Showing posts with label রকমারি. Show all posts
Showing posts with label রকমারি. Show all posts

মাটির নিচে বিমান ঘাঁটি উদ্বোধন করল ইরান

চিলাহাটি ওয়েব ডটকম : Tuesday, March 28, 2023 | 3/28/2023 02:00:00 PM

চিলাহাটি ওয়েব, রকমারি ডেস্ক : ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সেনাবাহিনীর বিমান ইউনিট আজ (মঙ্গলবার) ভূগর্ভস্থ বিমান ঘাঁটি উদ্বোধন করেছে। ইরান এই প্রথম মাটির নিচে বিমান ঘাঁটি নির্মাণের কথা প্রকাশ্যে ঘোষণা করল। ভূগর্ভস্থ এই বিমান ঘাঁটির নাম দেওয়া হয়েছে 'ঈগল-ফোরটি ফোর'।
বিমান ঘাঁটি উদ্বোধনের সময় ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল মোহাম্মাদ বাকেরির পাশাপাশি সেনাবাহিনীর প্রধান কমান্ডার মেজর জেনারেল মুসাভিও উপস্থিত ছিলেন। ইরানের সেনাবাহিনীর ভূগর্ভস্থ বিমান ঘাঁটি থেকে সব ধরণের যুদ্ধবিমান, বোমারু বিমান ও ড্রোন পরিচালনা করা যায়।
এই ঘাটিতে কমান্ড সেন্টার, বিমান রাখার হ্যাঙ্গার, মেরামত কেন্দ্র ও নেভিগেশন সেন্টারসহ সব ধরণের আধুনিক ব্যবস্থা রয়েছে। এই বৃহৎ ভূগর্ভস্থ ঘাঁটিতে ইরানি বিমান বাহিনীর নতুন নতুন সামরিক বিমান পরিচালনার ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।
বলা হচ্ছে, ইরানের বিমান বাহিনী এ পর্যন্ত এ ধরণের বেশ কয়েকটি ভূগর্ভস্থ বিমান ঘাঁটি নির্মাণ করেছে। তবে এই প্রথম এ ধরণের বিমান ঘাঁটি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রদর্শন করা হলো। ইরান নিজের প্রতিরক্ষা সক্ষমতার প্রয়োজনে এ ধরণের ঘাঁটি নির্মাণ করছে যাতে শত্রুকে সহজেই ঘায়েল করা যায়। সাধারণত শহর থেকে দূরে বিশাল পাহাড়ের নিচে এ ধরণের ঘাঁটি নির্মাণ করা হয়।
ইরান এর আগে একাধিক ভূগর্ভস্থ ড্রোন ঘাঁটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেছে। এসব ঘাঁটিতে নানা ধরণের ড্রোন প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ইরানকে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ড্রোন শক্তিধর দেশ হিসেবে গণ্য করা হয়।

কোন বয়সের মেয়েদের যৌন চাহিদা বেশি থাকে?

চিলাহাটি ওয়েব ডটকম : Sunday, January 1, 2023 | 1/01/2023 02:08:00 PM

চিলাহাটি ওয়েব, রকমারি ডেস্ক : একাধিক চিকিৎসাবিজ্ঞানের গবেষণায় প্রকাশ পেয়েছে, সাধারণত পুরুষদের থেকে মহিলাদের যৌন চাহিদা অনেক বেশি থাকে। একথা একেবারেই মিথ্যা নয়।  কারণ, গবেষণায় দেখা গেছে, মেয়েরাই শারিরীক ভাবে অনেক বেশি চাহিদা নিয়ে জীবন কাটায়।

সম্প্রতি টেক্সাস ইউনিভার্সিটির একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, ২৭ থেকে ৪৫ বছর বয়সের মহিলারাই সাধারণত যৌন চাহিদা অত্যন্ত বেশি থাকে। বিবাহিত হলে, স্বামীর প্রতি অত্যাধিক কামাসক্ত হয়ে পড়ার বিষয়টিও এই সময়েই বেশি দেখা যায়।  পুরুষদের ক্ষেত্রে কিন্তু বিষয়টি অন্য। গড়ে দেখা গেছে, একজন পুরুষের যৌন জীবন অনেক তাড়াতাড়ি শুরু হয়, আর একজন নারীর যৌন জীবন শুরু হতে হতেই অনেকটা সময় লেগে যায়।

ভারতে যা সমাজ ব্যবস্থা সেক্ষেত্রে এই কথাটি আরও বেশি প্রযোজ্য। তাই পুরুষের চাহিদাও ফুরিয়ে যায় দ্রুত। কিন্তু নারীর চাহিদা অনেকদিন পর্যন্ত থাকে। একটা সময়ের পর সে পাগল হয়ে যৌন চাহিদা পুরণের তাগিদে। আর সেই কারণে অনেক নারী এই বয়সের পর পরকীয়াতেও জড়িয়ে পড়েন। একাধিক পুরুষের সঙ্গে যৌন মিলনের আকঙ্খার কারণে তাঁদের মধ্যে এই প্রবণতা বেশি দেখা যায়। তবে সবটাই হয় প্রাকৃতিক নিয়মে। নারী প্রকৃতিই এমন ভাবে কাজ করে। 

সূত্র : নিউজ এইটিন।

দাম্পত্য সঙ্গী পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ার কারণ

চিলাহাটি ওয়েব ডটকম : Saturday, December 31, 2022 | 12/31/2022 12:46:00 PM

চিলাহাটি ওয়েব, রকমারি ডেস্ক : দাম্পত্যে সম্পর্কে যারা প্রতারিত হয়, সম্ভবত তারা বলবে যে, আগে থেকে তা বুঝতে পারেননি। কিন্তু সম্পর্ক বিষয়ক এক বিশেষজ্ঞের মতে, একটি বিষয় রয়েছে যার মাধ্যমে আগে থেকেই অনুমান করা যায় যে, আপনার সঙ্গী অবিশ্বস্ত হতে পারে। সম্পর্ক বিশেষজ্ঞ ইন্ডিয়া কাংয়ের মতে, কোনো নারী বা পুরুষ তার সঙ্গীর চেয়ে বেশি অর্থ উপার্জন করলে এবং পর্যাপ্ত সম্মান পাঁচ্ছে না মনে করলে, সম্ভাবনা থাকে অবিশ্বস্ত হয়ে যাওয়ার বা প্রতারণা করার। কাং ব্যাখ্যা করেছেন যে, একজন সঙ্গী যদি অন্য জনের চেয়ে বাড়িতে বেশি টাকা উপার্জন করে নিয়ে আসেন কিন্তু তার প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন না করা হয় তখন এটা বিবেচনা করা যেতে পারে যে, তারা তাদের ভালোবাসা অন্যত্র বিলিয়ে দিচ্ছেন। ফিমেল-এর সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি এ বিষয়ে একটি ব্যাখ্যাও দেন। তিনি বলেন, ‘একজন সঙ্গী অন্য জনের চেয়ে বেশি অর্থ উপার্জন করছেন, এর মানে এই নয় যে সে তার সঙ্গীর সঙ্গে প্রতারণা করবেন-ই। তবে এ ক্ষেত্রে সম্মান ও কৃতজ্ঞতা প্রদর্শন করতে হবে, করতে হবে প্রশংসা। তাহলেই কেবল প্রতারণার ঝুঁকি এড়ানো যাবে।’ কাং এটাও উল্লেখ করেন যে, একজন উচ্চ পদধারী পুরুষকে সম্মান প্রদর্শন করাটা একজন মহিলার জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, ‘পুরুষদের কাছে সম্মানটা অক্সিজেনের মতো, পুরুষরা সব সময় সম্মান আকাক্সক্ষা করে। আপনি যদি তাকে সম্মান করেন, তাহলে সে সবসময় আপনাকেই পেতে চাইবে।’ ‘পুরুষরা জানে যে, তাদের একটা দায়িত্ব আছে। আর তা হলো তার সঙ্গিনীকে রক্ষা এবং সমর্থন করা। এ ক্ষেত্রে মহিলাদের দায়িত্ব হলো অত্যন্ত শৃঙ্খলার সঙ্গে তার সেই সমর্থন গ্রহণ করা। এবং তার প্রচেষ্টার জন্য কৃতজ্ঞতা দেখানো।’ ‘উদাহরণস্বরূপ, যদি কোনো পুরুষ বুঝতে পারে যে, সে তার সঙ্গিনীকে যা দিচ্ছে তা তার জন্য যথেষ্ট নয় তখন তিনি হীনমন্যতায় ভোগেন। তখন যে তাকে মূল্যবান মনে করে তার দিকে আগ্রহী হয়।’ ‘অনুরূপভাবে যদি কোনো মহিলা সব সময় বিরক্তি প্রকাশ করেন, অন্য পুরুষের সঙ্গে তুলনা করেন এবং তাকে সব সময় সমালোচনা করেন তাহলেও পুরুষটি অন্যত্র ঝুঁকে পড়তে শুরু করেন।’ কাং তার তত্ত্বকে একটি কর্মক্ষেত্রে দৃশ্যকল্পের সঙ্গে তুলনা করেছেন। ‘আপনি যদি কাজে এসেই সবকিছু সম্পর্কে অভিযোগ করতে থাকেন তাহলে কোনো সন্দেহ নেই যে, অফিস শিগগির আপনাকে অব্যাহতি পত্র ধরিয়ে দিয়ে অন্য লোক খুঁজবেন।’ ‘উদাহরণস্বরূপ, যদি আপনার কোম্পানি আর্থিকভাবে এবং অফিসের দিক দিয়ে সমৃদ্ধ হয়, আপনাকে ভালো বোনাস দেয়, বিশেষ দিবসে জাঁকজমক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে, কিন্তু তারপরও আপনি সব সময় মুখ গোমড়া করে থাকেন এবং ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে অভিযোগ করতে থাকেন তাহলে কোনো একসময় তারা আপনাকে বের হওয়ার দরজা দেখিয়েই দিবে।’ তাই সম্পর্কের ক্ষেত্রে সন্তুষ্ট থাকা ও কৃতজ্ঞতা দেখানো অত্যন্ত জরুরি। তথ্যসূত্র: ডেইলি মেইল

মানসিক চাপে ওজন বাড়ে যেভাবে

চিলাহাটি ওয়েব ডটকম : Thursday, December 29, 2022 | 12/29/2022 12:51:00 PM

চিলাহাটি ওয়েব, রকমারি ডেস্ক : মানসিক চাপের কারণে শুধু হতাশা, বিষন্নতা ও অবসাদই তৈরি হয় না। সেই সঙ্গে বেড়ে যায় ওজনও। ভগ্ন মন শরীরে ভর করে বলেই দেহ নামক যন্ত্রে বাসা বাঁধতে শুরু করে নানা রোগবালাই। শারীরিক স্থূলতা বা অতিরিক্ত ওজনের জন্য মানসিক চাপকে দায়ী করেছেন অনেক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক।  নাগরিক জীবনে শারীরিক, মানসিক ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা মানুষকে ক্লান্ত করে তুলছে। কর্মক্ষেত্র থেকে শুরু করে পারিবারিক সমস্যা, ব্যক্তিগত সম্পর্কÑযেকোনো কিছু থেকেই মানসিক চাপ দেখা দিতে পারে। এই মানসিক চাপের প্রভাব এতোটাই বেশি যে, নিয়মিত ব্যায়াম বা ডায়েট করলেও ওজন কমে না।  মন বিষণœ থাকলে এড্রেনালিনসহ দেহে বিভিন্ন হরমোন নিঃসরণে রক্তে শর্করা বেড়ে যায়। এতে ক্লান্তি ভর করে অনিদ্রাসহ নানা কারণে অবসন্নতা চলে আসে প্রতিদিনের জীবনে। এতে করে কারণে-অকারণে খাওয়ার প্রবণতা বাড়ে, নানা ধরনের অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস ঘিরে ধরে। যার ফলে শরীর আরও ক্লান্ত হতে শুরু করে এবং ধীরে ধীরে বাড়ে অলসতা। দীর্ঘস্থায়ী মানসিক চাপে রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক থাকে না বলেই ক্ষুধা লাগে আর তখন খেলেই তৃপ্তি বোধ হয়। এতে শরীরে মেদই বাড়ে না, ডায়াবেটিস রোগও হতে পারে। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে মানসিক চাপ কমানোর কোনো বিকল্প নেই। হতে হবে উদ্যোগী ও অধ্যবসায়ী, থাকতে হবে ইচ্ছে ও প্রাণন্ত চেষ্টা। তাই ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও কর্মক্ষেত্রের  মানসিক চাপের কারণগুলো চিহ্নিত করে নিতে হবে। তারপর চাপমুক্ত হওয়ার উপায়গুলো খুঁজে দেখুন। হতাশাকে মনে স্থান দেবেন না। সব সবময় ভাবুন, আপনি ভালো আছেন অনেকের তুলনায়। এমন অনেক লোক আছে যে আপনার থেকে বেশি সমস্যার মধ্যে দিনযাপন করছেন। আপনি হয়তো আপনার সামাজিক-অর্থনৈতিক অবস্থান নিয়ে অসন্তুষ্ট। কিন্তু এই আপনার অবস্থানে আসার জন্যই অনেকে স্বপ্ন দেখছেন। তাই নিজেকে হতাশায় ডুবিয়ে রাখবেন না। সুস্থ খাদ্যাভ্যাস এবং নিয়মিত শরীরচর্চার করার চেষ্টা করুন। দেখবেন শরীর ও মন দুটোই ভালো আছে।

আলুর তরকারি ছাড়া লুচি জমে না

চিলাহাটি ওয়েব ডটকম : Tuesday, December 27, 2022 | 12/27/2022 12:22:00 PM


চিলাহাটি ওয়েব, রকমারি ডেস্ক : আমরা অনেকেই বাড়িতে সকালে ও বিকালের নাস্তায় লুচির আয়োজন করে থাকি। লুচির সাথে আলুর তরকারিই বেশি যেন ভালো মানায়। কখনো আলুর দম, বা কখনো আলুর তরকারির সাথে দারুন মানানসই লুচি। তাই আজকে আমরা লুচির সাথে খাওয়ার জন্য একটা আলুর তরকারির রেসিপি শিখব।

উপকরণ

সেদ্ধ করা আলু -৪টি

সেদ্ধ করা টমেটো -৪টি

কাঁচা মরিচ -৪টি

পেঁয়াজ কুচি -২টি

রসুন কুচি -৫ কোয়া

ধনে গুঁড়ো -আধা চা চামচ

তেজপাতা -২টি

গরম মসলার গুঁড়ো - ১চা চামচ

হলুদ গুঁড়ো -১/২ চা চামচ

জিরা গুঁড়ো -১/২ চা চামচ

মরিচের গুঁড়ো -১/৩ চা চামচ

ধনে পাতা কুচি যে -৩ টেবিল চামচ

আস্ত ধনে ও সরষে -১ চা চামচ

লবণ -পরিমাণ মত

তেল -৩ টেবিল চামচ

প্রস্তুত প্রণালী

প্রথমে টমেটোগুলো ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। তারপর প্যানে তেল দিয়ে গরম করে তাতে আস্ত ধনে ও সরষে দিয়ে ভেজে নিতে হবে। এরপর পেয়াজ ও রসুন কুচি বাদামি করে ভাজতে হবে।

এবার আধা কাপ পানি দিয়ে সব গুঁড়ো মসলাগুলো দিয়ে দিন। মসলা কষানো হয়ে গেলে ব্লেন্ড করা টমেটোগুলো দিয়ে রান্না করতে হবে ছয় থেকে আট মিনিট।

এবার টমেটোর সাথে কিউব করে কেটে রাখা আলু ও ১/৪ কাপ পানি দিয়ে ঢেকে দিন। এবারে টমেটো ঘন হয়ে ফুটে উঠলে ধনেপাতা দিয়ে অল্প ঝোল থাকতে নামিয়ে ফেলতে হবে।

প্রস্রাবে দুর্গন্ধ যেসব রোগের লক্ষণ

চিলাহাটি ওয়েব ডটকম : Sunday, December 25, 2022 | 12/25/2022 12:50:00 PM

চিলাহাটি ওয়েব, রকমারি ডেস্ক : প্রস্রাবের জ্বালাপোড়ার সমস্যায় ছোট-বড় অনেকেই ভোগেন। এই বিষয় নিয়ে সবাই সতর্ক থাকলেও প্রস্রাবে কেন দুর্গন্ধ হয় সে বিষয়ে কারও তেমন জানা নেই! প্রস্রাবের দুর্গন্ধ কিন্তু শারীরিক বিভিন্ন রোগের ইঙ্গিত দেয়। সাধারণত প্রস্রাব গন্ধহীন প্রকৃতির। তবে বিভিন্ন কারণে প্রস্রাবে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হতে পারে। আসলে দৈনন্দিন ডায়েট, ভিটামিন, ওষুধ ও হাইড্রেশনের উপর নির্ভর করে এক্ষেত্রে। আবার কফি পান করলেও প্রসাবে কটূ গন্ধ হতে পারে। তাই অতিরিক্ত ক্যাফেইন গ্রহণ এড়িয়ে চলুন। আবার অ্যালকোহলও প্রস্রাবে গন্ধ তৈরি করতে পারে। দুর্গন্ধযুক্ত প্রস্রাব কিন্তু স্বাস্থ্যের একটি সতর্কতা চিহ্ন হিসেবে কাজ করে। তাই প্রস্রাবে দুর্গন্ধ হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। এর পাশাপাশি জেনে রাখুন দুর্গন্ধযুক্ত প্রস্রাব কোন কোন সমস্যার ইঙ্গিত দেয়-
অ্যামোনিয়ার মতো গন্ধ: আপনি যদি আপনার প্রস্রাবে অ্যামোনিয়ার গন্ধ পান তাহলে বুঝবেন আপনি মূত্রনালির সংক্রমণে (ইউটিআই) ভুগছেন। ইউটিআই এর লক্ষণ হিসেবে প্রস্রাকের রং বদলে ঘোলাটে হয় আবার কিছুটা রক্তাক্তও হতে পারে। একই সঙ্গে প্রস্রাবে জ্বালাপোড়ার সৃষ্টি হতে পারে। এমনকি প্রস্রাবের চাপও বাড়ে। এর সঙ্গে জ্বর ও মানসিক বিভ্রান্তি দেখা দিতে পারে। এ ছাড়া প্রস্রাবে অ্যামোনিয়ার মতো গন্ধ ডিহাইড্রেশন, নির্দিষ্ট খাবার ও ভিটামিনের কারণেও ঘটতে পারে।
প্রস্রাবে অ্যামোনিয়ার গন্ধ আরও যেসব রোগের ইঙ্গিত দেয়-
>> কিডনিতে পাথর বা কিডনি রোগ
>> লিভারের রোগ
>> মেনোপজ
>> প্রোস্টেট সংক্রমণ
>> যৌনবাহিত রোগ যেমন- ক্ল্যামাইডিয়া ইত্যাদি।
মিষ্টি গন্ধ: চিনিযুক্ত বা ফলের সুগন্ধযুক্ত প্রস্রাব ডায়াবেটিস বা হাইপারগ্লাইসেমিয়া (হাই ব্লাড সুগার) এর ইঙ্গিত দেয়। মিষ্টি গন্ধ হওয়ার কারণ হলো শরীরে গ্লুকোজ বা শর্করা বেড়ে যাওয়া।
ডিহাইড্রেশন: যারা পানিশূন্যতায় ভুগছেন তাদের প্রস্রাবেও দুর্গন্ধ হওয়া স্বাভাবিক। এ ক্ষেত্রে প্রস্রাবের সঙ্গে বর্জ্য পদার্থ বেশি থাকে, ফলে তীব্র দুর্গন্ধযুক্ত প্রস্রাব হয়। তাই দৈনিক ২-৩ লিটার পানি পান করা আবশ্যক। আসলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই প্রস্রাব খুব কম গন্ধ বহন করে। কারণ প্রস্রাবের প্রায় ৯৫ শতাংশই পানি। অবশিষ্ট পরিমাণে বেশিরভাগই বর্জ্য পদার্থ থাকে যেমন- ক্যালসিয়াম, নাইট্রোজেন, পটাসিয়ামসহ বিভিন্ন উপাদান। যা কিডনি দ্বারা ফিল্টার করা হয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, দৈনন্দিন জীবনযাত্রার অভ্যাসের কারণেও প্রস্রাবে দুর্গন্ধ হতে পারে। তবে দীর্ঘদিন ধরেই এই লক্ষণ দেখলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
কারণ ইউটিআই, ডিহাইড্রেশনসহ লিভার বা কিডনির রোগ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কিন্তু জটিল আকার ধারণ করে। তাই সতর্ক থাকুন। সূত্র: ক্লিভন্যান্ড ক্লিনিক হেলথ এসেনশিয়াল

সন্তানের বন্ধু হতে কী করবেন

চিলাহাটি ওয়েব ডটকম : Friday, December 23, 2022 | 12/23/2022 01:03:00 PM

চিলাহাটি ওয়েব, রকমারি ডেস্ক : একটা সময় ছিল যখন মা-বাবা শুধুমাত্রই তাদের সন্তানের অভিভাবক এবং প্রতিপালক ছিলেন। কিন্তু এখন যুগ বদলেছে। এখনকার ছেলেমেয়েরা অনেক বেশি স্বাধীনচেতা। তাদের মানুষ করতে হলে তার জগতের একজন হয়ে উঠতে হবে আপনাকেও। সন্তানের বন্ধু হয়ে উঠলে খুব সহজেই তার বিশ্বাস অর্জন করতে পারবেন, তাকে মানুষ করাও সহজ হয়ে উঠবে।

একজন শিশুর সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে তোলা খুব একটা সহজ কাজ নয়! তার কারণ বেশির ভাগ শিশুই প্রাপ্তবয়স্কদের খুব একটা বিশ্বাসের চোখে দেখে না। তাদের জগতে ঢোকা তারা পছন্দও করে না। তাদের বিশ্বাস অর্জন করতে হলে আপনাকে তাদের মতো করে ভাবতে হবে। সন্তানের বন্ধু হতে হলে যা করণীয়-

১. সন্তানকে একজন স্বতন্ত্র ব্যক্তি হিসেবে ভাবতে শিখুন। অনেক সময় আমরা ভুলে যাই যে প্রাপ্তবয়স্কদের মতো শিশুদেরও  নিজস্ব অনুভূতি, পছন্দ-অপছন্দ, মতামত রয়েছে। এ কারণে সন্তানের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে তোলার প্রথম ধাপই হবে তাকে একজন স্বতন্ত্র মানুষ হিসেবে স্বীকার করা।

২. বন্ধুত্বের প্রথম শর্তই হল, একে অপরকে নির্ভয়ে সব কথা শেয়ার করার অধিকার। সন্তান যেন আপনাকে একজন বিশ্বস্ত বন্ধু হিসেবে ভাবতে শেখে সেভাবে তার সঙ্গে আচরণ করুন। শিশুর কথা ধীরেসুস্থে কোনও পক্ষপাত ছাড়াই শুনতে হবে। শিশুরা সাধারণত ভাবে অবিভাবকরা তাদের সমস্যাগুলিকে মন দিয়ে না শুনে তাদেরকে দোষারোপ করবে। শিশু যদি কোনও দোষ বা ভুল আপনার কাছে স্বীকার করে, তাহলে তাকে না বকে , যথাসম্ভব নরমভাবে তার ভুলটা ধরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করুন।

৩. সংসার, অফিসের কাজের পর দিনের শেষে সন্তানের সঙ্গে খেলার ইচ্ছে ও শক্তি কোনোটাই থাকে না। কিন্তু তারপরও চেষ্টা করতে হবে শিশুর সঙ্গে কিছুটা সময় কাটাতে, তার সঙ্গে খেলতে। আপনার সন্তানের সঙ্গে খেললে যে শুধু তার বন্ধু হয়ে উঠতে পারবেন তাই নয়, এক অনাবিল আনন্দ উপভোগ করার সুযোগ পাবেন। তাছাড়া সন্তানের খেলার সঙ্গী হলে, খেলাচ্ছলে সে কী খেলছে সেটাও তদারকি করতে পারেন।

৪. একজন প্রকৃত বন্ধুর কর্তব্যই হলো, তার বন্ধুকে সব কাজে উৎসাহ দেওয়া। তার প্রচেষ্টা বা উদ্যমকে সবসময় যথাসম্ভব সম্মান জানাবার চেষ্টা করুন। দরকার হলে অবশ্যই তার কাজ বা প্রচেষ্টার ঘাটতি ধরিয়ে দিতে হবে। কিন্তু সন্তানের সব কাজে তার পাশে থাকতে চেষ্টা করুন। নিজের বিছানা গোছানো থেকে তার ব্যাগ ক্যারি করাসহ সব কাজের প্রশংসা করুন।

৫. সন্তানকে তিরস্কার করবেন না। বরং কোনো কিছু ভুল হলে বুঝিয়ে বলুন।

 

অতিরিক্ত পানি পিপাসা, বারবার প্রস্রাবের বেগ! কিসের লক্ষণ

চিলাহাটি ওয়েব ডটকম : Wednesday, December 21, 2022 | 12/21/2022 02:15:00 PM

চিলাহাটি ওয়েব, রকমারি ডেস্ক : কোনও রোগের প্রাথমিক লক্ষণ দেখেই যদি সতর্ক হওয়া যায়, তবে তার চিকিৎসা হতে পারে সহজতর। সহজ হয় রোগ নিয়ন্ত্রণও। ডায়াবেটিস ইনসিপিডাসও তেমনই একটি রোগ। এটি সাধারণ ডায়াবিটিসের থেকে আলাদা। শরীরে ভেসোপ্রেসিন নামক হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যাওয়াই এর মূল কারণ।
লক্ষণ
এই রোগে মূত্রের পরিমাণ বেড়ে যায় উল্লেখজনক হারে। ফলে বারংবার মূত্র ত্যাগের বেগ আসে। এমনকি রোগ বেড়ে গেলে দিনে ২০ লিটারের সমান মূত্রও উৎপন্ন হতে পারে। পাশাপাশি এই সমস্যায় বেড়ে যায় পিপাসা। ফলে বার বার জল পান করতে উদ্যত হন রোগী।
চিকিৎসা
এই ধরনের লক্ষণ দেখা দিলে সাধারণত কিছু ক্ষণ জল পানে বিরত রাখা হয় রোগীকে। তার পর মূত্রে ও রক্তে তরলের পরিমাণ পরীক্ষা করার নির্দেশ দেন চিকিৎসকরা। রোগ চিহ্নিত করা গেলে, ভেসোপ্রেসিন হরমোনের অনুরূপ কৃত্রিম একটি উপাদান প্রয়োগ করেন চিকিৎসকরা।
নাকের স্প্রে, ট্যাবলেট কিংবা ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে এই ওষুধ দেওয়া যেতে পারে। তবে এই ধরনের কোনও সমস্যা দেখা দিলে অবিলম্বে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়াই বাঞ্ছনীয়।

প্রথম দেখায় নারীর মন জয় করার উপায়

চিলাহাটি ওয়েব ডটকম : Monday, December 19, 2022 | 12/19/2022 01:08:00 PM

চিলাহাটি ওয়েব, রকমারি ডেস্ক : একটি সম্পর্ক কতদূর যাবে তা বোঝা যায় কয়েকবার দেখা করার পর। নারীদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো প্রথম দেখা। কারণ এটি সবার জীবনেই বিশেষ।

প্রথম দেখায় পোশাক, চাল-চলন, কথা বলা সবদিকেই খেয়াল করে নারীরা। যাকে ভালোলাগে, তাকে প্রথমবারেই ভালোলাগে। তাই আপনি যখন হবু প্রেমিকা বা হবু স্ত্রীর সঙ্গে প্রথমবার দেখা করতে যাচ্ছেন, নিজেকে কীভাবে উপস্থাপন করতে হবে সে কথাও জেনে যাওয়া জরুরি।

সম্পর্কে গতি আনতে চাইলে নিজেকে সেভাবেই তুলে ধরুন। যেন প্রিয় সেই নারীর কাছে আপনিও পছন্দের পুরুষ হয়ে ওঠেন। তবে কিছু বিষয় আছে, যেগুলো ঠিকঠাক মেনে চলতে পারলে প্রথম দেখায় নারীর মন জয় করা সহজ হয়। আসুন জেনে নেওয়া যাক প্রথম দেখায় নারীর মন জয় করার উপায়-

পরিপাটি হয়ে যাওয়া : সাজুগুজু করতে যদি ভালো না লাগে, পরিপাটি হয়ে থাকুন। যখন প্রিয় নারীর সঙ্গে প্রথমবার দেখা করতে যাচ্ছেন, নিজেকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করুন। পোশাক কোনো বিষয় নয়, এমনটা ভাববেন না। পোশাকও কিছু গুরুত্ব বহন করে। অন্তত এটা তো লক্ষ করবেই যে আপনি কতটা পরিচ্ছন্ন, কতটা পরিপাটি। সেভাবেই নিজেকে সাজিয়ে-গুছিয়ে দেখা করতে যান।

তার কথা মন দিয়ে শুনুন : সবাই একজন মনোযোগী শ্রোতা খোঁজেন। প্রথমবার দেখা করতে গেলে আপনি অবশ্যই তার কথা মন দিয়ে শুনবেন। তিনি কী বলতে চাইছেন তার সবটা শুনুন। আপনার কোনো কথা বা প্রশ্ন থাকলে সেগুলোও তাকে জানান। একটি সুন্দর আলোচনার মাধ্যমেই সুন্দর সম্পর্কের সূচনা হতে পারে। 

প্রস্তুতি নেওয়া : যার সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছেন, তার পছন্দ-অপছন্দ সম্পর্কে আগেভাগেই খোঁজ নিতে পারেন। তাহলে তার সামনে নিজেকে সুন্দরভাবে তুলে ধরা সহজ হবে। প্রথমবার দেখা করাটা আপনাকে কিছু ভীত করে তুলতেই পারে। তাই নিজেকে প্রস্তুত করুন। তার সামনে কীভাবে কথা বলবেন, কী বলবেন না সব চিন্তা করে নিন।

নেতিবাচক কথা নয় : প্রথমবার দেকা করার সময় কিছু বিষয় আপনাকে মাথায় রাখতে হবে। যেমন নেতিবাচক কোনো কথা বলা যাবে না। এমন কোনো প্রশ্ন করা যাবে না যা নিয়ে সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। কিছু বিষয় তার ব্যক্তিগত হতে পারে, সেগুলো নিয়ে প্রথম দেখায়ই আগ্রহ প্রকাশ করবেন না। যেমন তার অতীতের সম্পর্ক, বেতন ইত্যাদি নিয়ে প্রথমেই মাথা না ঘামানো ভালো। 

প্রাধান্য দেওয়া : নারী এমন পুরুষকেই পছন্দ করে যে তাকে প্রাধান্য দেয়। তার সঙ্গেই নিজেকে নিরাপদ মনে করে। তাই এই দিকে খেয়াল রাখুন। আপনার কথা ও আচরণে যেন এটি প্রকাশ পায় যে আপনি তাকে প্রাধান্য দিচ্ছেন। তার কথার মনোযোগী শ্রোতা হোন। তার পছন্দের গুরুত্ব দিন। তার মতামতের প্রতি সম্মান দেখান।

ঘাড়ে ব্যথা, তিন মিনিটে মুক্তির উপায়

চিলাহাটি ওয়েব ডটকম : Saturday, December 17, 2022 | 12/17/2022 03:10:00 PM


চিলাহাটি ওয়েব, রকমারি ডেস্ক :কোনো কারণে ঘাড়ের পেশি শক্ত হয়ে গেলে বা ব্যথা করলে টেনিস বল ব্যবহার করে মালিশ করা যায। ঘাড় মটকানো নয়, ঘাড় ফোটাতে চাইলে জেনে নিন সহজ পন্থা। সারাদিন কুঁজো হয়ে কম্পিউটারে কাজ করা, আর রাতে একইভাবে মোবাইল কিংবা টিভি দেখা। অধিকাংশ মানুষের অবসর আর ব্যস্ত সময় এখন এভাবেই কাটছে। ফলে ঘাড় ব্যথা, পিঠ ব্যথা সবারই সাধারণ সমস্যা।
এই অবস্থায় পেশাগত কারও হাতে মাসাজ বা মালিল নিতে পারলে ব্যাপারটা দারুণ হয়। তবে আর্থিক দিক থেকে তা মোটেই বুদ্ধিমানের কাজ নয়। আর সবসময় সময় সুযোগ হয়েও ওঠে না। তবে সহজ এবং সস্তা একটা সমাধান আছে যা হবে পরম উপকারী। তা হলো টেনিস বল। 
‘ওয়েলঅ্যান্ডগুড ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে টেনিস বল দিয়ে ঘাড় মালিশের পন্থা দিয়েছেন ক্যালিফর্নিয়া’র রিভারসাইডের ‘মাসাজ এনভি’র পেশাদার মাসাজ থেরাপিস্ট হুয়ান গঞ্জালেজ। পাশাপাশি মাসাজ প্রথম কাজ হল, মেঝেতে আরাম করে শোয়ার একটা জায়গা খুঁজে বের করা। এবার পিঠের ভরে শুয়ে পড়তে হবে। দুই হাঁটু ভাঁজ করে নিতে হবে পিঠের নিচের অংশে যাতে চাপ না পড়ে। মেঝে আর ঘাড়ের ফাঁকে টেনিস বলটি রেখে দিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন।
এবার বলটাকে ঘাড়ের নিচের রেখে ডান থেকে বামে এবং বাম থেকে ডান কাত হতে হবে। ঘাড়ের কোনো অংশের পেশি শক্ত হয়ে থাকলে সেখানে কিছুক্ষণ আটকে থাকতে হবে। পুরো ব্যাপারটা করতে হবে খুব ধীরে ধীরে।
ওপর নিচে ম্যাসাজ একইভাবে শুয়ে টেনিস বলটাকে ঘাড়ের নিচে রাখতে হবে। এবার ডানে বামে কাত না হয়ে ওপরে নিচে ওঠানামা করতে হবে, পায়ের সাহায্যে। এতে বলটা ঘাড়ে মালিশ করবে ওপরে নিচে।

পিরিয়ড অনিয়মিত হলে যেসব খাবার খাবেন

চিলাহাটি ওয়েব ডটকম : Thursday, December 15, 2022 | 12/15/2022 03:03:00 PM

চিলাহাটি ওয়েব, রকমারি ডেস্ক : নারীদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময় হল মেন্সট্রুয়েশন সাইকেল বা পিরিয়ড। এই সময়ে মেয়েদের মাঝে অনেক ধরনের লক্ষণ দেখা যায়।
নারীরা যেসব সমস্যায় ভোগেন তার মধ্যে সবচেয়ে পরিচিত একটি সমস্যা হলো অনিয়মিত পিরিয়ড। এই সমস্যা আসলে কী? কোনো নারীর মাসিক চক্র তার স্বাভাবিক চক্রের অনেক বেশি আগে বা পরে শুরু হলে তাতে অনিয়মিত পিরিয়ড হিসেবে ধরা হয়।  এটি সাধারণত ঘটে থাকে ভারসাম্যহীন ইস্ট্রোজেনের মাত্রা এবং পেলভিক এরিয়ায় রক্ত রবাহের কারণে।
এছাড়াও আরও অনেক কারণ আছে যার জন্য পিরিয়ড নিয়মিত হয় না। যেমন- অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা করা, ক্যাফেইন জাতীয় খাবার গ্রহণ যেমন অতিরিক্ত কফি পান করা, স্ট্রেস নেয়া, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বাস করা, অপরিচ্ছন্ন থাকা, মদ্যপান বা ধূমপান করা ইত্যাদি। অনিয়মিত পিরিয়ডের সমস্যা ঠিক করতে সাহায্য করবে এই খাবারগুলো-
পেঁপে: পেঁপে কাঁচা অবস্থায় সবজি এবং পাকলে ফল হিসেবে খাওয়া হয়। পেঁপেতে রয়েছে অনেকগুলো উপকারী উপাদান। এতে থাকা ক্যারোটিন আমাদের শরীরের ইস্ট্রোজেনের মাত্রা উদ্দীপিত ও নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। ফলে অনিয়মিত পিরিয়ড নিয়মিত হয়। সেইসঙ্গে এটি পিরিয়ডের সময় পেট ব্যথা দূর করতেও কাজ করে।
হলুদ: হলুদের অনেক উপকারিতার রয়েছে। এটি আমাদেরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। রান্নায় হলুদ ব্যবহার করলে তা কেবল স্বাদ, গন্ধ ও রংই বাড়ানোর পাশাপাশি অনেক উপকার করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, হলুদ খেলে তা পিরিয়ড নিয়মিত করতেও সাহায্য করে।
আনারস: মিষ্টি স্বাদের ফল আনারস অনেকের পছন্দের। নিয়মিত আনারস খেলে আমাদের লোহিত রক্তকণিকা এবং শ্বেত রক্তকণিকা বৃদ্ধি পায়। এটি রক্ত প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ এবং মাসিকের সময় জরায়ুর আস্তরণের ক্ষরণে সহায়তা করে। পিরিয়ড অনিয়মিত হলে আনারস খেতে পারেন।
অ্যালোভেরা: রূপচর্চায় অ্যালোভেরার ব্যবহার জনপ্রিয়। অ্যালোভেরার জুস পানে অনেক সমস্যা দূর করে। তার মধ্যে একটি হলো অনিয়মিত পিরিয়ড নিয়মিত করা। এটি হরমোনের মাত্রায় ভারসাম্য রাখে যা পিরিয়ড নিয়মিত করতে কাজ করে।
বিটরুট: এই সবজির অনেক উপকারিতা রয়েছে। এটি আয়রন ও ফলিক এসিডে সমৃদ্ধ। এটি পিরিয়ডের সময় ব্যথা কমাতে কাজ করে। সেইসঙ্গে এটি অনিয়মিত পিরিয়ড ঠিক করতেও ভূমিকা রাখে।
আদা: এটি একটি ভেষজ উপাদান। প্রতিদিনের রান্না ও বিভিন্ন ধরনের খাবার তৈরিতে ব্যবহার করা হয় আদা। এতে থাকা ম্যাগনেশিয়াম ও ভিটামিন সি পিরিয়ড নিয়মিত করতে সাহায্য করে। পিরিয়ড চলাকালীন আদা দিয়ে চা কিংবা গরম পানি পান করলেও মিলবে উপকার। 

শীত আসছে, ত্বকের সুস্থতায় বেছে নিন অ্যালোভেরা

চিলাহাটি ওয়েব ডটকম : Tuesday, December 13, 2022 | 12/13/2022 02:13:00 PM

চিলাহাটি ওয়েব, রকমারি ডেস্ক : প্রকৃতিতে শীতের আয়োজন যে শুরু হয়ে গেছে, তা বোঝা যায় ত্বকের দিকে তাকালেই। ত্বকে টান টান ভাব আর শুষ্কতা জানান দিচ্ছে শীতে আসছে; আর তাই ত্বকের প্রতি বাড়তি মনোযোগ দেওয়ার সময়ও কিন্তু এসে গেছে। এ ক্ষেত্রে ত্বকের সৌন্দর্য ধরে রাখতে ব্যবহার করতে পারেন অ্যালোভেরা। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে, শরীরের অতিরিক্ত চর্বি কমাতে, ত্বক ভালো রাখতে এর নির্যাস শরবত হিসেবে খাওয়া ও ত্বকে ব্যবহার দুটোই দারুণ উপকারী।
মধু-হলুদ, অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার
এক চিমটি হলুদের গুঁড়া ও ১ চা চামচ মধু ভালো করে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটির সঙ্গে অ্যালোভেরার জেল মিশিয়ে পেস্ট করে নিন। মুখে, গলায় বা হাত-পায়ে পেস্টটি লাগিয়ে ২০ মিনিট রেখে হাল্কা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ১-২ বার এই মাস্ক ব্যাবহারে আপনি পেতে পারেন উজ্জ্বল ও ফর্সা ত্বক।
অ্যালোভেরা জেল ও লেবুর রসের ব্যবহার
অ্যালোভেরার দু’পাশের কাঁটাগুলো কেটে ব্লেন্ডারে পিষে নিন। তারপর একটি লেবুর সম্পূর্ণ রস বের করে এর সঙ্গে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি ফ্রিজে ১ সপ্তাহ পর্যন্ত ভালো থাকবে। মুখে, গলা, হাত বা পায়ের রঙ হালকা ও দাগ দূর করতে প্রতিদিন লাগিয়ে ১৫ মিনিট লাগিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই মাস্কটি রোঁদে পোড়াভাবও দূর করে।
মুলতানি মাটি, অ্যালোভেরা, মধু, লেবুর রস ব্যবহার
মুলতানি মাটির সঙ্গে মধু, লেবুর রস ও অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে ঘন পেস্ট বানিয়ে নিন। মুখে ও গলায় লাগিয়ে ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে একবার মাস্কটি ব্যাবহারে মুখের তৈলাক্ত সমস্যা দূর হবে।
মসুর ডালের গুঁড়া, অ্যালোভেরা, কাঁচা টমেটো ব্যবহার
একটি কাঁচা টমেটোর মাঝখান থেকে শাঁসটুকু নিবেন। মসুর ডালের পাউডারের সঙ্গে অ্যালোভেরা জেল ও টমেটোর শাঁস মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিন। মুখে, গলায় এবং হাত-পায়ে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট রেখে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। আপনি খুবই পরিষ্কার ত্বক অনুভূত করবেন।

বেশি শসা খাওয়া বিপজ্জনক

চিলাহাটি ওয়েব ডটকম : Sunday, December 11, 2022 | 12/11/2022 02:10:00 PM

চিলাহাটি ওয়েব, রকমারি ডেস্ক : খাবারের সঙ্গে শসা না থাকলে অনেকের চলেই না। আবার অনেকেই ওজন কমানোর জন্য অতিরিক্ত শসা খান। এ ফলটি কতটা উপকারী তা সবারই কমবেশি জানা আছে। তবে জানেন কি, শসা বেশি খাওয়াও বিপজ্জনক হতে পারে, এমনটিই মত বিশেষজ্ঞদের।
শসায় উপস্থিত কিউকারবিটাসিনের কারণে পেট ফুলে থাকা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হতে পারে। কিউকারবিটাসিনের কারণে শসায় তিক্ততা থাকে। বিশেষজ্ঞরা জানান, শসা যদিও একটি স্বাস্থ্যকর ফল, তবে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি খাওয়া ভালো নয়। ওজন কমাতে যদি সব সময় শসা খান, তাহলে অন্যান্য ভিটামিন থেকে আপনার শরীর বঞ্চিত হবে এবং আপনি অসুস্থ হয়ে পড়বেন। শসা খেতে হবে, তবে পরিমাণ অনুযায়ী।
১. শসার খোসায় অধিক পরিমাণে কিউকারবিটাসিন পাওয়া যায়। তাই এটি ভালো করে ধুয়ে, খোসা ছাড়িয়ে খাওয়া উচিত।
২. অনেকেরই শসায় অ্যালার্জি থাকে। ফলে এটি খেয়েই চুলকানি, মুখ ফুলে যাওয়া, গলায় সংক্রমণ ইত্যাদির মতো সমস্যা দেখা যায়।
৩. শসায় ৯০ শতাংশ পানি থাকে। এটি আপনার কিডনির জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।
৪. শসায় থাকা অত্যাধিক পানি রক্তনালী ও হার্টের উপর চাপ তৈরি করে, যা কিডনির ক্ষতি করতে পারে।
৫. যেহেতু শসায় বেশি পানি থাকে, তাই এটি অতিরিক্ত খেলে বার বার প্রস্রাবের সমস্যাও হতে পারে। ফলে শরীর আরও পানিশূন্য হয়ে পড়তে পারে।
৬. শসায় থাকা ভিটামিন সি-র পরিমাণ অতিরিক্ত হয়ে গেলে ব্রন, ক্যানসার, অকালবার্ধক্য ইত্যাদির মতো সমস্যার ঝুঁকিও বেড়ে যায়।
৭. এছাড়া লেবুর সঙ্গে কখনো শসা খাবেন না। কারণ এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে। তাই সালাদে লেবুর সঙ্গে শসা খাওয়াও বিপজ্জনক।
৮. রাতে শসা খাওয়ার অন্যতম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হলো গ্যাসের সমস্যা। শসার কিউকারবিটাসিনের ফলে পেট ফাঁপা ও ফোলাভাব হয়।

চুলের যত্মে ৭ টিপস

চিলাহাটি ওয়েব ডটকম : Friday, December 9, 2022 | 12/09/2022 02:08:00 PM


চিলাহাটি ওয়েব, রকমারি ডেস্ক : চুল পড়ে যাওয়া কিংবা চুলের সহজে বাড়তে না চাওয়ার পেছনে বেশকিছু কারণ রয়েছে। কয়েকটি টিপস মেনে চলতে পারলে চুল লম্বা হবে তাড়াতাড়ি। পাশাপাশি কমে যাবে চুল পড়াও।
যেসব কারণে চুল সহজে বাড়ে না
স্ট্রেস।
হরমোনের পরিবর্তন।
পুষ্টির অভাব।
দ্রুত চুল ঝরে যাওয়া।
পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া।
সঠিক যত্মে অভাব।
নির্দিষ্ট কোনো ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া।
ক্ষতিকর কেমিক্যাল সমৃদ্ধ শ্যাম্পুর ব্যবহার।  
কী করলে দ্রুত লম্বা হবে চুল?
১। সপ্তাহে অন্তত দুই দিন চুলে তেল ম্যাসাজ করুন। এতে মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়বে। ফলে চুল লম্বা হবে দ্রুত। চুলের রুক্ষতা দূর করে ঝলমলে ভাব নিয়ে আসতেও বিভিন্ন তেলের জুড়ি নেই। নারিকেলের তেল, অলিভ অয়েল, আমন্ড অয়েল, ক্যাস্টর অয়েল ও ভিটামিন ই অয়েল ম্যাসাজ করতে পারেন চুলে।
২। পর্যাপ্ত ঘুম খুবই জরুরি। প্রতিদিন ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমাবেন।
৩। সুষম খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। ভিটামিন এ, বি, ই, প্রোটিন, ওমেগা থ্রি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার রাখবেন খাদ্য তালিকায়।
৪। দুই মাসে একবার চুলের আগা ছেঁটে ফেলুন। তাড়াতাড়ি লম্বা হবে চুল।
৫। রাতে ঘুমানোর আগে মোটা দাঁতের চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ান ও আঙুলের সাহায্যে ম্যাসাজ করুন গোড়া।
৬। ইয়োগা ও নিয়মিত ব্যায়াম জরুরি।
৭। চুলের যত্মে কেমিক্যাল সমৃদ্ধ প্রসাধনীর বদলে বেছে নিন বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপাদান। অ্যালোভেরা, মেথি, রিঠা, ডিমের প্যাক ব্যবহার করুন সপ্তাহে একদিন বা দুইদিন। 

কিউই ফলের পুষ্টিগুণ

চিলাহাটি ওয়েব ডটকম : Wednesday, December 7, 2022 | 12/07/2022 12:28:00 PM


চিলাহাটি ওয়েব, রকমারি ডেস্ক : শরীরকে সুস্থ এবং তরতাজা রাখতে নিয়মিত খাবার তালিকায় ফল রাখা খুবই জরুরি । ভালো ফলের  তালিকায় একটি অন্যতম ফল হল কিউই। খেতে যেমন সুস্বাদু ঠিক তেমনি এটি স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী।

এই ফলে উপস্থিত রয়েছে ভিটামিন বি ৬, ভিটামিন সি, খনিজ পদার্থ, ক্যালসিয়াম, লোহা। কিউই ফলে উপস্থিত এসব ভিটামিন শরীরের রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া সক্রিয় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
আসুন জেনে নেই কিউই ফলে কিছু উপকারিতা সম্পর্কে
১. এই ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা হজম প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে থাকে।
২. কিউই ফল আমাদের ত্বক সুন্দর রাখতে বিশেষভাবে ভূমিকা পালন করে।
৩. হাঁপানি রোগীদের জন্য ঔষধ হিসেবে কাজ করে এই কিউই ফল।
৪. উচ্চ রক্তচাপ রোগীদের ক্ষেত্রে নিয়মিত খাবার তালিকায় এই ফল রাখলে তাদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আসবে।
৫. কিউই ফলে উপস্থিত ভিটামিনসমূহ দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে বেশ সহায়ক।

রাতে নগ্ন হয়েই ঘুমানো উচিত

চিলাহাটি ওয়েব ডটকম : Monday, December 5, 2022 | 12/05/2022 02:04:00 PM

চিলাহাটি ওয়েব, রকমারি ডেস্ক : শুনতে অবাক লাগলেও বিজ্ঞানীদের কিন্তু এমনটাই দাবি। ঘুমতে যাওয়ার আগে নাকি সমস্ত জামা কাপড় খুলে ফেলাই ভাল। তাতে শুধু ঘুমই ভাল হবে না, উল্টে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়বে। সুস্থ থাকবেন আপনি। কী ভাবে? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

১) বয়স কমাতে এবং ত্বকের জেল্লা বাড়াতে কত কিছুই তো করেন। এক বার এটাও ট্রাই করতে পারেন। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, জামা কাপড় ছাড়া ঘুমালে না কি ত্বকের জেল্লা বাড়ে। এজিং রোধ করে।
২) স্ট্রেস কমানোর এক অনবদ্য উপায় নাকি এটা। বিজ্ঞানীদের মতে, নগ্ন হয়ে ঘুমালে রক্তে অক্সিটোসিনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। স্ট্রেস কমে। রক্তচাপও নিয়ন্ত্রিত হয়।
৩) রোজ কি আপনি বিছানায় ছটফট করেন? তা হলে অবশ্যই এই ভাবে ঘুমিয়ে দেখতে পারেন। বিশেষজ্ঞরা তো তাই বলছে।
৪) রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতেও নাকি এর জুড়ি মেলা ভার। নগ্ন অবস্থায় ঘুমালো ঘুম গভীর হয়। যার জেরে রক্তে অক্সিটোসিন এবং কর্টিসলের মাত্রা বাড়ে। রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
৫) ক্যালিফোর্নিয়ার এক বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি, মেয়েরা যদি জামা-কাপড় না পরে ঘুমান, তা হলে তাঁদের যৌনাঙ্গে সংক্রমণের সম্ভাবনাও কমে যায়।
৬) আর ছেলেদের ক্ষেত্রে যৌন ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে।

লাবণ্যময়ী থাকার ৫ উপায়

চিলাহাটি ওয়েব ডটকম : Saturday, December 3, 2022 | 12/03/2022 01:10:00 PM


চিলাহাটি ওয়েব, রকমারি ডেস্ক : ব্যস্ততা দেয় না অবসর। একের পর এক কাজ করে দিনশেষে বাড়ি ফিরেন শহরের অধিকাংশ মানুষ। কর্মক্ষেত্রের পর ঘরের কাজ, সব মিলিয়ে ঠিক কবে নিজের জন্য খানিকটা সময় বের করে নিজেকে দিয়েছিলেন তাও মনে করতে পারেন না। এমনটা দিনের পর দিন করে গেলে শরীরে বাসা বাধবে রোগ আর মন হারাবে তার শান্তির ঠিকানা। তাই সুস্থ, সুন্দর, লাবণ্যময়ী থাকতে কাজের ফাঁকে কিছুটা হলেও সময় বের করে নিজের সঙ্গে সময় কাটান, দেখবেন ভালো লাগবে।

শরীরচর্চা করুন: সকালের শুরুতে কিছুটা শরীরচর্চা করুন। যোগব্যায়াম শরীরের পক্ষে খুবই উপকারী। এতে শরীর সুস্থ এবং ফিট থাকে। যদি শরীরচর্চা না করতে পারেন, যতটা সম্ভব হাঁটুন। ভগ্ন মন শরীরের উপরে ভর করে। তাই শরীরকে সুস্থ রাখতে মন খুলে হাসুন

হাসি: মানুষের মনের সঙ্গে শরীরের একটা বিশেষ সম্পর্ক আছে। শরীর যতই সুস্থ থাক না কেন, মন ভালো না থাকলে, শরীরটাও যেন পাশে থাকে না। ভগ্ন মন শরীরের উপরেও ভর করে। তাই শরীরকে সুস্থ রাখতে মন খুলে হাসুন। নিজে হাসুন এবং সেই সঙ্গে অন্যকেও হাসতে সাহায্য করুন। 

সুস্থ, সুন্দর, লাবণ্যময়ী থাকতে কাজে ফাঁকে কিছুটা হলেও সময় বের করে নিজের সঙ্গে সময় কাটাতে হবে

শাকসবজি ও ফল খাবেন: প্রতিদিন ভাত, রুটির সঙ্গে সালাদ এবং আস্ত একটি ফল খাওয়ার চেষ্টা করুন। এতে শরীর অনেক বেশি সুস্থ থাকে।

ঘুমের প্রয়োজন: নাগরিক জীবনে কাজের চাপে অনেকেই খুব অল্প সময় ঘুমাতে পারেন। রাত জেগে কাজ, আবার পরদিন কাজের চাপে মানুষের শরীর আস্তে আস্তে ভেঙে যায়। তাই হাজারো কাজের চাপ থাকলেও, দিনে একটা পর্যাপ্ত সময় পর্যন্ত মানুষের ঘুমের খুবই প্রয়োজন। অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা প্রতিদিন ঘুমাতেই হবে।

 

অনিয়মিত ঘুম যেসব রোগের ঝুঁকি বাড়ায়

চিলাহাটি ওয়েব, রকমারি ডেস্ক : সুস্থ থাকতে নিয়মিত পর্যাপ্ত ঘুমের বিকল্প নেই। কারণ, আমাদের ক্লান্তি দূর করে ঘুম। তাই প্রতি রাতে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতে হবে। তবে অনেকের ঘুমের সমস্যা রয়েছে। ঘুমের জন্য অপেক্ষা করতে হয়। ঘুম আসে না। অনেকে ঘুমানোর জন্য ওষুধ খেয়ে থাকেন। ঘুমের ওষুধে নির্ভরশীলতা আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর। অনিয়মিত ঘুম যেসব রোগের ঝুঁকি বাড়ায়- পর্যাপ্ত ঘুম না হলে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা বাড়তে পারে।
চিকিৎসকদের মতে, ঘুম না হলে শরীরের ‘লিভিং অরগানিজমগুলো ঠিকমতো কাজ করতে পারে না। নষ্ট হতে পারে শরীরের হরমোনের ভারসাম্য। বাড়তে পারে উচ্চ রক্তচাপ ও হাইপার টেনশন। ঘুম কম হলে হার্টের সমস্যা হতে পারে। ঘুমের সময় হৃৎপি- ও রক্তনালি বিশ্রাম পায়। তাই ঘুম কম হলে প্রতিনিয়ত কার্ডিওভাসকুলার সমস্যা বাড়তে থাকে। ফলে হার্টের সমস্যা বাড়তে থাকে। ঘুম পর্যাপ্ত না হলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ে।
দীর্ঘদিন রাতে না ঘুমানো বা কম ঘুমানোর ফলে শরীরে ইনসুলিন উৎপাদন ব্যাহত হয়। ফলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ে। ঘুম শরীরের ক্ষতি পূরণ ও শক্তি সঞ্চয়ের পন্থা। তাই ঘুম কম হলে, তা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট হয়। আমরা যখন ঘুমাই, তখন আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার জন্য দায়ী ‘লিভিং অরগানিজম’। কিন্তু আমরা না ঘুমালে এই ‘লিভিং অরগানিজমগুলো কাজ করতে পারে না। ফলে ক্রমশ আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমতে থাকে। মস্তিষ্কে ওরেক্সিন নামের একটি নিউরোট্রান্সমিটার আছে, যা মস্তিষ্ককে সচল রাখতে সহায়তা করে।
প্রতিদিন পর্যাপ্ত ঘুম না হলে ওরেক্সিন উৎপাদনের গতি মন্থর হয়ে যায়। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে বাড়তে পারে হজমের সমস্যা। না ঘুমালে শরীরের পাঁচন ক্রিয়ায় সাহায্যকারী অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো সঠিকভাবে কাজ করতে পারে না। ফলে খাবার হজমে সহায়ক পাঁচক রসগুলো উপযুক্ত মাত্রায় নিঃসরণে বাধা পায়। তাই ঘুম আমাদের জন্য অত্যন্ত জরুরি।
আমাদের দৈহিক প্রায় সব কার্যকলাপই ঘুমের ওপরে অনেকটাই নির্ভরশীল। তাই কোনো রকম অবহেলা না করে নিয়মিত প্রতিদিন অৃন্তত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানো জরুরি। আর ঘুমের সমস্যা হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

শারীরিক বৈশিষ্ট্যই বলে দেবে আপনি কেমন মানুষ

চিলাহাটি ওয়েব ডটকম : Thursday, December 1, 2022 | 12/01/2022 02:51:00 PM


চিলাহাটি ওয়েব, রকমারি ডেস্ক : ‘আগে দর্শনধারী পরে গুণবিচারী’-বহুল প্রচলিত এ প্রবাদটি যতটা জনপ্রিয় ততটা যৌক্তিকও বিবেচনা করা হয়। এখানে যে দর্শন শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে তা বাহ্যিক সৌন্দর্যের দিকে ইঙ্গিত করে। একজন মানুষের জন্মের মাস দেখে যেমন একটি মানুষের জীবন, আচরণ এবং তার ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে অনেক ধারণা পাওয়া যায়, তেমনি তার অবয়ব দেখেও অনেক কিছুই বলা যায়। কারণ এটা বিশ্বাস করা হয়ে থাকে, মুখই হলো মানুষের মনের দর্পণ।

জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে, মানুষের মুখের কিছু বৈশিষ্ট্য দেখেই বোঝা যায় তার চরিত্র। ছেলে বা মেয়ে সবার মুখের মধ্যেই তার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ফুটে ওঠে। শুধু মুখই নয়, পাশাপাশি শারীরিক আরও অনেক বৈশিষ্ট্য দেখে বলে দেওয়া যায় আসলে সেই মানুষটি কেমন।

# মুখের আকৃতি

যাদের মুখ লম্বার তুলনায় চওড়া কম তারা পরিস্থিতি অনুযায়ী সচেতন থাকেন এবং সিদ্ধান্ত নেন। আবার যাদের মুখ লম্বার তুলনায় চওড়া বেশি তারা জন্মগতভাবেই খুব আত্মবিশ্বাসী হন, বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

# ঠোঁট ও নাকের দূরত্ব

সেন্স অফ হিউমার বা রসবোধের ক্ষমতা একটি বিশেষ গুণ, যা সব মানুষের মধ্যে থাকে না। এ ক্ষেত্রে উপরের ঠোঁট এবং নাকের মধ্যে দূরত্ব কতটা তা দেখলেই বোঝা যায় কার রসবোধ কেমন? যার দূরত্ব যত বেশি হবে, তার রসবোধও তত বেশি হবে।

# নাকের ছিদ্র

নাকের ছিদ্র দেখেও অনেক কিছু বলা যায়। নাকের ছিদ্র বড় হলে, সেই মানুষটি খুবই কর্মনিপুণ এবং তার কল্পনাশক্তি প্রবল হয়। আর নাকের ছিদ্র ছোট হলে তাদের খুব একটা বড় মনের পরিচয় পাওয়া যায় না এবং তারা অনেকের কাছেই অপ্রিয় হয়।

# দাঁতের উপর দাঁত

যাদের দাঁতের উপর দাঁত থাকে, তারা খুবই বুদ্ধিমান, ভাগ্যবান ও সৃজনশীল প্রকৃতির হয়। সেইসঙ্গে তাদের ভোগ-বিলাসিতার উপর আসক্তি খুব বেশি থাকে।

# ঠোঁট

যার উপরের ঠোঁট যত বেশি মোটা হয়, তার কথায় ও আচরণে তত বেশি ভদ্রতা এবং মহত্ব থাকে।

# ভ্রূ

যেসব মেয়েদের ভ্রূ চোখ থেকে যত বেশি উপরে থাকে তার আত্মকেন্দ্রিকতা তত বেশি হয়। সে নিজস্ব পছন্দ অপছন্দকে বেশি গুরুত্ব দেয়। আর দুটি ভ্রূয়ের মধ্যে দূরত্ব যত বেশি থাকে, সহ্য ক্ষমতাও তত বেশি হয়।

# বুকে লোম

যাদের বুকে অত্যধিক লোম থাকে, তাদের দাম্পত্য জীবন খুবই সুখকর হয়। পাশাপাশি এদের শক্তি ও বুদ্ধির জোরও খুব বেশি হয়। আর যাদের বুকে বেশি লোম থাকে না, তারা অনেকেই বুদ্ধিমান হয়। আবার অনেকে একটু স্বার্থ নিয়ে চলতে পছন্দ করে।

# চোখের মণি

চোখের মণির রং দেখেও অনেক কিছু বোঝা যায়। যার মণির রং যতটা গাঢ় তার মনের গভীরতা ও আকর্ষণ ক্ষমতাও ততই বেশি।

# চোখের পাতা

যাদের চোখের পাতা যত বেশি মোটা হয়, তারা স্পষ্ট মনোভাবের হন। আর যাদের চোখের পাতায় কোনো ভাঁজ নেই, তারা খুব দ্রুত সিদ্ধান্ত নেন।

 

পাপ থেকে মুক্তির উপায়

চিলাহাটি ওয়েব ডটকম : Monday, November 28, 2022 | 11/28/2022 09:55:00 AM

চিলাহাটি ওয়েব, রকমারি ডেস্ক : মুমিন বান্দা পাপ থেকে মুক্ত থাকার চেষ্টা করে। কিন্তু পাপের অনুকূল পরিবেশ, অসৎ সঙ্গের প্রভাব ও শয়তানের সার্বক্ষণিক প্ররোচনায় পাপমুক্ত থাকা সম্ভব হয় না। যদি কোরআন-সুন্নাহর আলোকে কিছু উপায় অবলম্বন করা যায়, তাহলে অধিক পাপাচারে লিপ্ত হওয়া থেকে বাঁচা যেতে পারে।
আসুন জেনে নিই, পাপ বর্জনের কয়েকটি উপায় ও পন্থা:-
 
* পাপকে ছোট বা তুচ্ছ জ্ঞান না করা
পাপ যেমনই হোক, তা পাপই। তাকে ছোট মনে করে তা করে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। প্রতিটি পাপই আমলনামায় লেখা হয়। সুতরাং পরকালীন শাস্তির কথা ভেবে ক্ষুদ্র পাপ থেকেও বিরত থাকা উচিত। রাসুল (সা.) আয়েশা (রা.)-কে বলেছেন, ‘হে আয়েশা! তুমি ছোট ছোট গুনাহ থেকেও নিজেকে রক্ষা করো। কেননা সেটা লেখার জন্যও আল্লাহর পক্ষ থেকে একজন ফেরেশতা নিযুক্ত আছেন। ’ (মিশকাত, হাদিস : ৫৩৫৬)
 
* ভালো মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন
মানুষের পাপ কাজে অসৎ সঙ্গীদের সহায়তা ও প্রভাব থাকে। তাই পাপ থেকে বেঁচে থাকতে সৎ ও ভালো মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করা উচিত। মহানবী (সা.) ভালো মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করতে বলেছেন। তিনি বলেন, ‘তুমি মুমিন ব্যক্তি ছাড়া অন্য কারো সঙ্গী হবে না এবং তোমার খাদ্য যেন পরহেজগার লোকে খায়। ’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৪৮৩২)
 
* পাপ প্রকাশ না করা 
যেকোনো পাপ আল্লাহর অবাধ্যতার শামিল। পরম ক্ষমাশীল আল্লাহ তাআলা বান্দার পাপ গোপন রেখে তা ক্ষমা করে দিতে পারেন। কিন্তু বান্দা নিজে তা প্রকাশ করলে ওই বান্দাকে আল্লাহ ক্ষমা করেন না। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আমার সব উম্মতকে মাফ করা হবে, তবে প্রকাশকারী এর ব্যতিক্রম। আর নিশ্চয়ই এটা বড়ই অন্যায় যে কোনো লোক রাতের বেলা অপরাধ করল, যা আল্লাহ গোপন রেখেছেন। কিন্তু সে সকালে বলে বেড়াতে লাগল, হে অমুক! আমি আজ রাতে এই এই কাজ করেছি। অথচ সে এমন অবস্থায় রাত কাটাল যে আল্লাহ তার কর্ম লুকিয়ে রেখেছিলেন, আর সে ভোরে উঠে তার ওপর আল্লাহর দেওয়া আবরণ খুলে ফেলল। ’ (বুখারি, হাদিস : ৬০৬৯)
 
* পাপের পর নেকির কাজ করা 
শয়তানের প্ররোচনায় পাপ হয়ে গেলে অনুশোচনার পরপরই কোনো নেকির কাজ করা উচিত। কারণ নেকি পাপ মিটিয়ে দেয়। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই সৎ কর্মসমূহ মন্দ কর্মসমূহকে বিদূরিত করে। ’ (সুরা : হুদ, আয়াত : ১১৪)
 
* তাওবা-ইস্তিগফারের অভ্যাস গড়ে তোলা
শয়তানের প্ররোচনায় যতবার পাপ হবে, ততবারই তাওবা করা উচিত। কারণ শয়তান চায় না কোনো বান্দা ক্ষমা পেয়ে যাক। তাই পাপ থেকে মুক্ত থাকার জন্য বারবার তাওবা করার অভ্যাস করে নিতে হবে। হাদিসে কুদসিতে আছে, ‘হে আদম সন্তান! তোমার গুনাহর পরিমাণ যদি আসমানের কিনারা বা মেঘমালা পর্যন্তও পৌঁছে যায়, তারপর তুমি আমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করো, আমি তোমাকে ক্ষমা করে দেব, এতে আমি পরোয়া করব না। হে আদম সন্তান! তুমি যদি সম্পূর্ণ পৃথিবী পরিমাণ গুনাহ নিয়েও আমার কাছে আসো এবং আমার সঙ্গে কাউকে অংশীদার না করে থাকো, তাহলে তোমার কাছে আমি পৃথিবীপূর্ণ ক্ষমা নিয়ে হাজির হব। ’ (তিরমিজি, হাদিস : ৩৫৪০) মহান আল্লাহ আমাদের পাপমুক্ত জীবনযাপনের তাওফিক দান করুন।