Type Here to Get Search Results !

ভারতে আটকে থাকা ভারসাম্যহীন সন্তানকে ফিরে পেতে মায়ের আকুতি

রবিউল ইসলাম, স্টাফ রিপোর্টার চিলাহাটি ওয়েব : নাম শেফালী বেগম, বয়স আনুমানিক (৩৭) বছর। লহিলা বেগম ও মতিয়ার রহমানের মানসিক ভারসাম্যহীন সন্তান সে‌। মানসিক সমস্যা হওয়ার কারণে সে বিভিন্ন সময় দেশের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে হারিয়ে যায়। এবার ঘটেছে তার ব্যতিক্রম। 
গত ৮ এপ্রিল সকালে শেফালী বেগম বাড়ি থেকে বের হয়, তারপর তার আর কোন খোঁজ খবর পাওয়া যায়না। নিরুপায় হয়ে তার পরিবারের লোকজন বোদা থানায় গত ১০ এপ্রিল একটি হারানো ডায়েরী করেন এবং বিভিন্নভাবে তার মানসিক ভারসাম্যহীন মেয়েকে খোঁজার চেষ্টা চালান। একপর্যায়ে তারা জানতে পারে তার মেয়ে শেফালী বেগম ভারতের ভাউলাগঞ্জ মোড়ে যায় সেখানে এলাকাবাসী তাকে বাংলাদেশী ভেবে পুলিশে দেয়। নিরুপায় হয়ে লহিলা বেগম কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন- আমি বিভিন্নভাবে খোঁজখবর নিয়ে জানতে পেরেছি আমার মানসিক ভারসাম্যহীন মেয়ে সে তো দু দেশের সীমানা বোঝেনা, আর তারকাটা না থাকার কারণে সে পথ ভুলে ভারতে চলে যায়। শেফালী বেগমের দ্বিতীয় স্বামী আব্দুল কাদের জানায়- আমার স্ত্রী দীর্ঘদিন থেকে মানসিক ভারসাম্যহীন। তার চিকিৎসাও চলমান রয়েছে, হঠাৎ করে গত ৮ এপ্রিল সকালে সে বাড়ি থেকে বের হয়। আমরা অনেক খোঁজাখুঁজি করি তার কোন সন্ধান পাই না এক পর্যায়ে আমরা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করি। তারপরও আমাদের খোঁজাখুঁজি চালিয়ে যাচ্ছি। এদিকে অমরখানা সীমান্তের তারকাটা না থাকায় আমার মানসিক ভারসাম্যহীন স্ত্রী দু দেশের সীমান্ত বুঝতে না পেরে বাংলাদেশের সীমানা অতিক্রম করে ভারতে চলে গেছে। খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারি সে বাংলাদেশের অমরখানা সীমান্ত দিয়ে ভারতের হলদিবাড়ি ব্লকের মানিকগঞ্জ এলাকা পার হয়ে শিমুলতলা বালাডাঙ্গা এলাকায় গিয়ে টোটো গাড়িতে উঠে ভারতের ভাওলাগঞ্জ মোড়ে যায়, সেখানে গিয়ে টোটো ড্রাইভারকে বাংলাদেশী টাকা ভাড়া দিতে গিয়ে এলাকাবাসী তাকে আটক করে পুলিশে দেয়। সংবাদকর্মীরা বড়শশী ক্যাম্পের বিজিবি সদস্যদের কাছে জানতে চাইলে তার এ ব্যাপারে কিছু জানে না বলে জানান। এলাকাবাসী রুহুল আমিন জানায়- মাথায় সমস্যা হওয়ার কারণে সে দীর্ঘদিন থেকে বিভিন্ন জায়গায় যেত, এবার দু'দেশের সীমান্ত বুঝতে না পেরে ভারতে গেছে। বড়শশী ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আব্দুর রহিম জানায়- সে দীর্ঘ দিন থেকে মানসিক ভারসাম্য রোগী। সে হারিয়ে যাওয়ার পর তার পরিবারের লোকজন থানায় একটি জিডি করেন। সে না জানার কারণে ভুলবশত বাংলাদেশ সীমানা অতিক্রম করে ভারতে চলে গেছে, সেহেতু এটি আভ্যন্তরিক ব্যাপার। তারপরও তাকে ফিরে আনার জন্য আমরা ওই পরিবারকে যতটুকু সহযোগিতা করার তা করব।