Showing posts with label বিনোদন. Show all posts
Showing posts with label বিনোদন. Show all posts

চলে গেলেন সিআইডি ধারাবাহিকের জনপ্রিয় চরিত্র ‘ফ্রেডি’

চিলাহাটি ওয়েব ডটকম : Wednesday, December 6, 2023 | 12/06/2023 12:50:00 AM

চিলাহাটি ওয়েব, বিনোদন ডেস্ক : মারা গেছেন ভারতীয় অভিনেতা দীনেশ ফাডনিশ। তিনি সিআইডির ‘ইন্সপেক্টর ফ্রেডি’ নামে ভক্তদের কাছে জনপ্রিয় ছিলেন।
মৃতকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৭ বছর। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, মুম্বাইয়ের তুঙ্গা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার মধ্যরাতে এ অভিনেতার মৃত্যু হয়।
দীনেশের মৃত্যুর খবরটি ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন সিআইডি ধারাবাহিকের অভিনেতা দয়ানন্দ শেঠি। 
দীনেশের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে দয়ানন্দ বলেন, ‘রাত ১২টা ৮ মিনিটে দীনেশের মৃত্যু হয়। ওর একাধিক কমপ্লিকেশন দেখা দিয়েছিল। ভেন্টিলেটর থেকেও বের করে আনা হয় ওকে। এর পরই একাধিক অঙ্গ বিকল হয়ে যাওয়ায় মারা যান দীনেশ।’ মঙ্গলবারই দীনেশের শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
কয়েক দিন আগেই ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন দীনেশ ফাডনিশ। প্রাথমিকভাবে জানা যায় হার্ট অ্যাটাক হওয়ার পর তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু পরে দয়ানন্দ জানান, যে খবর রটেছে সেটা ভুল। আসলে দীনেশ দীর্ঘদিন ধরেই লিভারের সমস্যায় ভুগছিলেন।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৮ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত টেলিভিশনের সবচেয়ে জনপ্রিয় শো ‘সিআইডি’তে ফ্রেডির চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকপ্রিয়তা পান দীনেশ। সিআইডি ছাড়াও দীনেশকে হিট টিভি শো ‘তারাক মেহতা কা উল্টা চশমা’য় একটি ক্যামিও চরিত্রে দেখা গেছে। এ ছাড়া দীনেশকে আমির খানের ‘সারফারোশ’ এবং ‘সুপার ৩০ ’-এ হৃতিকের বিপরীতে অভিনয় করতে দেখা গেছে।

সংস্কার হচ্ছে মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের পৈত্রিক বাড়ি

চিলাহাটি ওয়েব ডটকম : Saturday, November 18, 2023 | 11/18/2023 11:48:00 PM

চিলাহাটি ওয়েব ডেস্ক : সংস্কার করা হচ্ছে বাংলা চলচ্চিত্রের মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের পৈত্রিক বাড়ি। বাড়িটি পাবনা শহরের গোপালপুর মহল্লার হেমসাগর এলাকায় অবস্থিত। বাড়িটির মূল অবয়ব ঠিক রেখে সংস্কার করা হচ্ছে। সম্প্রতি পাবনা জেলা প্রশাসক আসাদুজ্জামান সংস্কার কাজের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, প্রতিদিনই দেশ ও দেশের বাইরে থেকে অসংখ্য দর্শানার্থী বাড়িটি দেখার জন্য আসেন। বাড়িটির প্রতি সংস্কৃতি প্রেমীদের গভীর ভালবাসা ও আবেগ রয়েছে।
জেলা প্রশাসক জানান, সরকারের কাছে সংগ্রহশালা করার যে প্রস্তাব রয়েছে তা বাস্তবায়নের জন্য করণীয় নির্ধারণ করা হয়। বাড়িটিকে ঠিক রেখে বর্তমানে সংস্কারের জন্য এনডিসি মোহাম্মহদ আবুল হাছানাত এবং পরিষদের পক্ষ থেকে ড. নরেশ মধুকে সহযোগিতার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, তৎকালীন বৃহত্তর পাবনার (বর্তমান সিরাজগঞ্জ) বেলকুচি উপজেলার সেন ভাঙ্গাবাড়ি গ্রামে ১৯৩১ সালের ৬ এপ্রিল জন্ম নেন সুচিত্রা সেন। পাবনা শহরের গোপালপুর মহল্লার হেমসাগর লেনের একতলা পাকা পৈত্রিক বাড়িতে সুচিত্রা সেনের শিশুকাল, শৈশব ও কৈশোর কেটেছে। তার বাবা করুনাময় দাশগুপ্ত পাবনা মিউনিসিপ্যালিটির স্যানিটারি ইন্সপেক্টর পদে চাকরি করতেন। মা ইন্দিরা দাশগুপ্ত ছিলেন গৃহিনী। দু’বোনের মধ্যে সুচিত্রা সেন ছিলেন বড়। ছোট বোন হেনা দাশগুপ্ত। 
শহরের মহাকালী পাঠশালায় পড়ালেখা শেষে সুচিত্রা সেন স্থানীয় পাবনা বালিকা বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করেছেন। পাবনা শহরের নানা অনুষ্ঠানে গান গাওয়া ও নাটক থিয়েটারে তিনি অভিনয়ে দক্ষতা দেখান। তার পারবারিক নাম ছিল রমা দাশগুপ্ত। ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের কয়েক মাস আগে তার বাবা করুণাময় দাসগুপ্ত পাবনার বাড়ি-ঘর, চাকরি সবকিছু ফেলে সপরিবারে ভারতে চলে যান। সুচিত্রা সেনও পরিবারের সঙ্গে চলে যান। কলকাতা যাওয়ার বছর দু’য়েক পরেই সেখানকার বনেদি পরিবারের ছেলে দিবানাথ সেনের সঙ্গে রমা দাশগুপ্তের বিয়ে হয়। বিয়ের পর ঘর সংসারের পাশাপাশি সিনেমায় অভিনয়ে জড়িয়ে পড়েন তিনি। সিনেমায় অভিনয় শুরু পর নাম হয় সুচিত্রা সেন। বিয়ের আড়াই বছরের মাথায় ১৯৫২ সালে ‘শেষ কোথায়’ নামের একটি বাংলা ছবিতে তিনি প্রথম অভিনয় করেন। অজ্ঞাত কারণে ছবিটি মুক্তি পায়নি।
এরপর ১৯৫৩ সালে নায়িকা হয়ে তার অভিনীত প্রথম ছবি ‘সাত নম্বর কয়েদি’ ছবিটি মুক্তি পায়। ১৯৫৩-১৯৭৮ সাল পর্যন্ত ৩৫ বছর সুচিত্রা সেন একটানা বাংলা সিনেমায় অভিনয় করেন। স্বামী দিবানাথ সেনের প্রবল আপত্তি থাকলেও সুচিত্রা সেন মনের তাগিদে নিজেকে অভিনয়ে জড়িয়ে রাখেন। ‘সাত নম্বর কয়েদি’ ছবির পরিচালক ছিলেন সুকুমার দাশগুপ্ত। তারই একজন সহকারী পরিচালক নীতিশ রায় এ ছবিতে অভিনয় করার পর ছবি মুক্তির সময় রমা নাম বদলে নাম দেন ‘সুচিত্রা সেন’। এরপর থেকেই কিশোরী বেলার বান্ধবীদের রমা বাবা-মায়ের দেওয়া নাম রমা দাশগুপ্ত থেকে স্বামীর পদবি নিয়ে রমা সেন সবশেষে স্বপ্নসুন্দরী সুচিত্রা সেন হয়ে যান। সুচিত্রা সেন বাংলা ৫৬টি ও ৭টি হিন্দি মিলে মোট ৬৩টি ছবিতে নায়িকা হয়ে অভিনয় করেছেন।
উত্তম কুমারের সঙ্গে জুটি হয়ে বিশ্বে ব্যাপক আলোড়ন তোলেন। ১৯৭৮ সালে উত্তম কুমার মারা গেলে সিনেমায় অভিনয় বন্ধ করে দেন।
১৯৬৩ সালে ‘সাত পাকে বাঁধা’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য মস্কো চলচ্চিত্র উৎসবে সুচিত্রা সেন ‘সিলভার প্রাইজ ফর বেস্ট অ্যাকট্রেস’ জয় করেন। তিনিই প্রথম ভারতীয় অভিনেত্রী যিনি কোনো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে পুরস্কৃত হয়েছিলেন। ভারত সরকারও তাকে পদ্মশ্রী সম্মান প্রদান করেন।
২০০৫ সালে তাকে দাদা সাহেব ফলকে পুরস্কার দেওয়ার প্রস্তায রাখলে তিনি জনসমক্ষে আসতে চাননি বলে তা গ্রহণ করেননি। ২০১২ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সর্বোচ্চ সম্মান বঙ্গবিভূষণ দেওয়া হয়। ১৯৫৫ সালে তিনি দেবদাস ছবির জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার জেতেন, যা ছিল তার প্রথম হিন্দি ছবি। ২০১৪ সালের ১৭ জানুয়ারি তিনি ভারতে মারা যান।
 
সূত্র: ডেইলি বাংলাদেশ

প্রকাশ্যে এলো ‘আদিপুরুষ’র ট্রেলার

চিলাহাটি ওয়েব ডটকম : Wednesday, May 10, 2023 | 5/10/2023 11:10:00 AM

চিলাহাটি ওয়েব, বিনোদন ডেস্ক : প্রতীক্ষার অবসান। বড়পর্দায় সীতা ও লক্ষ্মণকে সঙ্গে নিয়ে আবির্ভাব ঘটতে চলেছে রামের। যার ট্রেলার মুক্তি পেল মঙ্গলবার। হ্যাঁ, ঠিক ধরেছেন। বহু প্রতীক্ষিত ছবি ‘আদিপুরুষ’ ছবির ট্রেলার প্রকাশ্যে এসেছে। পরিচালক ওম রাউতের বিগ বাজেটের ছবি ঘিরে প্রথম থেকেই সিনেপ্রেমীদের উত্তেজনা তুঙ্গে। একে একে সামনে এসেছে রাম, সীতা ও রাবণের পোস্টার।
রামের ভূমিকায় প্রভাস এবং রাবণ রূপী সাইফ আলি খান তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েন। সীতার চরিত্রে হিন্দুত্ববাদীদের রোষানলে পড়তে হয় কৃতি শ্যাননকে। এমনকি, ছবি নিষিদ্ধ করার ডাকও তুলেছিলেন রামমন্দিরের প্রধান পুরোহিত। তবে হাজার সমালোচনা উপেক্ষা করেই মুক্তি পেল ছবির ট্রেলার। প্রথমেই বলে রাখা ভালো, টিভির পর্দায় যে ‘রামায়ণ’ দেখেছেন, তার সঙ্গে এর কোনোভাবেই তুলনা চলবে না।
এখানে মূলত যোদ্ধা হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে রামকে। তবে শ্রীরামের যে ছবি হিন্দু তথা ভারতীয়দের মননে রয়েছে, তার থেকে সহস্রগুণ দূরে থেকে গিয়েছেন প্রভাস। পর্দায় ভীষণ মেকি দেখাচ্ছে তাকে। রামের স্নিগ্ধতা, নির্মল হাসি, ঐশ্বরিক দ্যুতি— কিছুই দেখতে পাওয়া গেল না। সীতার সঙ্গে প্রেমের দৃশ্যও বড়ই সাজানো গোছের।
গোটা ট্রেলারে ভিএফএক্সের প্রভাব এতটাই বেশি যে, দেখে মনে হচ্ছে চরিত্রগুলো যেন ভিডিও গেমের। কারও মধ্যেই তেমন প্রাণ নেই। তবে রাবণের ভূমিকায় নজর কাড়লেন সাইফ আলি খান। তিনিই এই ট্রেলারের সেরা আকর্ষণ। তবে যদি ভিএফএক্সের কাজ দেখতে চান, তাহলে এ ট্রেলার ভালো লাগতে বাধ্য। সেই সঙ্গে জয় শ্রীরাম ধ্বনি তুলে রামায়ণের আবহ তৈরি করার আপ্রাণ চেষ্টা করা হয়েছে। তবে ট্রেলার দেখে তো আর গোটা ছবি কেমন হবে, তা বিচার করা যায় না। তার জন্য ১৬ জুন পর্যন্ত অপেক্ষা করতেই হবে।

১৯ বছরে সিসিমপুর

চিলাহাটি ওয়েব ডটকম : Sunday, April 16, 2023 | 4/16/2023 10:56:00 PM

চিলাহাটি ওয়েব, বিনোদন ডেস্ক : প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিক পর্যায়ের শিশুদের শেখাকে আনন্দদায়ক ও উপভোগ্য করার লক্ষ্য নিয়ে ‘সিসিমপুর’ নামে যে কার্যক্রমটির যাত্রা শুরু হয়েছিল ২০০৫ সালে, তা ১৮ পেরিয়ে পা রাখছে ১৯তম বছরে। টেলিভিশনে সিসিমপুরের প্রথম প্রচারের দিন হিসেবে প্রতি বছর ১৫ এপ্রিল তারিখটিকে ‘সিসিমপুর দিবস’ হিসেবে উদযাপন করা হয়।
সিসিমপুর তার টেলিভিশন অনুষ্ঠান ও মুদ্রিত বিভিন্ন উপকরণের মাধ্যমে শিশুকে বর্ণ চেনা, শব্দ থেকে বর্ণ চিহ্নিত করা, বর্ণ দিয়ে শব্দ মেলানো, শব্দ দিয়ে বাক্য তৈরি করতে সাহায্য করে। চারপাশের পরিবেশ থেকে উপকরণ খুঁজে নিয়ে সেগুলোর মাধ্যমে বর্ণ ও শব্দ চিনতে সাহায্য করে।
যেমন- বল, ঘর, কলা, আম, টেবিল, ঘড়ি, গরু, গাছ, পাতা, কলম, বই ইত্যাদি শিশুর পরিচিতি বিভিন্ন শব্দ কোন বর্ণ দিয়ে শুরু হয়, তা বিনোদন ও খেলার ছলে শেখানো হয়। সিসিমপুরের চরিত্রগুলোর মাধ্যমে পরিবেশের বিভিন্ন উপাদান থেকে বিভিন্ন আকার-আকৃতির নাম, রঙের নাম, গাণিতিক ধারণা, ইত্যাদি শেখানো হয়।
বাংলাভাষার শুদ্ধ উচ্চারণের বিষয়টিকে সিসিমপুর সবসময়ই গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে থাকে। আর তাই সিসিমপুরের সব ধরনের পর্বে চরিত্র অনুযায়ী প্রত্যেকের শুদ্ধ উচ্চারণকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়, যাতে শিশুরা এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রমিত বাংলা শোনার ও চর্চা করার সুযোগ পায়। আবার একইসাথে বিভিন্ন অঞ্চলের ভাষা, ঐতিহ্য আর জীবনযাপনকেও তুলে ধরা হয়। যাতে করে শিশুরা সমানভাবে আঞ্চলিক ভাষা-সংস্কৃতি এবং ভিন্ন ভাষা-সংস্কৃতির মানুষের প্রতিও শ্রদ্ধাশীল হয়।
বর্তমানে টেলিভিশনে সিসিমপুরের ১৫তম সিজনের প্রচার চলছে। এই সিজন থেকে সিসিমপুরে যুক্ত হয়েছে ‘জুলিয়া’ নামে একটি নতুন চরিত্র। জুলিয়া অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশু। বাংলাদেশের অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশুদের প্রতিনিধিত্ব করছে জুলিয়া। জনপ্রিয় এই অনুষ্ঠানটি দুরন্ত, মাছরাঙা এবং বিটিভিতে প্রচারিত হচ্ছে।
তবে শুরু থেকেই বাংলাদেশ টেলিভিশনে ১৮ বছর ধরে বিরতিহীনভাবে সিসিমপুর সম্প্রচার একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা, যা বাংলাদেশ সরকারের মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ টেলিভিশন এবং সিসিমপুরের আন্তরিক প্রচেষ্টার ফল। তিনটি টেলিভিশনের মাধ্যমে দেশের প্রায় এক কোটি ২০ লাখ দর্শক নিয়মিতভাবে সিসিমপুর উপভোগ করেন।
বর্তমানে মৌলভিবাজার ও হবিগঞ্জের জেলার ৫টি উপজেলার ২৫০টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কাজ করছে সিসিমপুর। ইউএসএআইডি/বাংলাদেশের আর্থিক সহযোগিতায় এসব স্কুলের শিশুদের বিশেষ করে প্রান্তিক শিশুদের শেখার দক্ষতা বৃদ্ধি ও স্কুলে বৈষম্যহীন শিশুবান্ধব পরিবেশ তৈরিতে কাজ করছে। এজন্য স্কুলগুলোর শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ, স্কুলগুলোতে শিক্ষা উপকরণ প্রদান ও সিসিমপুর পাঠাগার তৈরি, অভিভাবক ও কমিউনিটিকে সম্পৃক্ত করতে অভিভাবক সমাবেশসহ নানা কার্যক্রম পরিচালনা করছে সিসিমপুর।
প্রতি বছর অমর একুশে গ্রন্থমেলায় শিশুদের কাছে অন্যতম আকর্ষণের বিষয়ে পরিণত হয়েছে সিসিমপুর। মেলায় প্রতি শুক্র-শনি আর ছুটির দিনগুলোতে ইকরি, হালুম, টুকটুকি আর শিকুর সঙ্গে মজার সময় কাটাতে শিশুদের ঢল নামে। যা ইতোমধ্যেই অমর একুশে গ্রন্থমেলার অন্যতম অনুষঙ্গে পরিণত হয়েছে।
সিসেমি ওয়ার্কশপ বাংলাদেশের সব কার্যক্রমই সরকারি, বেসরকারি ও আন্তর্জাতিক সংস্থার সহায়তায় পরিচালিত হয়। গত ১৮ বছরে সিসিমপুর বাংলাদেশ সরকারের মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করেছে এবং করছে। এছাড়া সিসিমপুরের পথচলায় পাশে আছে ইউএসএআইডি/বাংলাদেশসহ আরও কিছু দাতা সংস্থা। নিউইয়র্কভিত্তিক সিসেমি স্ট্রিট নামক শিক্ষামূলক টেলিভিশন-ধারাবাহিকের সহপ্রযোজনা সিসিমপুরের কার্যক্রম বাংলাদেশে পরিচালনা করছে সিসেমি ওয়ার্কশপ বাংলাদেশ।

যে কারণে ভিন্ন ধর্মের হয়েও প্রতিবছর রোজায় ইফতার করে মিম

চিলাহাটি ওয়েব ডটকম : Monday, March 27, 2023 | 3/27/2023 08:25:00 PM

চিলাহাটি ওয়েব, বিনোদন ডেস্ক : জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা বিদ্যা সিনহা মিম সনাতন ধর্মাবলম্বী হয়েও প্রতিবছর রোজায় ইফতার করেন। এবারের মাহে রমজানেও তাকে ইফতার করতে দেখা গেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইফতারের একটি ছবি শেয়ার করেন মিম। পরিবারের সঙ্গে করা ইফাতরের ছবিতে ক্যাপশন হিসেবে লেখেন, প্রথম রমজান উষ্ণ ও শান্তিতে কাটল। কিন্তু কেন প্রতিবছর রোজায় ইফতার করেন মিম? ভক্তদের এমন প্রশ্নের উত্তরে মিম বলেন, ‘রোজার সময় ইফতার করাটা আমার বেশ ভালো লাগে।
পরিবারের সবার একসঙ্গে বসে ইফতারের এই মুহূর্ত একেবারে অন্য রকম ভালো লাগার। তা ছাড়া আমাদের বাসায় কাজে সহযোগিতা করেন যারা, তাদের মধ্যে মুসলিম ধর্মেরও আছে। আমার বাবা সাহ্‌রির সব আয়োজন করে তারপর ঘুমান। মাঝে মধ্যে আমরাও তাদের সঙ্গে সাহ্‌রি করি। আমার ভালো লাগে। আমি মনে করি, এ ধরনের ছোট ছোট বিষয় সবাইকে সম্প্রীতির বার্তা দিতে পারে।’ এবারের ইফতার প্রসঙ্গে মিম বলেন, ‘আমার একজন আত্মীয়র বাড়িতে ইফতারের দাওয়াত ছিল। যাদের বাড়িতে গতকাল আমাদের সবার দাওয়াত ছিল, বিনোদন অঙ্গনে কাজ শুরুর সময় থেকে তাদের সঙ্গে আমার সম্পর্ক। ইফতার ও সাহ্‌রিতে তাদের বাসায় দাওয়াত থাকে।
এবারও প্রথম রোজায় দাওয়াত দিয়েছেন, আমরাও মিস করতে চাইনি। দারুণ সময় কেটেছে আমার।’ ইফতার করার মুহূর্তে পোস্ট করা স্থিরচিত্রে মা–বাবার সঙ্গে দেখা গেছে মিমকে। ছিলেন স্বামী সনি পোদ্দারসহ পরিবারের কয়েকজন সদস্যও।

নতুন রূপে চমকে দিলেন লাস্যময়ী সামান্থা

চিলাহাটি ওয়েব ডটকম : Tuesday, January 10, 2023 | 1/10/2023 03:56:00 PM

চিলাহাটি ওয়েব, বিনোদন ডেস্ক : ভারতের দক্ষিণী সিনেমার আলোচিত অভিনেত্রী সামান্থা রুথ প্রভু। তার পরবর্তী সিনেমা ‘শকুন্তলম’। গুনাশেখর পরিচালিত এ সিনেমার নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন এই অভিনেত্রী। সোমবার মুক্তি পেয়েছে সিনেমাটির ট্রেইলার। ২ মিনিট ৪৭ সেকেন্ড দৈর্ঘের ট্রেইলারে নজর কেড়েছেন সামান্থা। ট্রেইলারের ৫০ সেকেন্ডে দেখা দেন সামান্থা। গহীণ বনে একঝাঁক প্রজাপতির মাঝে তার দেখা মেলে। পরনে সাদা রঙের পোশাক। মাথায় তাজা ফুলের টিকলি। কাখে কলসি, দুই বাহুতেও শোভা পাঁচ্ছে তাজা ফুলের বাজু। এমন লাস্যময়ী অবতার নেটিজেনদের মন কেড়েছে। তা ছাড়াও পুরো ট্রেইলারের বিভিন্ন অংশে নানা লুকে ধরা দিয়েছেন তিনি। যার প্রশংসা করছেন সামান্থা ভক্তরা। বিশাল একটি রাজ্যের শট দিয়ে শুরু হয় ট্রেইলার। আর ভয়েস ওভারে এক শিশুর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়। মূলত এই শিশুটিই শকুন্তলা। মালায়ালাম সিনেমার অভিনেতা দেব মোহন, মোহন বাবু, ভারতীয় বাংলা সিনেমার যীশু সেনগুপ্ত সিনেমাটিতে অভিনয় করেছেন। এ ট্রেইলারে তাদের উপস্থিতিও মিলেছে। ‘শকুন্তলা’ অবলম্বনে মিথলজিক্যাল ড্রামা ঘরানার এ সিনেমার চিত্রনাট্য রচনা করেছেন পরিচালক। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে তেলেগু ভাষার এই সিনেমা।

১০০ ঘণ্টার ভিডিও দেখে সাংবাদিক হয়েছিলেন ক্যাটরিনা!

চিলাহাটি ওয়েব ডটকম : Monday, December 5, 2022 | 12/05/2022 07:15:00 PM

চিলাহাটি ওয়েব, বিনোদন ডেস্ক : হাতে বেশি সময় নেই। তার মধ্যে সাংবাদিক হতে হবে। সাংবাদিকতা পেশাটা গুলে খেয়ে নিতে হবে। দিকে ক্যাটরিনা কইফ তো অভিনেত্রী! সাংবাদিকতায় ছিটেফোঁটাও জ্ঞান নেই। কী করবেন! শুরু হল প্রস্তুতি।

২০১৭ সাল।জগ্গা জাসুসছবির প্রস্তুতি ক্যাটরিনার জীবনে অন্যতম স্মরণীয় অধ্যায়। চেষ্টার কসুর করেননি অভিনেত্রী। কয়েক মাসের মধ্যে সাংবাদিকতা আয়ত্ত করেই ছেড়েছিলেন। অন্তত যাতে তাঁকে চরিত্রে বিশ্বস্ত মনে হয়।

ঘনিষ্ঠ সূত্রে খবর, নিজেকে সাংবাদিক বলে ভাবতে শুরু করেছিলেন নায়িকা। চরিত্রে ঢুকে পড়ে বেশ কয়েক জন বিখ্যাত সাংবাদিকের সঙ্গে দেখা করেন। তাঁদের থেকে শেখেন নিয়মাবলি। কী ভাবে কাজ হয়, তার একটা ধারণা তৈরি করেন। শুধু তা- নয়, সাংবাদিকদের জীবন কেমন হয় বুঝতে ইউটিউব-সহ বিভিন্ন অনলাইন মঞ্চে ১০০ ঘণ্টার ভিডিয়ো ফুটেজ দেখেছিলেন ক্যাটরিনা। সেই অভিজ্ঞতা এখনও ভোলেননি অভিনেত্রী।

এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, “সাংবাদিকরা কেমন ভাবে ঘটনার বিবরণ লিপিবদ্ধ করেন, কেমন করে সে সব আবার উপস্থাপন করেন, সেই সব আমি শিখি। সাংবাদিকদের কাছ থেকে ক্যামেরার ফুটেজ নিয়েও দেখি। আর যত সিনেমা, গল্পে সাংবাদিকতার অনুষঙ্গ আছে আমি দেখে এবং পড়ে ফেলি। সে এক সময় গিয়েছে বটে! তবে অনেক কিছু শিখেছিলাম।

জগ্গা জাসুসছবিতে ছোট্ট ছেলে জগ্গাকে বোর্ডিং স্কুলে পাঠিয়ে নিরুদ্দেশ হয়ে গিয়েছিল তার বাবা। তার পর বড় হয়ে বাবার খোঁজ শুরু করে ছেলে। তখনই শ্রুতি নামের এক সাংবাদিকের সাহায্য নেয় জগ্গা। শ্রুতির চরিত্রের জন্যই সেই অনন্যসাধারণ প্রস্তুতি ছিল ক্যাটরিনার।

তাঁকে এই চরিত্রের নেপথ্যে পরিশ্রমের কথা জিজ্ঞাসা করলে বলেন, “অভিনেতা হওয়ার মজাই হল বিভিন্ন চরিত্রের বাস্তবতা উপভোগ করতে পারা। প্রতি চরিত্রের নিজস্ব রেখচিত্র থাকে। সেগুলোর জন্য প্রস্তুতি প্রয়োজন। ভীষণ চ্যালেঞ্জের কাজ এটা।

অনুরাগ বসু পরিচালিতজগ্গা জাসুসমুক্তি পেয়েছিল ২০১৭ সালের ১৪ জুলাই। রণবীর কপূর আর ক্যাটরিনা ছিলেন মূল চরিত্রে। ছবিটিও বেশ প্রশংসিত হয়েছিল।

হাতে এখন অনেক কাজ ক্যাটরিনার। সদ্য মুক্তি পেয়েছে ভৌতিক কমেডিফোন ভূতমেরি ক্রিসমাসমুক্তি পাবে পরের বছর। তারই প্রস্তুতি নিচ্ছেন এখন অভিনেত্রী।