আকাশ রহমান, বদরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি : রংপুরের বদরগঞ্জে পুর্ব শত্রুতার জের ধরে পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে মাছ নিধন
করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল বুধবার উপজেলার রাধানগর ইউনিয়নের দিলালপুর
ছাতারপাড়া গ্রামে এঘটনা ঘটে।
এব্যপারে পুকুরের মালিক লোকমান
হোসেন বাদী হয়ে ১৩জন ব্যক্তির নামে বদরগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের
করেন।
লিখিত অভিযোগে জানা যায়, ওই গ্রামের লোকমান হোসেন কবিরাজের
সাথে একই গ্রামের হবিবার রহমান ও তার লোকজনের দীর্ঘদিন ধরে জমি
সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় ওই বিরোধের জের ধরে
হবিবার ও স্ত্রী সুলতানা বেগম, লোকমান কবিরাজের বাড়ীর পার্শ্বে অবস্থিত
পুকুরে দানাদার বিষ প্রয়োগ করে। এতে করে প্রায় আড়াই লক্ষাধিক টাকার
মাছের পোনা ও মাঝারী আকারের মাছ মারা যায়। শুধু তাই নয়, দুর্বৃত্তরা ক্ষুব্ধ
হয়ে লোকমান হোসেনের পুকুরপাড়ে রোপন করা ৭০টি বনজ ও ফলজ গাছের
চারা নষ্ট করে।
লোকমান হোসেন ঘটনাটি শোনার পর তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে
ছুটে গেলে প্রতিপক্ষ মিজানুর রহমান, সেরাজুল হক, শামছুল হক ও কাউল্টা
মাসুদ তাকে মারপিট করার জন্য উদ্যত হয়। কিন্তু সেখানে অন্যান্য
গ্রামবাসী উপস্থিত থাকায় দুর্বৃত্তরা তাকে মারপিট করতে ব্যর্থ হয়। পরে
এই ঘটনাটি জানাজানি হলে দুর্বৃত্তরা সকলে বাড়ীঘর ছেড়ে অন্যত্র গিয়ে
লুকিয়ে পড়ে। এবিষয়ে গতকাল বুধবার প্রত্যক্ষদর্শী সাইদুল হক বলেন, ভোর
বেলা হবিবার রহমান ও তার স্ত্রী সুলতানা বেগম পুকুরপাড়ে গিয়ে প্রকাশ্যে
পুকুরে বিষ প্রয়োগ করেছে। আমি ঘটনাটি দেখার পর সঙ্গে সঙ্গে পুকুরের
মালিককে অবগত করেছি। কিন্তু কোনপ্রকার ব্যবস্থা নেওয়ার আগেই পুকুরের
সমস্ত মাছ বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়।
এদিকে ভুক্তভোগী লোকমান হোসেন
কবিরাজ বলেন, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে দীর্ঘদিন ধরে তারা আমাদের
বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিসাধন করে আসছে। তারা সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোকজন
হওয়ায় আমরা তাদের সাথে কুলিয়ে উঠতে পারছিনা। এমনকি একাধিকবার
আইনের আশ্রয় নিয়েও কোন ফলপ্রসু হয়নি। এবারে আমার পুকুরের মাছ
নিধনের ঘটনায় কোন প্রতিকার না পেলে আমরা স্বপরিবারে বিষপান করে
আত্মহত্যা করব। অপরদিকে প্রতিপক্ষ হবিবার শামছুল ও অন্যান্যরা বাড়ীঘর
ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ায় কারো সাথে যোগাযোগ করে তাদের কোন মন্তব্য
নেওয়া সম্ভব হয়নি।
বদরগঞ্জ থানার ওসি একেএম আতিকুর রহমান বলেন, তদন্ত করে সত্যতা পাওয়া
গেলে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।