Type Here to Get Search Results !

বড়পুকুরিয়া কাদেরিয়া দ্বি-মূখী দাখিল মাদ্রাসার সুপারের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু

অজয় সরকার, পার্বতীপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি : পাবতীপুর উপজেলার বড়পুকুরিয়া কাদেরিয়া দ্বি-মূখী দাখিল মাদ্রাসার সুপার নুরুজ্জামান আকন্দ (ওলামালীগ সভাপতি) বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের ১৩ দফা লিখিত অভিযোগের বিষয়ে আজ সোমবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে তদন্ত শুরু করেছেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মিরাজুল ইসলাম। তদন্ত চলাকালিন সময়ে এলাকাবাসী সুপার নুরুজ্জামান আকন্দ বিরুদ্ধে শাস্তি ও অপসারণের দাবি জানায়। 
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সুপারের বিরুদ্ধে ১৩ দফা অভিযোগের মধ্যে রয়েছে টেন্ডার ছাড়াই প্রায় কোটি টাকার মাদ্রাসার ভবন নির্মাণ, নিয়োগ বাণিজ্য, অবৈধভাবে ব্যাংক হতে টাকা উত্তোলন, ভুয়া ছাত্র/ছাত্রী দেখিয়ে উপবৃত্তির টাকা আত্মসাৎ, ব্যাংক পরিচালনায় অনিয়ম, ভুয়া ছাত্র/ছাত্রী দেখিয়ে সরকারী বই তছরূপ, ভুয়া বিল ভাউচার দাখিল, শিক্ষকদের সাথে অসাদচারণ, মাদ্রাসার প্রকৃত জমির হিসাব দাখিলে অনিয়মসহ ইত্যাদি। অভিযোগকারি ওই মাদ্রসার শিক্ষক প্রতিনিধি আশরাফুল ইসলাম জানান, সুপারের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সবই সত্য। তিনি ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতার আসার পরপরই পালটে যায় তার জীবন। উপজেলা ওলামা লীগের সভাপতি হয়ে সাবেক সংসদ-সদস্য মরহুম মোস্তাফিজুর রহমান ফিজারে প্রভাব খাটিয়ে মাদ্রাসায় শুরু করেন নিয়োগ বাণিজ্য। 
এছাড়াও ২০২৩ সালে জেসমিন নামে একজনকে আয়া পদে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ৬ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন তিনি। কিন্তু তাকে চাকরি না দিয়ে আরও বেশি টাকা নিয়ে অন্য একজনকে নিয়োগ দেন। এ নিয়ে মাদ্রাসায় সালিশ বৈঠক হয়। কিন্তু আজ পর্যন্ত তার টাকা ফেরত দেওয়া হয়নি। আ.লীগ দোসরদের মাদ্রাসার কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করতে অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচনে ভুয়া ভোটার তালিকা তৈরি করেছেন। আমি মাদ্রাসার সুপার নুরুজ্জামান আকন্দ শাস্তি দাবি করছি। এব্যাপারে সুপার নুরুজ্জামান আকন্দ তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেন। 
এদিকে, তদন্তকারি কর্মকর্তা পার্বতীপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মিরাজুল ইসলাম এর কাছে তদন্ত সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তদন্ত চলমান রয়েছে, তদন্তের রিপোর্ট খুব তাড়াতাড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বড়পুকুরিয়া কাদেরিয়া দ্বি-মূখী দাখিল মাদ্রাসার সভাপতির নিকট দাখিল করবেন বলে জানান। ‎
বিভাগ

Top Post Ad

Hollywood Movies