Showing posts with label রংপুর বিভাগের বাইরে. Show all posts
Showing posts with label রংপুর বিভাগের বাইরে. Show all posts

জয়পুরহাটে হঠাৎ ডায়রিয়ার প্রকোপ

চিলাহাটি ওয়েব ডটকম : Monday, March 18, 2024 | 3/18/2024 11:33:00 PM

চিলাহাটি ওয়েব ডেস্ক : জয়পুরহাটে হঠাৎ ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোতে ভিড় করছেন রোগীরা। আক্রান্তদের মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধ বেশি। রোগীরা শয্যা না পেয়ে হাসপাতালের মেঝেতে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। 
রবিবার (১৭ মার্চ) ও সোমবার (১৮ মার্চ) জয়পুরহাট ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে এ চিত্র দেখা গেছে। সরেজমিন দেখা যায়, হাসপাতালের উত্তর পাশের নিচতলায় ডায়রিয়া ওয়ার্ডের শয্যায় এবং মেঝেতে রোগীর ভিড়। গত তিন দিনে এখানে শিশুসহ দুই শতাধিক রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। রোববার দুপুর পর্যন্ত ৭০ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন। হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন জেলার মঙ্গলবাড়ি গ্রামের ১৯ মাস বয়সের শিশু হোসাইন, ২২ মাস বয়সের ছিরাইয়া রানী, ক্ষেতলাল উপজেলার দাশড়া গ্রামের ৮ মাস বয়সের নুশরাত বেগম ডায়রিয়ায় আক্রান্ত। শিশুদের মায়েরা জানান, হঠাৎ করে গত দুই-তিন দিন আগে থেকে পানির মতো বারবার পাতলা পায়খানা হচ্ছে। সঙ্গে দু-একবার বমি হওয়ায় সন্তানদের হাসপাতালে নিয়ে এসে ভর্তি করান তারা। 
সদর উপজেলার হেলকুন্ডা গ্রামের কৃষক আইয়ুব আলী, শহরের সবুজ নগর মহল্লার মাহফুজ রায়হান বলেন, হঠাৎ করে পাতলা পায়থানা ও বমি এবং এতে শরীর নিস্তেজ হয়ে পড়েছে। এসে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। জয়পুরহাট ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল কর্মকর্তা এবং ডায়রিয়া ওয়ার্ডে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. ফাতেমা বেগম বলেন, গত কয়েক দিন থেকে ডায়রিয়ার রোগী বেশ বেড়েছে। শিশু ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হলে মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানো কখনোই বন্ধ করা যাবে না। খাবার স্যালাইন খাওয়াতে হবে। প্রয়োজনে দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে। সাবান দিয়ে হাত পরিষ্কার করে শিশুদের খাবার দেওয়ার পরামর্শ দেন এ চিকিৎসক। আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে শিশুদের ডায়রিয়া হয় বলেও তিনি মন্তব্য করেন। হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক সরদার রাশেদ মোবারক বলেন, হঠাৎ করে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগী বাড়ছে। শয্যার তুলনায় রোগী অনেক বেশি হওয়ায় মেঝেতে রেখে চিকিৎসা সেবা দিতে হচ্ছে। সাধ্যের মধ্যে সবচেয়ে ভালো সেবা দিচ্ছেন বলে তিনি দাবি করেন।

মসুর ডাল ৬০, খেজুর ১৫০, চাল ৩০, সয়াবিন ১০০, চিনি ১০০ টাকা কেজি

চিলাহাটি ওয়েব ডটকম : Saturday, March 9, 2024 | 3/09/2024 03:46:00 PM

চিলাহাটি ওয়েব ডেস্ক : মার্চ মাসের মাসিক কর্মসূচি এবং পবিত্র রমজানের বিক্রি কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) থেকে ভর্তুকি মূল্যে পণ্য বিক্রি শুরু করতে যাচ্ছে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)।বুধবার (৬ মার্চ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে টিসিবি।
এতে বলা হয়, নিম্ন আয়ের এক কোটি উপকারভোগী কার্ডধারী পরিবারের মধ্যে ভর্তুকি মূল্যে চালসহ টিসিবির পণ্যাদি (ভোজ্য তেল ও ডাল) সাশ্রয়ী মূল্যে বিক্রয় কার্যক্রম চলমান রয়েছে। পবিত্র রমজান উপলক্ষে দ্বিতীয় পর্বের বিক্রয় কার্যক্রম ৭ মার্চ থেকে সারাদেশে শুরু হবে।
একজন ফ্যামিলি কার্ডধারী ভোক্তা সর্বোচ্চ দুই লিটার সয়াবিন তেল, দুই কেজি মসুর ডাল এক কেজি চিনি ও এক কেজি খেজুর কিনতে পারবেন। এক্ষেত্রে প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম রাখা হবে ১০০ টাকা, প্রতিকেজি চিনি ১০০ টাকা ও মসুর ডাল ৬০ টাকা, খেজুর ১৫০ টাকা ও চাল ৩০ টাকায় বিক্রি করবে টিসিবি।
টিসিবি বলছে, সিটি করপোরেশন, জেলা-উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় নির্ধারিত তারিখ ও সময় অনুযায়ী পরিবেশকেরা এ কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। এসময়ে নিজ নিজ এলাকার পরিবেশকদের দোকান বা নির্ধারিত জায়গা থেকে পণ্য নিতে পারবেন পরিবার কার্ডধারীরা।

রোববার এলপিজির নতুন দাম ঘোষণা

চিলাহাটি ওয়েব ডটকম : Thursday, February 29, 2024 | 2/29/2024 08:24:00 PM

চিলাহাটি ওয়েব ডেস্ক : চলতি বছরের মার্চ মাসের জন্য এলপিজির দাম রোববার (৩ মার্চ) ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরী কমিশন (বিইআরসি)। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটি।
বিইআরসির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতির জন্য নির্দেশক্রমে জানানো যাচ্ছে যে, সৌদি আরামকো কর্তৃক ঘোষিত মার্চ ২০২৪ মাসের Saudi CP (সৌদি কন্টাক্ট্র প্রাই) অনুযায়ী ভোক্তাপর্যায়ে বেসরকারি এলপিজি'র মূল্য সমন্বয় সম্পর্কে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরী কমিশনের আদেশে ৩ মার্চ ২০২৪ তারিখ রোববার দুপুর ০২:৩০ ঘটিকায় কারওয়ান বাজারস্থ কমিশন কার্যালয়ের শুনানি কক্ষে এক প্রেস ব্রিফিং এর মাধ্যমে ঘোষণা করা হবে।
একইসঙ্গে, মার্চ ২০২৪ মাসের ভোক্তাপর্যায়ে বেসরকারি এলপিজি'র মূল্যহার সংক্রান্ত আদেশ কমিশনের ওয়েবসাইট www.berc.org.bd এ আপলোড করা হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে। এর আগে, গত ৪ ফেব্রুয়ারি ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ১ হাজার ৪৩৩ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ৪৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
তারও আগে, ২ জানুয়ারি টানা ৬ষ্ঠ মাসের মতো ভোক্তা পর্যায়ে বাড়ানো হয় এলপিজির দাম। ডিসেম্বরের তুলনায় জানুয়ারি মাসে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ২৯ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৪৩৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়। একইসঙ্গে অটোগ্যাসের দামও বাড়ায় বিইআরসি। জানুয়ারি মাসে ভোক্তা পর্যায়ে অটোগ্যাসের মূসকসহ দাম প্রতি লিটার নির্ধারণ করা হয় ৬৫ টাকা ৬৭ পয়সা।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে ৫ দফা কমেছিল এলপিজি ও অটোগ্যাসের দাম, আর বেড়েছে ৭ দফা। গত বছরের জানুয়ারি, মার্চ, এপ্রিল, জুন ও জুলাই মাসে কমেছিল এলপিজির ও অটোগ্যাসের দাম। আর দাম বেড়েছিল ফেব্রুয়ারি, মে, আগস্ট, সেপ্টেম্বর, অক্টোবর, নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে।

অমর একুশে আজ

চিলাহাটি ওয়েব ডটকম : Wednesday, February 21, 2024 | 2/21/2024 12:05:00 AM

চিলাহাটি ওয়েব ডেস্ক : আজ ২১ ফেব্রুয়ারি। বাঙালির মননে অনন্য মহিমায় ভাস্বর চিরস্মরণীয় দিন। ইতিহাসের পাতায় রক্ত পলাশ হয়ে ফোটা সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার, সফিউর, আউয়াল, অহিউল্লাহর রক্তে রাঙানো দিন। রক্তস্নাত ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিবহ মহান শহীদ দিবস।
শোক ও বেদনার এবং একই সঙ্গে মায়ের ভাষা বাংলার অধিকার আদায়ের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হওয়ার দিন আজ।
চির অম্লান সেই গান ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি/ আমি কি ভুলিতে পারি...’ কণ্ঠে ধারন করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ধীর পায়ে এগিয়ে যাবে শিশু থেকে বৃদ্ধ। ভাষা শহীদদের প্রতি নিবেদিত শ্রদ্ধার ফুলে ফুলে ঢেকে যাবে শহীদ মিনারের বেদি।
১৯৫২ সালের এই দিনে বুকের রক্তে রঞ্জিত করেছিলেন ঢাকার রাজপথ। পৃথিবীর ইতিহাসে সৃষ্টি হয়েছিল মাতৃভাষার জন্য আত্মদানের অভূতপূর্ব নজির।
মাতৃভাষার জন্য বাঙালির আত্মদানের এই অনন্য ঘটনা স্বীকৃত হয়েছে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে। ১৯৯৯ সালে ইউনেসকো একুশে ফেব্রুয়ারিকে ঘোষণা করে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে। এদিন বাঙালির সঙ্গে সারা বিশ্বেই দিনটি পালিত হয়।
জাতিসংঘের উদ্যোগে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে ভাষা শহীদদের স্মরণে দিবসটি যথাযথ মর্যাদায় পালন করা হবে। রাজধানী ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং বিভিন্ন স্থানে আলোচনা সভাসহ নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে জাতি একুশের মহান শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবে।
১৯৫২ সালের এই দিনে ‘বাংলাকে’ রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে বাংলার (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) ছাত্র ও যুবসমাজসহ সর্বস্তরের মানুষ সে সময়ের শাসকগোষ্ঠীর চোখ-রাঙানি ও প্রশাসনের ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে স্বতঃস্ফূর্তভাবে রাজপথে নেমে আসে।
মায়ের ভাষা প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে দুর্বার গতি পাকিস্তানি শাসকদের শঙ্কিত করে তোলায় সেদিন ছাত্র-জনতার মিছিলে পুলিশ গুলি চালালে সালাম, জব্বার, শফিক, বরকত ও রফিক গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন।

পাইকগাছার কপিলমুনিতে পালিত হলো তিরোধান দিবস

চিলাহাটি ওয়েব ডটকম : Friday, January 19, 2024 | 1/19/2024 12:16:00 AM

শেখ খায়রুল ইসলাম পাইকগাছা খুলনা প্রতিনিধি:-পাইকগাছার কপিলমুনিতে ভাব গাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পালিত হলো দক্ষিণ খুলনার অন্যতম সমাজ সেবক স্বর্গীয় দানবীর রায় সাহেব বিনোদ বিহারী সাধু’র ৯০ তম তিরোধান দিবস। 
১৯৩৫ সালের এ দিনে ক্ষণজন্মা মানুষটি এই পৃথিবী থেকে চিরবিদায় নেন। আধুনিক কপিলমুনির স্থপতি বিনোদ তাঁর কর্ম জীবনের সঞ্চিত প্রায় সকল অর্থ ব্যয় করেছিলেন সমাজ সেবায়। জীবনের প্রতিটি সময় তিনি এলাকার মানুষের কল্যাণ করার ভবাবনায় বিভোর ছিলেন। ব্রিটিশ সরকার তাঁর সমাজ সেবার স্বীকৃতি সরুপ তাকে ”রায় সাহেব” উপাধীতে ভূষিত করেছিলেন।খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলার অবহেলিত জনপদ কপিলমুনি গ্রামে জন্ম নেন দানবীর রায় সাহেব বিনোদ বিহারী সাধু। পিতা যাদব চন্দ্র সাধু ও মাতা সহচরী দেবী। পিতা মাতার ৪ সন্তানের মধ্যে তিনি ছিলেন ৩য়। বিশ্ব বিখ্যাত বিজ্ঞানী পিসি রায় প্রতিষ্ঠিত আর কে বি কে হরিশচন্দ্র ইনষ্টিটিউটে ৬ ষষ্ঠ শ্রেণী পর্যন্ত পড়ালেখা করেছিলেন বিনোদ বিহারী সাধু।,তারপর মাত্র ১৪ বছর বয়সে ব্যবসা শুরু করেন। বিজ্ঞানী পি সি রায়ের পরামর্শে ব্যবসা শুরু করেন এবং ব্যাপক সফলতা অর্জন করেন। এলাকার মানুষের জন্য নিজ খরচে প্রতিষ্ঠা করেন কপিলমুনি সহচরী বিদ্যা মন্দির,ভরত চন্দ্র হাসপাতাল, যাদব চন্দ্র দাতব্য চিকিৎসালয়, অমৃতময়ী টেকনিক্যাল স্কুল, লেদ, সুগার মেশিন,বাজারের মধ্যভাগে পানীয় জলের জন্য ৬ বিঘা বিশাল পুকুর ও নিজ নামে প্রতিষ্ঠা করেন বিনোদগঞ্জ বাজার। এদিকে প্রয়াত এই দানবীরের মৃত্যু দিবসে তাঁর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদনে বৃহস্পতিবার কপিলমুনি বাজারের সকল দোকানপাঠ বন্ধ রেখেছেন ব্যবসায়ীরা।কপিলমুনি সহচরী বিদ্যামন্দির প্রাঙ্গণে স্বর্গীয় রায় সাহেব বিনোদ বিহারী সাধু স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদের উদ্যোগে সকাল সাড়ে ৯ টায় আবক্ষ মুর্ত্তিতে মাল্যদান,১০ টায় শোক র‌্যালি,১১ টায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।ইকবাল হোসেন খোকনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা-৬ (পাইকগাছা- কয়রার)সংসদ সদস্য মোঃ রশীদুজ্জামান।বক্তব্য রাখেন এবং বাজারের বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেন বাজারের ব্যবসায়ী,শিক্ষক, রাজনীতিবিদ সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ।

ভোটার-প্রার্থী মুখোমুখী নদ-নদী ও পরিবেশ সুরক্ষায় অগ্রাধিকারের অঙ্গীকার

চিলাহাটি ওয়েব ডটকম : Tuesday, January 2, 2024 | 1/02/2024 11:55:00 PM

শেখ খায়রুল ইসলাম, পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি : নদ-নদী ও পরিবেশ সুরক্ষায় বিশেষ অগ্রাধিকার দেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে খুলনা-৬ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীরা।
তারা বলেছেন, টেকসই বেড়িবাঁধের অভাবে দুর্যোগের ঝুঁকিতে উপকূলীয় জনপদের মানুষ।এরপর অবৈধ দখল, দূষণ,ভরাট ও ভাঙ্গনের কারণে নদী পাড়ের মানুষের জীবনে দুর্ভোগ নেমে এসেছে।লবণাক্ততার কারণে এই দুর্ভোগ আরো বাড়ছে। নির্বাচিত হতে পারলে এই দুর্ভোগ লাঘবে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলে তারা প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।মঙ্গলবার সকালে খুলনার পাইকগাছা উপজেলার মাহমুদ কাটীতে কপোতাক্ষ পাড়ে ‘নদ-নদী ও পরিবেশ সুরক্ষায় সংসদ সদস্য প্রার্থীদের অঙ্গীকার’শীর্ষক ভোটার- প্রার্থী মুখোমুখী অনুষ্ঠানের এ সব কথা বলেন তারা।‘ওয়াটারকিপার্স- বাংলাদেশ’,সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলন’,অনির্বাণ লাইব্রেরি,এবং ‘কোষ্টাল ভয়েস অব বাংলাদেশ’ আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আল আমিন। আলোচনায় অংশ নেন আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী মোঃ রশীদুজ্জামান ও তৃণমূল বিএনপির মোঃ নাদির উদ্দিন। সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক নিখিল চন্দ্র ভদ্রের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশের সমন্বয়ক শরীফ জামিল,শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক মীর মোহাম্মদ আলী, পাইকগাছা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ ওবাইদুর রহমান,সিলেটের সুরমা রিভারকিপার আবদুল করিম কিম, কোষ্টাল ভয়েসের সভাপতি আবু হেনা মোস্তফা জামাল পপলু ও সাধারণ সম্পাদক কৌশিক দে,সিনিয়র সাংবাদিক রকিব উদ্দিন পান্নু, পাইকগাছা প্রেস ক্লাবের সহ-সভাপতি মোঃ আব্দুল আজিজ,অনির্বাণ লাইব্রেরির সভাপতি রহিমা আক্তার শম্পা ও সাধারণ সম্পাদক প্রভাত দেবনাথ,কয়রা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সম্পাদক ইমতিয়াজ উদ্দিন প্রমূখ।অনুষ্ঠানে উত্থাপিত প্রস্তাবনায় বলা হয়, উপকূলীয় অঞ্চলকে জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ বিশেষ এলাকা ঘোষণা করতে হবে। ওই জনপদের সুরক্ষা ও উন্নয়নে প্রতি অর্থ-বছরে জাতীয় বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ দিতে হবে।টেকসই উন্নয়নের জন্য উপকূলীয় উন্নয়ন বোর্ড গঠন করতে হবে।নিরাপদ খাবার পানির স্থায়ী ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।স্থায়ী ও মজবুত বেড়িবাঁধ নির্মাণ ও সংস্কার করতে হবে।দুর্যোগে ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে উপকূলীয় এলাকায়‘একটি বাড়ি একটি খামার’প্রকল্পের আদলে ‘একটি বাড়ি একটি শেল্টার হোম’,কার্যক্রম শুরু করতে হবে।উপকূলের রক্ষাকবচ বিশ্বঐতিহ্য সুন্দরবনের ইকোসিস্টেম রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ ও বৃক্ষরোপনের মাধ্যমে উপকূলে সবুজ বেষ্টনী গড়ে তুলতে হবে।ওই সকল প্রস্তাবনার সঙ্গে একমত প্রকাশ করে মোঃ রশীদুজ্জামান বলেন,আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার আগে দীর্ঘ দিন পুরো উপকূলীয় অঞ্চল অবহেলিত ছিলো।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর ওই অঞ্চলের উন্নয়নে বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।টেকসই বেড়িবাধ নির্মাণ,সুপেয় পানি ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন প্রকল্প নেওয়া হয়েছে কপোতাক্ষ- শিবসাসহ অন্যান্য নদ-নদী রক্ষায় কাজ চলছে। আগামীতে সমন্বিত উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়নের উপকূলের পরিবেশ সুরক্ষায় বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।তৃণমূল বিএনপি নেতা মোঃ নাদির উদ্দিন বলেন, আমরাই আমাদের পরিবেশ দুষণ করছি।যে কারণে পরিবেশগত সংকট বাড়ছে।পাইকগাছা-কয়রার মানুষের সমস্যা সংকট নিরসনে আমরা প্রার্থী হয়েছি।জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের পাশাপাশি আন্দোলন গড়ে তোলার আহবান জানান তিনি ওয়াটাকিপার্সের শরীফ জামিল বলেন,ক্রমেই রুগ্ন হচ্ছে বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞানী আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায় ও কবি মাইকেল মধুসুদন দত্তের স্মৃতিধন্য কপোতাক্ষ নদ।আর প্রবল খরস্রোতা শিবসা নদী এখন পলি জমে ভরাট হয়ে নালায় পরিণত হয়েছে। জেগে উঠছে বিশাল চর।শুধু তাই নয়, জলবায়ু পরিবর্তন ও মুনষ্য সৃষ্ট নানা কারণে সারাদেশের ন্যায় দক্ষিণ- পশ্চিমাঞ্চলের নদ-নদীগুলো অস্তিত্ব সংকটে ভূগছে।ফলে নদী পাড়ের মানুষের জীবন-জীবিকা,সম্পদ,খাদ্য, পানি,বাসস্থানসহ অন্যান্য সংকট সৃষ্টি হচ্ছে।এই সংকট মোকাবেলায় রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে বলে তিনি প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

স্বাগতম ২০২৪

চিলাহাটি ওয়েব ডটকম : Monday, January 1, 2024 | 1/01/2024 01:18:00 AM

চিলাহাটি ওয়েব ডেস্ক : মানুষ স্মৃতিকাতর হয়; আবেগে আপ্লুত কিংবা আনন্দে উদ্বেলিত হয়। আর এসব অনুভূতির মধ্য দিয়েই মানুষ এক সময় পুরাতনকে বিদায় দিয়ে নতুনকে বরণ করে।
পুরোনো দিনের ভুল শুধরে নতুনকে আলিঙ্গন করে নব প্রত্যয়ে, নব আশায়।
 ঠিক তেমনি মহাকালের আবর্তে বিলীন হয়ে গেল আরেকটি বছর। নতুন স্পন্দন, নতুন আশা, নতুন সম্ভাবনাকে সামনে নিয়ে শুরু হলো নতুন বছর। স্বাগতম ইংরেজি নববর্ষ ২০২৪।
অনেক প্রাপ্তি, হতাশা ও নানা ঘটনা-দুর্ঘটনায় শেষ হলো ২০২৩। রোববারের সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গে হতাশা, দুঃখ ও না পাওয়ার বেদনাকে বিসর্জন দিয়ে এবং আনন্দ উল্লাসের মাধ্যমে নতুন আশা আর নতুন সম্ভাবনাকে স্বাগত জানিয়ে শুরু হচ্ছে ইংরেজি নতুন বছর ২০২৪। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশেও নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে সবাই বরণ করছে নতুন বছরকে।
এই রাত শেষে সকালটা হবে নতুন বছরের। নতুন সূর্য উঁকি দেবে পুরাতনের গ্লানি ভুলে। বিদায় নিচ্ছে খ্রিষ্টীয় ২০২৩, স্বাগত ২০২৪।
আমাদের অধিকাংশ কর্মকাণ্ডই চলে ইংরেজি সাল গণনায়। তাই খ্রিষ্টীয় বছর আমাদের জীবনে অনেক গুরুত্ববহ।
অবশ্যই যার যার অভিজ্ঞতা ও ভাবনা থেকে মূল্যায়িত হবে ২০২৩। তবে আমাদের জাতীয় জীবনে বিদায়ী বছরটি নানা দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ। রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, শিক্ষাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ২০২৩ ছিল ঘটনাবহুল। নানা চ্যালেঞ্জ এসেছে, উত্থান-পতনের ঘটনাও ঘটেছে। সবকিছু পেছনে ফেলে এগিয়ে যাচ্ছি আমরা।
ক্যালেন্ডারের পাতায় ২০২৩ হচ্ছে অনেক ঘটনাবহুল। বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে নানা ঘটনার সাক্ষী ২০২৩। বিশেষ করে বাংলাদেশে ২০২৩ ছিল নানা অনিশ্চয়তার মধ্যে। রাজনৈতিক উত্তাপ, অর্থনৈতিক মন্দা, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি-সব মিলিয়ে ঘটনাবহুল ছিল ২০২৩ সাল।
বছরের শুরু থেকেই রাজনৈতিক অঙ্গন ছিল উত্তপ্ত। বিশেষ করে বিএনপিসহ রাজপথের বিরোধী দলগুলোর আন্দোলন ছিল তুঙ্গে। সরকার পতনের একদফা দাবিতে সোচ্চার ছিল তারা। অন্যদিকে সরকারি দল আওয়ামী লীগ পাল্টা কর্মসূচি দিয়ে সক্রিয় ছিল মাঠে। সভা, সমাবেশ, মিছিল, মিটিংয়ে আতঙ্ক ছড়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যেও। সহিংসতার একাধিক ঘটনায় হতাহতের ঘটনা ঘটে।
বছরের শেষদিকে এসে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে উৎসাহিত করতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি ঘোষণা ও তার প্রয়োগের মধ্যে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা ছিল বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ এ নির্বাচনী তফসিল প্রত্যাখ্যান করে বিএনপিসহ অধিকাংশ বিরোধী দল। অন্যদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগসহ সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি এ নির্বাচনে অংশ নেয়।
এছাড়াও ২০২৩ সালে সবচেয়ে আলোচিত ঘটনা ছিল দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি। নিত্যপণ্যের অতিরিক্ত দামে নাভিশ্বাস ছিল জনসাধারণের মধ্যে। বিশেষ করে খেটে খাওয়া মানুষকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। টিসিবির ট্রাকের সামনে দীর্ঘ লাইন ছিল খুব আলোচিত।
এছাড়া ২০২৩ সালে চালু হয়েছে পদ্মা সেতু রেল সংযোগ, চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেলপথ, কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের একাংশ, আখাউড়া-লাকসাম ডুয়েলগেজ রেলপথ, খুলনা-মোংলা রেলপথ ও উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল।
বছরটিতে আন্তর্জাতিক ঘটনাসমূহের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- হামাস-ইসরাইল যুদ্ধ। হামাসের এক অপারেশনকে কেন্দ্র করে সাধারণ ফিলিস্তিনিদের ওপর বর্বর হামলা চালানো শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। যা এখনো চলমান। এ যুদ্ধে এখনো পর্যন্ত শিশুসহ ২১ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হন।
ক্রীড়াঙ্গণেও এ বছর ছিল উল্লেখযোগ্য একটি বছর। বিশেষ করে ২০২৩ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপ এ বছর ভারতে অনুষ্ঠিত হয়। এতে চ্যাম্পিয়ন হয় অস্ট্রেলিয়া। স্বাগতিক ভারতকে রানারআপ হয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়। এ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের হতশ্রী পারফরমেন্সে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়তে হয় ম্যানেজমেন্টকে। বিশেষ করে তামিম ইকবালের অবসর ইস্যুতে উত্তপ্ত ছিল ক্রিকেটপাড়া।
২০২৩ সালের এমন হাজারো ঘটনাবহুল সবকিছুই এখন ফেলে আসা দিন। আর ফেলে আসা বছরটি এখন ‘পুরোনো সেই দিনের কথা’। নববর্ষকে আহ্বান জানিয়ে ফুরাবে এ বছরের সব লেনদেন। বিদায় অভাবনীয় আলোড়ন সৃষ্টিকারী ২০২৩। দুঃখ-বেদনা ভুলে নতুন আশায় স্বাগত ২০২৪।