নজরুল ইসলাম, বোদা (পঞ্চগড়) প্রতিনিধি :খাবার পরিবেশ করছেন খোদ জেলা প্রশাসক সাবেত আলী। তার সাথে যোগ দিয়েছেন তার সহধর্মিনী, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেনসহ প্রশাসনের একদল কর্মকর্তা। অসহায় দরিদ্র, এতিম ও ছিন্নমূল মানুষেরা এক এক করে খাবার নিয়ে সাজানো টেবিলে বসে তৃপ্তিসহকারে খাচ্ছেন । যার যতটুকু প্রয়োজন কোন কমতি নেই আয়োজনে। পেট পুরে (পেট ভরে) স্বস্তি ভরে খাবার খেয়ে দারুন খুশি তারা। পঞ্চগড় জেলা প্রশাসনের আয়োজনে রবিবার দুপুরে পঞ্চগড় জেলা প্রশাসন ইকো পার্কে ঈদ বুফে নামে চমৎকার এই আয়োজন করা হয়। আয়োজনে মূল অতিথি ছিলেন পঞ্চগড় সরকারি শিশু পরিবারের সদস্যরা, মীরগড় আশ্রয়নের সকল বাসিন্দা, অসহায় দরিদ্র পরিবার, সম্প্রতি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক সাথে নিহত হওয়া তিন শ্রমিকের পরিবার। তার সাথে ফুটবলে ভালো করায় জেলার বোদা ফুটবল একাডেমির প্রমিলা খেলোয়াড় ও স্বেচ্ছাসেবীদেরও দাওয়াত করা হয় এই আয়োজনে। জেলা প্রশাসকসহ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের এমন আপ্যায়নে আনন্দিত তারা।
মীরগরের বাসিন্দা আমিনুর ইসলাম বলেন, জেলা প্রশাসক নিজ হাতে আমাদের আপ্যায়ন করান এর চেয়ে বড় আনন্দের কথা আর কি হতে পারে। তিনি আমাদের মতো অসহায় মানুষের জন্য এই আয়োজন করেছেন এজন্য আমরা খুব খুশি।
ওই এলাকার হাফিজান বেগম বলেন, কোরবানির ঈদে আমাদের ভালো খাওয়ার সামর্থ নেই তাই খুব সাধারণভাবেই ঈদ চলে গেছে। কিন্তু জেলা প্রশাসক আমাদের জন্য এতো বড় এই দাওয়াতের আয়োজন করবেন এটা আমরা কখনো কল্পনা করিনি।
আশ্রয়নের বাসিন্দা এনামুল বেগ বলেন, আশ্রয়ণের সবাই গরিব শ্রমজীবী মানুষ। আমরা দিন আনি দিন খাই। আমাদের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে জেলা প্রশাসন ঈদ বুফের আয়োজন করেছে। আমরা পরিবারের সবাইকে নিয়ে তৃপ্তি সহকারে দাওয়াত খেয়েছি।
সম্মিলিত স্বেচ্ছাসেবী ফোরামের সমন্বয়ক এড আহসান হাবিব বলেন, এমন আয়োজন স্বেচ্ছাসেবীদের জন্য অনেক অনুপ্রেরণা জোগাবে।
জেলা প্রশাসক সাবেত আলী বলেন, আমরা এবার ঈদের আনন্দটাকে ভাগাভাগি করে নিতেই ছোট্ট এই আয়োজন করেছি। আমাদের আমন্ত্রিত অতিথির মধ্যে ছিলেন পঞ্চগড় সরকারি শিশু পরিবারের সদস্যরা, মীরগড় আশ্রয়নের সকল বাসিন্দা, মীরগর এলাকার অসহায় দরিদ্র পরিবার, সম্প্রতি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক সাথে নিহত হওয়া তিন শ্রমিকের পরিবার, নারী ফুটবল দল ও স্বেচ্ছাসেবীগণ । তারা সবাই এই অনুষ্ঠান বেশ উপভোগ করেছে। একসাথে আমরা খাবার খেয়েছি এবং খুব উপভোগ করেছি।