Type Here to Get Search Results !

পঞ্চগড়ে হাফেজ তিন সন্তান নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় এক পরিবার

নজরুল ইসলাম, বোদা (পঞ্চগড়) প্রতিনিধি :হাফেজ তিন সন্তান নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছেন পঞ্চগড় সদর উপজেলার দক্ষিণ লাঠুয়াপাড়া এলাকার ওয়ালিউল্লাহ মিন্টু ও রূপালী বেগম দম্পতি। জমি নিয়ে বিরোধের জেরে নিজ বাড়িতেই এক প্রকার গৃহবন্দির মতো দিন কাটছে তাদের। নিজের ভাই বোনদের কাছেই ক্রমাগত হুমকি ধামকি মামলা ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে দাবি করেছেন পরিবারটি। বিষয়টি নিয়ে তারা থানায় সাধারণ ডায়েরিও করেন। পরিবারটির অভিযোগ, ২০০৮/০৯ সালে জীবিকার তাগিদে ঢাকায় পাড়ি জমান ওয়ালিউল্লাহ মিন্টু ও রূপালী বেগম দম্পতি। সেখানে নিজে রিকশা চালিয়ে এক মেয়ে ও তিন ছেলেকে বড় করে তোলেন। মেয়েটিকে বিয়ে দিয়েছেন আর তিন ছেলে তাজুল ইসলাম, আবু বক্কর ও রাকিবুল ইসলামকে তৈরি করেছেন কোরআনের হাফেজ। করোনাকালে ২০২১ সালে সবাইকে নিয়ে বাড়ি ফিরে আসেন মিন্টু। বাড়ির পাশের এক খন্ড জমিতে ঘর তোলেন তারা। এ সময় পৈত্রিক জমি দাবি করলে তা নিয়ে বড় ভাই মাসুদসহ অন্যান্য ভাই বোনদের সাথে বিরোধ সৃষ্টি হয়। ২০২৪ সালে তাকে ঘরতোলা জমিসহ ১৮ শতক জমি মৌখিকভাবে বুঝিয়ে দেন তারা। মিন্টুর বাবা হবিবর রহমান ও চাচা মফিজুর রহমান খান দুই ভাই মিলে জমি কিনেছিলেন ৩ একর ১৮ শতক। চাচা এলাকায় না থাকায় সুযোগে সব ভোগ দখল করছিলেন ভাই, মাসুদ, রবিউল ইসলাম ও আমিনার রহমান টিটু। মিন্টু খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন তার চাচার ভাগের জমি তাকে নিজের বাবার বলে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। প্রতিবাদ করলেই মারধর আর হুমকিতে পড়তে হয় তাকে। এক পর্যায়ে তার চাচা মফিজুর রহমান খান তার ভাগের জমি পাওয়ার অব এটর্নি দিয়ে দেয় মিন্টুকে। এরপরেই সব ভাই বোনদের শত্রুতে পরিণত হন তিনি। হত্যাসহ নানাভাবে হুমকি ধামকি দেয়া হচ্ছে পরিবারটিকে। বর্তমানে তারা নির্ঘুম রাত পাড় করছেন। ওয়ালিউল্লাহ মিন্টু বলেন, আমি আমার তিন হাফেজ ছেলেকে নিয়ে এখন চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। রাতে ঘরবাড়িতে ঢিল মারে ওরা। আমাকে হত্যা গুম করার হুমকি ধামকি দিচ্ছে নিয়মিত। আমার পরিবারের নামে মিথ্যে মামলা করে হয়রানি করছে। ওয়ালিউল্লাহর স্ত্রী রূপালী বেগম বলেন, একদিনও শান্তিতে ঘুমাতে পারি না তাদের হুমকি ধামকির কারণে। তারা নিজেদের পাশাপাশি অন্য লোকজন দিয়েও আমাদের হয়রানি করে আসছে। আমার স্বামীকে হত্যার হুমকি দিয়েছে। আমরা ন্যায়বিচার ও নিরাপত্তা চাই। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে মিন্টুর বড় ভাই মাসুদ বলেন, উল্টো মিন্টু আমাদের সবাইকে হয়রানি করছে। তার অত্যাচারে সবাই অতিষ্ঠ। আর যে জমি চাচা মিন্টু পাওয়ার অব এটর্নি দিয়েছে তা অনেক আগেই চাচা আমার বাবাকে দিয়ে দিয়েছে। তবে এ বিষয়ে কাগজ দেখতে চাইলে তিনি তাৎক্ষণিক কোন কাগজ দেখাতে পারেননি। ধাক্কামারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বলেন, ওই পরিবারের বিষয়গুলো নিয়ে আমরা তিন বার বৈঠকে বসেছি। কিন্তু এখনো সমাধান করা সম্ভব হয় নি। তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে চাই এ বিষয়টি দ্রুত সমাধান হোক।
বিভাগ

Top Post Ad

Hollywood Movies