ছাদেকুল ইসলাম রুবেল,গাইবান্ধা :গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জ আলিয়া কামিল মাদরাসা পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল ফোন ও ডিভাইস ব্যবহারের সুবিধা দিয়ে বাড়তি অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। কেন্দ্র সচিব ও হল সুপারের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) উপজেলার ঐতিহ্যবাহী মহিমাগঞ্জ আলিয়া মাদরাসা কেন্দ্রে আলিম উচ্চতর গণিত (প্র্যাকটিক্যাল) পরীক্ষা চলাকালে প্রতিটি বেঞ্চে মোবাইল ও ডিভাইস ব্যবহার করে উত্তর পত্র লিখছেন শিক্ষার্থীরা। সেখানে কোনো-কোনো বেঞ্চে শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রীকে প্রক্সি দিচ্ছেন। আবার কোনো অভিভাবক শিক্ষার্থীকে নকল দিচ্ছেন। কোথাও সবাই একযোগে বসে দেখাদেখি করে উত্তরপত্র লিখেছেন। স্থানীয়রা বলছেন, পরীক্ষার্থীরা ভালো নম্বরের প্রত্যাশা করে। এই সুযোগ নিয়ে মহিমাগঞ্জ আলিয়া কামিল মাদরাসা কেন্দ্রে বিভিন্ন মাদরাসার ৬০৬ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিচ্ছেন। স্ব-স্ব মাদরাসার শিক্ষকদের মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদের নকল করাসহ মোবাইল ফোন ব্যবহারের সুযোগ দিয়ে প্রত্যকের কাছ থেকে ৩০০ থেকে ৮০০ টাকা করে ব্যবহারিক পরীক্ষায় প্রতি সাবজেক্টে টাকা নেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে মহিমাগঞ্জ আলিয়া কামিল মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও কেন্দ্র সচিব নুরুল ইসলামের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি কোনো মন্তব্য দেননি।
এ বিষয়ে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মামুনুর রশিদ জানান, এটি দুঃখজনক ঘটনা। এ ঘটনা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে। এ তদন্ত শেষ হলে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দা ইয়ামিন সুলতানা বলেন, জেলা প্রশাসক স্যারের নির্দেশে এ অভিযোগের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
গাইবান্ধা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও মহিমাগঞ্জ আলিয়া কামিল মাদরাসার গভর্নিং বর্ডির সভাপতি একেএম হেদায়েতুল ইসলাম জানান, এ বিষয়টি আমি শুনেছি। ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।