সাফ জানিয়ে দেয়। অন্তঃসত্ত্বা ভিকটিম বাধ্য হয়ে বিষয়টি তসলিমের পরিবারকে জানালে তসলিম সম্মানহানির প্রতিশোধ নিতে প্রতারণা করে ভিকটিমকে তার সঙ্গে যোগাযোগের কথা বলে একটি বেসরকারি ক্লিনিকে নিয়ে গর্ভপাত করায়। এসময় ভুক্তভোগী ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন।
মানসম্মান এবং গর্ভের সন্তান হারিয়ে অসহায় ও আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েন এবং বিয়ের জন্য প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করেন। এমনকি এসময় তিনি আত্মহত্যার চেষ্টাও করেন। তখন তসলিম পূর্বের চাকরি ছেড়ে দিয়ে ঢাকায় একটি ডেলিভারি ম্যান হিসেবে যোগদান করে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। কোনো উপায়ন্তর না পেয়ে ভুক্তভোগী নারীর পরিবার বাধ্য হয়ে তসলিমের বিরুদ্ধে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণসহ ভ্রূণ নষ্ট করার অপরাধে পেনাল কোডের ৩১৩ ধারায় দিনাজপুর জেলার খানসামা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে ২০১৩ সালে বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল, দিনাজপুর তার বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করেন। মামলা রুজু হওয়ার পর থেকেই গ্রেপ্তার তসলিম স্ত্রী-সন্তান নিয়ে নিজ এলাকা ত্যাগ করে ঢাকায় চলে আসেন। এমনকি গ্রেপ্তার এড়াতে তিনি ঘনঘন স্থান পরিবর্তন করেন। প্রথম ২ বছর তিনি ঢাকায় ডেলিভারি ম্যান, এরপর ৩ বছর সিলেটে একটি দোকানে কর্মচারী হিসেবে কাজ করেন। এরপর ঢাকায় ফেরত এসে তিনি একটি কোম্পানিতে কাজ করেন। রায় হওয়ার পর আত্মগোপনে থাকার উদ্দেশ্যে গাজীপুরে কখনো ভ্যান চালিয়ে, কখনো মাটিকাটা শ্রমিকের কাজ করে, কখনো এনজিওর মাঠ কর্মী হিসেবে জীবিকা নির্বাহ করে।
মাঠকর্মী থাকার সময় গাজীপুরের শ্রীপুর এবং কাশিমপুর এলাকার বিভিন্ন গ্রাহকের কাছ থেকে নামে বেনামে প্রতারণার মাধ্যমে সুকৌশলে ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে নারায়ণগঞ্জের ভুলতা গাউছিয়া এলাকায় সে আত্মগোপন করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে খানসামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাহারুল ইসলাম বলেন, ধর্ষণ মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী তসলিম ২২ বছর পলাতক ছিলেন। র‌্যাবের সহায়তায় তাকে আটক করে বৃহস্পতিবার বিজ্ঞ আদালত দিনাজপুরে প্রেরণ করা হয়েছে বলে তিনি জানান।