Type Here to Get Search Results !

রাস্তার পাশে ২ বছরের শিশুকন্যাকে ফেলে চলে গেলেন গর্ভধারিনী মা

ইব্রাহীম মিঞা, বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি : রাস্তার পাশে ফেলে যাওয়া ২ বছরের শিশুকে একনজর দেখতে শতাধিক মানুষের সমাগম। রাস্তার উভয় পাশে ইজিবাইক, অটোরিকশা, ভ্যান ও মোটরসাইকেল দাঁড়ানো। অনেকেই প্রথমে কোন সড়ক দুর্ঘটনা মনে করে দাঁড়িয়ে কাছে গিয়ে শিশুটির কান্না শুনে হতভম্ব হয়ে যান। এঘটনাটি ঘটেছে দিনাজপুরের বিরামপুর পৌরশহরের ৬ নং ওয়ার্ডের মাহমুদপুর মুন্সিপাড়া এলাকায়।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) আনুমানিক দুপুর ১ টার সময় বিরামপুর পৌরশহরের ৬ নং ওয়ার্ডের মাহমুদপুর মুন্সিপাড়া এলাকায় শিশুটিকে পাওয়া যায়। শিশুটিকে ওস্তাদ শহিদুল ইসলামের ঢাকা পান স্টোর দোকানের পাশে ফেলে রেখে যায় এক মহিলা।
স্থানীয়দের ধারণা ঐ মহিলাটিই শিশুটির মা। স্থানীয়রা জানান যে, আঠারো থেকে ২০ বছরের একটি মেয়ে এই শিশুটিকে বাগানে ফেলে চলে যাওয়ার চেষ্টা করে।এর আগে মাহমুদপুর মুন্সিপাড়ার স্থানীয়দের জানান বিরামপুর স্টেশনে ৬ দিন আগে কুড়িয়ে পেয়েছে সে শিশুটিকে। সে জানায় নিজেরো সন্তান রয়েছে আর্থিক অবস্থা ভালো না হওয়ায় শিশুটিকে সে লালনপালন করতে পারছেনা।
শিশুটিকে থানায় দেওয়ার চেষ্টা করেছেন কিন্তু থানা শিশুটিকে নেননি বলে তিনি মাহমুদপুর মুন্সিপাড়ার স্থানীয়দের জানান। এছাড়াও সে জানায় তার বাড়ি আদর্শ স্কুল পাড়ার পাশে। স্থানীয় মাইদুল নামে একজন ব্যাবসায়ী বলেন, আনুমানিক দুপুর ১২ টা ৫৮ মিনিটে একজন অটোরিকশা চালক দোকানের সামনে এসে দাঁড়ায়।সে বলে ঐ সামনের বাগানে একটি মেয়ে শিশু বাচ্চাকে ফেলে রেখে আমার অটোরিকশায় চড়ে যাইতে চাই।
অটোরিকশা চালকের সন্দেহ হওয়ায় সে তাকে নেয়নি। পরবর্তীতে ঐ মেয়েটিকে শিশুটিকে ফেলে রেখে যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে সে বলে আমি শিশুটিকে কুড়ে পেয়েছি। এবিষয়ে শিশুকন্যাটিকে কোন এতিমখানা মাদ্রাসায় দেওয়ার কথা বললে সে শিশুটিকে নিয়ে সামনে চলে যায়। মাহমুদপুর মুন্সিপাড়ার শহিদুল ইসলামের ছেলে শান্ত বলেন, আনুমানিক দুপুর ১ টা ১০ মিনিটে আমাদের দোকানের পাশে শিশুটিকে দেখে আমি মনে করেছি কেউ শিশুটিকে রেখে আমাদের বাড়ির ওয়াশ রুমে গিয়েছে। এবিষয়ে বাড়িতে কেউ আসছে কিনা জানতে চাইলে বলে যে না কেউ আসেনি। তারপর থেকে শিশুটির মায়ের সন্ধানে সকলে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। নিমিষেই বিষয়টি চারিদিকে জানাজানি হলে শতাধিক মানুষের ভিড় জমে।
পরবর্তীতে বিরামপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করে থানায় হেফাজতে রাখে। এবিষয়ে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আব্দুল আউয়াল বলেন, উপজেলা শিশু কল্যাণ বোর্ডের সিদ্ধান্ত মোতাবেক শিশুটিকে রাজশাহী ছোটমণি নিবাস(বেবী হোমে)পাঠানো হবে। পরবর্তীতে তার পরিবার উপযুক্ত তথ্য প্রমাণাদি দিয়ে সেখান থেকে শিশুটিকে গ্রহণ করতে পারবেন।
বিভাগ

Top Post Ad

Hollywood Movies