Type Here to Get Search Results !

সাপের কামড়ে মৃত্যু

ইব্রাহীম মিঞা, বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি : বাড়ির আঙ্গিনায় শত মানুষের ভিড় এক পাশে পড়ে রয়েছে লাশ ধোয়ার চৌকি ও লাশ বহনের খাটিয়া। বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা ভালো না থাকায় অল্পতেই বাড়ির আঙ্গিনায় পানি জমে যায়।জমে থাকা পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে গিয়ে সাপের কামড়ে মৃত্যু হয় আঃ জলিল (৪২) নামে এক ব্যক্তির। ঘটনাটি ঘটেছে দিনাজপুরের বিরামপুর পৌরশহরের ইসলাম পাড়ার গোহাটি এলাকায়। সোমবার (২৫ মে) বিকেল আনুমানিক সাড়ে ৫ ঘটিকায় বিরামপুর পৌরশহরের ৪ নং ওয়ার্ডের ইসলামপাড়া গোহাটি এলাকায় বৃষ্টির পানি জমে থাকায় ড্রেনের পাশে মাটি সরিয়ে দিতে গিয়ে এক হাতে সাপের কামড়ে আক্রান্ত হন আঃ জলিল। প্রথমে সাপে কামড়ানোর বিষয়টি বুঝতে না পারায় সে গুরুত্ব দেয়নি। পরবর্তীতে সাপের কামড়ে আক্রান্ত জায়গাটিতে চিন চিন করে ব্যাথা অনুভব করলে তাঁকে দ্রুত বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। এসময় আঃ জলিল বিষের জ্বালায় বমি করে ফেলে। বিরামপুর ৫০ শয্যার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সাপে কামড়ানো রোগীর প্রতিষেধক টিকা (অ্যান্টিভেনম) না থাকায় কর্তব্যরত চিকিৎসক দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁকে রেফার্ড করেন। দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়।সাপের কামড়ে মৃত আঃ জলিল পৌরশহরের ইসলাম পাড়া গোহাটি এলাকার মৃত আনছার আলীর ছেলে।সে পেশায় একজন অটোরিকশা চালক। তাঁর পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন আঃ জলিল। একমাত্র ছেলে সন্তানকে এইচএসসি পর্যন্ত কষ্ট করে পড়ালেখা করিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত ছেলের ভবিষ্যত গড়ে না দিয়ে চলে গেলেন না ফেরার দেশে। এঘটনায় এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে আসে। শত শত মানুষ ভিড় জমায় সাপের কামড়ে মৃত আঃ জলিলকে একনজর দেখার জন্য। কিন্তু লাশ দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে বাসায় নিয়ে আসতে রাত প্রায় সাড়ে ১০ টা বেজে যায়। এঅবস্থায় বাড়ির আঙ্গিনায় লাশ ধোয়ার চৌকি ও লাশ বহনের খাটিয়া পড়ে থাকতে দেখা যায়। সাপের কামড়ে মৃত্যুর ঘটনায় আঃ জলিলের পরিবার ও সচেতন মহলে একপ্রকার ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। বিরামপুর উপজেলার সাথে পাশের ৪ টি উপজেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো থাকায় অনেকেই বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসামূখী হন‌ । কিন্তু জেলা শহর থেকে এ উপজেলার দুরত্ব অনেক বেশি হওয়ার পরেও এখানে সাপে কামড়ানো রোগীর প্রতিষেধক টিকা (অ্যান্টিভেনম)নেই। এবিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এলাকার সচেতন মহল।
বিভাগ