Type Here to Get Search Results !

ঠাকুরগাঁওয়ে তড়কা রোগে আক্রান্ত হয়ে গরুর মৃত্যু

মাহমুদ আহসান হাবিব, ঠাকুরগাঁও : ঠাকুরগাঁওয়ে তড়কা (এনথ্রাক্স) রোগে আক্রান্ত হয়ে একদিনে দুটি গরুর মৃ্যু হয়েছে। এতে আতঙ্কে রয়েছে এলাকাবাসী খামারিরা। 
রোববার ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার দেবিপুর ইউনিয়নেসর দারাজগাঁও গ্রামের আনোয়ার হোসেন এবং একই এলাকার শাহাজাহান আলির খামারে আক্রান্ত গরু দুটির মারা যায়।
আনোয়ার হোসেন ও শাহাজাহান আলি জানান, তাদের গরু গুলি কদিন ধরেই কিছুটা অসুস্থ্য ছিল এবং কিছু খাচ্ছিলোনা। তারা প্রাথমিক চিকিৎসা দেবার চেষ্টা করেছিলো কিন্তু রোববার হঠাৎ করেই গরু গুলি মারা যায়। গরুর এমন অস্বাভাবিক মৃত্যুতে এবং লক্ষনে তারা এটাকে তড়কা বলেই নিশ্চিত করছেন। তবে তড়কায় গরুর মৃত্যুর এ ঘটনায় এলাকায় খামারি ও গরুর মালিকদের মাঝে একটা আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। তারা দ্রুত এ অবস্থা থেকে মুক্তি ও সুচিকিৎসার জন্য জেলা প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তরের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
এ বিষয়ে জেলা প্রাণি সম্পদের ভেটেরেনারি সার্জন (ভি এস) রকনুজ্জামান বলেন, তড়কা বা এনথ্রাক্সে আক্রান্ত হলে গবাদি পশুর মধ্যে লক্ষণ দীর্ঘ সময় ধরেই দেখা দেয়। এ রোগ হলে গবাদি পশুর পেট ফাপা থাকে, পশু খাবেনা, চোখ মুখ লাল হবে। তবে অনেক সময় ফুড পয়জনিং হলেও গবাদি পশু মারা যেতে পারে।
সাধারনত কিটনাশক মেশানো জমির ঘাস, ঠান্ডায় ডেম হয়ে যাওয়া খুদি ফিড বা আটা জাতীয় খাবার খেলেও ফুড পয়জনিং হয়ে গবাদি পশু মারা যায়। এছাড়া তড়কা হলে পশুর গায়ে ১০৬ এর ওপরে জ¦র হবে এবং নাকমুখ ও পায়খানার রাস্তা দিয়েও রক্ষ ক্ষরণ হয়ে মারা যাবে।
জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ( ডিএলও) ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমরা এখনি নিশ্চিত ভাবে বলতে পারছিনা যে গরু গুলি তড়কায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে কিনা। এর আগেও ক্ষুরা রোগে বেশ কিছু গবাদি পশুর মৃত্য ঘটেছিল। আমরা আক্রান্ত এলাকায় লোক পাঠিয়েছি।
তারা পরীক্ষা নিরিক্ষা ছাড়াও এলাকার গরু পালনকারী ও খামারিদের সাবধান করে আসবে। আমাদের কাছে তড়কার ভেকসিন মজুদ রয়েছে। সময় মত রোগ সনাক্ত করে আমাদের জানালে খামারিদের আতঙ্কের কিছু নেই।
বিভাগ

Top Post Ad

Hollywood Movies